নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যদি মানুষের উপকারে না আসে, সেই জীবনের মূল্য নেই। সবার মাঝে বিলিন হতে পারাই জীবনের স্বার্থকতা। কান্না নিজের জন্য আর হাসি সবার জন্য।

ইসমাঈল আযহার

মেইল[email protected], স্বপ্ন দেখি শুদ্ধ মানুষ হওয়ার, সোনার বাংলা গড়ার। শখ, লেখালেখি, ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গি বই। ভালবাসি মাকে, নিজেকে, আমার বাবাকে।

ইসমাঈল আযহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাঙছে সংসার, বাড়ছে নারী-সচেতনতা

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯


সাম্প্রতিককালে তালাকের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ভাঙছে অজস্র সংসার। ইতোপূর্বে এ পরিমান সংসার ভাঙতে দেখা যায়নি। একরকম বলতে গেলে হটাৎ করেই শুরু হয়েছে সংসার ভাঙ্গার এই প্রবণতা।
এর কারণটা কী? নারী জাতীর সচেতনতার বৃদ্ধি নাকি পরকীয়া বেড়ে যাওয়া?

একদল মানুষ অবশ্য মুখ চাপড়ে বলছে, তালাকের হার বেড়েছে এটা নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও উন্নতির লক্ষণ। একারণে তারা মহানন্দে বগল বাজাচ্ছে।

কিন্তু আমি যদ্দুর জানি, সংসার ভাঙ্গা বা তালাকের এই প্রবণতা পরকীয়ার হার বেড়ে যাওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে। প্রত্যেক ঘন্টায় একটা করে তালাকের আবেদন পত্র জমা হচ্ছে। এবং এর ৭০শতাংশ আবেদন করছে নারী। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ যে কারণেই হোক এটা কোনোদিন-ই নারীর উন্নতি নয়, বরং অবনতি।
তালাকের হার বেড়ে যাওয়াতে একশ্রেণির মোটা বুদ্ধির মানুষ খুশি হতে পারতো। আমাদের ধারণামতে যারা জ্ঞানী, আজকাল তাদের-ই খুশি হতে দেখা যায় বেশি।
তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন, তালাক বাড়ছে এটা ভাল না? এবং এতে খুশি হওয়ারও কিছু নেই?
জ্বি হা।
কেন কেন কেন কেন কেন?
কারণটি খুব সোজা।
(আইন বেআইনের লড়াই)
ধরে নিলাম তালাকের মাধ্যমে যে সব সংসার ভাঙছে, গড় হিসেবে সে-সব পরিবারের সদস্য সংখ্যা চারজন করে। একটি করে ছেলে মেয়ে, স্বামী আর স্ত্রী। ছেলেটির বয়স ছয়, মেয়েটির বয়স তিন। (বিবাহিতা) মেয়েটির বিয়ে যদি আঠারো বছরে হয় তাহলে তার বয়স দাঁড়ায় চব্বিশে। যে কারণেই হোক যদি সংসারটা ভেঙে যায়, আর স্ত্রী তার সন্তান দু’টিকে ফেলে চলে যায়, তাহলে সংসারের চার সদস্যর জীবনই মাটি হয়ে যাবে। স্বামী লোকটি সন্তান দেখাশোনা করবে নাকি অফিস আদালত করবে? যদি অফিস করতে যায় সন্তানদের ‘দেখবাল’ করতে পারবেন না। আর যদি সন্তানদের মায়ের আদরে বড় করতে চান তাহলে ঘরভাড়া, খাবার, পোশাকাশাকের ব্যবস্থা হবে কোত্থেকে? এগুলো তো আর আসমান থেকে আসবে না।

অনেকে মনে মনে বলছেন, স্বামী আরেকটা বিয়ে করলেই ঝামেলা চুকে গেল। আমি বলব, না ঝামেলা চুকেনি, বরং আরো বেড়েছে। এক্ষেত্রে নতুন স্ত্রীর কথা হবে- সবকিছু ঠিক আছে, আগে ওদের দু’জনকে বিদেয় কর।
স্বামী কোনোভাবেই সন্তানদের বিদায় করতে পারবেন না। এনিয়ে নতুন স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকবে।
আর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা যখন বড় হবে তখন দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হবে সিনেমার শুটিং- তুমুল লড়াই। আর আমরা পত্রিকায় সংবাদ পাব- স্ত্রীর হাতে স্বামী ও দুই সন্তান খুন। অথবা এর উল্টা কিছু।

আর যদি নিয়মানুযায়ী স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যায়, স্বামী তাদের ভরণপোষণ দিবে। মা সন্তানদের লালনপালন করবে বালেগ হওয়া পর্যীন্ত। বালেগ হওয়ার পর সন্তানদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে, তারা বাবার নিকট থাকবে নাকি মায়ের সঙ্গে। বড় হয়ে সন্তানরা কার সঙ্গে থাকবে সেটা দেখার বিষয় না। দেখার বিষয় হল, শৈশবে তারা কোথায় থাকছে। মেয়েটির জন্য বাপের বাড়ি থেকে তার সন্তানদের বড় করে তুলতে অনেক কষ্ট হবে। অন্যদিকে সে বেচারীর ওতো একটা জীবন! যে জীবনে সুখ আছে স্বপ্ন আছে। অনেক চওয়া পাওয়া আছে। এই ছোট্ট জীবনে তার ছোট ছোট স্বপ্নগুলোও আর পূরণ হবে না। তাকে যেতে হবে কঠিন দুঃস্বপ্নের ভেতর দিয়ে।

চব্বিশ বছর বয়সী কোনো নারীর জন্য অবশ্যই একজন পুরুষ দরকার পড়ে।এবং সেও চাই একজন পুরুষ তার পাশে থাকুক। কিন্তু কেউ তাকে বিয়ে করবে না। এটা বাংলাদেশ, সৌদি আরব না। সৌদি আরব হলে অনায়েসে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যেত।সন্তানদের নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের পুরুষ যখন জানতে পারবে মেয়েটি তালাক প্রাপ্তা, সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে বাতিল করবে। আর যদি জানতে পারে দু’টি সন্তান আছে, তাহলে তো কথা-ই নেই। কোনো মানেই হয় না বিবাহিতাকে বিয়ে করার। অনেক অবিবাহিতা পড়ে আছে বাংলার জমিনে।
আর একান্ত যদি কোনো ভদ্রলোক বিয়ে করার জন্য রাজিও হয়, সে অগ্রিম শর্ত জুড়ে দিবে যে, তোমার সন্তান দু’টোকে কিন্তু আমি রাখতে পারবো না। ওদের কী ব্যবস্থা করবা করো। অবশ্য বুড়ো লোক হলে এক্ষেত্রে তার কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যা আরো জটিল- বুড়োদের রোগশোক বেশি। ছোট্ট দুইটা বাচ্চার সঙ্গে একটা বুড়ো বাচ্চাকে ‘দেখবাল’ করা শুধু কষ্টই না বরং মহাকষ্ট। তা ছাড়া চব্বিশ বছর একটি মেয়ের সঙ্গে ষাট বছরের বুড়ো কোনোদিক থেকেই যায় না।

আরে বাপু যাক না যাক তাতে তোমার মাথা ব্যথা কিসে? মেয়েটির একটি আশ্রয় তো হল!
আচ্ছা তাহলে আমি বলব, এই আশ্রয় না হওয়ার চেয়ে তালাকটা না হওয়াই কী ভাল ছিল না? যদি ভাল হয়ে থাকে তাহলে খারাপ বিষয়টার জন্য খুশি প্রকাশ নিতান্ত বোকামী বৈ কি হতে পারে?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৫

আরোগ্য বলেছেন: তালাক আল্লাহ পাকের অপছন্দের একটি হালাল কাজ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৮

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: এটাই তো আমার দুঃখ -কেন এই অপছেন্দের কাজটা বেশি ঘটছে! এবং এটাকে বাহ বাহ জানানো হচ্ছে।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩৭

বলেছেন: পরকীয়ার হার বেড়ে যাওয়া থেকে সংসার আর তালাকের হার বেড়েছে
খুব শক্তিমান কথা বলেছেন
ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: সংসার ভাঙ্গার আরো অনেক কারণ আছে। তবে এটা বড় কারণ।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: ডিবোর্সের আগে ভাবা উচিত। দেশে পরকীয়া বেড়ে যাচ্ছে প্রচুর। ভাল বিষয় নিয়ে লিখেছেন। শুভ কামনা রইল।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: থ্যংক য়্যূ ভাইয়া।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা।
চিন্তিত পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.