![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একজন মানুষ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বাঙ্গালী জাতির জনকের কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “শেখ হাসিনা” এবং উনার সূযগ্যে পুত্র জনাব সজিব ওয়াজেদ জয় স্যারসহ মন্ত্রণালয়ের উদ্ধোর্তন কর্মকর্তা মহোদয় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্যোক্তাবৃন্দ।
জেলা পর্যায়ে আইসিটি শাখার সহকারী প্রোগ্রামার এবং উপজেলা পর্যায়ে টেকনিশিয়ান বৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমে “জাতীয় তথ্য বাতায়ন” থেকে শুরু করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের সব কয়টি কন্টেন্ট আজ জনগনের হাতের নাগালে।
আমরা “টেকনিশিয়ান’রা আজ বড্ড আনন্দ আর হতাশার মরিচিকায় আবদ্ধ। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ আমরা বড্ড দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। তারপরও আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এবং আমাদের অবস্থানকে সামনের দিকে তরান্বীত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে চাচ্ছি।
উপজেলা পর্যায়ে সরকারী অফিসের “জাতীয় তথ্য বাতায়ন” পেইজটির লিংক এবং সবকয়টি ট্যাবসহ তাদের কম্পিউটারের প্রাথমিক অসুস্থতার চিকিৎসা টেকনিশিয়ানরাই করে থাকেন।
ইউনিয়ন পর্যায়ে “জাতীয় তথ্য বাতায়ন” অনেকাংশ কাজই টেকনিশিয়ানরা করে থাকেন। এছাড়াও দ্রুতগতির পত্র প্রেরণ সহ মনিটরিং টুলে রিপোর্ট পাঠানোর কার্যকর ব্যবস্থাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক কাজই টেকনিশিয়ানরাই করে যাচ্ছেন।
জাতীয় তথ্য বাতায়ন এর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ট বাতায়ন সম্মাননা পুরুষ্কার এর আয়োজন করা হয়েছিল।
শ্রেষ্ঠ তথ্য বাতায়ন সম্মাননা অনুষ্ঠানে সারাদেশের মধ্যে ১ম সিলেট সদর উপজেলা।
“জাতীয় তথ্য বাতায়ন” সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাতায়ন।২৫০০০ ওয়েব পোর্টালকে একত্রিত করে যে বাতায়নটি তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের জাতীয় তথ্য বাতায়নের অবস্থান ১ম।
শ্রেষ্ঠ জাতীয় তথ্য বাতায়নে সারাদেশ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭টি বিভাগ থেকে ৭টি, উপজেলা পর্যায়ে ৩টি, জেলা পর্যায়ে ৫টি এবং বিভাগ পর্যায়ে একটিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা, জেলা এবং বিভাগ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠগুলোর মধ্যে দুটি দপ্তরকেও এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে। সিলেট সদর উপজেলার মধ্যে কৃষি এবং সমবায়, সিলেট সদর উপজেলার দপ্তরদুটিকে শ্রেষ্ঠ সম্মননা পুরুষ্কার দেয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে সিলেট বিভাগের মধ্যে ১ম হয়েছে আমাদের সিলেট জেলার তেতলি ইউনিয়ন।
পুরুষ্কার এবং শ্রেষ্ঠত্বের আনন্দে আমরা সিলেট সদর উপজেলাবাসী আনন্দিত।এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে যারা আমাদেরকে বিশেষ করে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে ২০১০ সালে প্রথম সিলেট সদর উপজেলার কাঁন্দি গাঁও ইউআইএসসি থেকে আমার চাকরী জীবনের পথচলা শুরু । পরে চাকরীর পদায়ন হয়ে উপজেলা টেকনিশিয়ান পদে ২০১৪ সালে যোগদান করি। সেই থেকে উপজেলা বাতায়নে কাজ করা আমার শুরু । শুরুতে উপজেলা জাতীয় তথ্য বাতায়ন অনেক ঘাড়তি থাকলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দিক নির্দেশনায় সিলেট সদর উপজেলা বাতায়ন আজ সমৃদ্ধশালী।
এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে সকল সরকারী কর্মকর্তাদের আন্তরীক প্রচেষ্টার ফসল জাতীয় তথ্য বাতায়ন সম্মাননা পর্যায়ে সিলেট সদর উপজেলা সারাদেশ থেকে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
সারাদেশে সিলেট সদর উপজেলা প্রথম হওয়ায় আজ টেকনিশিয়ান হিসেবে মনে হচ্ছে আমি পুরো ডিজিটাল শব্দের মমার্থ আয়ত্ত করতে পেরেছি।
তারপরও চাকরী এবং ডিজিটাল শব্দের সাথে স্থায়ীত্ত নিয়ে আজ আমরা বড্ড আশা এবং হাতাশার মরিচাকায় আবদ্ধ। স্বপ্ন নিয়েই সামনে অগ্রসর হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি বারং বার।
আমাদের আলাদা কোন দাবী নেই সরকারের কাছে শুধু একটা চাওয়া আছে আর সেটি হচ্ছে আমরা যেন ডিজিটাল শব্দের সাথে এবং ডিজিটাল কমকান্ডের সাথে নিজেদের চাকরী জীবন আরও দীর্ঘায়ু হয় এই স্বপ্নের জাল ভুনি।
©somewhere in net ltd.