নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এলোমেলো ভাবনার বাইরে বই পড়তে ভালোবাসি, আর পছন্দ নতুন জায়গায় নতুন মানুষের সাথে মিশে তাদের সুখ দুঃখের গল্প শোনা। খুব ইচ্ছা করে এই দেশ ছাড়িয়ে খুব দূরে ভিন্ন দেশের মানুষের খুব কাছে যেতে (সাদা-কালো মানুষের মনের কথা জানতে, তাদের ভালোবাসার রঙ জানতে।

ইমরান তপু-সরদার

যাযাবরী জীবনে সম্পুর্ন অসামাজিক জীব।

ইমরান তপু-সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম বনাম বিজ্ঞান।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৮

ধর্ম ও বিজ্ঞান কি একে অন্যের পরিপূরক, নাকি ধর্ম ও বিজ্ঞানে কোন বিরোধিতা আছে? নাকি অন্য কিছু?

আসলে আমি নিজেও এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি অনেকবার।

কিন্তু প্রায় সবাই একবাক্যে ধর্ম ও বিজ্ঞানকে এক পাত্রে রাখতে অস্বীকার করে। ধর্ম ও বিজ্ঞানের আবিধানিক অর্থ ও বৈশিষ্ট নিয়েও কম সমালচনা হয় না।





আসুন একটু গভীরে যায়-



ধর্মঃ আমার কাছে ধর্ম মনে হয় মূল্যবোধ হিসাবে। কিছু আইন-কানুন, যা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত। যার সব মানব জাতীর জন্য কল্যাণকর।

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, কিন্তু আছে সবার ভিন্ন ভিন্ন মূল্যবোধ। যে কারণে ভালো খারাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আছে কঠোর বিধিনিষেধ।



বিজ্ঞানঃ বিজ্ঞান হল গবেষণা। বিজ্ঞান সবসময় নতুন নতুন সৃষ্টিতে নিয়োজিত।

যদিও আমাদের দেশের মানুষ বিজ্ঞান শিক্ষায় পিছিয়ে, কারও কারও তো অনিহাও আছে। আর যারা মোটামুটি পড়ছেন, তারা বিজ্ঞান পড়া মানেই কল্পনা করে, কীভাবে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে।

কেউ বিজ্ঞান পড়ে বিজ্ঞানী হওয়া যায়, এটা জানে কিনাও সন্দেহ!! :(( যাক এটা আমার আলোচনার বিষয় না।

সর্বশেষ এটা বলা যায়, বিজ্ঞান হল কোন কিছুর প্রতি বিস্তর গবেষণা করে তার গুঢ় রহস্য উদঘাটন করা। যার ফলশ্রুতি, অনেক গুলো গুঢ় রহস্য একটি সম্পূর্ণ নতুন জিনিস আবিষ্কার করে, যা মানুষের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করে।



ধর্ম বনাম বিজ্ঞান-

আমার মনে হয় না উপরের আলোচনা থেকে আপনাদের ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে আমার বর্ণনা নিয়ে মত-পার্থক্য তৈরি হয়েছে। তাছাড়া ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে কোন বিরোধিতা পেয়েছেন বলে আমার মনে হয় না।

তাহলে কেন এতো সমালোচনা?



আসুন একটা উদাহরণ দেখি,

আচ্ছা বাংলাদেশে ব্লগার মানে নাস্তিকতা কেন মনে হয়। কারণ কিছু ব্লগার তাদের মত প্রকাশ করেছেন এমন ভাবে যে, মানুষকে তারা এটা ভাবাতে বাধ্য করেছে। (যে দেশে ৯৯% মানুষ ধর্মভীরু)।,

কিন্তু আসলে কি ব্লগিং মানে নাস্তিকতা?

আচ্ছা ইসলাম ধর্মের হাদিস বর্ণনা করে, যদি কেউ ব্লগে লেখালেখি করে, তাহলে কি এটা নাস্তিকতা হবে?

আমার মনে হয় আপনাদের বিষয়টা আর খোলসা করা লাগবে না!

তারপরও যারা আরও বিস্তারিত জানতে চান তারা ব্লগিং নাকি নাস্তিকতা এই লেখাটা পড়তে পারেন।

ঠিক তেমনি যদি কেউ বিজ্ঞানে গবেষণা করে প্রমাণ করতে চাই, সৃষ্টিকর্তা নাই, তাহলে কি সেটা হয়ে যাবে? তিনি তার গবেষণা করার স্বাধীনতা রাখে কিনা!?



আমার কথা সেজন্য বিজ্ঞান ও ধর্মে বিরোধিতা আনবে কেন?

ইসলামে কি বড় বড় বিজ্ঞানী তৈরি হয় নি। তাঁরা কি ইসলাম ধর্ম অবমাননা করেছেন? তাঁরা কি মানেন নি, ধর্ম সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত।

তাহলে কেন ধর্ম নিয়ে বিজ্ঞানের বিরোধিতা আসবে।

একজন মানুষ স্বাধীন হিসাবে তার মত প্রকাশ করলেই যে ধর্ম ও বিজ্ঞান বিরোধ হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়।

আপনার কি মনে হয়?



আমার শেষ কথা, স্বাধীন মত প্রকাশে কারও বাঁধা দেওয়া উচিৎ না। তাকে ফিজিক্যালি আঘাত করাও কি ঠিক?

এর থেকে এটা ভালো কিনা, আপনিও আপনার যুক্তি দিয়ে তার কথার ভুল ধরিয়ে দিন। সেটাই করা ঠিক কিনা? :-*

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.