![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বারবারা এসো, রবিশঙ্করের সুরে সুরে মুমূর্ষু মানবতাকে গাই বিবেকের জংধরা দরোজায় প্রবল করাঘাত করি অন্যায়ের বিপুল হিমালয় দেখে এসে ক্রুদ্ধ হই, সংগঠিত হই জল্লাদের শাণিত অস্ত্র সভ্যতার নির্মল পুষ্পকে আহত করার পূর্বে, দর্শন ও সাহিত্যকে হত্যা করার পূর্বে এসো বারবারা বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে।
হৃদয়ে বলা যায় একরকম রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে চলে গেলেন মান্না দে। শৈশব কেটেছে উনার গান শুনে। সঙ্গীত কি সেটা বুঝতে সিখিয়েছে উনিই। অসম্ভব ভক্ত ছিলাম উনার এবং আছি।
কিন্তু আজ ব্লগ সহ সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে কিছু মন্তব্য দেখে আমি যারপরনাই হতাশ এবং আহত।
অনেকেই বলে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় শিল্পীকে নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি কেন?
নিচের এই মন্তব্যগুলো দেখলে বোঝা যায় জাতি হিসেবে চিন্তা চেতনায় আমরা কত নিচে নেমে গেছি। যাই হোক এই কুলাঙ্গারগুলার কথা আর নাই বলি।
কিন্তু একটা কথা বলতেই হয় সেটা হোল আমি মনে করি সঙ্গীতের কোন দেশ, জাত, কাল, ধর্ম নাই। সুর হোল আত্মার ভাষা, হৃদয়ের ঔষধ। গীটার এর ৬ টি তারের কিন্তু কোন আলাদা ভাষা নাই, সঙ্গীতের ভাষা একটাই। যে সুর হৃদয় ছুয়ে যাবে তার কাছেই মাথা নত করা যায়। দেশ, ভাষা চিন্তা করে সঙ্গীত ভালোবাসা যায় না। একজনের ব্যাক্তিগত ভালো লাগা খারাপ লাগা থাকতে পারে যে সে হিন্দি গান বা হিন্দি গায়ক দেখতে পারেনা, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু শুধুমাত্র ভারত রাস্ত্রটাকে দেখতে পারিনা বলেই ভারতীয় সঙ্গীতও দেখতে পারিনা এই ব্যাপারটা খুবই lame ও দুঃখজনক।
দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে গুণীর কদর করা আমরা আজো শিখিনি। গুনি লোক যে ধর্ম, দেশ, ভাষারই হোক না কেন তাকে সম্মান দেখাতেই হবে। সম্মান দিতে জানলেই কেবল সম্মান পাওয়া যাবে, নয়তো নয়।
হৃদয়ে মান্না দে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। কুলাঙ্গারদের কথায় তিনি মরে যাবেন না।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১২
তেপান্তর মন বলেছেন: সম্মান না করতে চান চুপ থাকেন।
বদনাম করার দরকার কি?
হুমায়ুন মারা যাওয়ার পর তারা কিছু করে নাই সেটা তাদের নিচু মানসিকতার পরিচয় সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
তারা অধম তাই বলে আপনি উত্তম হইবেন না কেন?
আপ্নিও সেই একই কাজ করলে তাদের আর আপনার মধ্যে পার্থক্য কি?
আর হুমায়ূন আহমেদ শুধু পশ্চিম বঙ্গে খানিকটা পরিচিত। বাকি ভারত তাকে প্রায় চেনেনা বললেই চলে।
সেখানে সমগ্র ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশ সবখানেই মান্না দে সমান পরিচিত।
আর এখানে দাদাদের সম্মান দেয়ার কথা আসছে না, শতাব্দীর একজন শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পীকে সম্মান দেয়ার কথা আসছে।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৩
নীল সুমন বলেছেন: মান্না দের প্রতি অপার শ্রদ্ধা।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনি শোকাহত বুঝলাম কিন্তু শোকের মাত্রাতিরিক্ত প্রকাশ দেখালে কেউ যদি বিরক্তি প্রকাশ করে তাহলে কী তাকে কুলাঙ্গার বলে নিজের জিঘাংসা পূরণ করবেন? আর যদি করেন তাহলে আপনি কোন উত্তম হয়ে গেছেন যে অন্যকে উত্তম হতে বলার উপদেশ দেন?
দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে গুণীর কদর করা আমরা আজো শিখিনি। গুনি লোক যে ধর্ম, দেশ, ভাষারই হোক না কেন তাকে সম্মান দেখাতেই হবে। সম্মান দিতে জানলেই কেবল সম্মান পাওয়া যাবে, নয়তো নয়।
কে বলছে আমরা গূণীর সম্মান করতে জানিনা? আমারও তো মনে হয় শুধু সম্মান না পারলে পূজা করার জন্যও রেডি হয়ে থাকেন বেশীরভাগ মানুষ। অতি ভক্তি দেখানোর কারণেই এদেশে গূণী জন্মায়না। যার মধ্যে সেলফ রেসপেক্ট নাই আছে শুধু তোষামোদি সে আর যেই হোক গূণী হতে পারেনা।
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
ইসটুপিড বলেছেন: বাল ফালানি উত্তর দেইক্ষ্যা হাসতে হাসতে পইড়া গেলাম।
আশা করি আপ্নেও মাঝে কানতে কানতে পটল তুলছেন
ভাল কথা, বাংলায় একটা কথা আছে- অতি ভক্তি চুরের লক্ষণ
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০১
ইসটুপিড বলেছেন: মর্মাহত হলুম
দাদারা যখন আমাদিগের টিভিনুষ্ঠান চালাইতে দেন্না তাহাদের টিভিতে, তকন কাকে কুলাঙ্গার ডাকেন শুনি খন?!
ফেলানি নামক জীবটা মারা যাওয়ার পর কাকে কুলাঙ্গার ডাকেন শুনি খন?!
একবার খোঁজ নেবেন, হুমায়ুন মারা যাওয়ার পর কে কি করিয়াছিল?
ঠিকাছে, এরপরও যখন দাদাদের সম্মান ঠিক মত করিনি, ডাকলেন না হয় কুলাঙ্গার আমায়