![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় মানুষে মানুষে হাতাহাতি হইত; তারপর লাঠালাঠি হইত; কখনো বা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লাগতো আবার কখনো বা বিদেশী…….. কামান-গোলার দিন আর বুঝি নেই! ইবিতে শিক্ষক প্যানেল যে শুধু বিভক্ত তা কিন্তু নয়। একই প্যানেল এ আবার চৌদ্দটা গ্রুপ। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে জামাতের দালাল বলে আখ্যায়িত করে!! ( আসলে উভয়েই কমবেশি জামাতের দালাল ) মানুষ স্বার্থের টানে যে কত নিচে নামতে পারে তা আজকাল নিউজ দেখলেই বুঝা যায়। আর শিক্ষিত মানুষ খারাপ হলে যে কত খারাপ হতে পারে তা বোধহয় ইবির বাইরে থাকলে কোন দিনই বুঝতে পারতাম না। শিক্ষকেরা সাংবাদিকদের নিজেদের মত করে ব্যবহার করছেন! সাংবাদিকেরাও ব্যবহার হচ্ছেন, কারণ তো আছেই।
গত ১৬ই মে, ২০১৬ এর একটা খবর এখানে হুবহু কোট করছি,
//প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ফাইল ছবি
ইলিয়াস মেহেদী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
(প্রিয় ক্যাম্পাস) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি ও প্রোভিসি দ্বন্দে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।প্রো ভিসি ভুয়া ডিগ্রী নিয়েছেন বলে ভিসিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের শিক্ষকরা সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।
সোমবার দুপুর দেড়টায় ইবি’র প্রেসকর্নারে সংবাদ সম্মেলনে ভিসিপন্থিরা অভিযোগ করেন, প্রো ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান মাত্র পাঁচ মাস সাত দিনে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। ওই ডিগ্রি নিয়ে ২০০২ সালে তিনি প্রফেসর পদে পদোন্নতি পান।
শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে এই ‘জালিয়াতি’ তদন্তে প্রশাসন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রো-ভিসির পিএইচডি ‘জালিয়াতি’র প্রায় অর্ধশত প্রমাণ সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।
শিক্ষকদের দেওয়া নথি অনুযায়ী, ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষে সাতজন শিক্ষকের সাথে প্রো-ভিসি রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করেন। তবে বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের সভায় তার আবেদন উত্থাপিত হবার কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালের ২৩ আগস্ট পিএইচডি গবেষক হিসেবে রেজিষ্ট্রার করেন ড. শাহিনুর রহমান। তার বিষয় ছিল ‘‘রুডইয়ার্ড কিপলিং’স থিওরি অফ ‘হোয়াইট ম্যান’স বার্ডেন’ অ্যাজ রিফ্লেকটেড ইন হিজ রাইটিংস: অ্যা ক্রিটিক্যাল এক্সপজিশন”। সেখানে থেকে তিনি মোট ৪০ ক্রেডিট আওয়ার অর্জন করেছেন বলে নিজেই উল্লেখ্য করেন। তবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী পিএইচডি করতে ৯০ ক্রেডিট আওয়ার সম্পন্ন করতে হয়।
শিক্ষকরা বলেন, জালিয়াতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো তিনি কোর্সে যোগদান করেন ৯ জুলাই ২০০২ সালে। অথচ কোর্সে যোগদানের আগেই ২০০২ সালের ৩ জুলাই থিসিস জমা দিয়ে দেন। যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।
শিক্ষকদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন করে তিনি একই সময়ে পিএইচডি কোর্সে যোগদান করেন এবং বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী গবেষককে থিসিস জমা দেবার পূর্বে কমপক্ষে দুইটি সেমিনার করতে হয়। অথচ তিনি একটি সেমিনারও করেননি। তারা বলেন, প্রো-ভিসির নিজের উত্থাপন করা নথি অনুযায়ী তার পিএইচডি নিতে মোট সময় লাগে পাঁচ মাস সাত দিন। যা সম্পূর্ণ অসম্ভব ও অবৈধ পন্থা ছাড়া সম্ভব নয়। শিক্ষকরা ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে জামায়াতপন্থি উল্লেখ্য করে অবৈধভাবে ড. শাহিনের পিএইচডি অনুমোদন দেবার অভিযোগ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. জাকারিয়া রহমান, সাধারণ সম্পাকদ ড. মিজানুর রহমান এবং শাপলা ফোরামের সভাপতি ড. মাহবুবুল আরফিন, সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনানো হয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালেয়র দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর তদন্ত দাবি করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভাবমুর্তি রক্ষার স্বার্থে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে তা বাতিলের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালীন সংঘর্ষে জড়ান ভিসি ও প্রোভিসি সমর্থকেরা। পরে ওই ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়।//
নিচে তার লিঙ্কঃ
- See more at: Click This Link
http://www.priyo.com/2016/May/16/216025-à¦à¦¬à¦¿à¦°-পà§à¦°à§-à¦à¦¿à¦¸à¦¿à¦°-বিরà§à¦¦à§à¦§à§-à¦à§à§à¦¾-ডিà¦à§à¦°à¦¿à¦°-à¦
à¦à¦¿à¦¯à§à¦-à¦à¦¨à¦²à§-à¦à¦¿à¦¸à¦¿à¦ªà¦¨à§à¦¥à¦¿à¦°à¦¾
আসুন কারা জামাত-শিবির একটু পরিক্ষা করি, গত তিন বছরের বেশি সময় ভিসি স্যার ক্ষমতায় আছেন! এর মধ্যে জামাত-শিবির নিয়ে কোন পত্রিকায় কোন নিউজ দেখেছেন? দেখেননি। ইবি প্রশাসনকে জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখেছেন? দেখেননি। প্র-ভিসি প্যানেল এর লোকেরা যে ধোওয়া তুলশি পাতা তা কিন্তু নয়। হলে তারা অন্তত জামাত-শিবিরের অবৈধভাবে দখলকৃত সিট গুলো উদ্ধারের জন্য দাবি উত্থাপন করত! তাহলে কি ধরে নেবো তথাকথিত কথাই সত্য। সত্যিই কি “জামাত-শিবিরের টাকা খেয়েছেন ভিসি ও প্রোক্টর? সাথে প্রো-ভিসি মহাদয়ও.........??”
বহিস্কার হওয়া সাবেক প্রোক্টর জনাব মাহবুবার রহমান, জামাত-শিবিরের সহায়তায় পুনরায় ক্ষমতায় আসীন। ছাত্রলীগের কিছু নেতাকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে হাত করে রেখেছেন বলে জানা যায়।
২৪শে আগস্ট, ২০১৪ ততকালীন ও বর্তমান প্রোক্টর বহিরাগত শিবির ক্যাডারদের ইবিতে মিছিল ও বিক্ষোভ করার অনুমতি দেন। শিবির ক্যাডারেরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নামে কটূক্তি ও গালাগালি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইবি ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল বের করলে প্রোক্টর জনাব মাহবুবার রহমানের প্রত্যক্ষ আদেশে পুলিস ছাত্রলীগের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ সহ আহত হয় প্রায় ২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ততকালীন ও বর্তমান এই গুণী প্রোক্টর সাহেব! মাননীয় ভিসি মহোদয়ের খুব কাছের লোক হওয়ায় দীর্ঘ দিন পরে, কোন কারণ না দেখিয়েই সম্প্রতি প্রোক্টর জনাব লোকমান হেকিম সরকারকে পদ্যাবহতি দিয়ে পুনরায় প্রোক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।
মিছিল ও গুলি বিষয়ক লিঙ্কঃ
http://thegoodmorning.net/index.php?option=com_content&view=article&id=4728:35-hurt-in-bcl-rampage-at-iu-&Itemid=27
পদ্যাবহতি বিষয়ক লিঙ্কঃ
http://www.dhakatribune.com/education/2014/sep/10/islamic-university-gets-new-proctor-following-students-protest
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) এর সবগুলো ছাত্র হল ছাত্রশিবিরের সম্পূর্ণ দখল ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা যায়। এক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান ভুক্তভোগিরা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থিরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এক বছর আগে বৈধভাবে হলের সিট বরাদ্দ পেয়েও আজও হলে উঠতে পারেননি। এব্যাপারে হলগুলোর প্রভোস্টদের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনাদের সকলের কাছ থেকে প্রায় একই রকম বক্তব্য পাওয়া যায়। উনারা জানান ছাত্রশিবিরকে আমরা কিছু বলার সাহস করিনা। এই বিশ্ববিদ্যালয় নাকি ছাত্রশিবিরের! তাই আমরা বেশি কিছু বললে আমাদের চাপাতি দেখাবে। কি দরকার নিজের ভাত খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে উনারা বলেন সরকারি দলের নেতারা বড় বড় টাকা গুনতে ব্যস্ত! তারা সব সময় টেন্ডার আর গ্রুপিং নিয়ে ব্যস্ত সময় কাঁটায়। সাধারণ ছাত্রদের পাশে দাড়ানোর মত বাজে সময় তাদের আছে বলে মনে হয়না। সবকিছু মিলে বলা যায় বর্তমান সরকারের যদি কখনো পতন হয় সে পতনের পরিকল্পনাটাও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই হবে। প্রগতিশীলেরা মনে করেন সরকারের উধ্বঁতন কতৃপক্ষের এদিকে নজর দেওয়া উচিৎ
অবশেষে এই সিদ্ধান্তঃ
মনে হয়, ভিসি ও প্রো-ভিসি উনাদের উভয়ের ডিগ্রিই ভূয়া! উনারা কেউ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেরানি পদে চাকুরিতে থাকার যোগ্যতা রাখেনা। তাই, দুইটাই তদন্ত করে দেখা উচিৎ। সাথে ট্রেজারার ও প্রক্টর স্যার যেন বাদ না পড়েন। উনাদের ডিগ্রিও প্রশ্নবিদ্ধ করা হউক।
©somewhere in net ltd.