![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেহরাব হাসান
দিন দিন বেড়েই চলছে ফেসবুকীয় কাঁন্না।
দৈনন্দিন জীবনের চাহিদার ন্যায় ফেসবুকের কাঁন্না নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
কিছু কিছু লোকদের বেগতিক অবস্থা সত্যই খারাপ লাগে।
কাঁন্নাকাটির কোথাও জায়গা খুঁজিয়া না পাইয়া ফেসবুকে আসিয়া কাঁন্না জুড়িয়া দেয়।
সর্বোরোগের মহাঔষোধ হিসাবে কাঁন্না কাটি শুরু করে।
আমার বাপ গেলো রে,মা গেলো রে, প্ৃথিবীতে কেউ কারো নয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
ফেসবুক একই সাথে মানবিক এবং বাণিজ্যিক।
কাঁন্না কাটির অন্তরালে থাকে বাণিজ্যিক কারণ।
সবাই আমারে একটু সহমর্মিতা দেখাবে একটু আদর সোহাগ করবে।
মধ্যবত্তি সুভিধাভোগীদের সুবিধা আদায়ের মূল অস্ত্র হিসাবে কাজ করে ফেসবুকীয় কান্না।দুনিয়াতে বোধহয় তার চেয়ে দূখী আর কেহ নাই।
আমার আদরের ছোড ভাতিজিডাও কারণে অকারণে কাঁদে।
কোন কিছু দাবিআদায়ের উত্তম হাতিয়ার হিসাবে কাঁন্না ব্যবহার করে।
এইসব সুশীল ভার্চুয়াল সমাজকর্মীদের কাঁন্না দেখে মনে হয় আমার তিন বছরের ভাতিজির মানসিকতা আর এইসব সুশিলদের মানসিকতার মধ্যে কোন অমিল খুঁজিয়া পাই না।
জামাতে হরতাল দিছে ক্যান? বলিয়াই কাঁন্না শুরু করে দেয়। জামাত ভালো না,জামাতে মানুষ মারে।
সরকার এইডা করলো ক্যান ম্যা ম্যা ম্যা।
বাপ মা যদি বাঁচিয়াও থাকে তবুও তারে নিয়া কাঁন্না কাটি শুরু করে। " আমার মা আমারে এইডা খাইতে কইছিলো রে " বাপে এইডা মানা কইছিলো রে বলিয়া ম্যা ম্যা করে চোখ ফুলিয়া তোলে।
আর যদি বাপ মা জীবিত না থাকে তাইলে তো আর কথাই নাই তারে নিয়া ম্যা ম্যা কইরা বাণিজ্য করতে করতে ফেসবুক মোটামুটি শোকাময় করিয়া তোলে।
কাঁন্না কাটি দিয়ে দাবি আদায় করে বান্ধবী, প্রেমিকা, বন্ধু, অফিসের বস সহ আমজনতার নিকট থেকে।ভাবখান এই রকম দেখায়।
কাঁাময় ফেসবুক জয় হোক।জয় হোক কাঁন্নীয় মধ্যবিত্ত।
(দুঃখিত কাহারো ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত করার জন্যে এই স্ট্যাটাস নহে)
©somewhere in net ltd.