নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ambivert, Swimmer Against The Stream, But I\'m Not Anti-Social I\'m Anti-Idiots.

জ্যাক স্মিথ

লিখতে না পড়তে ভালো লাগে, বলতে না শুনতে ভালোবাসি, সেমি-ইন্ট্রোভার্ট।

জ্যাক স্মিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বর্ণকেশী সুইসি (১৮ + )

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:১৩



ঘটনা ১: ২০১৭/১৮ মৌসুমে আর্সেনাল ক্লাবে একজন ফুটবলার ছিলেন, নাম তার David Dicks, সে তখনও অতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি । আর্সেনাল বনাম চেলসি ফাইনাল ম্যাচের ঠিক তিন দিন আগে অনুশীলন করতে গিয়ে David Dicks ইনজুরড হয়ে পরেন, বাধ্য হয়ে কোচ তাকে ছাড়াই স্কোয়াড ঘোষণা করেন। পরের দিন পত্রিকায় নিউজ বের হলো "Arsenal to play without dicks" :-P হট কেকের মত পত্রিকা বিক্রি হতে লাগলো, তা দেখে কোচ তো রেগে-মেগে ফায়ার!! কয়েকজন সাংবাদিক'কে ডেকে এনে আচ্ছা মত বকে দিলেন। খেলার ঠিক আগের দিন সাংবাদিকরা নতুন আরেকটি হেডিংয়ে নিউজ প্রকাশ করলেন "Arsenal to play with Dicks out" =p~ এমন হেডিং এর কারণে রেকর্ড সংখ্যক প্রমীলা দর্শকের উপস্থিতি হয়েছিলো উক্ত ফাইনাল ম্যাচে।



ঘটনা ২: আমি তখন আর্সেনালের পুরা ভক্ত, যে করেই হোক এমন একটি ফাইনাল ম্যাচ আমাকে সরাসরি দেখতেই হবে, তাই যেই ভাবা সেই কাজ, আমি ম্যাচের আগের দিন উত্তরা এয়ারপোর্টে গিয়ে লন্ডন-গামী এক বিমানে চেপে বসলাম। দীর্ঘ যাত্রার পর লন্ডনে নেমে সরাসরি মাঠের উদ্দেশ্যে ট্যাক্সি নিলাম, নতুন শহর ডান বাম কিছুই চিনিনা, ট্যাক্সি ড্রাইভারই আমার একমাত্র ভরসা। ড্রাইভার আমাকে মাঠের পাশেই নামিয়ে দিলো। নেমে আমি কিছুক্ষণ থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম! কি করবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কোথা থেকে টিকিট কাটবো, কোন গেইট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করবো ইত্যাদি। চারিদিকে প্রচুর মানুষ জনের ভিড় যার বেশীর ভাগই নারী। যেহেতু এই শহরে আমাকে আরও তিনদিন থাকতে হবে তাই ভাবলাম এখানকার স্থানীয় কারো সাথে পরিচিত হতে পারলে ভালো হয়। খেলা শুরু হতে এখনো বেশ খানিকটা সময় বাকি তাই আশে পাশে একটু ঘুরাঘুরি করতে লাগলাম। রাস্তার ও পাশেই দেখলাম এক কফি শপ কিন্তু প্রচুর ভিড়; আজকে ফাইনাল ম্যাচ বলে কথা দুর দূরান্ত থেকে প্রচুর নারী দর্শক ভিড় করেছে স্টেডিয়ামের আশেপাশে। আমি কফি শপে ঢুকলাম, কিন্তু বসার কোন জায়গা না পেয়ে মন খারাপ করে বেরিয়ে যেতেই দেখি বাম পাশে কোনার এক গোল টেবিলে দুইজন মেয়ে বসে হাসাহাসি করছে তাদের পাশের চেয়ারটি ফাঁকা রয়েছে, আমি দূরু দূরু বুকে টেবিলের পাশে গিয়ে Excuse me ladies, may I have a seat? বলতেই Yeah, sure বলে তারা দুজনেই সম্মতি প্রদান করিলো। আমি তাদের Thanks জানিয়ে বসে পরলাম। যদিও কফি খাওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না আমার উদ্দেশ্য ছিল মাঠের আশে পাশে বসবাস করে এমন কারো সাথে পরিচিত হওয়া যাতে বিপদ আপদে সহায়তা পেতে পারি। আমি এক কাপ Hot batch brew অর্ডার করার পর বসে রইলাম কিন্তু কফি আসতে বেশ সময় লাগছিলো লোক সমাগম বেশি হবার কারণে। যেহেতু একা তাই সঙ্গত কারণেই আমি একটু অপ্রস্তুত বোধ করছিলাম তাই এদিক সেদিক তাকা-তাকি করছিলাম যেন আমি কাউকে খুঁজছি, আর উক্ত দুই মেয়ের কথোপকথন শুনছিলাম। ফুটবল নিয়ে কথা হলেও তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল; খেলোয়ারদের শারীরিক গড়ন নিয়ে, কোন খেলোয়ার কত বেশী দৌড়াতে পারে, কার উচ্চতা কত, কোন খেলোয়ার কত বেশি হট.. ইত্যাদি নিয়ে। তাদের কথা-বার্তা শুনে বুঝতে পারলাম এরা দুজনেই বেশ ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তা না হলে এসব আলোচনা সাধারণত সবার সাথে করা হয় না। মেয়ে দুজনের মধ্যে একজনের মাথার চুল সোনা রঙের আরেক জনের হালকা লাল এবং বক্র টাইপের।

স্বর্ণকেশী তার বান্ধবীকে উদ্দেশ্য করে বললো- তুমি যাই বলো David Dicks এর চেয়ে হট খেলোয়ার এই পৃথিবীতে আর একজনও নেই, গোল করার পর ও কি-যে একটা লুক দেয় না, উফফ!! আমার একদম মরে যেতে ইচ্ছে করে!! Dicks ছাড়া আমি এই ম্যাচ একদমই উপভোগ করতে পারবো না।

আমি মনে মনে- খাইসরে!! এরা কি খেলা দেখতে এসেছে নাকি খেলোয়ার দেখতে এসেছে? #:-S

হালকা লাল এবং কার্লী চুলের অধিকারিণী বললো- গত সপ্তাহে আমি Nick কে ঘার ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছি, ওর সাথে আমি সবকিছু কাট আপ করে ফেলেছি। সারাদিন শুধু ফুটবল, ফুটবল আর ফুটবল করে, আমাকে একটুও সময় দেয় না, আচ্ছা তুমিই বলো, আমার থেকে কি ওর কাছে Soccer খেলাটাই বড় হয়ে গেলো?

স্বর্ণকেশী- কাজটি তুমি একদমই ঠিক করোনি, আফটার অল সে একজন প্লেবয়, আর আমি শিউর সে শীঘ্রই স্প্যানিশ লীগে চাঞ্চ পাবে।

কার্লী চুলের অধিকারিণী - কিন্তু এসব আমি একদমই পাত্তা দেই না..... ইত্যাদি আরও অনেক বিষয়েই তাদের মধ্যে কথোপকথন চলছে। আর আমি শুধু চুপি চুপি শুনেই যাচ্ছি। ;)

ইতিমধ্যে আমার কফি চলে এসেছে, আমি কফিতে হালকা চুমুক দিয়ে মোবাইল টেপা শুরু করলাম আর দুজনের কথোপকথন শুনে তাদের সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা নেয়ার চেষ্টা করছি। স্বর্ণকেশী'র ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি উচ্চারণ শুনে স্পষ্ট বুঝতে পারছি সে হয় ফ্রান্স, জার্মানি অথবা সুইজারল্যান্ড থেকে এসেছ কোন মতেই সে ব্রিটিশ নাগরিক নয়। নীল চোখের অধিকারিণী এই স্বর্ণকেশীকে চেলসির জার্সিতে একদম কিউটের ডিব্বা মনে হচ্ছে। বিশেষ করে তার ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি উচ্চারণগুলো আমার কানে যেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সুর বইয়ে দিচ্ছিলো, মেয়েটির কণ্ঠস্বর এবং উচ্চারণের ভাঙ্গি শুনে আমারও একদম মরে যেতে ইচ্ছে করছিল। :`>

অপর দিকে হালকা লাল এবং কার্লী চুলের অধিকারিণী'র কথা-বার্তা শুনে মনে হচ্ছে সে একজন খাঁটি ব্রিটিশ, কথার মাঝে হেভি কানেক্টর এবং স্ল্যাং ল্যাংগুয়েজ ইউজ করে, নেটিভ ব্রিটিশ উচ্চারণে কথা বলা এই মেয়ের ইংরেজি ঠিকমতো বুঝতে আমার ঘাম ঝরে যাচ্ছে। আর্সেনালের জার্সি পরিহিতা এই মেয়েটির আচার আচরণ এবং হাব ভাব দেখে বুঝাই যাচ্ছে সে একজন খাঁটি ব্রিটিশ নাগরিক। বেশ শক্তিশালী একজন মেয়ে মনে হলো, সে যদি আমাকে এক ঘুসি দেয় তাহলে আমি আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না LMAO!! =p~

ইতিমধ্যে আমার কফি অর্ধেকে নেমে এসেছে, আমি ভাবলাম এদের সাথে একটু কথা বলা দরকার, যেহেতু আমি এই শহরে নতুন এবং আরও তিন দিন থাকতে হবে তাই এদের সাথে একটু পরিচিত হতে পারলে কিছু ইনফরমেশন নিতে পারতাম। যদিও স্মার্ট ফোনের এই যুগে পুরো দুনিয়াই এখন হাতের মুঠায়, কারো সহায়তা ছাড়াই সবকিছু করা যায়, তবুও দু-একজনের সাথে পরিচিত হতে পারলে মন্দ হতো না। বিশেষ করে ওই স্বর্ণকেশী সুইসির সাথে একটু কথা বলতে পারলে দিলডা শান্তি পাইতো :Dওহহ! বাই দ্যা ওয়ে- সুইসি মানে হচ্ছে সুইস সুইটি বা সুইজ্যারল্যান্ডের সুন্দরী , সে যে একজন সুইস নাগরিক তা আমি পরে জেনেছি।

যাই হোক, আমি মনে মনে চাচ্ছি মেয়ে দুজনের সাথে পরিচিত হতে; কিন্তু কি বলবো ঠিক বুঝে উঠে পারতেছিলাম না, আর এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম বিদেশ সফর, তাই কিছুটা নার্ভাসও ছিলাম বটে। তাছাড়া আগ বাড়িয়ে কথা বলাটা আমার জন্য বেশ কষ্ট সাধ্য একটি বিষয়। ওরা যদি আমার কথা ঠিকমত না বুঝতে পেরে আমাকে জঙ্গি মনে করে অথবা ফ্লার্টার ভাবতে পারে ইত্যাদি ভাবছি... হুট করেই মাথায় এক দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেলো, বুদ্ধিটা মাথায় আসতেই আমি বেশ জোড়ের সহিত হুরুৎৎ.. হুরুৎৎ..... শব্দ করে কফি গিলতে শুরু করলাম। এমন জোড়ে শব্দ করে কফি জীবনে কেউ খেয়েছে কি না সন্দেহ। বেশ ভয়ানক শব্দ করে খফি খাচ্ছি। হুরুৎৎ...হুরুৎৎ... LOL =p~ এমন শব্দ দুইবার করতেই ব্রিটিশ মেয়েটি আমার দিকে আশ্চর্যজনক দৃষ্টিতে তাকালো :-< , মনে হয় যেন চিরিয়াখানার জন্তু দেখছে, কিন্তু আমি মোবাইলেই ব্যস্ত থাকার ভান করছি, ওরা যে আমার এমন হুরুৎৎ...হুরুৎৎ শব্দে ভয়ানক বিরক্ত হচ্ছে সেদিকে আমার যেন কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। ব্রিটিশ মেয়েটি নিচু স্বরে Ew!! awful!! X(( বলে আবার আলাপ-চারিতায় মনোযোগ দিলো। একটু পর আমি আমার ফুসফুসের সমস্ত বাতাস বের করে দিয়ে গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে হুরুৎৎৎৎৎৎৎৎ.. হুরুৎৎৎৎৎৎৎৎ .. বেশ লম্বা শব্দ করে কফিতে চুমুক দিতে লাগলাম, (ভাবটা এমন যেন আমি ইচ্ছে করেই ওদের বিরক্ত করছি তা যেন ওরা বুঝতে পারে) এমন ভয়ঙ্কর শব্দে যেন পুরো কফি শপ কেঁপে উঠলো। আশে পাশের টেবিলের কয়েকজন আমার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। এ পর্যায়ে ব্রিটিশ মেয়েটি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ভয়ঙ্কর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো X( , আর সুইসি মানে সুইস মেয়েটি টেবিলে বাম হাত উঠিয়ে তাতে মাথা হেলান দিয়ে আমার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকালো, কিন্তু তার এক্সপ্রেশনটা ঠিক বুঝা যাচ্ছিলো না, নীল চোখের অধিকারিণীর এই চাহনিতে ঠিক কি রয়েছে ঘৃণা? ক্রোধ? করুণা? ভয়? না হাসি? আসলে তার চাহনিতে ঠিক কি রয়েছে তা বুঝা আমার পক্ষে সম্ভব হলো না, তবে আমিও তার চোখের দিকে বেশ কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে ছিলাম :-B , সত্যি বলতে আমি জীবনে এমন অদ্ভুত সৌন্দর্যের মেয়ে দেখিনি কখনো। মানে দৃশ্যটি ছিলো এমন- ব্রিটিশ মেয়েটি দাঁড়িয়ে কটমট দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আর আমি আর সুইসি বসে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছি, ব্রিটিশ মেয়েটির প্রতি আমার যেন কোন ভ্রুক্ষেপই নেই।

ব্রিটিশ মেয়েটি- Excuse me.. (দাঁড়িয়ে রাগান্বিত ভঙ্গিতে)

আমি, সুইসির দিকে তাকিয়েই আছি, মনে হয় যেন কিছুই হয় নি, কিছুই শুনিনি।

ব্রিটিশ মেয়েটি এবার- Hey.. I'm takin to you.

এবার আমি যেন একটু সম্ভিত ফিরে পেয়ে, ব্রিটিশ মেয়েটির দিকে তাকিয়ে- হ্যাঁ আফা কি হইছে, কোন সমিস্যা?

ব্রিটিশ মেয়েটি- What r u duin, man!! r u okay ? (বেশ রাগের সহিত)

আমি- ছোরি আফা আমি ঠিক বুঝতে পারতেসি না আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?

ব্রিটিশ মেয়েটি এবার দাঁড়ানো থেকে চেয়ারে বসতে বসতে বললো-
May I know where r u from? (রাগ একটু কমেছে মনে হলো)

আমি- ও হেইয়্যা.. মুই তো বাংলাদেশ থন আইছি।

ব্রিটিশ মেয়েটি- তুমি কতদিন ধরে লন্ডনে এসেছো, আর তোমরা কি এভাবেই পাবলিক প্লেসে ভয়ঙ্কর শব্দ করে কফি পান করো?

আমি- না, আসলে আফা হয়েছে কি, আমার মাইগ্রেনের সমিস্যা আছে আমি নতুন কোন জায়গায় গেলে আমার ভয়ানক মাথা ব্যথা শুরু হয় আর তখন আমি করা হট কফি জোড়ে জোড়ে শব্দ করে খাই, এটা মূলত ফুসফুসের একটা ব্যায়াম বলতে পারেন। এতে ফুসফুস প্রচুর অক্সিজেন পায় এবং খুব দ্রুত ব্রেইনে অক্সিজেন আর ক্যাফেইন চলে যায় যে কারণে মাথা ব্যথা দূর হয়ে যায়।

ব্রিটিশ মেয়েটি- Sad.. I'm sorry to hear that, but this is just not right in public places, you know.

এবার সুইসি আমার উদ্দেশ্যে বললো - আমারও মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা করে, কিন্তু আমি এমন ট্রিটমেন্টের কথা জীবনে শুনিনি, এটা কি কোন ডাক্তারের পরামর্শ?

আমি- না, এটা আমি নিজে নিজেই আবিষ্কার করেছি, ভাবছি এই পদ্ধতিটা লন্ডনের মানুষকে শিখিয়েই তারপর দেশে ফিরবো, আজকাল বহু মানুষই মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছে।

সুইসি- How funny!! তাহলে তো তোমাকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিৎ, আর তোমার সম্পর্কে আমি জানতে আগ্রহী।

আমি- এই তো This and that... আর আমি আজই লন্ডনে প্রথম এসেছি, এসেই ট্যাক্সি নিয়ে সরাসরি স্টেডিয়ামে চলে এসেছি।

সুইসি- তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছো তুমি আজই প্রথম লন্ডনে এসেছো আর এ শহরে তোমার পরিচিত কেউ নেই? (এ কথা বলে মেয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো, হয়তো আমার কথা এরা বিশ্বাস করছে না)

বিভিন্ন বিষয়ে দুজনের সাথেই কথা হলো, একে অপরের নাম, ধাম জানা শোনা হলো। সুইসি মাঠ থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরের এক বাসায় থাকে এবং একটা ভার্সিটিতে Nuclear Weapon নিয়ে পড়াশোনা করছে সেই সাথে একটা ট্র্যাভেল এজেন্সিতে পার্ট টাইম জব করছে। সমস্ত সুইস নাগরিকদের যে কোন ধরণের পারমানবিক হামলা থেকে রক্ষা করাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। আর ব্রিটিশ মেয়েটি আসলে তার বান্ধবী নয়, তার কাজিন, সে লন্ডন শহর থেকে বেশ দূরে থাকে। ইত্যাদি আরও কত কি।

যা হোক খেলা শুরু হওয়ার সময় হয়ে এসেছে, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম তিনজনেই একসাথে খেলা দেখবো, এবং খেলা শেষে এক সাথে ডিনার করে তারা আমাকে তিন দিনের জন্য একটা বাসা ঠিক করে দিবে ৩০০ ডলার দিয়ে।

কফি শপ থেকে বের হবার আগ মহুর্তে আমি সুইসিকে বললাম- May I have your phone number, sweetie?

সুইসি- Sure.. Sex! Sex! Sex! Free sex tonight!

আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে- WOW!!!

তখন ব্রিটিশ মেয়েটি বললো-
Nao!! she means 666-3629

আমি-
Oops!! Grrr!! :`>


The End
================



#ফান পোস্ট।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: পড়তে পড়তে সুন্দর একটা সময় কাটিয়ে দিলাম।আপনার মাথায় নোবেল দেয়ার বিষয়ট ছিলো,তাই আমাকে দেয়ার কথা ভাবছিলেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনাকে সত্যিই নোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিৎ, এতদিন ধরে ব্লগিং করছেন অথচ একটা পোস্ট'ও নেই বিষয়টা বেশ আর্চয্যজনক।
আমি মনে করি আপনার মাঝে মাঝে হলেও দুই একটা পোস্ট করা উচিৎ। আপনার দীর্ঘ জীবনে অভিজ্ঞাতার ঝুলি অনেক, এই ব্লগে আপনার অনেক কিছুই দেয়ার আছে। আপনার ভাবনা, আপনার দর্শন, আপনার ভালো লাগা, মন্দ লাগা, পৃথিবীর কাছে আপনার কি চাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আমরা একটু পরিচিত হতে চাই।

প্রথম মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জ্যাক স্মিথ,




শেষে যে পাঞ্চটা মারলেন...... =p~ =p~ =p~

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সুইস আর রাশিয়ান ইংরেজি উচ্চারণ আমার শুধু শুনতেই ইচ্ছে করে। আসলে আমার হচ্ছে লিসেনিং এ প্রবলেম আর ওই সুইস সুন্দরীর স্পিকিং এ প্রবলেম, এই দুই প্রবলেম মিলে দারুণ একটা কিছু হতে যাচ্ছিলো আর কি!! =p~ =p~

ওই ব্রিটিশ মেয়েটি যদি ভুলটা না ধরিয়ে দিতো তাহলে চরম বিপদে পড়ে যেতাম হয়তো :-P আবার উল্টোটও হতে পারতো। ;)

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:১২

শেরজা তপন বলেছেন: সুইসি- Sure.. Sex! Sex! Sex! Free sex tonight! ~ চমেতকার!!! :)

*ব্রো ভাষাজ্ঞান আমার কম তবুও অল্প কিছু অতি সাধারণ টাইপো নজরে পড়ল।
সারাসরই( সরাসরি)
বুঝ( বুঝে)
বিপদ আপদতে(আপদে)
যেহেতু একটা (একা) তাই
বের করে দিয়েছে( দিয়েছি)


০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এহহেহে!! ছ্যা! ছ্যা! ছ্যা! টাইপোগুলো একদম দৃষ্টিকটু লাগছে, আসলে ঘুম চোখে লেখা রিভিউ করলে যা হয় আর কি, আমি সাধারণত পোস্ট করার আগে দুই/তিন বার লেখা রিভিউ করি কিন্তু গত রাতে দায়সারা ভাবে একবার করেই পোস্ট করে দিয়েছিলাম। এখন ঠিক করে দিয়েছি, আশা করি আর কোন ভুল নেই।

না, ভাষাজ্ঞান আপনার মোটেও কম নয় আমি জানি। :D ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য আপনার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

সুইস সুন্দরীর কথা আর কিছু বইলেন না। :-P

অনেক অনেক ভালো থাকবেন, ব্রাদার।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:২৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার কাছে ভালই লাগল। জোকগুলো মজার ছিল। ঘটনা ১ এবং শেষের সত্যিই অন্য লেভেলের।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যাক, কিছুটা হলেও বিনুদুন দিতে পেরেছি তাহলে B-) তবে পোস্ট'টা একটু বড় হয়ে গেছে মনে হয়।

শুভ কামনা থাকবে সবসময়, মিঃ কাছের-মানুষ।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হাসতেই হলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনাকে হাসাতে পেরেছি তাহলে!! :D নিশ্চয়ই এই পোস্ট স্বার্থক হয়েছে।

নিরন্তর শুভকামনা, মহাজাগতিক মহাশয়।

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আর্সেনাল গতকাল সিটিকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জিতেছে ডিক ছাড়াই।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আর এদিকে মেয়েদের বিশ্বকাপ চলছে যেখানে ডিকের কোন বালাই'ই নেই। :-P আসলে এই ডিক'ই হচ্ছে যত নষ্টের গোড়া। =p~ গতকাল দেখলাম আফ্রিকার নামকরা এক মেয়ে ফুটবলারের বিয়ে হয়ে গেলো, বেচারির ক্যারিয়ার শেষ!! ;)

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একদম শেষে এসে হাসতে হাসতে মরে গেলাম। :D

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হে হে :P

ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: নতুন বোতলে পুরাতন মদ। অনেক পুরান জোক্স এই দুইটা। হাসি পায় না।
নিজেই কপি করে লেখছেন নাকি এ.আই দিয়ে লেখাইছেন? এ.আই এতো বাল্পুষ্ট লেখে বলে জানতাম না।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এ.আই, এ.আই করতে করতে তো মাথাডা নষ্ট করে দিলেন আপনারা। আর হুনেন ভাইসাব- এসব এ.আই, ফে আই দিয়ে আমি পোস্ট লিখি না। পোস্ট'টি মূলত দুটি জোকস কে টেনেটুনে গল্প বানানো হয়েছে।

এআই এখনো আঁতুর ঘরেই আছে আরও অনেক দূর যেতে হবে।view this link

হুমম, এ.আই খুউব ভালো ভালো পোস্ট লেখে আপনার মতে, লিখতে থাকেন আপনি এ.আই দিয়ে।

ধন্যবাদ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আর আপনার পোস্ট অভিযোগ করেছেন আমি ইয়াং জেনারেশনকে নষ্ট করছি :-< । কি অদ্ভুত!! এই ব্লগে ১৮ নিচে কোন ব্লগার'ই নেই তারপরেও ১৮ + লিখে দিছি।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ফিনল্যান্ডের একটা সিনেমা আছে- 'সুসি' নাম। সময় সুযোগ হলে দেখবেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি যে কত মুভি ডাউনলোড করে রাখেছি, সবগুলো দেখতে বছরখানেক সময় লেগে যাবে। তবে আপনি যেহেতু বলেছেন তাহলে এই মুভিটা দেখতে হবে তাছাড়া ফিনিশ কালচার সমন্ধে জানা আমার একটু দরকারও আছে।

ধন্যবাদ।

১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: 'সুসি' মুভিটা আমি গতরাতে দেখলাম, এক কথায় চরম একটি মুভি!! রাশিয়ার সাথে আবার যদি যুদ্ধ বাঁধে তবে মুভিটি ফিনিশ জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করবে নিসন্দেহে।

১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১০

মিরোরডডল বলেছেন:



পোষ্টটি অত্যন্ত মজাদার!
এরকম আরো চাই :)

১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপি, অনেকদিন পর আপনাকে দেখতে পেয়ে পুলকিত হলাম, আশা করি এখন ভালো আছেন।

জ্বী, চেষ্টা থাকবে। ভালো থাকবেন সবসময়।

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষের পাঞ্চটা মারাত্মক হয়েছে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হা হা :`> আপনি যে ধৈর্য ধরে পড়েছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.