![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ যখন মুক্তিকামীদের জন্য মৃত্যুকূপ, বাকস্বাধীনতা যখন বীরদের জন্য নিজের কফিনে পেরেক মারা-স্বরূপ ধর্ম যখন হাতিয়ার আর রাষ্ট্র যখন কারাগার তখন আবার জাগবে ক্ষুদিরাম-সূর্যসেন-প্রীতিলতার দল ভাঙ্গবে আবার পরাধীনতার শেকল জন্ম নিবে জাতিস্মরেরা যাদের হাত ধরে আবার দূরীভূত হবে আঁধার অধরা স্বাধিনতা পূর্ণতা পাবে মুক্ত হবে ৪২ বছরের ঋণগ্রস্ত বাংলার আকাশ।
এটা শোক নয়__একে অপরাজেয় শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে।
সময় এসেছে টেকনাফ-তেঁতুলিয়া,রূপসা-পাথুরিয়া সর্বস্তরের জনগণের ধর্ম-বর্ণ-দলমত নির্বিশেষে হুংকার দেবার।
রাজিব যেই হোক__সর্বপ্রথম সে একজন মানুষ।তার জান কবচ করবার ক্ষমতা তার সৃষ্টিকর্তা আর কাওকে দেন নাই।এর প্রতিবাদ না করা হলে তাকে এইভাবে নির্বিচারে হত্যা করার দায় প্রতিটা বাঙালিকে নিতে হবে।
কেননা সে যেই হোক,যাই হোক__সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ মানুষ ছিল।দেশপ্রেমে মত্ত যুবক ছিল।
আর আমাদের এই সংগ্রাম দেশপ্রেমের তরে।এই ইস্যুতে আমরা সবাই এক।
আমাদের ভুলে গেলে হবে না যে__ধর্মকে বরাবরের মত পুঁজি করে এটা পাকিস্তানের জারজদের একটা চাল।তারা কিন্তু ঠিকই তাদের প্রথম থেকে বলে আসা কথাকে প্রমাণ করতে চেয়েছে যে___এটা নাস্তিকদের আন্দোলন,এটা গাঁজাখোর আর পতিতাদের আস্তানা,ফ্রি সেক্সের জায়গা।
এখন আবার তারাই বলছে যে এই হত্যাকান্ড তারা নয় বরং আন্দোলনকারীরা নিজেরাই ঘটিয়েছে আন্দোলনকে বেগবান করতে!!
অথচ যেখানে সোনার বাংলা ব্লগ-সহ তাদের ফেসবুক পেইজগুলোতেও তাদের হিটলিস্ট ও হুমকি-ধামকি সুস্পষ্ট এবং আজ UK-ভিত্তিক সংবাদবাধ্যমও তাদের বরাত দিয়ে হিট-লিস্টের কথা প্রকাশ করেছে।
তারা বেছে-বেছে রাজিবকেই বেছে নিয়েছে যাতে এই আন্দোলনে বিভক্তি ঘটে।মতভেদে জনগণ পিছু-পা হয়ে যায়।কিন্তু মনে রাখতে হবে,এটা কোন ধর্মভিত্তিক আন্দোলন নয় তাই নাস্তিক হলেও তার ধর্ম-চেতনা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়।
আমরা ওদের মত ধর্মব্যবসায়ী না।আমরা ধর্মকে পুঁজি করে আন্দোলনে নামি নি।
আমাদের ধর্ম আমাদের মননে-বিশ্বাসে।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এরা ধর্মের দোহাই দিয়ে এই দেশকে পাকিস্তানের সাথে যুক্ত রাখতে,আজীবন পাকিস্তানীদের গোলাম করে রাখার অনেক অপচেষ্টা চালিয়েছে।
কিন্তু তাদের হাত থেকে ধর্ম-প্রাণ মুসলমানও রক্ষা পায়নি।
ধর্ম-প্রাণ বহু নারীর ঈজ্জত লুঠতে তারা ঠিকই পিছপা হয় নি।
কারণ ধর্ম কে তারা শুধু মানুষের চোখে ধুলা দেবার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।ধর্মের নামে আসলে এরা এই দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়।
আমরা সকলেই এখানে একত্র দেশের স্বার্থে।তাই রাজিবের হত্যা নিয়ে ঐসব জারজদের ধর্ম-ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না।
বরং তাদের এই চালবাজি ভণ্ডুল করে দিতে হবে।
ভুলে গেলে হবে না যে রাজিব কারোর সন্তান-কারোর ভাই।
আজকে তার জায়গায় আমরা যে কেউই হতে পারি লাশ এইসব জারজদের বিরুদ্ধচ্চারণ করার অপরাধে।
তাই চুপ না থেকে এখনই সময় এদের রুখে দেবার।এবার না হলে আর কখনই হবে না এমন সুযোগ।সকলকেই পাকিস্তানের জারজ হয়ে বাঁচতে হবে এরপর।
রাজিব ও পরবর্তী হিট-লিস্টে থাকা সবাই অথবা এদের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ__সকল পাপের দায় আমাদের ওপরেই বর্তাবে যদি না বাঙালি হয়েও আজ আমরা হেরে যাই ঐসব পাকিস্তানি জারজদের কাছে।
'৭১-এ হারি নি,এবারেও হারব না।
ধর্ম যার যার,দেশ সবার।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় ছিলেন বলেই আমরা '৭১ বিজয় ছিনিয়ে এনেছি__ '১৩-তেও আনব।কেননা ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের প্রাজ্য হবেই হবে।
তাই ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্ত হবার মানে হয় না।
আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ।তাই নির্বিচারে মানব-হত্যা কোন ধর্মেরই শামিল নয়।
অতএব সময় থাকতেই জাগো বাঙ্গালি,জাগো।তাদের এই অপ্রয়াস চলতে দেওয়া যায় না।এবার না হলে আর কখনই এদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়া যাবে না।
জামাত-শিবিরের আস্তানা ভেঙ্গে দাও,গুঁড়িয়ে দাও।
আমার সোনার-বাংলা,পাকিস্তান হতে দেব না।
জামাত-শিবির-রাজাকার,এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়।
জয় বাংলা .......
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
জাতিস্বর বলেছেন: শোক নয়,শক্তি
ধর্ম-ব্যবসা নয়,ভক্তি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
পাথরের কান্না বলেছেন: চল চল শাহবাগে চল,
যেতে যেতে ক’তে কাদের মোল্লা বল ।
শোক হোক শক্তি,
ভয়কে জয় করলেই আসবে মুক্তি ।