নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একাকী পথিক

এই ব্যস্ত শহরে কিছু একাকী পথচারি রাতের আ্ধাঁরে নিভৃতে হেঁটে বেড়ায় মানবতার খোঁজে,বিবেকের তাড়নায়।আমি তাদের একজন হিসেবে নিজেকে ভাবি।

জাতিস্বর

দেশ যখন মুক্তিকামীদের জন্য মৃত্যুকূপ, বাকস্বাধীনতা যখন বীরদের জন্য নিজের কফিনে পেরেক মারা-স্বরূপ ধর্ম যখন হাতিয়ার আর রাষ্ট্র যখন কারাগার তখন আবার জাগবে ক্ষুদিরাম-সূর্যসেন-প্রীতিলতার দল ভাঙ্গবে আবার পরাধীনতার শেকল জন্ম নিবে জাতিস্মরেরা যাদের হাত ধরে আবার দূরীভূত হবে আঁধার অধরা স্বাধিনতা পূর্ণতা পাবে মুক্ত হবে ৪২ বছরের ঋণগ্রস্ত বাংলার আকাশ।

জাতিস্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ক্যামেরার সামনে মেয়েটি ও একটি কাল্পনিক প্রতিউত্তর"

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২১





সেই টিভি-ক্যামেরার সামনের মেয়েটি-

হঠাতই যার কদর্যরূপের গল্প নিয়ে হাজির হন লেখক,

যার দেহাবরণে খুঁজে পান বিকৃত কাম-লালসা



হ্যাঁ,আমি সেই ক্যামেরার সামনের মেয়েটির কথা বলতে এসেছি

যাকে এক কলমের খোঁচাতেই

লেখক তকমা এঁটে দিলেন নষ্টা হিসেবে



কি দোষ ছিল তার?

আর অন্য দশটা মেয়ের মত সেও একজন শ্রমজীবী মানুষ

যার পরিচয় স্লোগানকন্যা হিসেবে।

শ্রম যার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মনুষ্য-বিবেক জাগ্রত করায়

সে এই সুশীল সমাজের শীৎকারে

হয়ে যায় একজন নিশিকন্যা।

অথচ সমাজে এইসব বুদ্ধিবেশ্যাদেরই বেশ কদর এখন

কখনও টক শো-তে কিংবা পাঁচতারা হোটেলের ফুলশয্যায়।



হয়ত সেও কোন এক দুস্থ পিতার আদুরী,

হয়তবা কোন মুক্তিকামীর প্রিয় ভগ্নী,

সর্বোপরি সেও নব মুক্তিযুদ্ধের এক দেশপ্রেমী বঙ্গনারী।



যার অবিরাম স্লোগানে জেগেছে শাহবাগ

৪২ বছরের বিচারবিমুখ জাতির শূন্য চোখ

জ্বলে উঠেছে একাত্তরের চেতনায়

কোটি প্রাণের দাবি মিলিত হয়েছে এই শাহবাগের মোহনায়



কেউ এসেছে প্রেয়সীর হাত ধরে

কেউ এসেছে ছোট শিশুটিকে কোলে করে

নববধু স্বামীর কাছে বায়না ধরেছে তাকেও নিতে সাথে

তরুণ মায়ের চিন্তিত বদন উপেক্ষা করে এসে মিলেছে প্রজন্ম চত্বরে

যুবতীটি চত্বরের ভিড়ে স্লোগান ধরেছে গলা ছেড়ে

স্লোগানকন্যার দৃপ্ত কণ্ঠ তাকেও সাহস জোগায়

সেও মনে মনে শিহরিত হয় স্লোগানকন্যার স্থানে নিজেকে ভেবে



স্লোগানকন্যার ঘামেভেজা অনিয়মের ভগ্ন দেহ

বহুদিন রাত-জাগা ক্লান্ত-শ্রান্ত চোখ

আর,ভেঙ্গে ফ্যাসফ্যাসে হয়ে যাওয়া কণ্ঠ সত্ত্বেও

আবার শক্তি সঞ্চয় করে স্লোগান দেয় মুক্তিকামীদের ভিড় দেখে

সারাদিনের বিরামহীন পরিশ্রমও তার ঋণগ্রস্ত বিবেককে টলাতে পারেনা



তার চোখে ভেসে ভেসে ওঠে ৪২ বছরের ঋণ একের পর এক-



সেদিন রাস্তায় বসে ভিক্ষে করা যুদ্ধাহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাটি

যে প্রতিদিন মুক্তি চায় এই অপমানের জীবন হতে

যখন তারই সামনে দিয়ে যেতে দেখে রাজাকারের গাড়ী

পতপত করে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে



সেই যৌনপল্লীর অন্ধকারে বসে জীবনকে অভিশাপ দেওয়া বীরাঙ্গনাটি

যে ক্যাম্প থেকে ফিরে এসেছিল যুদ্ধের পরে

তারপর?

তারপর সমাজ তাকে অচ্ছুত বলে অস্বীকার করেছিল,

স্বাধীনতার ঠিক পাঁচ বছর পর -

গ্রামের চেয়ারম্যান হয়েছিল সেই জমির চাচা

যে তাকে তুলে দিয়েছিল পাকিদের হাতে

সে একরাতে এসে শাসিয়ে গিয়েছিল গ্রাম ছেড়ে পালাতে

এরপর পেটের তাড়নায় সে নিজেই -

একদিন মাথা পেতে নিয়েছিল 'বেশ্যা' উপাধি।



অথবা বদ্ধভূমিতে স্বামীর লাশ খুঁজে না পাওয়া বিধবাটি

যার হাতের মেহেদি না শুকাতেই এক কালরাতে কে বা কারা

মুখে কালো কাপড় বেঁধে বাসা থেকে ধরে উঠিয়েছিল জীপে

সেই শেষ দেখা -

যাবার সময় বলেছিল, 'ভাল থেকো'

কিন্তু ভাল সে থাকবে কি করে?

যখন সেই শহীদজায়ার সামনেই স্বামীর ঘাতকেরা স্বাধীনদেশে

ঘুরে বেড়ায় বীরের বেশে!



শহীদ পিতার স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা সন্তানটি

যে কখনও ডাকতে পারে নি 'বাবা' বলে

কত না বলা আবদার-বায়না

কত ঠিকানা না-জানা চিঠি পাঠানো হয়নি পিতার উদ্দেশ্যে

কেমন আছে সে- তা জানতে চেয়ে।

সেই সন্তানটির চোখের সামনেই যখন

পিতার হত্যাকারীরা পায় মুক্তিযোদ্ধার খেতাব

আর পাঠ্যপুস্তকে বিকৃত হয় একাত্তরের ইতিহাস

সে অভিমান করে দেশ ছেড়ে তখন স্বেচ্ছায় নেয় পরবাস।



অথবা সেই শহীদজননীটি-

যে দেশের জন্য দিয়েছিল পুত্রের কুরবানি

যে মাকে বলেছিল, 'আমি আরেক মাকে মুক্ত করতে যাচ্ছি'

তারপর আর কখনও ফেরত আসেনি এই দুঃখিনি মায়ের বুকে

পুত্রশোকে সেই মা তারপর মৃত্যুর আগপর্যন্ত হেঁটেছেন

খালি পায়ে,যে মায়ের কোলে নিয়েছিল আশ্রয় তার বুকের ধন

কিন্তু সেই মাকেও হতে হয়েছিল দেশদ্রোহী

রাজাকারের ফাঁসি চেয়ে

সেও পরে চলে গেছে পুত্রের কাছে নিভৃতে চোখের জল ফেলে



সেই ভিনদেশে পালিত হওয়া যুদ্ধশিশুটি

যে খোঁজ নিতে গতবছর এসেছিল দেশে

সে জানেনা তার মা কেন তাকে অস্বীকার করেছিল

তবে সে ধারন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

কারণ সে জেনেছে তার অভিশপ্ত জন্মের বিনিময়ে

একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম হয়েছে "বাংলাদেশ"



-এইসব এলোমেলো চিন্তা কোত্থেকে টলতে গিয়েও স্লোগানকন্যার বসে যাওয়া কণ্ঠে আবার এনে দেয় অপরাজেয় তেজ



তার স্বরচিত রাজাকারের বর্ণমালা এখন সদ্য বুলি আওড়ানো শিশুটির মুখে,

তার স্লোগানের সাথে তাল মিলিয়ে জনতারস্রোতে

মুহুর্মুহু রব ওঠে 'জয় বাংলা' ধ্বনি

৪২ বছরের ঋণে ন্যুব্জ জাতি আবার ফিরেছে বাঙালী পরিচয়ে



হ্যাঁ,শত শত ক্যামেরার মধ্যমণি হওয়া মেয়েটির মনে ছিল উন্মত্ত দেশপ্রেম,

আর মাথায় ছিল বেয়াল্লিশ বছরে দগ্ধ হওয়া বিবেকের ফসিল।



দেশও যে মা আর মা ও যে নারী-

সে নাঁড়ীর বন্ধনের দায় মাথায় তুলেই

তার কন্যা বজ্রকণ্ঠে তুলেছিল স্লোগান-

"তুই রাজাকার,তুই রাজাকার"


সেই টিভি-ক্যামেরার সামনের মেয়েটি-

হঠাতই যার কদর্যরূপের গল্প নিয়ে হাজির হন লেখক,

যার দেহাবরণে খুঁজে পান বিকৃত কাম-লালসা



হ্যাঁ,আমি সেই ক্যামেরার সামনের মেয়েটির কথা বলতে এসেছি

যাকে এক কলমের খোঁচাতেই

লেখক তকমা এঁটে দিলেন নষ্টা হিসেবে



কি দোষ ছিল তার?

আর অন্য দশটা মেয়ের মত সেও একজন শ্রমজীবী মানুষ

যার পরিচয় স্লোগানকন্যা হিসেবে।

শ্রম যার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মনুষ্য-বিবেক জাগ্রত করায়

সে এই সুশীল সমাজের শীৎকারে

হয়ে যায় একজন নিশিকন্যা।

অথচ সমাজে এইসব বুদ্ধিবেশ্যাদেরই বেশ কদর এখন

কখনও টক শো-তে কিংবা পাঁচতারা হোটেলের ফুলশয্যায়।



হয়ত সেও কোন এক দুস্থ পিতার আদুরী,

হয়তবা কোন মুক্তিকামীর প্রিয় ভগ্নী,

সর্বোপরি সেও নব মুক্তিযুদ্ধের এক দেশপ্রেমী বঙ্গনারী।



যার অবিরাম স্লোগানে জেগেছে শাহবাগ

৪২ বছরের বিচারবিমুখ জাতির শূন্য চোখ

জ্বলে উঠেছে একাত্তরের চেতনায়

কোটি প্রাণের দাবি মিলিত হয়েছে এই শাহবাগের মোহনায়



কেউ এসেছে প্রেয়সীর হাত ধরে

কেউ এসেছে ছোট শিশুটিকে কোলে করে

নববধু স্বামীর কাছে বায়না ধরেছে তাকেও নিতে সাথে

তরুণ মায়ের চিন্তিত বদন উপেক্ষা করে মিলে গেছে প্রজন্ম চত্বরে

যুবতীটি চত্বরের ভিড়ে স্লোগান ধরেছে গলা ছেড়ে

স্লোগানকন্যার দৃপ্ত কণ্ঠ তাকেও সাহস জোগায়

সেও মনে মনে শিহরিত হয় স্লোগানকন্যার স্থানে নিজেকে ভেবে



স্লোগানকন্যার ঘামেভেজা অনিয়মের ভগ্ন দেহ

বহুদিন রাত-জাগা ক্লান্ত-শ্রান্ত চোখ

আর,ভেঙ্গে ফ্যাসফ্যাসে হয়ে যাওয়া কণ্ঠ সত্ত্বেও

আবার শক্তি সঞ্চয় করে স্লোগান দেয় মুক্তিকামীদের ভিড় দেখে

সারাদিনের বিরামহীন পরিশ্রমও তার ঋণগ্রস্ত বিবেককে টলাতে পারেনা



তার চোখে ভেসে ভেসে ওঠে ৪২ বছরের ঋণ একের পর এক-



সেদিন রাস্তায় বসে ভিক্ষে করা যুদ্ধাহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাটি

যে প্রতিদিন মুক্তি চায় এই অপমানের জীবন হতে

যখন তারই সামনে দিয়ে যেতে দেখে রাজাকারের গাড়ী

পতপত করে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে



সেই যৌনপল্লীর অন্ধকারে বসে জীবনকে অভিশাপ দেওয়া বীরাঙ্গনাটি

যে ক্যাম্প থেকে ফিরে এসেছিল যুদ্ধের পরে

তারপর?

তারপর সমাজ তাকে অচ্ছুত বলে অস্বীকার করেছিল,

স্বাধীনতার ঠিক পাঁচ বছর পর -

গ্রামের চেয়ারম্যান হয়েছিল সেই জমির চাচা

যে তাকে তুলে দিয়েছিল পাকিদের হাতে

সে একরাতে এসে শাসিয়ে গিয়েছিল গ্রাম ছেড়ে পালাতে

এরপর পেটের তাড়নায় সে নিজেই -

একদিন মাথা পেতে নিয়েছিল 'বেশ্যা' উপাধি।



অথবা বদ্ধভূমিতে স্বামীর লাশ খুঁজে না পাওয়া বিধবাটি

যার হাতের মেহেদি না শুকাতেই এক কালরাতে কে বা কারা

মুখে কালো কাপড় বেঁধে বাসা থেকে ধরে উঠিয়েছিল জীপে

সেই শেষ দেখা -

যাবার সময় বলেছিল, 'ভাল থেকো'

কিন্তু ভাল সে থাকবে কি করে?

যখন সেই শহীদজায়ার সামনেই স্বামীর ঘাতকেরা স্বাধীনদেশে

ঘুরে বেড়ায় বীরের বেশে!



শহীদ পিতার স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা সন্তানটি

যে কখনও ডাকতে পারে নি 'বাবা' বলে

কত না বলা আবদার-বায়না

কত ঠিকানা না-জানা চিঠি পাঠানো হয়নি পিতার উদ্দেশ্যে

কেমন আছে সে- তা জানতে চেয়ে।

সেই সন্তানটির চোখের সামনেই যখন

পিতার হত্যাকারীরা পায় মুক্তিযোদ্ধার খেতাব

আর পাঠ্যপুস্তকে বিকৃত হয় একাত্তরের ইতিহাস

সে অভিমান করে দেশ ছেড়ে তখন স্বেচ্ছায় নেয় পরবাস।



অথবা সেই শহীদজননীটি-

যে দেশের জন্য দিয়েছিল পুত্রের কুরবানি

যে মাকে বলেছিল, 'আমি আরেক মাকে মুক্ত করতে যাচ্ছি'

তারপর আর কখনও ফেরত আসেনি এই দুঃখিনি মায়ের বুকে

পুত্রশোকে সেই মা তারপর মৃত্যুর আগপর্যন্ত হেঁটেছেন

খালি পায়ে,যে মায়ের কোলে নিয়েছিল আশ্রয় তার বুকের ধন

কিন্তু সেই মাকেও হতে হয়েছিল দেশদ্রোহী

রাজাকারের ফাঁসি চেয়ে

সেও পরে চলে গেছে পুত্রের কাছে নিভৃতে চোখের জল ফেলে।



সেই ভিনদেশে পালিত হওয়া যুদ্ধশিশুটি

যে খোঁজ নিতে গতবছর এসেছিল দেশে

সে জানেনা তার মা কেন তাকে অস্বীকার করেছিল

তবে সে ধারন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

কারণ সে জেনেছে তার অভিশপ্ত জন্মের বিনিময়ে

একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম হয়েছে "বাংলাদেশ"



-এইসব এলোমেলো চিন্তা কোত্থেকে টলতে গিয়েও স্লোগানকন্যার বসে যাওয়া কণ্ঠে আবার এনে দেয় অপরাজেয় তেজ



তার স্বরচিত রাজাকারের বর্ণমালা এখন সদ্য বুলি আওড়ানো শিশুটির মুখে,

তার স্লোগানের সাথে তাল মিলিয়ে জনতারস্রোতে

মুহুর্মুহু রব ওঠে 'জয় বাংলা' ধ্বনি

৪২ বছরের ঋণে ন্যুব্জ জাতি আবার ফিরেছে বাঙালী পরিচয়ে



হ্যাঁ,শত শত ক্যামেরার মধ্যমণি হওয়া মেয়েটির মনে ছিল উন্মত্ত দেশপ্রেম,

আর মাথায় ছিল বেয়াল্লিশ বছরে দগ্ধ হওয়া বিবেকের ফসিল।



দেশও যে মা আর মা ও যে নারী-

সে নাঁড়ীর বন্ধনের দায় মাথায় তুলেই

তার কন্যা বজ্রকণ্ঠে তুলেছিল স্লোগান-

"তুই রাজাকার,তুই রাজাকার"

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

শাহজাহান মুনির বলেছেন: ভাল লাগল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

জাতিস্বর বলেছেন: ধন্যবাদ।

জেনে ভাল লাগলো।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

ওহ বলেছেন: দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বীরাঙ্গনা :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০০

জাতিস্বর বলেছেন: ওহ আল্লাহ!!
খুশিতে আটখানা হইয়া গেলাম। :P :P

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩০

মতিউর রহমান১০০ বলেছেন: লুল......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.