নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যাংকার

জােবদ৭৯১৬

সাধারণ একজন মানুষ

জােবদ৭৯১৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নব্য ঔপনিবেশবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৪

যারা মনে করে ভৌগোলিক স্বাধীনতাই সব কিছু, আমার কাছে মনে হয় তারা আধুনিক যুগ সম্পর্কে কম ধারণাই রাখে। বর্তমান সময়ে কোন রাষ্ট্রই আর সেই আগেকার মত ঔপনিবেশিক শাসনের দিকে যাবে না এবং সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে কোন দেশ দখলও করবে না। যার উদাহরণ আমরা ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তানে দেখতে পাই।

সরাসরি দেশ দখল বা ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থায় না গিয়ে বরং এই একবিংশ শতাব্দীতে ক্ষমতাবান দেশ গুলো অন্যভাবে একটা দেশের স্বাধীনতা হরণ করবে। এর মধেয় রয়েছে:
১। আজ্ঞাবহ পুতুল সরকার ক্ষমতায় বসানোর মাধ্যমে। ইরাক, লিবিয়াসহ অনেক দেশের স্বাধীনতা এভাবে হরণ করা হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী বৃহৎ দেশও কিন্তু এভাবে বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের উপর ছড়ি ঘুরাচ্ছে।
২। অর্থনৈতিকভাবে একটা দেশকে পরাধীনতার শিকলে বেঁধে ফেলা। যেমন : বৃহৎ শক্তি নানা ভাবে ছোট দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেটা আমদানি-রপ্তানির নির্ভরশীলতা সহ অন্য সকল অর্থনৈতিক সূচকে তাদের উপর নির্ভরশীল করে নিয়ন্ত্রণ করা।
৩। ধর্মীয় ও সংষ্কৃতির উপর প্রভাব বিস্তার এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেও কিন্তু স্বাধীনতা হরণ করা হয়।
৪। শিক্ষা ব্যবস্থার বিচ্যুতি ও ব্রেইন ড্রেইনের মাধ্যমে এখন অনেক দেশেকেই ক্ষমতাধর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করছে। মধ্য প্রাচ্যের দিকে তাকালে আমরা খুব সহজেই এটা বুঝতে পারব।
৫। অনেক বড় দেশি তাদের শক্তিশালী গোয়েন্দাসংস্থা এবং এজেন্ট দ্বারাও অপর দেশের সার্বভৌমত্বের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে।

মোদ্দাকথা হলো একবিংশ শতকে এসে আর শুধু ভৌগোলিক স্বাধীনতাকে পূর্ণ স্বাধীনতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ হবে না। পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার সাথে জড়িয়ে আছে ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতাসহ আরো বেশ কিছু ইন্ডিকেটর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.