![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিল্প-সংস্কৃতির রাজনীতিকরণের কারনেই বিভিন্ন উৎসব পালন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। এর জন্য অতীতের ক্ষমতাসীনদলসহ অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দল দায়ী। একটা বিশেষ শ্রেণি কর্তৃক আরোপিত ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতির কারনে সত্যিকার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতি বিলীন হওয়ার পথে। একটা বিশেষ শ্রেণি তাদের বানানো ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতিকে সার্বজনীন হিসেবে আরোপ করার চেষ্টাই বাঙালি ঐতিহ্য, শিল্প-সংষ্কৃতি আজ বিতর্কের সম্মুখীন। ঐ বিশেষ শ্রেণি নিজেদেরকে ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতির বাপ-দাদা মনে করে। এটা থেকে বের হতে হবে। দেশের মানুষকে যার যার মত শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা করতে দিতে হবে।
আগামীকাল পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। এই দিনে যার যেভাবে মন চায় তাকে সেভাবে পালন করার স্বাধীনতা দিতে হবে। তবেই শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা বৃদ্ধি পাবে।
কেউ যদি মনে করে এই দিন মিলাদ-মাহফিল করে পালন করবে, তাকে সেটা করতে দিতে হবে। কেউ যদি মনে করে পূজা দিবে, তাকে সেটা করতে দিতে হবে। যার মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করার ইচ্ছা, সে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করবে। কারো যদি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করতে ইচ্ছা হয়, তারা আনন্দ শোভাযাত্রা বের করবে। যার রমনায় গিয়ে ছায়ানটের গান শুনার ইচ্ছা, সে সেখানে যাবে। কারো যদি মনে হয় অন্য কিছু করবে, সেটাও তার স্বাধীনতা। কেউ রমনায় না গেলে সে প্রগতিশীল নয়, এই ধারণা থেকে বের হবে। আবার বিপরীতভাবে কেউ রমনায় গেলে সে নাস্তিক, এ ধারণা থেকেও বের হতে।
মূল কথা শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা খুবই জরুরী।
পরিশেষে, সবাইকে অগ্রিম বাংলা নববর্ষের #শুভেচ্ছা। আগত বছর সবার ভালো কাটুক। আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: ঘরে বাইরে সব জায়গায় শ্রদ্ধাবোধ জরুরী। এটা শুরু করতে হয়, শৈশবে পরিবার থেকে।