নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাজিরুল ইসলাম নকীব

নাজিরুল ইসলাম নকীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভাগার স্বপ্ন পূরণ হলো না

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০১

অভাগার স্বপ্ন পূরণ হলো না


শরীরটা বেশ দুর্বল। তাই মনটাও বেশী ভালো নয়। মাগরিবের আজান হয়ে গেছে। মসজিদে গেলাম নামাজ আদায় করতে। নামাজ শেষে সাধারণত আমি আয়েতুল কুরসি ও সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করি। প্রতিদিনের মতই আজও পড়েছি। হতভাগা বলে বেশী আমল করিনা। বৃহস্পতিবার গত হলো । (আরবি তারিখ অনুযায়ী ) আজ শুক্রবার। বাড়িতে এসে বিছানায় শুয়ে রইলাম।

দুপুরে ঘুমিয়েছিলাম বলে এখন চোখে ঘুম নেই। এভাবেই এশার আজান হলো। অজু করে মসজিদে গেলাম। নামাজ আদায় করলাম। বরাবরের মতই আয়েতুল কুরসি ও সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করলাম। বাড়িতে চলে এলাম। আম্মু খাবার রেডি করছে। খাবার খাওয়ার তেমন ইচ্ছে নেই, তবুও ছোট ভাইয়ের সাথে বসে খেয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ পর শুয়ে পড়লাম। শুয়ে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলাম। ঘুমিয়ে গেলাম।

রাত অনেক গভীর হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনটা বাজে (সম্ভবত)। সুবহে সাদিকের সময় ঘনিয়ে এসেছে। আমি বিষণ ঘুমে। হঠাৎ চোখের সামনে রায়তুল্লাহর ছবি ভেসে উঠলো! মসজিদে হারামের ভেতরে অল্প সংখ্যক লোক। কেউ তাসবিহ জপছে, আবার কেউ নামাজ পড়ছে। দু ’জন লোক মসজিদে নববীর বারান্দা ঝাড়ু দিচ্ছে। আমি ওদের থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে আছি। আবেগ ভরা মনে অবাক নয়নে ওদের দেখছি।

আমার মনে অতি আন্তরিকতার সাথে অনুভূতি জন্মালো যে আমিও যদি মসজিদে হারাম ঝাড়ু দিতে পারতাম, তবে অনেক ছওয়াবের ভাগিদার হতাম! মনে অনেক আশা ও আবেগ নিয়ে সামনে এগোতে লাগলাম। ঝাড়ুদার দুই ভাইয়ের নিকটবর্তী হয়ে আমি এক ভাইকে বললাম, ভাইয়া! ঝাড়ুটা একটু দেবেন? একথা বলার সাথে সাথেই আমাকে ঝাড়ুটা দিলো। আমিও আবেগাপ্লুত হয়ে ঝাড়ু দিতে লাগলাম।

তারপর বায়তুল্লাহর কাছে গেলাম। পায়ে অনেক ধুলো অনুভব করলাম। ঝাড়ুটা নিয়ে আবারও পরিস্কার করতে লাগলাম বায়তুল্লাহর পাশের অংশটুকু। হঠাৎ একলোক আমার পাশে দেখতে পেলাম। চেহারা অনেক সুন্দর। গালভরা কালো কালো দাড়ি। ঠোঁটে মুসকি হাসি। শরীরে এহরাম বাঁধা। আমি ভাবলাম আরবিও কোনো আলেম হবে হয়ত। উনার সাথে মোসাফাহা করার ইচ্ছে জাগলো! কাছে গিয়ে সালাম দিলাম। মোসাফাহা করার জন্য হাত বাড়ালাম। অমনিতেই ঘুম ভেঙে গেলো!

ঘুম থেকে উঠে বিছানায় কিছুক্ষণ বসে রইলাম। মনটা কেমন জানি চটপট করছে। স্বপ্নের কথা ভাবতে লাগলাম। এটা কি দেখলাম! কেনইবা দেখলাম, আর এই স্বপ্নের রহস্য কি! নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলাম। উত্তর খুঁজে পাচ্ছিনা। রুমের ঘড়িটা নষ্ট। কয়টা বাজে জানিনা। বালিশের পাশেই মোবাইল ফোনটি রাখা ছিল। হাতে নিলাম। মোবাইলের স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখি ৩ টা ৪৫ মিনিট বাজে।

অতি অল্প সময়ের মাঝেই হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিলাম যানবিহীন। ভাবলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বপ্নের কথাগুলো লিখে রাখবো। এই ভেবে আবারও ঘুমিয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আম্মু ডাকছে, মসজিদ মিনারে মুয়াজ্জিন ’আল্লাহু আকবার’ বলে মহান সত্তার পবিত্রতা ঘোষণা করছে। অজু করে মসজিদে গেলাম। ফজরের সালাত আদায় করলাম। বাড়িতে আসলাম। কিন্তু লেখা হলোনা সেই স্বপ্নের কথাগুলো!

মোবাইলে শুধু স্বপ্নের তারিখটা লিখে রেখেছিলাম। এভাবেই গত হচ্ছে দিনের পর দিন। স্বপ্নের কথাগুলো আস্তে আস্তে ভুলে যাচ্ছি। আজ ০২-০৯-২০১৮ ইং, রোজ রবিবার। বিছানায় শুয়ে আছি। রাত ১২: ০০ টা বাজে। শুয়ে শুয়ে ভাবছি সেই স্বপ্নের কথাগুলো লিখে ফেলি। অন্যথায় পুরো স্বপ্নটাই ভুলে যাব। এই ভেবে লিখতে শুরু করলাম। লিখাও শেষ হয়েছে। অনেককিছুই ভুলে গেছি। সবকথা লিখা হলো না...

নাজিরুল ইসলাম নকীব -এর আরো লেখা পড়ুন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.