![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪ তারিখ কে ভ্যালেন্টাইন্স
ডে নামকরন করা হয়।
এর মুলত নাম হল "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে" ।
এ দিনটিকে লাভ ডে অথবা লাভার্স ফ্যাস্টিভ্যাল
ও বলা
হয়।
.
‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ এর আসল পরিচয়
‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’(Saint Valentine’s
Day) এর প্রথম শব্দটিই এ দিনটির আসল পরিচয়।
Advanced Oxford Learners’
Dictionary তে Saint শব্দের অর্থ লেখা
হয়েছে:
a person declared to be holy by the
Christian Church because of her/his qualities
or good works অর্থাৎ: এমন ব্যক্তি, খৃষ্টান
গীর্জা কর্তৃক যাকে তার গুণাবলী বা ভাল
কাজের জন্য পবিত্র সত্তা হিসেবে ঘোষণা করা
হয়।
আর Valentine শব্দের অর্থ ভালবাসা নয়।
Valentine মূলত একজন ব্যক্তির নাম।খ্রীস্ট
ধর্মের জন্য জীবন উৎসর্গ করার কারণে
যাকে গীর্জা কর্তৃক Saint (পবিত্র
সত্তা)ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সুতরাং সহজেই বুঝা
যায়, গীর্জা কর্তৃক ‘পবিত্র সত্তা’হিসেবে
ঘোষিত একজন ধর্ম যাযকের প্রতি সম্মান
প্রদর্শন এ দিনটি উদযাপনের মূল কারণ।
.
২৭০ খ্রীষ্টাব্দে রোমান সম্রাট নারী পুরুষের
বিবাহ বন্ধ করে দেন কিন্তু ভ্যালেন্টাইন সম্রাটের
কথা অমান্য করে গোপনে নারী পুরুষের বিবাহ
বন্ধন চালাতে থাকেন যার ফলে সম্রাট তাকে
কারাগারে নিক্ষেপ করেন।
ঐ বছরের ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ভ্যালেন্টাইনের
মৃত্যু কার্যকর করা হয়।
.
৩৫০ সালে ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে সেখানে
একটি গীর্জা নির্মান করা হয় যেখানে
ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যু দেয়া হয়েছিল।
.
৪৯৬ খ্রীষ্টাব্দে খ্রীষ্টান ধর্মযাযক পোপ
গ্লসিয়াস ভ্যালেন্টাই কে উদ্দেশ্য করে ১৪ ই
ফেব্রুয়ারীকে "সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে"
হিসাবে ঘোষনা দেন।
.
খ্রীষ্টানরা ১৪ই ফেব্রুয়ারী লুপারকেলিয়া নামক
একধরনের উৎসব পালন করত।
লুপারকেলিয়া’উৎসবের একটি
উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি ছিল, প্রেমের
দেবী জুনু ফেব্রুয়াটা (Juno Februata) এর
আশীর্বাদ কামনায় যুবকদের মধ্যে যুবতীদের
বণ্টনের জন্য লটারীর আয়োজন। তারা যুবতী
মেয়েদের নাম লিখে একটি বাক্সে রাখত এবং
যুবকেরা এসে বাক্স থেকে নাম তুলতো।
লটারীতে যে যুবকের হাতে যে যুবতীর নাম
উঠে আসত তাকে সে যুবকের সাথে
পরবর্তী এক বছর লিভিং টুগেদার করতে হত।
এভাবে ‘লুপাকেলিয়া’উৎসবে যুবকদের মাঝে
যুবতীদের বন্টন করে দেয়া হত। তারা বিশ্বাস
করত, প্রেমের দেবীর আশীর্বাদে এসব
যুগল ধন্য হবে এবংতারা ভবিষ্যতেসন্তান ধারণে
সক্ষম হবে।
.
লটারীর
কুপ্রভাবের জন্য মধ্যযুগে সমস্ত ইউরোপে
‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ উদযাপন দীর্ঘকাল নিষিদ্ধ
ছিল। পরবর্তীতে ইংরেজি সাহিত্যের জনক
জিওফ্রে চসার তার পার্লামেন্ট অব ফাউলস
(১৩৮২) এর মধ্যে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ নিয়ে
লেখেন। এরপর উইলিয়াম শেকসপিওয়রসহ
খ্যাতিমান সাহিত্যিকগণ এ বিষয়টিকে সাহিত্যের
উপাদান হিসেবে নিয়ে আসেন। ১৬৬০ সালে
রাজা চার্লস টু আবার দিবসটি পালনের প্রথা চালু
করেন।
.
২০১৪ সালে সৌদি আরবের ধর্মীয়
পুলিশ ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ উদযাপনের দায়ে ১১
জনকে গ্রেফতার করেন। তাছাড়া ইরান, পাকিস্তান,
মালয়েশিয়াসহ ইসলামী বিশ্ব ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’
উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুধু ইসলামী
বিশ্ব নয়, ভারতেও নিজস্ব সভ্যতা, সংস্কৃতি ও
ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায়
দিবসটি পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
বাংলাদেশে দিবসটি প্রবর্তন করেন পাশ্চাত্য
শিক্ষায় শিক্ষিত সাংবাদিক শফিক রেহমান। ১৯৯৩
সালে
যায় যায় দিন পত্রিকায় আলোচনার মাধ্যমে
বাংলাদেশে প্রথম বিষয়টির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
দুই
দশকের বেশি সময় ধরে ব্যাপক প্রচার ও
প্রসারের মাধ্যমে সেই লিওপারসালিয়া বা
ফেব্রুয়ালিয়া অথবা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’
বাংলাদেশী
সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
.
কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে আমরা নাকি বিশ্বের
দ্বিতীয় ইসলামিক রাষ্ট্রে বসবাস করছি।
ভারতসহ বিশ্বের সমস্ত ইসলামিক রাষ্ট্রে এ
দিনটিকে নিষিদ্ধ করা হলেও বাংলাদেশে এখনো
করা হয়নি।আদৌ কখনো নিষিদ্ধ করা হবে কিনা
আল্লাহ
রব্বুল আলামিন ভাল জানেন।
দোষ রাষ্ট্রের নয়,সব দোষ আমাদের নিজের।
,
,
(সংগ্রহীত)
©somewhere in net ltd.