![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসাকে কেউ কি অবমূল্যায়ন করে? আমার মনে হয় এই ভালোবাসা নিয়ে কারও মনে বিতর্ক নাই। ভালোবাসা না থাকলে এই পৃথিবী টিকে থাকতো কিনা সন্দেহ! ভালোবাসা ছাড়া এই জগতের কোন কিছু টিকে থাকাও সম্ভব না। পৃথিবীর প্রত্যেকটা প্রাণীর মধ্যে ভালোবাসা বিদ্যমান।
ভালোবাসা না থাকলে এই পৃথিবী সৃষ্টি হতো না। এই পৃথিবী টিকে থাকতো না। সৃষ্টি রহস্য বন্ধ হতো।
ভালবাসা ছাড়া যেহেতু এতো কিছুর কোনই মূল্য থাকতো না, সেহেতু এই ভালোবাসা নিয়ে যদি একটা বিশেষ দিন থাকে, খুব কি ক্ষতি?
ভালোবাসা দিবসের ইতিহাসঃ
ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস হয়তো কারও অজানা নই, তারপরও আমি একটু ছোট করে আমার মতো করে ব্যাখ্যা করি।
ভালোবাসা' পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কোমল দুরন্ত মানবিক অনুভূতি। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন একজন ধর্মযাজক। ভ্যালেন্টাইন ছিলেন একজন শিশুপ্রেমিক, সামাজিক, মানবিক এবং খ্রিস্টধর্ম প্রচারক। অন্যদিকে রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সম্রাটের বারবার খ্রিস্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করলে ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। সেই থেকেই দিনটির শুরু। এ ছাড়া আরও একটি প্রচলিত ঘটনা আছে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে নিয়েই। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারুদ্ধ হওয়ার পর প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীদের অনেকেই প্রতিদিন তাকে কারাগারে দেখতে আসত এবং ফুল উপহার দিত। তারা বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক কথা বলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে উদ্দীপ্ত রাখত। এক কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। অনেকক্ষণ ধরে তারা দু'জন প্রাণ খুলে কথা বলত। একসময় ভ্যালেন্টাইন তার প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক চিকিত্সায় অন্ধ মেয়েটি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। ভ্যালেন্টাইনের ভালোবাসা ও তার প্রতি দেশের যুবক-যুবতীদের ভালোবাসার কথা সম্রাটের কানে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ( ইতিহাস সুত্র দৈনিক ইত্তেফাক)
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের ইতিহাসঃ
১৯৯৩ সালের দিকে আমাদের দেশে ভালোবাসা দিবসের আবির্ভাব ঘটে। সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব শফিক রেহমান পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। পাশ্চাত্যের রীতিনীতিতে তিনি ছিলেন অভ্যস্ত। দেশে ফিরে তিনিই ভালোবাসা দিবসের শুরুটি করেন। এ নিয়ে অনেক ধরনের মতবিরোধ থাকলেও শেষ পর্যন্ত শফিক রেহমানের চিন্তাটি নতুন প্রজন্মকে বেশি আকর্ষণ করে। সে থেকে এই আমাদের দেশে দিনটির শুরু।
অনেকে এই ভালোবাসা দিবস নিয়ে কটূক্তি করতে ভুলেন না। তারা এই দিনটাকে নানাভাবে খারাপ বলে অবিহিত করে।
আচ্ছা তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন ভালোবাসা দিবসের কি কোন ভালো দিক নাই। এইদিন কি মা ছেলেকে ভালোবাসে না। ভাই বোনকে ভালোবাসে না!
আবার প্রেমিক জুটিও কি সব লীলাখেলায় জড়িত। কেউ কি তার প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে নির্জন কোন কথা বা আলাপে মগ্ন থাকছে না।
আচ্ছা মনে করেন ভালোবাসা দিবস নাই। তাহলে কি এই প্রেমিক জুটি তাদের প্রেম প্রণয় বাদ দিয়ে দিবে?
আমার মনে হয় না। আপনাদের কি মনে হয় জানি না।
এক সময় এই দেশে কেউ প্রেমে পড়লে তাকে সামাজিকভাবে শাস্তি দেওয়া হতো। এখন এইসব রূপকথার গল্প মনে হয়, আবার অনেক জায়গায় এখনও এই প্রথা প্রচলিত আছে। আচ্ছা আসলে কি এই প্রেম প্রনয় শাস্তি পাওয়ার মতো ছিল।
আসলে আমরা জাতি হিসেবে অনেক পিছিয়ে। সব কিছু আমরা গ্রহণ করি কিন্তু একটু দেরিতে। এই ধারণা থেকে কি আমরা বেরিয়ে আসতে পারি না?
একটু পালন করুক না তারা, সবই তো আর সমালোচনা করে আটকানো যায় না। ভালোবাসাই তো! খারাপ কিছু তো না।
©somewhere in net ltd.