নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ অনেক নীল । মানুষ অনেক লাল । মানুষ অনেক বাদামী ।

মানুষ অনেক নীল । মানুষ অনেক লাল । মানুষ অনেক বাদামী ।

জাহিদ ১৯৯

মেহরাব হাসান

জাহিদ ১৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রানা প্লাজা ধস।একটি লাশ মানে একটি পরিবার লাশ হয়ে যাওয়া।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

ঢাকার বাহিরে থাকার কারণে টিভি মিডিয়া আর অনলাইনের উপরেই নজর রাখতে হলো।রানা প্লাজা ভবন ধসে হতাহত লোকদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও তা অনেক কষ্টে দমিয়ে রাখতে হয়েছে।গতকাল থেকে প্রায় সকল প্রকার মিডিয়া থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি এতোগুলো মানুষের করুন পরিণতি না দেখার জন্য।এতো মানুষের লাশ বীভৎষ্য পরিণতি।এতো নিষ্ঠুরতা থেকে পালিয়ে থাকার জন্য মিডিয়া থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়া।

যে ব্যক্তিটি একটি পরিবারের মূল উপার্জনকারী ছিলো।যার উপর নির্ভর করে ৫ টা ৭ টা লোকের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করতো তাদের অবস্থা কি হবে ভাবতেই মাথা গুলিয়ে যায়।

গতকাল খবরে পড়ছিলাম মীমের বাবা মা মীম কে জীবত ফেরত চায়।জীবত ফেরত পাবার জন্য মেয়ের পা কাটার হুকুম দিয়ে ঙ্জান হারিয়ে ফেলে।বাঁচার অনেক আকুতি করেও অনেকে বাঁচতে পাচ্ছে না,তাদের মিথ্যা আশ্বাস দেয়া হচ্ছে এইতো কিছুক্ষন পরেই আপনাকে উদ্ধার করা হবে।উদ্ধার কাজ এখনো চলছে কিছু সময় পর হয়তো বুলডুজার দিয়ে ভবনটি সাফ করা হবে।চোখের সামনে অনেক লাশ ইট সিমেন্টের সাথে মিশে যাবে।বাঁচার প্রবল আশা নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত টিকে থাকা লোকটি ইট সিমেন্টে মিশে যাবে।এতো নিষ্ঠুরতা সহ্য করার মতো নয়।



গত নভেম্বরের তাজরীন গার্মেন্টস ট্রাজেডিতে পুঁড়ে যাওয়া অনেকের মধ্য আমার গ্রামেরও একজন ছিলো।ঘটনার দিন থেকে পরিবারটিতে কান্না নেমে আসে যা এখন পর্যন্ত থামেনি।আধো শরীরে ঝলসে যাওয়া লাশটি এখনো চোখের সামনে ভাসে।লোকটির চার বছরের মেয়েকে এখনো তোমার বাবা কোথায় আছে? প্রশ্ন করলে মেয়েটি উত্তর দেয় ঢাকায় চাকুরি করতে গেছে।মেয়েটি বাবার ফিরে আসার পথচেয়ে বড় হচ্ছে তার বাবা ঢাকা থেকে আসবে।লোকটির স্ত্রী স্বামী হারানোর বেদনা নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করে চলছে।তাকে চাইলেও অন্যত্র বিয়ে দেয়া সম্ভব না।কারণ গ্রাম্য মেয়েদের বিয়ে একবারই হয়।লোকটির মা প্রায় দিনই সারা দিন অব্দি কান্নাকাটি করে,চাইলেও তার কান্না থামাতে পারবে না।জনমভর কেঁদেই চলবে।

সহায় সম্বলহীন নিঃস্ব হয়ে পরা পরিবারটির দিনের পর দিন পার করছে আগামীদিনের জন্য।গার্মেন্টসে যারা কাজ করতে যায় তারা জীবন বাস্তবতার চরম মানবিক পর্যায় থেকেই যায়।





রানা প্লাজা ধসে হতাহত শুধু প্রত্যকে এক একজন নয়।একজন মানে একটি পরিবার।একটি লাশ মানে ৭ টি লোক লাশ।একটি পরিবার লাশ হয়ে যাওয়া।সরকার থেকে নিহত পরিবারকে ২০ হাজার ও আহতদেরকে ৫ হাজার টাকা দেবার ঘোষনা হয়েছে।



নিষ্ঠুরতায় খয়রাত করে হাসাহাসি করার আধিকার তোরে কে দিয়েছে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.