নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভরসার গান

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা

মানব ও মানবতা

রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।

মানব ও মানবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগারদেরকে গ্রেফতার- আমার অনুভূতি ও অবস্থান

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

নাস্তিকতা এবং অহংকার একই ধরণের মানসিক রোগ। অহংকারী নিজেও টের পায় না, সে কত ভয়াবহ ব্যধিতে আক্রান্ত। ঠিক নাস্তিক নিজেও জানেন না তিনি কত মূর্খ। আজকের আধুনিক এ শতাব্দীতে মূর্খতার নতুন সংস্করণ এ নাস্তিকতা। পৃথিবীর প্রথম মানব ছিলেন প্রথম নবী। তাকে আদম বলি কিংবা এডাম বলি। তিনিই প্রথম মানুষ, প্রথম নবী। সুতরাং মানবস¤প্রদায়ের পথচলা শুরু হয়েছে ধর্মের সাথে। এ দুটোর সূচনা একই সময়ে।



গত কয়েকশ বছর পর্যন্ত এ পৃথিবীতে কেউ নিজেকে নাস্তিক দাবী করেনি। এক অদৃশ্য শক্তির অস্তিত্বে বিশ্বাসী ছিলেন সবাই। কেউ তাকে লা শরীক মেনেছে, কেউ শরীক সাব্যস্ত করেছে। কেউ তাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডেকেছে, নানা ভাবে তার আরাধনা-উপাসনা-ধ্যানে মগ্ন হয়েছে। এজন্যই প্রায়সব ধর্মগ্রন্থে স্রষ্টার একক ক্ষমতা বিষয়ে নানা প্রমাণ ও নির্দেশনা বর্ণিত হলেও স্বয়ং স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ বিষয়ে খুব বেশি কিছুর বর্ণনা নেই। কারণ সৃষ্টির পেছনে স্রষ্টা থাকবেন, এ নিয়ে দ্বিধা অন্তত মানবসমাজের থাকার কথা নয়। পৃথিবীর সব পড়াশোনা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণা গিয়ে এক জায়গায় থেমে যায়, অদৃশ্য কিছু একটা অবশ্যই আছে, এ উত্তর মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন অজস্র জ্ঞানী বিজ্ঞানী।



মানুষের স্বভাবের স্বাভাবিক এ বৈশিষ্ট্য থেকে বিচ্যুত হয়ে শুরু হল নাস্তিকতা। প্রকৃতি থেকে সব হচ্ছে বলে যারা এ নতুন উল্টো পথে হাঁটা ধরলেন, তারা কখনও উত্তর দিতে পারেনি, তবে প্রকৃতি কীভাবে হলো? বাবা কিভাবে ছেলের চেয়ে বড়- এ প্রশ্ন যেমন অবান্তর, স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে সব সংশয় এর চেয়েও বেশি অবাস্তব। অসম্পূর্ণ জ্ঞান কিংবা বিবেক অথবা নিজেকে একটু আলাদা জাহির করার উদ্ভট খায়েশ ছাড়া নাস্তিকতার অন্য কোন উৎস নেই।



নাস্তিকতা একটি রোগ কিংবা পাগলামো, যাই হোক, তা নিয়ে আমার বা আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই। সমাজের রাস্তাঘাটে অনেক পাগল উন্মাদ ঘুরে বেড়ায়, আমরা তাদেরকে নিয়ে কখনো ভেবে দেখিনি। কিন্তু কেউ যদি অন্যকে আঘাত করে, চাই সে পথের ভিখারী হোক, কিংবা রাস্তার পাশে অসহায় পাগল হোক, আমরা তার হাত আটকে ধরবো। মুখ চেপে ধরবো।



তোমার যা খুশি, তুমি তা নিয়ে বাঁচো কিংবা মরো, তাই বলে আমার ধর্মের গন্ডিতে ঢূকে ফাজলামো করার স্পর্ধা তোমায় কে দিয়েছে? তুমি আমার বিশ্বাসের সীমানায় এসে হাডুডু খেলবে, আমি পেছনে সরে যাবো, এর নাম উদারতা নয়। তোমার মুখে আমার মানুষদেরকে নিয়ে গালি শুনে চুপ করে থাকবো, এর নাম বাকস্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা নয়। তুমি গাঁজা ভন খেয়ে ব্লগে যা খুশি তা লিখো, কিন্তু সেটি যেন আমার অনুভূতিকে আহত না করে। তুমি তোমার নিজেকে গালি দাও, গোষ্ঠী উদ্ধার করো, কিন্তু সেই বিষ যেন আমার সীমানায় দুর্গন্ধ না ছড়ায়।



এসব আমার অনুভূতি। এ অনুভূতি লালন করি বলেই ধর্মদ্রোহী ব্লগারদের গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি। পাশাপাশি যারা ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে এখানে ওখানে উত্তেজনা দেখায়, প্রোপাগান্ডা ছড়ায়, সেইসব রাজনৈতিক ধর্মীয় ব্লগারদেরকেও আমি ঘৃণা করি। এটাই আমার অবস্থান।



আমি আশা করবো, হিন্দু বৌদ্ধ কিংবা খৃষ্ট ধর্ম নিয়েও এ ব্লগে যদি অশোভন কোন পোস্ট থেকে থাকে, সেগুলোও যেন ব্যান করা হয় এবং ঐসব ব্লগারদেরকেও যেন গ্রেফতার করা হয়। চাই তিনি কোন আল্লামা কিংবা যে কেউ হোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.