![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
..................বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা ৷৷ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওলমেক সভ্যতা ও ধর্ম
মধ্য বা মেসো-আমেরিকান অঞ্চলের প্রধান গ্রাম সভ্যতার নাম ওলমেক (olmec) ৷ ঐতিহাসিকদের মতে ওলমেক জাতির মূল অঞ্চলটির অবস্থান ছিল মেক্সিকো উপকূলের দক্ষিণ দিকে ৷ ওলমেকের জনগোষ্ঠী এবং তাদের সমাজ সভ্যতার শুরু হয়েছিল ১১৫০ খ্রিস্টাব্দে এবং খ্রিঃ ৪০০ থেকে ৩৫০ অব্দে এ সভ্যতা বিলুপ্ত হয়েছিল ৷
ওলমেক সমাজে প্রচলিত ছিল নানা ঈশ্বর বিশ্বাস ৷ এসব বিশ্বাসের আছে নানা বৈচিত্র্য ৷ একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে বৃষ্টি আত্মাকে কেন্দ্র করে ৷ বৃষ্টি-আত্মা পুরুষ এবং তার একজন স্ত্রী যে জলকে শাসন করেন ৷ মোটের উপর বিশ্বাস করা হয় ওলমেক হল জাগুয়ারদের পূর্বপূরুষ ৷ ওলমেক আদিবাসীরা বিশ্বাস করত যে জাগুয়াররা কার্যত বৃষ্টির দেবতা এবং সেই সাথে উর্বরতার প্রতীক ৷ জাগুয়ারদের এই ওলমেকরা পছন্দ করত কারণ তারা বিশ্বাস করত যে জাগুয়ার হল শক্তিশালী ও ভয়প্রদ জন্তু ৷ তারা আরো বিশ্বাস করত জাগুয়ার হল জীবন্ত এবং মৃত মানুষের অবতার স্বরূপ ৷ এই বিশ্বাসে ভর করে সাধারণ মানুষ জাগুয়ারদের উদ্দেশ্যে রক্ত উৎসর্গ করত ৷ এছাড়া তারা মুখোশ পরে নাচত ৷ সাধারণভাবে এই ধর্মীয় আচার পালন করা হত মে মাসে ৷ প্রত্নতাত্ত্বিকরা আবিস্কার করেছেন যেজাগুয়ারদের উদ্দেশ্যে ওলমেকরা জাদে ( jade) মূর্তি উৎসর্গ করত ৷
ওলমেক শাসক বা রাজারা ঈশ্বর এবং আধ্যাত্বিক জগতের সাথে জড়িয়ে থাকেন ৷ এই অতিপ্রাকৃতগত একটি ভাব তাদের মূর্তির ভঙ্গির মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে ৷ নীচু করা মুখ এবং বিশেষ ধরণের মুখাবয়ব থেকে মনে করা যায় মানবীয় শাসকরা জন্তুদের শক্তির সাহায্য পেত ৷ এই প্রাণীদের মধ্যে জাগুয়ার ছাড়াও ছিল বিড়াল ৷ বিশ্বাস করা হত এসব প্রাণী রাজা এবং ওঝাদের আত্মা-সঙ্গী ছিল ৷ প্রথমদিকে এ রকম বিশ্বাস ছিল যে ওলমেকরা কেবলমাত্র একজন দেবতাকেই পূজা করত ৷ কিন্তু পরবর্তীতে প্রমাণসাপেক্ষে দেখা যায় ওলমেকদের প্রায় ১০ জন দেবতা ছিল ৷
ভূট্টা দেবতা
ভূট্টা দেবতা শস্যের মানব কার্যত মেসো-আমেরিকার মহাপুরাণের উর্বরতা-দর্শন ও বিশ্বাসের প্রতীক ৷ ওলমেকদের দেবতাদের সাধারণভাবে কপালের পুরোভাগে চাপ অংশ দিয়ে চিহ্নিত করা হয় ৷ এই নীচু বা চাপা কপাল হল মহান ঐশ্বরিক ভাবনার প্রতীক ৷ সাধারণভাবে ভূট্টা দেবতাই ওলমেকদের প্রথম ওপ্রধান দেবতা ৷ এই দেবতা তার নীচু কপাল থেকে শস্য বার করে আছে ৷ এ দেবতা মুখ কুচকানো থাকে অনেকতটা জাগুয়ারের মুখ সদৃশ্য ৷ এর সাথে আরেকটি প্রচলিত বিশ্বাস আছে ৷ এ শস্যের দেবতা আদতে একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন ৷ এ মানুষটি তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এর ফলে তার সঙ্গী মানুষেরা খাদ্য উৎপাদনে আগ্রহী হবেন ৷ শস্যের এই বীর মানব অনেক সময় অন্য জগতের ঈশ্বরের পরামর্শ ও সাহায্য গ্রহণ করতেন ৷ আরেকটি বিশ্বাসমতে প্রধান দেবতা অর্ধেক সাপ ও অর্ধেক জাগুয়ারের অবয়ব সদৃশ ৷ জাগুয়ারের মধ্যে জগৎমাতা ও সাপের মধ্যে জলের দ্যোতন অর্থ সম্পৃক্ত আছে ৷ এ দুয়ের ফল হিসাবেই গড়ে ওঠে সম্পূর্ণ জীবনের প্রতিচ্ছবি ৷
ওলমেক সভ্যতার একটি শৈলীতে গড়া মনুমেন্ট বা শহীদমিনারগুলো তৈরী করা হয়েছিল ওলমেক সমাজ ও ধর্মীয় ভাবনা অনুসরণ করে ৷
কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল
©somewhere in net ltd.