নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যদি মানুষের উপকারে না আসে, সেই জীবনের মূল্য নেই। সবার মাঝে বিলিন হতে পারাই জীবনের স্বার্থকতা। কান্না নিজের জন্য আর হাসি সবার জন্য।

ইসমাঈল আযহার

মেইল[email protected], স্বপ্ন দেখি শুদ্ধ মানুষ হওয়ার, সোনার বাংলা গড়ার। শখ, লেখালেখি, ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গি বই। ভালবাসি মাকে, নিজেকে, আমার বাবাকে।

ইসমাঈল আযহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চায় তাদের জন্য ছাত্রলীগের হুঁশিয়ারি, কী চান আপনারা? বাকস্বাধীনতার চর্চা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫


বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা কখনও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে ছিলাম না। কারণ দেশের সংকট মুহূর্তে ছাত্র রাজনীতির ভূমিকা অনেক।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চায়, তাদের অবস্থান আসলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। তাদের জন্য আমাদের হুঁশিয়ারি রয়েছে।’ আসলে লেখক ভট্টচার্য কী বলতে চাইছেন?

এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের কৃতিত্বে আন্দোলন ছেড়ে গুঁটিয়ে বসতে হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আহত হয়েছেন, এটা তো সত্যি। ছাত্রলীগ আবার টার্গেট করছে না তো? বর্তমান আন্দোলনের নেতৃত্ব যারা দিচ্ছেন তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে তো দু’দিন পর?

এখন যারা আন্দোলন করছেন, অনেকে ফেসবুক লাইফের মাধ্যমে প্রতিবাদ করছেন, দু’দিন পর যদি তাদের লাশ পাওয়া যায় বা আজীবনের জন্য তারা নিখোঁজ হয়ে যায় মোটেও অবাক হবো না। এটা এদেশের জন্য সাধারণ বিষয়।

এদিকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হবে। আর এটির জন্য ছাত্রলীগই দায়ী থাকবে৷ কারণ তারাই ক্যাম্পাসগুলোতে দখলদারিত্ব এবং সন্ত্রাসবাদী রাজনীতি চালু করেছে।’ সত্যি কথা বলার জন্য এই ভদ্রলোককে ধন্যবাদ জানানো উচিৎ। যেখানে মানুষ কিনা মানুষ হতে যায়, জ্ঞান আহরণ করতে যায়, সেখানে আজ অন্ধকার দিয়ে ভরে গেছে। সন্ত্রাসবাদ, চাঁদাবাদ, মদ-জোয়ার আড্ডাখানায় তৈরি হয়েছে।

ইদানীং আ.লীগের বেশকিছু নেতা আটক হয়েছে। অবশ্য ক্যাসিনো সামনে আসায় তাদের মুখোশ উন্মচন হয়েছে। তাদের মুখোশ উন্মচন হয়েছে। তাদেরটা তো আমরা জানতে পেরেছি আর....। আজকের আবরার হত্যাকারীরা আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দিবে। তারাও এগুলোই করবে। লীগের সঙ্গে যারা কোনভাবেই জড়িত ছিল তারা সবাই আজ ক্ষমতা অঢেল সম্পদের মালিক। বাস্তি উচ্ছেদ করে তারা নিজের বিলাশবহুল বাড়ি নির্মাণ করে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায়।

এদিকে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতে ‘চাল’ বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার চালটি একটি চরম প্রতিক্রিয়াশীল উদ্যোগ। ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কথিত ছাত্র রাজনীতি বন্ধ আছে সেখানেও প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ ও গোপনে ছাত্র শিবিরের তৎপরতা আছে। এছাড়া প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র সেখানে প্রবল মাত্রায় চালু থাকবে।’

আমি জামায়াত-শিবির, আ.লীগ, বিএনপি, কোনো দলই করি না। কিন্তু কথা হল, দেশে কী শুধু আ.লীগই থাকবে? প্রশ্নটি কেন করলাম অনেকে বুঝবেন আবার অনেকে নাও বুঝতে পারেন।

আবরার হত্যার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি রাখা না রাখা সেটা তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে আমরা পর্যালোচনা না করে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’ তিনি মনে করেন, সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে এর ভুলত্রুটি থাকলে তা শুধরে নিয়ে সঠিক পথে আনা যায়।

বুয়েটের রাজনীতির বিষয়টি নিয়ে এনজিও সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করতে।

ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক রাশেদ খান মেনন সাহেব বলেছেন, ‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে মৌলবাদীরা সুযোগ নেবে।’ আচ্ছা মেনেন সাহেব, একটা কথা বলুন তো, মৌলবাদীরা কি কোনদিন আবরারকে হত্যা করেছে। তা ছাড়া আপনিসহ আপনারা যারা মৌলবাদী মৌলবাদী করেন, আপনাদের সমস্যা কী বলুন তো। আপনার যেমন দাঁড়ি না রাখতে শার্ট-পেন্ট পরতে ভাল লাগে তেমনি আরেকজনের ভাল লাগে জুব্বা (লম্বাজামা) পরতে ভাল লাগে। দাঁড়ি রাখতে ভাল লাগে। আপনাদের নামাজ রোজা পড়তে ভাল লাগে না তার ভাল লাগে। এই জন্য সে কীইবা এমন দোষ করল। একই শিক্ষাঅঙ্গণের দু’জন শিক্ষার্থীর ভেতর রুচির ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ছাড়া ছাত্রনেতাদের রুমে যে হারে মদ পাওয়া যায় দোকানেও অতো মদ থাকে না। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখেন তাদের মৌলবাদ বলে গালি দিচ্ছেন তারা মদ-জুয়া, খুন ও ‘নারীবাজী’ করে না। ছাত্রলীগের জন্য এটা কমন বিষয়।

(৬ অক্টোবর রবিবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি দেশের সর্ব মহলের। কিন্তু কী ঘটবে সেটা কেউই বলতে পারেন না)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের বেশির ভাগ মানুষ ছাত্ররাজনীতি ঘৃণা করে।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যিনি বলছেন, তিনি নিজে বিপক্ষ মতকে দমন করে, মারামারি করে নেতা হয়েছেন...

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: শিবিরের নামে এখন তো আর রাজনৈতিক ব্যবসা করতে পারবে না। এই দুঃখ কিছুতেই ভুলতে পারছে না!!!!

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিবিরের বড় ভাইয়েরা (ছাত্র সংঘ)বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধ করে গণহত্যা চালিয়েছিলো, শিবির ২০১৩ সালে পুরো বাংলাদেশে আক্রমণ করেছিলো; ছাত্র রাজনীতি থামানো ও শবির থামানো সরকারের জন্য বড় চ্যালেন্জ

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো এতো সহজে তাদের ক্ষমতার এই অন্যতম স্তম্ভ হাতছাড়া হতে দিবে বলে মনে হয় না | কিছুদিন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার আইওয়াশ চলবে

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: যে কোন আন্দোলন দলদ্ধভাবে করাই ভাল। দেশে থেকে ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য দেয়াটা অত্যন্ত বিপদজনক ।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: সাধারন মানুষ শুধু শান্তি চায়। ডাল ভাত খেয়ে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে চায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.