নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ অনেক নীল । মানুষ অনেক লাল । মানুষ অনেক বাদামী ।

মানুষ অনেক নীল । মানুষ অনেক লাল । মানুষ অনেক বাদামী ।

জাহিদ ১৯৯

মেহরাব হাসান

জাহিদ ১৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইদের শপিং যেভাবে করে-

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪



মার্কেটে ঢুকলাম। হরেক রকম মানুষ আর পোশাকের বাহার দেখলে বোঝা যায় সমাজ-সভ্যতা অনেক এগিয়ে গেছে। আদিম পৃথিবীর গাছ পালার বাকল দিয়ে দেহাবসান করা মানুষ গুলো এখন কিরনমালা পোশাক কিনতে শিখে ফেলেছে। ভাবতেই ভালো লাগে মানুষ কিভাবে টোটেম প্রথা, যাবাবর, প্রস্তর, পশু পালন সমাজ ইত্যাদি নানান কিছু অতিক্রম করে এই একবিংশ শতাব্দীর কিরনমালা সমাজে পৌছে সভ্য হওয়ার জন্য অনেকে মার্কেটে এসেছে।

দোকানে দোকানে পাঞ্জাবী ঝোলানো। যেভাবে কসাই আস্ত গরু উল্টো করে ঝোলাইয়া রাখে। পাঞ্জাবীর দোকান গুলো দেখতে একেকটা কসাইখানা মনে হয়। আর তাছাড়া যেভাবে দোকানদার দাম হাকায় তাতে কসাই খানার চেয়ে কম কিছু না। আমার মত হ্যাবলা গোবলা কাস্টমার পাইলে দোকানদারেরা রীতিমত কসাইয়ের মত একটা কোপ বসাইয়া দিবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। এই বিষয়টা আগেই বাড়ি থেকে সাবধান করে দিছে। বুঝে শুনে পাঞ্জাবীর কেনার জন্য।

অনেক বুঝে, শোনার জন্য মার্কেটে আরও এক চক্কর ঘুরে পাঞ্জাবীর দাম শোনার চেষ্টা করলাম। নাহ! পকেটে যা আছে তা দিয়ে মোটামুটি একটা পাঞ্জাবী কেনা যাবে। অথচ শায়েস্তা খার আমলে হলে এই টাকা দিয়ে কয়েকশো মন চালের বস্তা কিনে বাড়ি ফেরা যাইতো। যাক সে কথা।

পৃথিবীর অনেক কিছু ভ্রমন করার মত মার্কেট ভ্রমন করাটাও একটা ইতিহাস। আমিও সেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেলাম। আমেরিকা পঞ্চাশের পর চাঁদে গেলো, কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করলো, তেনজিং শিরোপা এভারেস্টের চুঁড়ায় উঠলো আর মেহরাব মার্কেটের ভীড়ে দুই চক্কর দিলো। এগুলো সব গুলোই এক একটা ইতিহাস।

পাঞ্জাবী কিনবো কিনবো ভাবছি। পাঞ্জাবী দেখতেও বেশ একেকটা। কক্সবাজার ভ্রমনে সাত দিন প্যাকেজ ট্যুরের সমতুল্য একটার দাম। আরেকটা দেখলাম যেটার টাকার পরিমান মালয়েশিয়া ভ্রমনের সমতুল্য। অনেক গুলোই দেখলাম, কোনোটা একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সারা বছরের খরচ, কোনোটা আবার লাইফ ইন্সুরেন্সে জমানো টাকার সমান। মার্কেটে ঢোকার আগে ব্যাংক ঋণ করে ঢোকা লাগতো বুঝতে পারলাম।

যাক সে কথা ভাবলাম পাঞ্জাবী যদি কিনি তাহলে একদিন অবশ্যই পুরাতন হবে, সুতা উঠবে, রং উঠবে একেবারে যা তা অবস্থা হবে। আর তাছাড়া ধোঁয়া ইস্ত্রি করা ইত্যাদি নানান ঝামেলা করবার দরকারই বা কি!

আর তাই মার্কেটে থেকে বাহির হয়ে একটা মোবাইল আউটলেট থেকে চার জিবি থ্রি জি নেট কিনে ফেললাম। এটাই বরং ভালো হবে। সারাদিন রাত ঘরেই তো থাকি, আর ফেসবুকিং করি। অযাথা পোশাক কিনে সভ্য হবার দরকারই বা কি! তারচেয়ে ইদের শপিং হিসেবে নেট কেনাটাই বরং ভালো। হলাম না সভ্য, তাতে কি হয়েছে!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

ফ্লাইং সসার বলেছেন: মার্কেটে ঢোকার আগে ব্যাংক ঋণ করে ঢোকা লাগতো বুঝতে পারলাম। [/sb----এইটা ভালো হইছে =p~ =p~

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

দর্পণ বলেছেন: দোকানে দোকানে পাঞ্জাবী ঝোলানো। যেভাবে কসাই আস্ত গরু উল্টো করে ঝোলাইয়া রাখে। পাঞ্জাবীর দোকান গুলো দেখতে একেকটা কসাইখানা মনে হয়। আর তাছাড়া যেভাবে দোকানদার দাম হাকায় তাতে কসাই খানার চেয়ে কম কিছু না। আমার মত হ্যাবলা গোবলা কাস্টমার পাইলে দোকানদারেরা রীতিমত কসাইয়ের মত একটা কোপ বসাইয়া দিবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। এই বিষয়টা আগেই বাড়ি থেকে সাবধান করে দিছে। বুঝে শুনে পাঞ্জাবীর কেনার জন্য।


হা হা ভালো বলছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.