![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা অনেকেই বাচ্চা হবার সাথে সাথেই বাচ্চার ছবি তুলে ফেসবুকে লোড করি। তারপর সমানে বাচ্চার বড় হওয়া। ওর নাম, ওকে নিয়ে কোথায় বেড়াতে যাই, ওর প্রথম স্কুল এবং ওই স্কুলের সামনে ওর দাঁড়ানো ছবি ফেসবুকে শেয়ার করি। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে এই করে কিন্তু আমরা আমাদের বাচ্চাদের জন্য বিপদ ডেকে আনছি। সেদিন ক্রাইম পেট্রোল-এ দেখলাম কিছু গ্রুপ আছে ফেসবুকে , যারা এইসব বাচ্চাকে ট্র্যাক করে। আমাদের অজান্তেই প্রতিদিন নজরে রাখা হয় আমাদের বাচ্চাকে। হসপিটালের নাম/ছবি, স্কুলের নাম/ছবি, বাড়ীর ছবি/ঠিকানা যেকোন একটা দিয়ে এরা খুব ধীরে ধীরে পিছু নেয় বাচ্চার। সেই সাথে ওই বাচ্চাদের নামে রেট করে বিদেশী দালালরা বা অনেক নিঃসন্তান বাপ-মা। আপনি জানতেও পারবেন না , কখন আপনার প্রিয় সন্তানটির নাম ওই তালিকায় রেট করা হয়ে গেছে।
এরপর এরা কিডন্যপ করে বাচ্চাগুলোকে। এমনকি এই চক্র গোটা পৃথিবীতে বিস্তৃত।এরা কাজের মেয়ে থেকে শুরু করে অনেক লোককেই কাজে লাগায়, এই ধরণের কাজে। একসময় এটা শুধু মেয়েদের ছবি নিয়ে করা হতো। এখন বাচ্চাদের নিয়েও করা হচ্ছে। তাই প্লিজ আপনারা আপনাদের বাচ্চার ছবি যদি শেয়ার করেনও তাহলে পরিচিতদের সাথে কোন সিক্রেট গ্রুপ বা ইনবক্সে শেয়ার করুন। কখনোই স্ট্যাটাস আপডেটে শেয়ার করবেন না। সেই সাথে হসপিটাল, বাসা, স্কুল এগুলোর কোন ছবিও কোনদিন উল্লেখ করবেন না। কোথায় বেড়াতে গেলেন, কোথায় খেলেন এগুলো-ও না। বিশেষ করে যে জায়গায় আপনি নিয়মিত যান বা আপনার বাসার কাছে ------এমন জায়গা উল্লেখ-ও করবেন না।এরা এত শেয়ানা যে ওই জায়গায় গিয়ে ঠিকানা জোগাড় করে ফলো করার ব্যবস্থা করে। তাই Be careful about whatever you are sharing on facebook.
লেখাটা সচেনতা তৈরির জন্য। (মূল-বীথি আফরোজা সুলতানা)
©somewhere in net ltd.