নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভরসার গান

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা

মানব ও মানবতা

রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।

মানব ও মানবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহসের হাসি কান্না- কিছু কথা কিছু ঘটনা

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

ঐ জানালার পাশে

হযরত আবু বকর ইবনে আইয়াশ (রহ.)। ইবাদত ও সাধনায় আত্মোৎসর্গকারী বুযুর্গদের মাঝে অন্যতম একজন।

জীবনের চল্লিশ বছর তিনি বিছানায় ঘুমাননি। কুরআন তেলাওয়াত ছিল তার প্রধান ও বিশেষ আমল।

মৃত্যুর আগে তার ছেলেকে ডেকে বললেন, দেখ, ঘরের ঐ কোণায় বসে আমি চল্লিশ হাজার বার কুরআন খতম করেছি। তাই ঐ জানালার আশে পাশে কখনো গোনাহ করো না।



ক্ষুধার্ত কুকুর এবং মালিক



আরবের কোন এক শাসকের ঘটনা। তিনি ছিলেন অত্যাচারী এবং জনগণের দিকে বেখেয়ালী। তার পরামর্শকদের কেউ একজন তাকে বলল, রাজ্যের মানুষ ক্ষুধার্ত, তারা অভাবী আর আপনি সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছেন, শাসক হিসেবে আপনার এমন জবরদস্তি কি ঠিক হচ্ছে?

তিনি বললেন, মনে রাখবে, কুকুর যতক্ষণ ক্ষুধার্ত ততক্ষণ মালিকের পেছন ঘুরঘুর করে। বেশি সায় দেয়া ঠিক না।



এর কিছুদিন পর আর সইতে না পেরে মানুষ ঐ রাজাকে মেরে ফেলল। ক্ষমতা চলে গেল অন্যের হাতে। রাজার ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখে ঐ পরামর্শক বলে উঠল, আহা মালিক! কুকুর বেশি ক্ষুধার্ত করে রাখলে শেষ পর্যন্ত উত্তেজিত হয়ে স্বয়ং মালিককেই চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। অতৃপ্ত জনতার বিক্ষুদ্ধ ক্ষুধা টের পেয়েও তাদেরকে তৃপ্ত করতে পারেননি তিনি। তাই আজ এ দশা।



অন্ধ এবং নির্লজ্জ

ইমাম আবু হানিফা। একদিন তিনি চলার পথে এক উলঙ্গ পাগলকে দেখে তার দৃষ্টি বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিজের দু চোখ বন্ধ করে ফেললেন। ইমামের এমন চোখবন্ধ দেখে পাগল চেঁচিয়ে উঠল, ইমাম সাহেব! আল্লাহ আবার কবে থেকে আপনাকে অন্ধ করে দিলেন?

চোখ বন্ধ করেই ইমাম আবু হানিফা তাকে জবাব দিলেন, কি আর করা! যখন থেকে তিনি তোমার লজ্জা কেড়ে নিলেন, তখন থেকেই।



কৃতজ্ঞতা এবং ধৈর্য

লোকটি দেখতে কালো। গঠনে খাটো। সুন্দর বলার মতো কিছু নেই তার গায়ে-গতরে। কিন্তু তাতে কী? ঘরে তার সুন্দরী বউ। যেমন তার গায়ের রং, তেমনই তার বুদ্ধি ও ধৈর্য। এ বেচারার ঘরে এমন গুণী স্ত্রী- আশেপাশের মানুষ তাকে এজন্য ঈর্ষা করে। মানুষের ঈর্ষা শুনে লোকটি মনে মনে সবসময় তার স্রষ্টাকে শোকরিয়া আদায় করে। তিনিই যে তাকে এমন পরম ভাগ্যবতী স্ত্রী দান করেছেন।

লোকটির স্ত্রী একদিন তাকে বলল, তুমি কি জানো যে আমরা দুজন-ই জান্নাতী?

অবাক হয়ে বেচারা জিজ্ঞেস করল, কীভাবে? খুলে বলো তো।

সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতি স্ত্রীর উত্তর, এই যে দেখো, তোমার মতো কালো মানুষের ঘরে আমার মতো সুন্দরী বউ- এজন্য তুমি সবসময় শোকরিয়া আদায় করছো। আবার তোমার মতো একজন বেচারা স্বামী পেয়ে আমি ধৈর্য ধরে জীবন চালিয়ে নিচ্ছি- সুতরাং তুমি শোকরগুযার বান্দা আর আমি ধৈর্যশীলা নারী। এ দু প্রকার মানুষের জন্যই আল্লাহ পাক জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছেন। কাজেই চিন্তা কী!

বেচারা স্বামী তার সুন্দরী স্ত্রীর কথা ও কাজে সবসময় মুগ্ধ এবং লজ্জিত। মুখে তার কৃতজ্ঞতার হাসি।



আগের কয়েকটি পর্ব

কান্না মানেই সে নিদোর্ষ হওয়ার প্রতীক নয়



মৃত্যুর পরও মায়ের জন্য সান্তনা

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

বোকামানুষ বলেছেন: শিক্ষা নেয়ার মতো ঘটনা

অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

+++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.