![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ যখন মুক্তিকামীদের জন্য মৃত্যুকূপ, বাকস্বাধীনতা যখন বীরদের জন্য নিজের কফিনে পেরেক মারা-স্বরূপ ধর্ম যখন হাতিয়ার আর রাষ্ট্র যখন কারাগার তখন আবার জাগবে ক্ষুদিরাম-সূর্যসেন-প্রীতিলতার দল ভাঙ্গবে আবার পরাধীনতার শেকল জন্ম নিবে জাতিস্মরেরা যাদের হাত ধরে আবার দূরীভূত হবে আঁধার অধরা স্বাধিনতা পূর্ণতা পাবে মুক্ত হবে ৪২ বছরের ঋণগ্রস্ত বাংলার আকাশ।
কাল রাত ১০টা থেকে প্রায় সব দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে গেছে যে সামুর সক্রিয় ব্লগার তথা শাহবাগ আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধা থাবা-বাবা ওরফে আহমেদ রাজিব হায়দার শোভনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকারীরা সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত।'৭১-এর পুরনো শকুনরাই আবার মাথা-চাড়া দিয়ে উঠেছে তাদের বধে জনগণ মাঠে নামায়।
অনেকভাবেই তারা এই আন্দোলনকে বানচাল করতে চেয়েছে বিগত কয়েকদিনে বিভিন্নভাবে শক্তি প্রদর্শন,হত্যাযজ্ঞ ও রাহাজানি চালিয়ে__ জনমনে ভীতির সঞ্চার করতে।
আবার তারাই এখন ধুয়া তুলছে যে এটা নাকি আন্দোলন বেগবান করার জন্য নিজেদের ভেতর থেকেই হত্যা করা হয়েছে!!!!শুনে তাজ্জব বনে গেলাম!!
ওরা নিজেদের মত জারজভাবে সবাইকে নাকি!!
তারা যেহেতু জঙ্গি সংগঠন তাই তাদের বিরুদ্ধচ্চারণকারী সকলের খবরই তারা অতি গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষন ও পর্যবেক্ষণ করে।
থাবা বাবাকে বেছে নেবার কারণ তার নাস্তিকতার তকমা।
এমনিতেই তারা এই আন্দোলনকে নানাভাবে কলুষিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
প্রথম থেকেই তারা বলে এসেছে এটা নাকি গাঁজাখোর,পতিতা আর ফ্রি সেক্সের জায়গা।
তাদের এইসব ফালতু বুলি ও শক্তি প্রদর্শনেও যখন এই আন্দোলনের বেগ এতটুকুও স্তিমিত হয়নি তখন তারা তাদের প্রলাপকে জায়েজ করবার জন্য রাজিবকে বেছে নিয়েছে জনমনে ধর্ম নিয়ে বিভক্তি ঘটাতে।
তারা কিন্তু ঠিকই তাদের প্রথম হত্যা এমন একজনকে করেছে যাকে নিয়ে জনগণ বিভক্ত ও কনফিউসড হয়ে পড়ে।তারা তাদের কাজে অলরেডি কিছুটা হলেও সফল।কিন্তু তারা এখনও জানে না ন্যায় ও সত্যের ভিত কতটা শক্ত হতে পারে ক্ষেত্রবিশেষে।তারা এখনও দেখে নি জনগণের রোষ আর ক্ষমতা।
কেননা বাংলাদেশ এখনও একটি সুস্পষ্ট ধর্মভিত্তিক দেশ যেখানে জামায়াতের মত একটি দেশদ্রোহী সংগঠন এখনও সোচ্চার এবং এদের তৈরি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ও সংন্থা এখনও এই দেশ কে পাকিস্তান বানাতে তৎপর।
ধর্ম যার যার_দেশ সবার।কিন্তু ধর্ম নিয়ে ব্যবসা মেনে নেওয়া যায় না।ধর্মভিত্তিক দল থাকতে পারে তবে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে একে কলুষিত করা যাবে না আর।
জনগণ এখন সোচ্চার ও নির্ভীক।
নাস্তিকতাকে সাধুবাদ জানাই না।থাবা বাবা নাস্তিক হতে পারে কিন্তু তাকে কুপিয়ে তার জান কবচ করার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারোর হাতে থাকতে পারে না।
তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, মহানবী কখনোই ইসলাম ধর্ম বা তাঁর বিরুদ্ধাচারীদেরকুপিয়ে হত্যা করেন নি। কাউকে জোর করেন নি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে। বরং তাঁর শত্রুদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ক্ষমা করেছেন। মহানবীর মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়েই বরং সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে। পৃথিবীর অনেক মানুষের মাঝে কেউ নাস্তিক বা অন্য ধর্মের। নাস্তিকদের বা অন্য ধর্মের মানুষদের হত্যা করার কথা তো মহানবী কোনদিন বলেন নি। তিনি তাদেরকে কোমল ও নম্র ভাষায় যুক্তি দিয়ে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন।
এমন কি আবু সুফিয়ানের মত দুর্ধর্ষ ও ঘোর ইসলাম বিরোধীকেও তিনি হত্যার নির্দেশ দেননি।সেই আবু সুফিয়ানই পরে ইসলামের হয়ে জান-বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন।
কিন্তু ইসলামের নামে জামায়াত-শিবির জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পরিচালিত করছে।
এটা আর হতে দেওয়া যায় না।
শাহবাগে সবাই দেশের টানে এসেছে।ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে সবাই বাঙালি-বাংলাদেশি।
কেউ এখানে পাকিস্তানের জারজ হয়ে বাঁচতে চায় না।বরং পাকিস্তানের জারজদের দেশ থেকে হঠিয়ে পাকিস্তানের জারজ বাপদের কাছে ফেরত পাঠাতে চায়।
বাংলার মাটিতে ঠাই হবে না কোন রাষ্ট্রদ্রোহীর,কোন ধর্মব্যবসায়ীর।
জয়-বাংলা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
জাতিস্বর বলেছেন: নাহ।
এখনও যায়নি।তবে এটা তো সুস্পষ্টই যে তাকে টার্গেট করে বহুদিন থেকেই ফলো করা হচ্ছিল।
আর,এটা সোনার-বাংলা ব্লগে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।অনেকের কাছেই স্ক্রিনশট আছে।
ইউকে-ভিত্তিক একটা সংবাদ মাধ্যমেও হিটলিস্টের কথা বলা হয়েছে যেটা জামায়াত-শিবির বানিয়েছে একে একে মারতে।
কিন্তু এখন আর বসে থাকার সময় না।সবাই মিলে এদের নিধন করতেই হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
আাল্পনা বলেছেন: ভাইয়া কোন খবর পাওয়া গেছে? কারা এই কাজটি করল?