নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভরসার গান

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা

মানব ও মানবতা

রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।

মানব ও মানবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ইমামের বিস্ময়কর জীবনযাত্রা! কী ছিলনা তার জীবনে!!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২২

তার বার্ষিক আয় ৮০ হাজার স্বর্ণমুদ্রা।

নীলনদের সাগরবুকে তিনি তিনটি সুরম্য জাহাজ নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন।

তার ইশারায় চলে যেত গভর্নর আর প্রধান বিচারপতির পদ।

অথচ তিনি একজন ইমাম! একজন আলেম, একজন ফিকাহবিদ।

ভাবছেন- পাঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম!!

ভুল ! এক বিস্ময়কর মানুষের জীবনকাহিনী নিয়ে এ লেখা।







.........................................







ইসলামের মহামনিষীদের মধ্যে তিনিও একজন। ইসলামী ফিকহ ও শরীয়তের ইমামদের মধ্যে তিনিও অন্যতম। মেধা ও জ্ঞানে শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে অনেক উঁচুতে তার নাম। মর্যাদা ও প্রভাব এবং প্রজ্ঞা ও প্রতাপে তার তুলনা তিনিই। অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিকহ এবং ইজতিহাদে তার অবস্থান ইমাম মালেকের সমমান। মদীনার জন্য যেমন ইমাম মালেক, মিসরের জন্য তেমনি তিনি। ইমাম মালেকের উপস্থিতিকালে কেউ ফতওয়া দিতো না মদীনায়। মিসরেও সেই এক অবস্থা তার বেলায়। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন- তার জীবদ্দশায় তার মতামতকে স্বতন্ত্র মাযহাব হিসেবে ধরা হতো, তৎকালের ফকীহদের কাছে সেটি স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি নতুন মাযহাব হিসেবে বিবেচিত হতো।



ইসলামী শরিয়তের সুগভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় এমন অতুলনীয় অবস্থানের পাশাপাশি তিনি অন্য এক ভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন তৎকালের দুনিয়ায়। মানুষ তাকে চিনতো অন্য সম্বোধনে, ভিন্ন উপাধীর রাজমুকুটে।



তার সে পরিচয়- তিনি একজন ধনবান পুরুষ, সম্পদশালী ধনকুবের। সেইসাথে একজন মহান দাতা ও উদার ব্যক্তিত্ব। এসব কারণেই তিনি মিশরের সুশীল সমাজ এবং সাধারণ মানুষের প্রিয়মুখ, সবার আস্থা ও নির্ভরতার পুরুষ। তার আদেশ নির্দেশ গোটা মিসরের প্রধান বিচারপতির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। খোদ মুসলিম জাহানের খলিফা তাকে সমীহ করেন। তার বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ছিল আশি হাজার স্বর্ণমুদ্রা। অথচ বিস্ময়ের ব্যাপার হলো- তৎকালে এত প্রচুর পরিমাণ উপার্জন সত্বেও জীবনে কোনদিন তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয়নি। বছর শেষ হওয়ার আগেই তার সব অর্থ ও সম্পদ ফুরিয়ে যেত অবেলায়।



তার সকাল শুরু হতো সমাজের নেতা এবং দেশ ও সাম্রাজ্যের আমীর উমারাদেরকে সাক্ষাত দিয়ে, নিয়মিত তারা আসতেন তার কাছ থেকে পরামর্শ করতে। তারপরের মজলিস হতো হাদীসের। তিনি হাদীস পড়াতেন, সনদ বর্ণনা করতেন। তারপরের মজলিস ফিক্বহ শেখা-শেখানোর দরস। মুসলিমদুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে অজস্র অগণন ছাত্র তার কাছে পড়তে আসতো, এরা সবাই ছিলেন তোলাবা এবং একই সাথে তার মেহমান। দিনের সর্বশেষ মজলিস হতো অসহায় মানুষদের জন্য। সেখানে তিনি একজন ভিন্নপুরুষ। দিনভর ইলমের ভান্ডার বিতরণ শেষে তিনি বসতেন দিরহাম-দীনারের বন্টনে। হতভাগা মানুষের মুখে প্রাপ্তির আনন্দদৃশ্য দেখে তার দিনের ব্যস্ত কর্মসূচীর সমাপ্তি হতো।



এই মহাপুরুষের নাম- লাইছ বিন সাদ। ৯৪ হিজরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন মিসরে। সম্ভ্রান্ত এবং ধনবান পরিবারে তার জন্ম হলেও এসব ঐশ্বর্য তাকে ইলম শেখা এবং দূর দূরান্তে এর অন্বেষণে সফর করা থেকে আটকাতে পারেনি। চাইলে তিনি আনন্দভ্রমণে গা এলিয়ে দিতে পারতেন, কিন্তু না! তিনি সব কষ্ট সয়ে হাজির হয়েছেন সেকালের বড় বড় শায়খ-মুহাদ্দিস-ফকীহের কাছে। তিনি ইলম শিখেছিলেন আতা বিন আবি রাবাহের কাছে, হিশাম বিন ওরওয়ার হাতে, কাতাদার দরবারে। তিনি তার দেশ মিসর পেরিয়ে হেজায, ইরাকসহ নানা অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছেন ইলমের সন্ধানে।

এভাবেই একসময় তিনি পূর্ণতায় পৌঁছলেন। ইলমের স্বর্ণশিখরে তার আরোহণ সমুন্নত হল। ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমদ বিন হাম্বলসহ তৎকালের শীর্ষ মাশায়েখ এবং ইমামরা তার প্রজ্ঞার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে অন্য অনেকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলেছেন। তারা বলতেন, ঐ যুগে লাইছের চেয়ে বড় ফকীহ আর কেউ ছিল না।



তার গুণ-গরিমায় মুগ্ধ মুসলিম জাহানের তৎকালীন খলীফা মনসুর। তিনি তাকে মিসরের শাসক হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। ফক্বীহ লাইছ বিন সাদ সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন। খলীফার পীড়াপীড়িতে তিনি উছমান বিন হাকামকে শাসক করার জন্য পরামর্শ দিলেন। অবাক বিস্ময়ের ঘটনা হল, উছমান যখন জানতে পারলেন- লাইছ বিন সাদ নিজে এ পদ না নিয়ে তাকে এ পরীক্ষায় ঠেলে দিয়েছেন, রাগ ও অভিমানে তিনি আর কোনদিন তার সাথে কথা বলেননি। কেন লাইছ তাকে এমন কঠিন দায়িত্বের মধ্যে তাকে বিপদগ্রস্ত করলেন- এই ছিল উছমানের অভিযোগ! আমাদের পূর্বসুরী ইমামদের কি অপূর্ব দুনিয়াবিমুখতা!



লাইছ বিন সাদ বাগদাদ যাচ্ছেন। খলিফার জরুরী নির্দেশ এসেছে বাগদাদের গর্ভণরের কাছে, ‘লাইছ বিন সাদ যে কদিন বাগদাদে থাকবেন! আপনি গর্ভণর ইয়াকুব তার সাথে সাথে থাকবেন! তার সেবায় মনোযোগী থাকবেন! এটা খলীফার আদেশ!!’



লাইছ যতদিন বেঁচে ছিলেন, খলীফা পদে পরিবর্তন হয়ে বেশ কয়েকজন মুসলিম সাম্রাজ্য শাসন করেছেন। কিন্তু তাদের সবাই লাইছ বিন সাদকে সমীহ করতেন। শ্রদ্ধা ও বিনম্র ভালোবাসায় তাকে সম্মান জানাতেন। ইতিহাসরে প্রসিদ্ধ বাদশাহ হারুনুর রশীদ একবার তাকে বলেছিলেন, বলুন, আপনি আমার কাছে কী চান!’

ইমাম লাইছ তাকে হাসিমুখে বললেন, মুহতারাম খলীফাতুল মুসলিমীন! নিজের ব্যাপারে আমার কিছুই চাওয়ার নেই। আল্লাহ পাক আমাকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট দিয়েছেন। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীন সমস্যা সমাধানে আপনি পদক্ষেপ নিবেন, নীল নদের ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন আর মিসরের শাসকের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখবেন- এর চেয়ে বেশি কিছু আমার চাওয়ার নেই।’ বিনম্র ভঙ্গিতে বাদশাহ তাকে জানালেন, মিসরের শাসক-গর্ভণর কিংবা প্রধান বিচারপতির যে কোন বিষয়ে আপনি সন্দিহান হলে আমাকে জানাবেন, আমি তাকে বরখাস্ত করব।



এর কিছুদিন পর ওয়াকফ সংক্রান্ত একটি বিষয়ে মিসরের কাযী ইসমাঈল বিন ইয়াসা’ একটি বিতর্কিত মতকে গ্রহণ করলেন। ব্যাপারটি জানিয়ে ফক্বীহ লাইছ বিন সাদ বাদশাহ হারুনুর রশীদকে জানালেন। চিঠি পাওয়ামাত্র হারুনুর রশীদ মিসরের কাযীকে অপসারণ করলেন তার পদ থেকে। বরখাস্তের নোটিশ পেয়ে কাযী জানতে পারলেন, ইমাম লাইছ বিন সাদ ব্যাপারটি খলীফার কাছে জানিয়েছেন। সেজন্যই তার এই অপসারণ।

সেদিনই গিয়ে হাজির হলেন তিনি ইমাম লাইছ বিন সাদের দরবারে। সসম্মানে সালাম জানিয়ে মিসরের সদ্য বরখাস্ত হওয়া প্রধান বিচারপতি অনুতপ্ত হয়ে আরয করলেন, ‘আপনি কষ্ট করে খলীফাকে জানিয়ে কষ্ট করতে গেলেন কেন! আল্লাহর কসম! আপনি আমাকে বললেই আমি পদত্যাগ করতাম।’ এমনই ছিল তার প্রভাব! তার সম্মান!

আরেক খলীফা আবু মানসুর। তিনি তাকে বলছেন, আপনার মেধা ও প্রজ্ঞা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনার মতো মানুষ আমার রাজ্যে বাস করছেন- এজন্য আমি আল্লাহ পাকের প্রশংসা করছি।



তিনি যখন সমুদ্র ভ্রমণে বের হতেন, কায়রো থেকে আলেকজান্দ্রিয়া পর্যন্ত ঘুরে বেড়াতেন নীলনদের বুকে। তার সাথে তিনটি সুবিশাল সুসজ্জিত জাহাজের সুনিয়ন্ত্রিত বহর। প্রথম জাহাজে তিনি এবং তার শিষ্য ও অতিথিরা, দ্বিতীয় জাহাজে তার পরিবারের সদস্যরা, সর্ব পেছনের জাহাজে তার খাদেম এবং বাবুর্চিরা। কায়রোর লোকজন সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো তাদের দেশ ও জাতির গর্বের ধন ইমাম লাইছ বিন সাদের এর অপূর্ব সমুদ্রযাত্রার দিকে।



তার একান্ত সহচর আব্দুল্লাহ বিন সালেহ বলেন, আমি ইমাম লাইছ বিন সাদের সাহচর্যে ছিলাম প্রায় বিশবছর। তিনি কখনো অনেক মানুষকে একসাথে না নিয়ে খেতে বসতেন না। বিচিত্র পদের সুস্বাদু রান্নার পরিবেশন থাকতো তার আয়োজনে। তার কাছে পড়তে আসা সব ছাত্র এবং শিষ্য তার খরচেই থাকতো এবং খাওয়া দাওয়া করতো। তিনি তাদের প্রত্যেককে সহায়তা দিতেন, স্নেহ করতেন। শীত ও গ্রীস্মকালে মধু এবং মাখন-ঘি দিয়ে তৈরী নানারকমের হালুয়া মিষ্টি খেতে পছন্দ করতেন। বন্ধু-বান্ধব এবং এলাকার মানুষদের কাছে খাবার পাঠাতেন।



তৎকালের বিভিন্ন শায়খ এবং ইমামদের কাছে তিনি হাদিয়া পাঠাতেন। কাউকে নিয়মিত অর্থসহায়তা দান করতেন। প্রায় সময় ইমাম মালেকের জন্য একশ দীনার করে হাদিয়া পাঠাতেন লাইছ বিন সাদ। একবার ইমাম মালেক তার কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন, তিনি সাথে সাথে পাঁচশ স্বর্ণমুদ্রা পাঠিয়ে দিলেন। আরেকবার মেয়ের বিবাহ উপলক্ষে কিছু হলুদধরণের দ্রব্য পাঠাতে অনুরোধ জানালেন ইমাম মালেক, ঐ সময় তা ছিল অনেক দামী এবং সর্বসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ইমাম মালেকের মেয়ের বিবাহের সংবাদ পেয়ে লাইছ বিন সাদ ত্রিশটি উট বোঝাই করে ইছফির পাঠিয়ে দিলেন। বিয়ের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবহার করার পর কিছু অংশ বিক্রি করা হলো- এর মূল্য ছিল পাঁচশ স্বর্ণমুদ্রা। এরপরও কিছু অংশ অবশিষ্ট রয়ে গেল ইমাম মালেকের কাছে। ইবনে লাহিয়া নামে তার এক মুহাদ্দিস বন্ধুর ঘর আগুনে পুড়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে লাইছ বিন সাদ তার জন্য পাঠিয়ে দিলেন এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা।



এক মহিলা তার কাছে এসে জানাল, তার স্বামী অসুস্থ এবং ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের জন্য তার এক পেয়ালা পরিমাণ মধু প্রয়োজন। ইমাম লাইছ বিন সাদ মহিলাকে বললেন, আমার সহকারীর কাছে যাও। সহকারী এসে জানতে চাইল- কতটুকু মধু মহিলাকে দেওয়া হবে? লাইছ বিন সাদ তাকে বললেন, ঐ মহিলাকে একশ বিশ রিতল মধু দিয়ে দাও। সে তার মতো করে চেয়েছে, আমি আমার মতো করে দিয়েছি। (এক রিতল প্রায় দেড় লিটার)



এলাকার কিছু লোক তার কাছ থেকে একটি বাগান কিনেছিল। বাজারে মন্দা দেখে তারা এসে লজ্জিত হয়ে ইমাম লাইছ বিন সাদের কাছে বাগানটি ফেরত নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালো। তিনি সাথে সাথে বাগানটি ফিরিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে ডেকে পঞ্চশ স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে দিলেন। তারপর বললেন, বেচারারা লাভের আশায় বাগানটি কিনে বিক্রি করতে চেয়েছিল, তারা তা পারলো না। তাই ওদের সান্তনার জন্য কিছু পয়সা এমনিই দিয়ে দিলাম।



প্রিয় পাঠক, ইমাম লাইছ বিন সাদের বিস্ময়কর জীবনযাত্রা এবং তার অনুপম আদর্শের সমুদ্র থেকে সামান্য কিছু নমুনা তুলে ধরা হলো। তিনি ইলম শিখেছিলেন এবং শিখিয়েছিলেন। সম্মান এবং মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেও তিনি ছিলেন বিনয়ী এবং পরোপকারী। বাদশাহ-খলীফাদের সাথে তার সম্পর্ক থাকার পরও তিনি কোনদিন সেসব কাজে লাগাননি। ধন ও ঐশ্বর্যে প্রবাদপুরুষ হয়েও তিনি তার সাথী ও সহকর্মী এবং শিষ্য ও অসহায় মানুষদেরকে ভুলে থাকেননি। যেভাবে তিনি ইলম দান করেছেন অসংখ্য ছাত্রের মাঝে- তেমনি তার সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছেন অসহায় দরিদ্রের দুয়ারে। কুতাইবা বলেন, ইমাম লাইছ বিন সাদ প্রতি ওয়াক্তে নামাজের আগে-পরে তিনশ ফকীর-মিসকীনকে দান করতেন।



১৭৫ হিজরীর শাবান মাসের ১৪ তারিখ, বৃহস্পতিবার। ৭৯১ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখ। একাশি বছরের বর্ণাঢ্য এবং ঈর্ষনীয় জীবন শেষে তিনি পরপারে বিদায় নিলেন। তার জানাযায় যে বিপুল জনসমাগম হয়েছিল, এমন দৃশ্য তখনকার মানুষ এর আগে কিংবা পরে আর দেখেনি। লাইছ বিন সাদের মৃত্যুতে অগুণতি মানুষের কান্না এবং সমবেতদের বিনম্র ভালোবাসা দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি ছিলেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারের আপনজন। একজন অপরজনকে জড়িয়ে কাঁদছিল, তাদের সবার মুখে একই ধ্বনি, এমন মানুষ আমরা আর কোথাও পাবো না! মিসরের গভর্নর মূসা বিন ঈসা তার জানাযার নামাজ পড়িয়েছিলেন।



মিসরের কারাফা ছোগরায় ছাদাফিইয়ীন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।









বিনা অনুমতিতে লেখা কপিপেস্ট না করার অনুরোধ থাকলো।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৫

মোমের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ। একজন বুজুর্গ মানুষের জীবনি তুলে ধরার জন্য।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

মানব ও মানবতা বলেছেন: একজন বুজুর্গ মানুষকে জানলাম! এটুকুই! খালি কি বুজুর্গী দেখলেন! আর কিছু না! তার জ্ঞান, প্রজ্ঞা, প্রভাব ও দানশীলতা- এ সবকিছুকে শুধু বুজুর্গের চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন!!

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মুেমরমানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ। একজন বুজুর্গ মানুষের জীবনি তুলে ধরার জন্য

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

মানব ও মানবতা বলেছেন: একজন বুজুর্গ মানুষকে জানলাম! এটুকুই! খালি কি বুজুর্গী দেখলেন! আর কিছু না! তার জ্ঞান, প্রজ্ঞা, প্রভাব ও দানশীলতা- এ সবকিছুকে শুধু বুজুর্গের চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন!!

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন:
ধন্যবাদ। একজন বুজুর্গ ব্যাক্তিকে জানলাম আজকে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

মানব ও মানবতা বলেছেন: একজন বুজুর্গ মানুষকে জানলাম! এটুকুই! খালি কি বুজুর্গী দেখলেন! আর কিছু না! তার জ্ঞান, প্রজ্ঞা, প্রভাব ও দানশীলতা- এ সবকিছুকে শুধু বুজুর্গের চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন!! আপনারা একই মন্তব্য কপি করেছেন। আমিও একই উত্তর কপি করলাম।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৯

স্বপন খাঁন বলেছেন: দারুন িলেখেছন

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৯

স্বপন খাঁন বলেছেন: দারুন িলেখেছন

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৬

লেজ কাটা শেয়াল বলেছেন: Eita kicu oilo?
Onara bollen ekjon bujorger bepare janlen, r apni bollen khali bujurgi dekhlen!
Tobe ki apnar poster poriman cmnt krte hobe?

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৩

শফিকুর রহমান শাহজাহান বলেছেন: আপনার প্রতিটি লেখাই আমাকে আকর্ষন করে . আল্লাহ আপনাকে এভাবে লিখে যাওয়ার তৌফিক দান করুন

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪১

ঘর জামাই বলেছেন: এরকম একজন বুজুর্গের জীবনী পড়ে ভালই লাগলো ।
দয়া করে আরো বুজুর্গবানদের জীবনী লিখে আমাদেরকে জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ দিবেন ।

আল্লাহ আপনাকে সুস্বাস্থ্য দান করুন ।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৯

জেনো বলেছেন: পোস্ট ভাল লাগল।
ভাই 'বুজুর্গী' মানে কি? বুঝলাম না।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৫

মানব ও মানবতা বলেছেন: আমাদের পরিভাষায়, বুজুর্গ মানে সম্মানিত। সাধারণত যারা ইবাদতে লিপ্ত , তাদেরকে বুজুর্গ বলা হয়। বুজুর্গ শব্দটি মূলত ফার্সি। এর অর্থ বড়।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৪

নাজ_সাদাত বলেছেন: এটা পড়ুক তথাকথিত মুক্তচিন্তার ধারক-বাহকরা। যে সমাজে নেতা হতে গেলে একজন মহিলাকে শরীর দান করতে হয়। আর মুসলিমসমাজে অবলীলায় রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার আবেদন ত্যাগ করলেন যে মানুষ তাকে এই কঠিন সময়ে তুলে ধরে সঠিক কাজ করলেন।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৭

টিনের বাড়ী বলেছেন: বর্তমান আলেমদের সাথে আগেরকার আলেমদের এই পার্থক্য যে উনারা দুনিয়া বিমুখ ছিলেন কিন্তু বর্তমান আলেমরা চরম দুনিয়ামুখি । যার কারনে ছবি তুলে , বেপর্দা হয়ে , হারাম গনতন্ত্র করেও তাদের ক্ষমতায় যাওয়া চাই - ই চাই ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫১

মানব ও মানবতা বলেছেন: আগেরকার ভদ্র মানুষদের চেয়ে এখনকার ভদ্র মানুষদের পার্থক্য হল- তারা নিজেদের দোষ আগে দেখতেন। আমরা অ্ন্যদের দোষ খুঁজে বেড়াই। আলেমদের সমালোচনা করতে ভালোবাসি।

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
গুড জব তামীম ভাই...

চালিয়ে যান...

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:

জাজাকাল্লাহ্।

আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমল কারার তৌফিক দিন আমিন।

ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.