![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকমল সাহেব আমাদের দেশের একজন নাম করা ব্যাংকের কর্মকর্তা রিটায়ার করবেন দুই মাস পর কিন্তু আজ বিকালেই স্টোক করেন এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিওতে আছেন,,
তার এই অবস্থার জন্য তার মেয়ে নীলিমাকে সবাই দায়ী করছে,,,
করবে নাইবা কেনো যে ঘটনা সে ঘটিয়েছে
চলে যাই আজ থেকে ৬ মাস আগে
নীলিমা সবে কলেজে পড়ে পড়াশোনায় খুবই ভালো সে সবসময় ক্লাসে ভালো রেজাল্ট করেই কলেজে ভর্তি হয়েছে,,
তার জন্য তার বাবার অনেক গর্ব তিনি যেখানেই যান মেয়েকে নিয়ে গর্ব করেন তার মেয়ে এটা করেছে অটা করেছে এসব নিয়ে,,
দিন গুলো তাদের ভালোই যাচ্ছিলো ঘটনার শুরু ৬ মাস আগ থেকে মেয়ে একদিন আবদার করে বসে তার একটা স্মার্টফোন লাগবে আকমল সাহেব মেয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্টফোন কিনে দেয় এতে মেয়ে খুশিতে ডগমগ হয়ে যায়,,
ফোন পেয়েই ক্লাসের বন্ধু ফাহিমকে দিয়ে ফেইসবুক একাউন্ট খুলায় এরি মাঝে বাসায় জিদ করে বসে ব্রডব্যান্ড (wifi) লাইন লাগাতে আকমল সাহেব মেয়ের কথায় রাজি হয়ে লাগিয়ে দিলো,,
ঘটনা এবার শুরু,,
ব্রডব্যান্ড লাইন পেয়ে মেয়ের পড়াশোনা শেষ সারাদিন ইউটিউব আর ফেইসবুক আস্তে আস্তে ভার্চুয়ালের বেশ কিছু আড্ডা গ্রুপে এড হয়ে সারাদিন রাত আড্ডা,,
এই আড্ডার মাঝেই অয়ন নামের এক ছেলের সাথে পরিচয়,,,
সে পরিচয়ে তারা রাতারাতি প্রেমের সম্পর্কে জরিয়ে যায় দুই চারদিন যেতে না যেতেই তারা ইনবক্সে ভিডিও কলে কথা বলা শুরু করে এমনকি দুজন আপত্তিকর অবস্থায়ও কথা বলে,,
নীলিমা তখন জানতো না যে তার এই আপত্তিকর অবস্থার ছবি অয়ন স্ক্রিনশট আকারে সেইভ করে রাখছে কারন নীলিমা অয়নকে প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলে,,
এভাবেই কেটে যায় আরো ৫টি মাস এসব খবর নীলিমার বাবা মানে আকমল সাহেব কিছুই জানতেন না
তিনি রিটায়ার করবেন তাই বেশ কয়েক মাস যাবত খুব ব্যস্ত সকালে বাসা থেকে বের হলে সেই অনেক রাতে ফিরেন এদিকে নীলিমার মাও বেঁচে নেয় ১০ বছর আগে মারা যান তিনি,,
নীলিমার একটা বড় ভাই আছে সে এবার HSC পরীক্ষার্থী বয়সে তারা তিন বছরের ছোট বড় সে তার বোনের এত খবর রাখেনা কারন সেও মোবাইল কম্পিউটার আর বন্ধুদের নিয়ে খুব ব্যস্ত,,
যাক ঘটনায় ফিরি,,
৫ মাস পর হঠাৎ এক মেয়ের রিকুয়েষ্ট আসে নীলিমার আইডিতে আগপিছু না ভেবেই রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্ট করে নেয় নীলিমা,,
এক্সেপ্ট করার দুই মিনিট পর সেই মেয়ের আইডি থেকে মেসেজ,,
''আপু আমি জানি তুমি অয়নকে প্রচন্ড ভালোবাসো কিন্তু তুমি জানো সে কতটা খারাপ সে কয়জনের সাথে প্রেমের অভিনয় করে তা সে নিজেও জানেনা,
জানি তুমি এসব বিশ্বাস করবেনা তাই কিছু প্রমাণ হিসাবে স্ক্রিনশট দিলাম শুধু আপনাকে সাবধান করার জন্য বাকিটা আপনার ইচ্ছে"
এই বলেই মেয়টি তাকে ব্লক করে দিলো আর এর কিছুক্ষণ পর মেয়ের আইডি ডিজেবল হয়ে আছে,,
স্ক্রিনশট গুলা দেখে নীলিমার হাত পা কেমন অচল হয়ে গেলো এই বুঝি সে মাটিতে পড়ে যাবে তাই মোবাইল অফ করে শুয়ে রইলো কখন যে ঘুমিয়ে গেছে তা নিজেই জানে না,,
ঘুম ভাংতেই আগের সব কথা মনে পরলো আর সাথে সাথেই মোবাইলটা অন করলো,,
কি অদ্ভুত অয়নের কোনো মেসেজ বা কল নাই বাহ
এবার দেখে অয়ন অনলাইনেই আছে তাই তাকে সে স্বাভাবিকভাবেই মেসেজ করে কথা বলে কিন্তু নীলিমা যে তাকে এই ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাস করবে সে সাহস পাচ্ছে না তারপরও সে অয়নকে জিজ্ঞাস করতে কল দিলো এবং আস্তে আস্তে সব কিছু বলতে থাকে অয়ন সব অস্বীকার করে ফোন কেটে দেয়,,
এবার নীলিমা ভাবছে মেয়েটা হয়তো মিথ্যা বলছে দূর এভাবে সত্যটা ভালোভাবে না জেনে অয়নকে জিজ্ঞাস করটা ঠিক হয়নি এসব ভাবতে ভাবতেই অয়নের ফোন,
এবার সে সব কিছু স্বীকার করতে শুরু করে এবং বলে এগুলা তার অনেকদিনের পুরনো খেলা এবার যদি তুমি আমার সাথে সম্পর্ক না রাখো তবে তুমার সব কিছু আমি ভাইরাল করে দিবো,,
ভাইরাল করবে মানে নীলিমার চোখ কপালে
কারন সে জানে তাকে সে এমন কিছু দেয়নি যা অয়ন ভাইরাল করবে,,
এবার অয়ন হাসতে হাসতে ফোন কেটে দিয়ে ইনবক্সে কিছু স্ক্রিনশট আর স্ক্রিন ভিডিও পাঠালো যা দেখে নীলিমা নিজেকে আর সহ্য করতে পারছে না এটা ভেবে যে সে কতটা বোকা,,,
এবার অয়ন বলে এগুলা ভাইরাল করবো নাকি তুমি আমার কথা শুনবে??
নীলিমা বললো কি চাও তুমি,?
অয়ন বলে এগুলা ভাইরাল করবো না যদি তুমি আমাকে ৫০হাজার টাকা দাও,,
নীলিমা বলে এত টাকা আমি পাবো কোথায়?
অয়ন বলে জানি না তবে তুমার সময় দুই দিন এই বলে অয়ন ফোন রেখে দিলো
এবার নীলিমা দরজা বন্ধ করে বাথরুমে গিয়ে পানির ট্যাপ ছেড়ে জুরে কান্না করছে কতটা বোকা সে আর এখন এত টাকা পাবে কিভাবে আর এসব ভাইরাল হলে সমাজে সে মুখ দেখাবে কিভাবে,,?
তারপর দুই দিন কেটে গেলে অয়ন নীলিমাকে ফোন দিয়ে টাকা চাইতেই নীলিমা বলে তুমাকে আমি অনেক ভালোবেসে বিশ্বাস করছিলাম আর তুমি তার প্রতিদান এভাবে দিচ্ছো,,
তুমার যা ইচ্ছা করো এই বলে নীলিমা রেগে গিয়ে কল কেটে দিয়ে মোবাইল অফ করে রেখে দেয় আর ফোন চালুই করছে না,, এই ১ মাস যাবত নীলিমা নিজেকে স্বাভাবিক ভাবেই চলা ফেরা করে আসছিলো আর প্রতি রাতে নিজের ভুলের জন্য আফসোস করে কান্না করতো,,
ফিরে আসি আজকের ঘটনায়,,
আজ রবিবার ব্যাংক বন্ধ থাকে সে সূত্রে আজ আকমল সাহেব বাসায় ছিলো অনার ছেলে মানে নীলিমার বড় ভাইও বাসায়
সকালে আকমল সাহেব ও তার ছেলে মিলে বাজার করে আনলো তারপর বাবা মেয়ে মিলে সকালে নাস্তা বানালো তিনজন মিলে সকালে খেলো এবং দুপুরেও বাবা মেয়ে রান্না করে সবাই মিলে খেলো খেয়ে দেয়ে যে যার রুমে গিয়ে শুয়ে রইলো
এরি মাঝে কি মনে করে আকমল সাহেব নীলিমার রুমে গেলো বাবা মেয়ে মিলে গল্প করছিলো এমন সময় নীলিমার ভাইয়ের মোবাইলে চলে আসে এই ইনবক্স থেকে সে ইনবক্স করতে করতে তার ইনবক্সে নীলিমার সেসব ছবি ও ভিডিও
এসব দেখে সে ছুটে আসে নীলিমার রুমে এসেই ঠাস করে এক চড় মেরে বসে নীলিমার গালে,
আর বলতে থাকে এসব কি করলি তুই এই বলে তার হাতের মোবাইলটা নীলিমার দিকে ছুড়ে মারে মোবাইলটা আকমল সাহেব হাতে নিয়ে দেখে নীলিমার সব আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও এসব দেখে আকমল সাহেব নীলিমাকে কিছু একটা বলতে গিয়েই বুকে হাত দিয়ে বিছানায় পরে গেলো এ অবস্থায় দুই ভাই বোন কি করবে বুঝে উঠতে না পেরে পাশের ফ্লাটের আংকেলকে ডাকলে তিনি বলেন আকমল সাহেব স্টোক করেছেন তাকে জলদি হাসপাতালে নিতে হবে,,
সাথে সাথেই নিয়ে গেলো হাসপাতালে,,,
এরি মাঝে সবাই জেনে যায় নীলিমার এই কাহিনি
মাত্র খবর আসলো আইসিওতে আকমল সাহেব মারা গেছেন খবর শুনে নীলিমা বাবার লাশটা একটু দেখতে চেয়েছিলো কিন্তু তার ভাই তাকে দেখতে দেয়নি তাই সে সেখান থেকে কান্না করতে করতে বাড়ি এসে তার রুমের দরজা বন্ধ করে সিলিংফ্যানের সাথে তার মায়ের একটি শাড়ি টানিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে,,,
১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৭
বিমর্ষ চিন্তুক বলেছেন: কেনো দাদা কি হইছে?
২| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৭
নীল আকাশ বলেছেন: মেয়েদের কান্ডজ্ঞান নিয়ে আসলেও প্রশ্ন তোলা উচিত। কত মেয়েই যে বেকুবের মতো এক কাজ করে বেড়ায়।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সাবলীল সুন্দর উপস্থাপন ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: এখন রাত সাড়ে বারোটা।
এত রাতে এই পোষ্ট টা আমার পড়া উচিত হয় নাই।