নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আইউটি(IUT)-The Red Heaven

আইউটি(IUT)-The Red Heaven › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহসিন বেঁচে থাকবে সকলের প্রার্থনা আর ভালবাসায়:((:((

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে যাওয়া আট বছরের শিশু তাহসিন জাহরা গত শুক্রবার আমাদের সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেছে পরপারে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। গত এক বছর ধরে তাহসিন দুরারোগ্য ব্যধি Acute Lymphoblastic Leukemia এর সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছিলো। গত কয়েকদিন ধরে তাহসিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অবশেষে সবধরণের ব্যস্ততাকে তুচ্ছ করে দিয়ে, সকল সম্পর্কের মায়াজাল ছিন্ন করে দিয়ে তাহসিন পাড়ি জমিয়েছে পরকালের পথে। আজ আমরা গভীরভাবে শোকাহত।



গত কয়েকমাস ধরে তাহসিন আমাদের আইইউটি পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেছিলো। সবার আলোচনা জুড়ে থাকতো ছোটো এই শিশুটি। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে তাহসিনের চিকিৎসার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিলো না। তাহসিনের সাথে আমাদের পরিচয় খুব বেশীদিনের না, কিন্তু এই অল্প সময়েই তাহসিন স্থান করে নিয়েছিলো আমাদের মনের মণিকোঠায়। খুব বেশী আপন মনে হতো তাকে। কিন্তু তাহসিন আমাদের এই উদ্বেগ-ভালবাসা-ব্যস্ততাকে এড়িয়ে কোথায় যেন চিরকালের জন্য লুকিয়ে গেলো। ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধে কি ভীষণ যন্ত্রণাময় সময়ই না কেটেছে ফুটফুটে এই শিশুটির! এই অল্প বয়সেই সে যুদ্ধ করে গেলো ক্যান্সারের সাথে। মরণব্যাধি ক্যান্সারের হাত থেকে আমরা তাহসিনকে আর ফিরিয়ে আনতে পারলাম না। ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধে তাহসিনের সাথে সাথে পরাজিত হয়ে গেলাম আমরাও।



তারপরও আমি তাহসিনকে খুঁজে পাই। আজ যখন বাসে করে আইইউটি থেকে উত্তরা যাচ্ছিলাম তখন পাশের সিটে মায়ের সাথে বসা তাহসিনের বয়সের একটি শিশুর চঞ্চলতার মাঝে যেন তাহসিনকে ফিরে পেলাম। পিচ্চিটার চোখের মনির চঞ্চলতা কেন জানি তাহসিনের কথাই মনে করিয়ে দেয়। কেন জানি তাহসিনের হাস্যজ্বোল ছবিগুলোই ফিরে আসছিলো কল্পনার জগতে। যে বয়সে তাহসিনের মা-বাবার স্নেহের ছায়ায় থাকার কথা , সীমানাহীন খোলা প্রান্তরে অবিরাম ছুটে চলার কথা , সে বয়সটাতে সে ব্যস্ত ছিলো মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের বেডে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধে। কে বলতে পারে, ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধের কোনো এক ফাঁকে তাহসিন হয়তো মনের মাঝে বুনছিলো অজস্র রঙ্গিন স্বপ্ন, হয়তো টুনটুনি আর মজার মজার সব ছড়া আর গল্পের বইয়ের কথা ভেবে অজান্তেই হেসে উঠেছিলো তার শিশুমন। ডাক্তার, পাইলট কিংবা বাবার মতো ইঞ্জিনিয়ার হবার বড় স্বপ্নগুলোকে হয়তো অনেক আগে থেকেই মনের মাঝে সুন্দরমতো গুছিয়ে রেখেছিলো সে। অথচ রুপকথার দৈত্য যেন তাহসিনের জন্য সত্যিকারভাবেই আবির্ভূত হলো। নিষ্ঠুর ক্যান্সার এসে এক ছোবলে কেঁড়ে নিয়ে গেলো তাহসিনের সকল স্বপ্নকে আর নিভিয়ে দিলো জীবনের প্রদীপকে। জীবনযুদ্ধে নামার আগেই তাহসিনের এই চলে যাওয়াটা আসলেই মেনে নেয়া অনেক কষ্টকর। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যা করেন ভালোর জন্যই করেন। ইনশাল্লাহ আল্লাহ তাহসিনকে জান্নাতের সুন্দরতম বাগানে একটি আবাস করে দিবেন।



তাহসিনের মা এবং বাবা, ইমতিয়াজ আনোয়ার সজল ভাইয়ের(আইইউটি’৯৭) প্রতি কোনোধরণের সান্ত্বনাই আজ তাহসিনের শোক ভুলানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আল্লাহ যেন তাদেরকে এই শোক সহ্য করার ক্ষমতা দান করেন।



কয়েক মাস আগে সজল ভাইয়ের ফেসবুক প্রোফাইলে তাহসিনের শুভ্র পোষাক পরিহিত পরীর মতো সাদা পাখাযুক্ত একটি হাস্যজ্বোল ছবি দেখেছিলাম। মনের মাঝে ছবিটা গেঁথে গিয়েছিলো। দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, ছোট্টো এই পরীটি আবার ফিরে আসবে সবার মাঝে, বন্ধুদের সাথে আবারো মেতে ওঠবে লুকোচুরি খেলায়। কিন্ত কে জানতো, জীবন খেলায় লুকোচুরি খেলতে গিয়ে সবার কাছ থেকে ছুটি নিয়ে না ফেরার দেশে লুকিয়ে যাবে সে! তাহসিন যেখানেই থাকুক, সে আমাদের মাঝেই থাকবে, আমাদের প্রার্থনায় আর ভালবাসায় চিরকালের জন্য বেঁচে থাকবে সে।



We’re always with you, Tahsin !

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

আমি বন্য বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

পুংটা বলেছেন: শোকাহত :(

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

কামরুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৭

মোঃ ওমর শরীফ বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩১

স্নাইপার০০৭ বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন.. আশা করি, তাহসিনের মা এবং বাবা কে আল্লাহ এই শোক সামলানোর শক্তি দান করবেন । আমিন....

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

এবিসি১০ বলেছেন: ........................................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.