![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
..................বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা ৷৷ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
:বাহাই ধর্ম:
ইরানী মুসলমান মির্জা হুসেন আলি নুরি (১৯৪৪-১৮৯২) বাহাই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ৷ এটি ইসলাম ধর্মের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পিত ৷ এই ধর্মের অনুগামীদের মতে মুহাম্মদ (সাঃ)-দের প্রধান ১২ জন ঈমামের দ্বাদশ ঈমাম ছিলেন বাব ( শব্দটির অর্থ যথার্থ বিশ্বাসের পথ ) ৷ নবম শতকের এই ঈমাম শেষ জীবনে নিরুদ্দিষ্ট হন ৷ ধর্মীয় বিশ্বাস মতে ( খ্রিস্ট বা যিশুর মত ) বাবও মুক্তিদাতা ত্রাণকর্তা (Messiah )-রূপে পুনরায় আবির্ভূত হবেন-এরূপ কিংবদন্তী প্রচলিত ছিল ৷ মির্জা হুসেন আলি নুরি
তদনুসারে মুহাম্মদের বংশধর মির্জা হুসেন আলি স্বয়ং বাবরূপে নিজেকে ঘোষণা দেন ৷ তাঁর নতুন নাম হয় বাহাউল্লা তদনুসারে তার ধর্ম বাহাই ৷ বাব-এর অনেক অনুগামীও জুটে যায় ৷ কিন্তু তৎকালীন ইরানী শাসক তার এই ঘোষণায় ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে বন্দী করেন এবং প্রাণদন্ডের আদেশ দেন ৷ বাব-এর প্রাণদন্ডকে কেন্দ্র করে নানা অলৌকিক রহস্য প্রচার করা হয়- বারবার গুলি করেও তাঁকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি ইত্যাদি ৷ মৃত্যুর পূর্বে তিনি ঘোষণা করেন যে তাঁর মৃত্যুর পর নতুন ত্রাণকর্তার আবির্ভাব হবে এবং তিনি বিশ্বব্যাপি এক ধর্মের প্রতিষ্ঠা করবেন ৷
ইরানের সম্রাট শাহ-র প্রাণনাশের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বাহাউল্লা ও তার অনুগামীদের ইরান থেকে নির্বাসিত করা হয় ৷ তারপর বাহাউল্লা প্যালেস্টাইনে এসে উপস্থিত হন ৷ সেখানে বহু মুসলমান তাঁর অনুগামী হন ৷ এখানেই বাহাউল্লার তিনটি গন্থ প্রকাশিত হয় এবং এগুলি বাহাই-এর ধর্মগ্রন্থরূপে মর্যাদা লাভ করে ৷ প্যালেস্টাইনে অবস্থানকালেই বাহাউল্লার ইঊরোপ ও আমেরিকার অনেক রাস্ট্রপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ ১৮৯২ সালে বাহাউল্লার মৃ্ত্যু হয়, ১৯০৯ সালে তাঁর স্মৃতিসৌধ প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ তার পুত্র আব্বাস বাহাই ৩০ বছর বয়সে পিতার ধর্ম প্রচার ও ব্যাখ্যা করেন ৷ Universal House of justice নাম দিয়ে বাহাই ধর্মসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ তিনি ইঊরোপ ও আমেরিকায়ও বাহাই ধর্ম প্রচার করেন ৷ বাহাই ধর্মগ্রন্থ
বাহাই ধর্মতত্ত্ব অনুসারে জিজাস মোজেজ, মুহাম্মদ, জরথুশস্ত্র, বাব প্রভৃতি সকলেই মানুষের ত্রাণকর্তারূপে ঈশ্বরপ্রেরিত পুরুষ ৷ ঈশ্বর এক অদ্বিতীয় অখন্ড পরমতত্ত্ব সব ধর্মের মূলবাণী এক ধর্মের আদর্শ পালনের জন্য গৃহীর জীবনই শ্রেষ্ঠ ৷ বাহাই-এর মূল আদর্শ-ঈশ্বরের কল্যাণভাবনা এবং মানুষের সদাচারের দ্বারাই বিশ্বের মঙ্গল ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক বিশ্বরাষ্ট্র, বিশ্বসরকার মানুষের বহুবিধ সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে ৷ অনারম্বর জীবনযাত্রা, উপবাস, মদ্যাদি বর্জন, আর্ত মানুষের সেবা ইত্যাদিই ধর্মের নৈতিক আদর্শ ৷
কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল
©somewhere in net ltd.