| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব ও মানবতা
রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।
বাদশাহ ইস্কান্দার। মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে তার। আর কিছুক্ষণ পরেই প্রাণপাখি উড়ে যাবে। বাদশাহ অনুভব করছেন, তার জীবনপ্রদীপ নিভু নিভু করছে। পাশেই বসে আছেন তার মা। মায়ের জন্য তার প্রচন্ড ভালোবাসা। তার মৃত্যুতে মা নিশ্চয়ই কাঁদবেন, বুকখানা তার হু হু করে উঠবে, পুত্রের বিরহে মায়ের আনন্দ হারিয়ে যাবে। বাদশাহ ইস্কান্দার মৃত্যুশয্যায় শুয়ে ভাবছেন তার মায়ের কথা।
তিনি মায়ের দিকে তাকালেন। বললেন, মা, আমার মৃত্যুর পর আপনি খুব স্বাদের খাবার রান্না করে রাখবেন। যারা আমার মৃত্যু সংবাদে আপনাকে সান্তনা দিতে আসবে, তাদেরকে বলে দিবেন, বাদশাহ ইস্কান্দারের শেষ আর্যি ছিল, এ খাবার শুধু তার জন্য যাকে কখনো দুঃখ বেদনা স্পর্শ করেনি। কেবল সে-ই যেন এখান থেকে খায়।’ এসব বলার কিছুক্ষণ পরেই পরপারে চলে গেলেন প্রতাপশালী বাদশাহ ইস্কান্দার। নিথর হয়ে পড়ে থাকলো তার সুঠাম দেহ।
প্রচন্ড শোক বুকে সয়ে মা তার সন্তানের শেষ ইচ্ছা পূরণে খাবার রান্না করলেন। তারপর জানিয়ে দিলেন, যার কখনো দুঃখ আসেনি, সে যেন এখান থেকে খেয়ে যায়।’
মানুষ আসছে। যাচ্ছে। কেউ খাবারের দিকে হাত বাড়াচ্ছে না। খালি মুখে চলে যাচ্ছে সবাই। ইস্কান্দার বাদশাহর মা তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার, তোমরা কেউ-ই খাচ্ছো না যে!
লোকেরা উত্তর দিল, ‘আমাদের মধ্যে কেউই তো এমন নেই যে দুঃখী নয়। আমাদের কারো মা নেই, কারো বাবা নেই, কারো পুত্র স্বজন নেই- সুতরাং দুঃখছাড়া আমরা কেউ নই।’
বাদশাহ ইস্কান্দারের মা বুঝে ফেললেন ঘটনা। কেন তাকে পুত্র বলেছিল এ খাবার রান্না করতে এবং কেনইবা এমন ঘোষণা দিতে। তিনি চোখ মুছতে মুছতে বললেন, আমার ছেলে মৃত্যুর পরও আমার কথা ভেবে সান্তনার জন্য এ ব্যবস্থা করে গেল। তোমাদের দুঃখ দেখে যেন আমারও দুঃখ হালকা হয়, এটাই ছিল তার উদ্দেশ্য।’
মায়ের দু চোখের কোণায় পুত্রগর্বে আনন্দের ঝিলিকমাখা অশ্র“জল চিকচিক করছে।
২|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৬
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: ভালো হৈছে
৩|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৮
ফেরারী৭৬৫ বলেছেন: ভালো লাগলো।
৪|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৩
বুড়ো বলেছেন: মনটাকে কিছুক্ষণের জন্যে আপ্লুত করে দিল।
৫|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৪
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: দারুণ!
৬|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৬
মানব ও মানবতা বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে ।
৭|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৬
কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: +++
৮|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: এত চমৎকার একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
৯|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
নীলতিমি বলেছেন: অসাধারন ![]()
১০|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
মৈত্রী বলেছেন:
বাদশা ইস্কান্দার কে ছিলেন??
১১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪২
এবি নেওয়াজ বলেছেন: nice
১২|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
আশফাক সুমন বলেছেন: গল্পটা কি সত্য ?
বাদশা ইস্কান্দার সম্পর্কে একটু জানতে চাই।
ধন্যবাদ এই চমৎকার কাহিনীর জন্য।
১৩|
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১১
কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: অসাধারণ...।
এই সব কাহিনীগুলো আজ শিশু-কিশোরদের পাঠ্যবইয়ে থাকলে কতই না ভাল হত!
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫০
মানব ও মানবতা বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে। ব্যস্ততার জন্য সবার উত্তর যথাসময়ে দিতে পারিনা, সেজন্য দুঃখিত।
১৪|
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:১৬
বাকাট্টা বলেছেন: ধার্মিক বাদশাহ সিকান্দার যুল্কারনাইনে(স্কান্দার/আলেকজান্ডার) এর জিবনী থেকে কি লিখা? আমি বহু আগে সিকান্দর যুলকারনাইনকে নিয়ে পড়েছিলাম। প্রায় একি কাহিনী।
দারূন
১৫|
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: +
১৬|
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
বিপদেআছি বলেছেন: ভালো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০২
উড়োজাহাজ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।