![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চক্ষে আমার তৃষ্ণা তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে
পুরোনো অন্তর্বাসের মতই বহুল ব্যবহৃত যুগল জীবনের অভ্যস্ততা।
প্রয়োজন ফুরোলেও মায়া ফুরোয় না। অতিথিরা আসে, জলছাপ দেয়, অদৃশ্য হয়। নিষিদ্ধ বেড়াজাল ভেঙ্গে এগোয় না কেউ। সতর্কীকরন বিপদবার্তা ঝুলতে দেখে।
অসমাপ্ত গল্পের পরের পর্ব লিখতে তারা পরস্পরকে সুযোগ দেয়। দাবার ঘুঁটির মত- এ পক্ষ বনাম ও পক্ষ। কিস্তি মাতের আশংকায় চাল না দিয়ে অচল হবার ভানটুকু ঠিক চালিয়ে যায়। ওদিকে চোখে চোখে লড়াইটা কিন্তু অনাদি কাল চলতে থাকে।
স্রষ্টার আসনে বসে সময়। চালকের আসনে অন্ধ আবেগ। দৃষ্টিহীনতার অজুহাতে সে সোজা কৃষ্ণগহবর তাক করে যাত্রাবিন্যাস নির্মাণ করে। ওদিকে তারা নকল রাজা-গজা-য় মজে থাকে।
শ খানেক অথবা সহস্র সূ্যোর্দয় হিসেবের ফাঁক গলে ফসকে যায়। ত্ততদিনে ওজোনস্তর পেরিয়ে অনন্ত নক্ষত্রবিথীর নকশা তাদের দেয়ালজুড়ে। তবু স্থির নেত্র তাদের কাঁপেনা কণামাত্র। বরং শারীরবৃত্তিক ক্রিয়াবলীর উর্ধে আরোহণ করায় একে অপরকে মৃদু হাস্যে অভিবাদন জানায় পাকা খেলুড়ের মতই। 'g' এর ধ্রুবকত্ব পরিবর্তনে যুগলের ভ্রুকুটির কৌণিক মাত্রা খানিকটা পুনঃবিন্যস্ত হয় কেবল।
সময়ের গতি অনির্ণেয়, তদানুযায়ি তাদের অতিক্রান্ত দূরত্ব প্রায় অসংজ্ঞায়িত। অসীম ধৈর্য প্রদর্শনে ভারাক্রান্ত, তবু হারে না তারা কেউ। অবশেষে সময়ের আয়ু ফুরিয়ে যখন স্রষ্টা যাত্রা সমাপ্তির সংকেত বাজান, চূড়ান্ত লক্ষ্যস্থল কৃষ্ণগহবেরর তৃতীয় ও শেষ বৃত্ত অতিক্রমকালে যখন দেহের প্রতিটি অণু- পরমাণু বিশ্লেষিত হতে শুরু করে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কণায় কণায় কেবল তখনই , ঠিক তখনই কেবল তারা চিৎকার করে আকুতি জানায় আরো কিছুটা সময় চোখে চোখ রেখে চেয়ে থাকতে সুযোগ চেয়ে, ছায়াপথে দুজনে হাতে হাত রেখে হাঁটতে চেয়ে। মিনতি করে তারা নির্বাণ চায় অন্ধ ক্রোধ আর অর্থহীন দম্ভের কাছ থেকে। চুম্বনের স্বাদ নিতে ছুঁতে চায় সেই পুরোনো প্রতিপক্ষের ওষ্ঠ। কিন্তু মহাশক্তিশালী চৌম্বিক আকর্ষনের ফাঁদ এড়িয়ে তাদের চিৎকার, আকুতি, আবেগ কোনোটাই প্রতিধবনিত হয়না মহাকালের সুড়ঙ্গে। বাতিল অন্তর্বাসের মত অকেজো মায়া ভীষন ভুল সময়ে চিহ্নিত করে তারা।
জ্যামিতিক ত্রুটি? অথবা অসংলগ্ন গার্হস্থ্য?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৭
জাফরিন বলেছেন: হুম। নিঃসন্দেহে কঠিন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
কঠিন প্রশ্ন!!!