নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভরসার গান

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা

মানব ও মানবতা

রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।

মানব ও মানবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাতার থেকে বলছি-০১

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

কাতারে আমি এখন যে এলাকায় থাকছি, এটির নাম ফিরিজ কুলাইব। বিশ্বখ্যাত চ্যানেল আলজাজিরার প্রধান কার্যালয়ের ঠিক বিপরীতে আমার বাসা। বাসা বলতে একটি দু তলা ভবনের ছাদে একটি রুম। সঙ্গে রান্নাঘর এবং বাথরুম। আমি একা থাকি এই রুমে। মধ্য আকারের এই রুমটির জন্য মাস শেষে আমাকে গুনতে হয় দু হাজার কাতারি রিয়াল, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। বিদ্যুত বিল আরও ৫০ রিয়াল বা ১ হাজার টাকা। ইন্টারনেট বিল ২০০ রিয়াল বা সাড়ে চার হাজার টাকা। কাতারে গত কয়েকবছরে বাসাভাড়া অতিমাত্রায় বেড়েছে। প্রতিদিন বিদেশি অভিবাসীরা আসছেন এই দেশে। কিন্তু সেই অনুপাতে রুম নেই। ফলে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন বাড়ির মালিকরা। দেদারসে ব্যবসা চলছে বাড়িভাড়া খাতে। এ মাধ্যমে ভারতীয় ও বাংলাদেশি দালালরা দু হাতে অর্থ কামাচ্ছেন। কাতারি নাগরিকরা বাড়ি ভাড়া দিতে চাইলে সেটি বার্ষিক চুক্তিতে তুলে দেয় কোনও বাংলাদেশি বা ভারতীয় দালালদের কাছে। এরপর দালালরা সেখানে বড় রুমগুলোতে পার্টিশন দিয়ে ছোট ছোট রুম বানিয়ে ভাড়া দেয়। কাতারের আইনে কোনও ভবনে এমন পার্টিশন দিয়ে রুম তৈরি করা অবৈধ। কিন্তু অবাধে চলছে এই অবৈধ বাণিজ্য।
ঢাকায় আমার বাসা রামপুরায়। বিটিভি অফিসের পাশ দিয়ে প্রতিদিন আমাকে যাতায়াত করতে হতো। রামপুরা বনশ্রি পার হয়ে আমার বাসা। ঢাকায় থাকাকালে যেমন প্রতিদিন বিটিভির অফিস দর্শন হতো, কাতারেও ঠিক তেমনি প্রতিদিন আলজাজিরার অফিস দেখা হচ্ছে। এটা একটা মিল। আবার ঢাকায় প্রতিদিন বিটিভির অফিস দেখা হতো, কিন্তু বিটিভি দেখা হতো না। কাতারে প্রতিদিন আলজাজিরার অফিস যেমন দেখছি, তেমনি রোজ রাতে তাদের খবর দেখে ঘুমোতে যাই। এখানেই পার্থক্য। আলজাজিরা কাতারের রাষ্ট্রীয় চ্যানেল নয়, কিন্তু আমির পরিবারের সমর্থন ও সহযোগিতায় এটি এখন বিশ্বের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সংবাদমাধ্যম। আলজাজিরার লোগোর বর্তমান যে রূপ, এর কারিগর একজন বাংলাদেশি ক্যালিগ্রাফার। তাকে নিয়ে আমার অনুলিখন ছাপা হয়েছিল প্রথম আলোয়।
কাতারে এখন বাস করছেন প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি। এঁদের অধিকাংশই নির্মাণশ্রমিক। অর্ধশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত অনেকেই। বাংলাভাষা পড়তে জানেন না, এমন শ্রমিকের সংখ্যাও কম নয়। আরবি বা ইংরেজি তো দূরের কথা। ফলে শ্রমিক হিসেবে কাতারে এসে চার-পাঁচ বছর থেকে অর্থ উপার্জনটুকুই হচ্ছে কেবল, জ্ঞানের দীনতা রয়ে যাচ্ছে সেই আগের মতোই। কাতারের বাংলাদেশ কমিউনিটি বা দূতাবাসের এসব নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। অজ্ঞতা এবং অসচেতনতার কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অনেকে যেমন বঞ্চনা ও প্রতারণার শিকার হন, তেমনিভাবে কিছু বাংলাদেশি বণিক শ্রেণি এদের ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে নিচ্ছে। এমন স্বার্থপর কমিউনিটি কাতারে আর কোনও দেশের নেই, তা আমি হলফ করে বলতে পারি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!আমরা বাঙালিরা এরকমই!কাতার থেকে আরো চমৎকার চমৎকার শিক্ষনীয় পোস্ট করবেন আশা করি!ভালো থাকুন!

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরো লিখবেন
শুভ কামনা :)

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

আলী বলেছেন: ভাই কাতার যাইবাম নিয়া যাইবেন?
প্রার্থনা করি ভালো থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.