![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ যখন মুক্তিকামীদের জন্য মৃত্যুকূপ, বাকস্বাধীনতা যখন বীরদের জন্য নিজের কফিনে পেরেক মারা-স্বরূপ ধর্ম যখন হাতিয়ার আর রাষ্ট্র যখন কারাগার তখন আবার জাগবে ক্ষুদিরাম-সূর্যসেন-প্রীতিলতার দল ভাঙ্গবে আবার পরাধীনতার শেকল জন্ম নিবে জাতিস্মরেরা যাদের হাত ধরে আবার দূরীভূত হবে আঁধার অধরা স্বাধিনতা পূর্ণতা পাবে মুক্ত হবে ৪২ বছরের ঋণগ্রস্ত বাংলার আকাশ।
একটু আগেই জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধনের বিল -২০১৩
এই সংশোধনীর খসড়া নিম্নরূপ : ___
** একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামির পাশাপাশি সরকারেরও আপিলের সমান সুযোগ রাখা হয়েছে সংশোধিত আইনে।
এতে করে দলটির নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার সাজা বাড়ানোর জন্য আপিল করার পথ তৈরি হলো।
** এতে প্রথম সংশোধনীর ৩(১) উপধারায় ‘individuals’ শব্দটির পর ‘or organization’ যোগ করা হয়েছে।
বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর গেজেট প্রকাশ হলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবনুালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশসহ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সকল সংগঠনের বিচার করা যাবে।
** রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল)(সংশোধন) আইন ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকেই প্রযোজ্য হবে।
** সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা ছিলো ৪৫ দিনের মধ্যে আপিলের নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আরো ১৫ দিন পর্যন্ত এ সময় বাড়ানো যাবে। তবে সংসদীয় কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী ৪৫ দিন ও ১৫ দিনের বিভাজন বাদ দিয়ে একবারে ৬০ দিনের বিধান রাখা হয়েছে।
** পাস হওয়া বিলে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা (রেট্রোস্পেকটিভ ইফেক্ট) সম্পর্কে বলা না থাকলেও, সংসদীয় কমিটি বিলে এ বিধান রাখার প্রস্তাব দেয়।
# বিলটি উত্থাপন ও গৃহীত হবার কারন সম্পর্কে আইনী ব্যাখ্যা :
সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সব নাগরিকের আইনের সমান আশ্রয় লাভের যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ক্ষেত্রে ২১(২) ধারায় তা প্রতিফলিত হয়নি। সে জন্য ট্রাইব্যুনালের বিচারের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আইনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ কারণেই ২১(২) ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
দণ্ডিত ব্যক্তির আপিলের জন্য ২১(১) উপধারায় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি দ্রুত বিচার লাভের অধিকারী। তাই সংশোধনীতে আপিল নিষ্পত্তির মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
ঐতিহাসিক এই সংশোধন পাসের পেছনের ইতিহাস :
গত ৫ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল হত্যা ও ধর্ষণের মতো অপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দেয়ার পর সাজা বাড়াতে আপিল করার সুযোগ না থাকার বিষয়টি উঠে আসে। মুক্তিযোদ্ধা ও বামদলগুলোসহ বিভিন্ন মহল থেকে এই রায়ে হতাশা প্রকাশ করে আইন সংশোধনের দাবি ওঠে।
কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের ডাকে ওইদিন সন্ধ্যা থেকেই শাহবাগে শুরু হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলন, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
ফাঁসির দাবিতে এই বিপুল জাগরণের প্রতি সংহতি জানিয়ে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনের পর তার বিল আকারে সংসদে তোলা হয়।
স্থায়ী কমিটির অনুমোদন শেষে আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ রোববার বিলটি পসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এই বিলে দুটি সংশোধনীর প্রস্তাব দেন।
উপসংহার :
এতে করে মানবতাবিরোধি,যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবির পথ সুগম হল।
শুধু ব্যক্তি-বিশেষই নয় এতে করে যুদ্ধাপরাধে জড়িত সংগঠনেরও বিচারের দ্বার উন্মক্ত হল।
এখন আইন করে জামায়াত-ইসলামীর রাজনৈতিক কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ ও এদের পরিচালিত অঙ্গসংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র!
১৩ দিনের টানা গণজাগরণ ও আন্দোলনের এটি "প্রাথমিক বিজয়" হিসেবে সূচিত হল।
আর এই ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার।আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে একটি জামায়াত-শিবির-রাজাকার তথা ছাগুমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেবার।
সর্বশেষ,পাকিস্তানি জারজ ও দালালদের প্রতি বলতে চাই,
"জামায়াত-শিবির-রাজাকার,এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়"
"রাজাকারদের অবস্থান,পাকিস্তানের গোরস্থান"
"আমার সোনার-বাংলা,আর পাকিস্তান হবে না"
"জয়____________________________বাংলা_______"
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১০
জাতিস্বর বলেছেন: হুম।
যতদূর জানি,সংশোধনীতে এটা উল্লেখ করে দেওয়া আছে।
মোটামুটি, এই সংশোধনে যুদ্ধাপরাধী আর জামায়াতের কফিনে পেরেক গেঁথে দেওয়া হয়েছে।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আইনের মারপ্যাঁচ ভাল বুঝিনা। তয় কাদের মোল্লার ফাসি হইতেই হইব!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২১
জাতিস্বর বলেছেন: সংশোধনীতে জামায়াত-শিবির-রাজাকারদের মরণ-কামড় দেওয়া হয়েছে।
কোন ফাঁক-ফোঁকর নেই।
খালি সময়ের ব্যাপার মাত্র এদের বাংলার মাটি থেকে নিঃশেষ করে দেওয়া।
এদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেছে।বাংলার মাটিতে এদের দিন শেষ।
জয়________________বাংলা____________
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৪
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
জামায়াত-শিবির-রাজাকার,এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়"
"রাজাকারদের অবস্থান,পাকিস্তানের গোরস্থান"
"আমার সোনার-বাংলা,আর পাকিস্তান হবে না"
"জয়____________________________বাংলা_______"
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২২
জাতিস্বর বলেছেন: জয়____________________বাংলা____________________
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৯
বাংলার হাসান বলেছেন: সরকার আপীল করতে পারলেই যে রায় অনুকূলে যাবে এমন গ্যারান্টি কি ? প্রসিকিউশন , সাক্ষ্য এসব বিষয়ে পদ্ধতি গত কোন ত্রুটি ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখে আপীলের জন্য শক্ত প্রস্তুতি নিতে হবে বিজ্ঞ প্রসিকিউটর এর
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীকে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সাধারণ ক্ষমার সাংবিধানিক এখতিয়ার যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে রহিত করনের নিমিত্তে ব্যবস্থা নিতে হবে। সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদের সংশোধনী অতীব জরুরি। নইলে ভবিষ্যতে আইনের ফাঁক ফোঁকর গলে যুদ্ধাপরাধীরা বের হয়ে যাবার সমূহ একটা চান্স থেকেই যাচ্ছে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৫
জাতিস্বর বলেছেন: রাষ্ট্রপতির ক্ষমা এক্ষেত্রে রহিত করা হচ্ছে।
বাকিগুলোর প্রতিও আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
সরকারকে চাপে রাখতে হবে সাধারণ জনগণকেই।
তবে,যা মনে হচ্ছে,তাতে এখন আইনের ফাঁকফোকর গলানো এত্ত সহজ হবে বলে মনে হয় না।
দেখা যাক।
এটা আমাদের প্রাথমিক বিজয়।
এখনও অনেক রাস্তা বাকি সামনে।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৮
নাইট রিডার বলেছেন: এটা আমাদের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রথম ধাপ।
কুচক্রী জামাত -শিবিরের কোন কৌশলেই এ আন্দোলন থামাতে পারবেনা
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
জাতিস্বর বলেছেন: হুম।
বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত!
এখন শুধু রাজপথ আগলে রেখে ধৈর্য ধারন করে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে চূড়ান্ত বিজয় আদায় না হওয়া পর্যন্ত।
জয়________________________বাংলা_________________
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫১
ইখতামিন বলেছেন:
জয় বাংলা
বাংলার জয়
জয় প্রজন্ম চত্বর
জয় সত্য
পোস্টে +
একই সাথে প্রিয়তে
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫২
জাতিস্বর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
জয়_______________________বাংলা__________________
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
একুশে২১ বলেছেন: বিজয় আমাদের হবেই। জয়..............................বাংলা......................।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৩
জাতিস্বর বলেছেন: জয় জয় জয় বাংলা!!!!!!!!!!!
বিজয় কেতন ঊড়াবই আমরা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৫
ফারহান ফারদিন বলেছেন: পাশ হওয়া বিলে ভুতাপেক্ষা কার্যকারিতা রাখতেই হবে। নইলে এ আইনটি কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।