![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুজাতিক এবং বড় কোম্পানি গুলোর ভন্ডামির একটা উদাহরণ: আপনি অমুক পন্য কিনলে তার লভ্যাংশ থেকে ১ টাকা অমুক ফান্ডে দেওয়া হবে।
একবার চিন্তা করে এবং হিসেব করে দেখেন, তারা এই ক্যাম্পেইন চালাতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করে সেটার পরিমান নিশ্চিতভাবে ওই ১ টাকার লভ্যাংশের চেয়ে বেশি হবে। কিন্তু তারা ক্যাম্পেইন/এডের পিছনে টাকা খরচ করবে, সরাসরি ফান্ডে দিবেনা। কারন ওই যে, এখানে দুই রকম লাভ: ১। পাবলিক সিম্পেথি ২। বেশি লাভ। আবার কিছু ক্ষেত্রে সিএসআর দেখিয়ে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৯
জােবদ৭৯১৬ বলেছেন: সবচেয়ে এলার্মিং বিষয় হচ্ছে এসব করে এসব কোম্পানি ট্যাক্স ফাঁকি দেয়।
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭
নতুন বলেছেন: যারা লাভ করতে ব্যবসা করছে তাদের কাছে সমাজ সেবা আশা করা কতটুকু যৌক্তিক?
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৩০
জােবদ৭৯১৬ বলেছেন: তাদের কাছ থেকে সমাজ সেবা আশা না করতে পারি, কিন্তু মানুষের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে ব্যবসা করা কতটা যৌক্তিক সে প্রস্নতো করাই যায়।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২০
নাহল তরকারি বলেছেন: একদম নিখুঁত একটা পর্যবেক্ষণ! এটাই আসলে কর্পোরেট দুনিয়ার তথাকথিত “ভালবাসা” বা “সহানুভূতির” চিত্র। বড় বড় কোম্পানিগুলো যখন বলে—“আমাদের পণ্য কিনলে এত টাকা অমুক ফাউন্ডেশনে যাবে,” তখন সেটা অনেকটা ‘emotional marketing’ এর মতো। মানুষ ভাববে—“ওহ! আমি পণ্য কিনে একটা ভালো কাজেও অংশ নিচ্ছি।” কিন্তু বাস্তবতা হলো, সেই ভালো কাজটা এতটাই সামান্য যে, সেটা হয়ত কোম্পানির দিনে এক কাপ কফির খরচের সমানও না।
এরা এইসব ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নিজের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ায়, ভালো মানুষ সেজে গণমানুষের সহানুভূতি অর্জন করে, এবং পণ্য বিক্রির হার বাড়িয়ে দেয়। অথচ তারা চাইলে ক্যাম্পেইন না চালিয়ে সরাসরি সেই টাকা ওই ফান্ডে দিতে পারত। কিন্তু তাতে তো পাবলিক শো অফ হয় না!
আরেকটা ব্যাপার হলো কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (CSR)। এটা এমনভাবে সাজানো, যাতে কোম্পানি নিজেদের সামাজিক দায়বদ্ধতা দেখিয়ে নানা সুবিধা নেয়—বিশেষ করে কর মওকুফ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সত্যিই তারা কতটা দায়বদ্ধ? যদি দায়বদ্ধ হতো, তাহলে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিত, প্রকৃত পরিবেশ বান্ধব প্যাকেজিং ব্যবহার করত, বা ছোট প্রতিযোগীদের দমন না করত।
এইসব ভুয়া মানবিকতা আসলে একটা ব্র্যান্ডিং স্ট্র্যাটেজি। লাভ দুদিকেই—একদিকে জনসাধারণ ভাবছে কোম্পানিটা ‘ভালো’, অন্যদিকে বিক্রি বাড়ছে, ইমেজ শক্তিশালী হচ্ছে, এবং সরকারকেও দেখানো যাচ্ছে তারা “দায়িত্বশীল।”
তাই, সচেতন থাকাটা জরুরি। শুধু তাদের কথা শুনে নয়, বরং তাদের কাজ দেখে বিচার করাটা এখন সময়ের দাবি।