![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চক্ষে আমার তৃষ্ণা তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে
তোমার আমার ক্ষন পল মুহূর্তগুলো টমেটোর মত টুকটুকে লাল হয়ে উঠছে দিন দিন। বুঝিবা ফলনের তিথী এল ওই। আলগোছে বসানো কচেকচে সবুজ বোটায় আর ধরছে না ওজনদার অনুরাগ।
টুপ করে খসে যখন পড়ল সেদিন আলসেবেলায়, টেরটি পেলাম না কেউই। আমি কেবল কাঁধ বেঁকিয়ে তাকালাম একবার বিছানামুখি আয়নাটায়। উবু হয়ে বসে লিখতে থাকা তুমি মুখ তুলে হাসলে, দু সেকেণ্ড পর মুখটা নামিয়ে নিলে। আয়নার ফ্রেমে বন্দী হল তোমার হাসি।
তবু কি যেন হয়ে গেল! মিষ্টি লাগল না আগের মত তেমন কিছুই। মনের রাডারে হঠাৎ পড়ল ধরা "চাল নেইই এর বিরক্তি" কিংবা "না কেনা কোনো জুতোর আক্ষেপ"।
আমাদেরই অলক্ষ্যিতে সুযোগ বুঝে হামা দিয়ে এল বর্গীর দল। কুড়িয়ে নিল খসে পড়া টুপটুপে টমেটো। ঝকঝকে ধারালো ছুরি দিয়ে ফালি ফালি করে ফেল্লো দুজনার প্রেম। নুনের আশায় এদিক ওদিক চাইতেই চোখাচোখি হল হুলোর সাথে।
হুলো, মানবশিশুর অনুপস্থিতিতে এ বাড়ির সন্তানপ্রায়। দায়িত্ববান পোষ্যের মতই ক্ষিপ্রতার সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ল আমাদের প্রেমফল বাঁচাতে। চলল তুমুল লড়াই দস্যুতে-পোষ্যতে।
তুমি- আমি হুলোটাকে অকারণ লাফাতে আর গড়গড়িয়ে গোঙাতে দেখে বকে দিলাম বেশ করে। কিছুতেই ফেরাতে না পেরে মাঝারি গোছের হাই তুলে লেপের মাঝে তলিয়ে গেলে তুমি। আমিও বারেক ভ্রু কুঁচকে ফের চোখ ঢুকিয়ে দিলাম ল্যাপটপে। জুৎসই লাগছিল না এই সব ঘরকন্নার দিনলিপি।
ওদিকে অনেক ঘাম ঝরিয়ে লোম খসিয়ে অতি প্রাকৃত যুদ্ধে রত বাড়ির বেড়ালটা। ছিনিয়ে আনবেই দুজনার টইটম্বুর প্রেমের সেই মাদকতাময় অনুভব। কে জানে কতক্ষণ লড়েছিল, কতটা কঠিন ছিল শুভ-অশুভর এই যুদ্ধ! শুধু যখন ফিরে এল লক্ষ্মী পুষি দুজনার মাঝে, কোলে নিয়ে হামলে আদর করলাম খুব দুজনে। আর অনুরাগের টকটকে লাল টমেটোখানা তোমার আমার মাঝে একফাঁকে আলগোছে রেখে চলে গেল সে । তারপর কি জানি কী হয়ে গেল আবার! আদরের উত্তাপে উষ্ণ হলাম খুব। চাল-ডাল, ধনে পাতা আর শপিংএর লিস্টি ছড়িয়ে গেল বেড়ালের কোলে , বারান্দার চড়ুইয়ের খড়কুটোয় আর আয়নায় বন্দী তোমার হাসিতে।
শেষমেষ বেছে বেছে ভীষন তুমি-আমিময় একখানা ছবি খুঁজে নিয়ে অনেকখানি মিষ্টি মাখিয়ে তুলে দিলাম ফেসবুকের ওয়ালে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪০
জাফরিন বলেছেন:
থ্যাঙ্কু হুলো_বেড়াল :!> :!> :!>
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার লেখা খুব ভালো লাগে ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
জাফরিন বলেছেন: একেবারেই খুব সাধারণ মানের লেখা ভাইয়া। তবু আপনার ভাল লাগে জেনে খুশি হলাম। নিয়মিত সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখায় শব্দ এবং রূপকের ব্যবহার অসামান্য। খুব দক্ষতার সাথে করা হয়েছে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫০
জাফরিন বলেছেন: ব্যাপারটা ধরতে পেরেছেন তাহলে। একটু চেষ্টা করলাম অন্যভাবে লিখার। আর তাতে আপনার এ মন্তব্য ভীষন উৎসাহ জোগালো।
কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাইয়া ...
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
এম হাবিব আহসান বলেছেন: এমনটাই চাই, ঠিক এরকমই শুদ্ধ অনুভুতিমালা....
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
জাফরিন বলেছেন: ধন্যবাদ। বিশুদ্ধ অনুভূতিমালাকে শব্দে বন্দী করার চেষ্টা থাকবে তবে!
ভাল থাকুন।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
ইখতামিন বলেছেন:
সুন্দর গল্প।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
জাফরিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২৯
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: রূপকের আশ্রয়ে জীবন যাপনের স্বপ্ন, অনুভূতি, উপলব্দি, আবেগ নান্দনিক ভাবে ফুঁটিয়েছেন ৷
প্রথমে মনে হল একটু দীর্ঘ হলে কেমন হত পরে মনে হল অল্পতেই তো প্রতিদিনের আশাহত চেনা কথমালা ৷
পড়ে সুন্দর লাগল ৷
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫০
জাফরিন বলেছেন: মনোযোগি পাঠকের মন্তব্য সবসময়ই প্রেরনাদায়ক।
দীর্ঘ লেখা সৃষ্টিতে আরো অনেক ধৈর্য চাই। তবু আপনি যেভাবে বুঝেছেন, ঠিক সেভাবেই অল্প কথায় "প্রতিদিনের আশাহত চেনা কথামালা" ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
হুলো_বেড়াল বলেছেন: