![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।
আরবদুনিয়ার বীর বাহাদুর মরহুম সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে একটি বই লেখার স্বপ্ন প্রবলভাবে পুষছি দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু হাতে জমে থাকা অসমাপ্ত কয়েকটি বইয়ের কারণে তা আর হয়ে উঠছে না। তবুও সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে আমার পড়া অসংখ্য রচনা ও ঘটনা থেকে একটি আজ তুলে ধরছি পাঠকের সামনে।
ইরাকের সর্বশেষ স্বাধীন শাসক সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরাকে তাদের দূতাবাস চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে আমেরিকার হঠকারিতার উপর এক সূক্ষ প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পেলেন সাদ্দাম। তিনি বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সামনের রাস্তাটির পুরনো নাম বদলে নতুন নামকরণ করলেন ফিলিস্তিন স্ট্রিট নামে। আর পেছনের সড়কটির নামকরণ করে দিলেন আলকুদস স্ট্রিট নামে। যাতে মার্কিন দূতাবাসের ফিলিস্তিনবিদ্বেষী কর্মকর্তারা তাদের রাষ্ট্রীয় ও দাপ্তরিক সব কাগজপত্র ও চিঠিপত্রে প্রতিদিন অসংখ্যবার দূতাবাসের ঠিকানা লেখার সময় ফিলিস্তিন শব্দটি লিখতে বাধ্য হয়। সামনের মূল সড়কের ঠিকানা এড়িয়ে পেছনের সড়কের নামও যদি তারা লিখতে চায়, তাতেও যেন আলকুদস লিখতে হয় তাদের। ইরাকের বাগদাদে কর্মরত মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের ইসরাইলপ্রেমের উপর এমন সুকৌশলী আঘাতের এই জ্বালা দীর্ঘদিন সয়েছেন নিরবে নিরবে।
আজ সাদ্দাম হোসেন নেই। কিন্তু তার এমন বুদ্ধিদীপ্ত ও বীরোচিত নানা কর্মকান্ড তাকে অমর করে রেখেছে আমার মতো অসংখ্য মানুষের নয়নে নয়নে।
©somewhere in net ltd.