![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে আমার মতো থাকতে দাও।।
শিক্ষা কি???
জাহীন হাসান
পৃথিবী তে জন্ম গ্রহন করা মাত্রই আমাদের শিক্ষাক্রম শুরু হয়।সেই শিক্ষা ক্রমের প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান পরিবার সমাজ।পরবর্তী ধাপ স্কুল কলেজ।কিন্তু স্কুল কলেজে পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না।এক জন ধনাঢ্য পরিবারের ছেলে অতিসহজেই স্কুল কলেজে যেতে পারে,কিন্তু একজন দরিদ্র সন্তান তা পারে না।কিন্তু শিক্ষা আসলে জন্ম মাত্র পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার।
এমনকি বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতির মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা ১৫ ধারায় বলা হয়েছে “ রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দ্বায়িত্ব হবে(ক) অন্ন,বস্ত্র, চিকিৎসা, আশ্রয়,শিক্ষা জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করা হবে।” এথেকে স্পষ্ট হয় যে রাষ্ট্র বা সরকারের সাংবিধানিক দ্বায়িত্ব হচ্ছে সকলের শিক্ষার ব্যবস্থা করা।শুধু মাত্র একটি বিশেষ শ্রেণীর জন্য শিক্ষা নয়।এদেশের আপামর সকল জনতার শিক্ষার দ্বায়িত্ব রাষ্ট্রের।সে সমাজের যেই শ্রেনীরই হোক না কেন,শিক্ষা তার অধিকার ।যেহেতু শিক্ষা সবার জন্য প্রযোজ্য এবং এর সার্বিক দ্বায়িত্ব রাষ্ট্রের সেহেতু শিক্ষা স্পস্ট তই জনগনের অধিকার।এ কথা মনে রাখা জরুরী যে শিক্ষা আমাদের জন্য কোনো সুযোগ নয় বরং অধিকার।সুতরাং সরকারের উচিত সকলের শিক্ষা অধিকার দেয়ার জন্য শিক্ষা বিনামূল্যে বিনা ট্যাক্সে বিতরণের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সরকার তেমন টা করেনি।সর্বস্তরে শিক্ষা কে তো বিনামূল্যে করেইনি উল্টো কোচিং,প্রাইভেট সহ শিক্ষার বহুমূখী ধারা -শ্রেনী সৃষ্টি করে শিক্ষা কে পণ্য বানিয়ে ফেলেছে।ভালো ফলাফল করা,বড় সার্টিফিকেট পাওয়া এখন যত টা না মেধা নির্ভর না তার চেয়ে বেশী অর্থ নির্ভর।
কারণ যার বাবার যত টাকা আছে সে ততো বেশী প্রাঈভেট পড়বে,ততো বেশী কোচিং করবে।তদ্রুপ ভালো ফলাফল করবে।আবার যার বাবার টাকা নেই তার পক্ষে ভালো ফলাফল করা কঠিন।আবার কস্টে সৃস্টে ভালো ফলাফল করলেও পরবর্তী ধাপে যেতে এবং উচ্চ শিক্ষা পেতেও টাকার দাপট দেখাতে হয়।এর মানে দেশের একটা শ্রেনী কে শিক্ষিত উন্নত এবং একটা শ্রেনী কে লাঞ্চিত জীবন দেওয়াই কি এই শিক্ষা নীতির উদ্দেশ্য নয়???
শিক্ষার এই দুরবস্থার আরো আসংখ্য চিত্র পাওয়া যাবে এই সমাজে।
শহরে স্বাভাবিক ভাবেই আর্থিক ভাবে স্বছল বিত্তবান মানুশের বসবাস।আর আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল কৃষক শ্রমিক মানুষদের বাস গ্রামাঞ্চলে।ছোটবেলার সমাজ বই থেকে আমরা কম-বেশী সবাই অবগত যে এদেশের ৮০% মানুষের বাস গ্রামে।কিন্তু এদেশের অধিকাংশ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়,সরকারী কলেজ গুলো শহরে।যেখানে বেতন মাত্র ১৫ টাকা!!আর সেখানে পড়ে শহরের সব বিত্তবান দের ছেলেপুলে।তাদের অঢেল থাকা সত্যেও তারা সরকারী স্কুলে কম বেতনে পড়ে ল্যাব,লাইব্রেরী ইত্যাদির সুবিধা পাচ্ছে।অন্য দিকে গ্রাম গুলোতে সরকারী স্কুল নেই।যেসব নিম্ন মানের বেসরকারী স্কুল গুলো আছে,বেতন বহু গুণ বেশী।সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে।এর মানে কি এই নয় জনসংখ্যার মাত্র ২০?% এর শিক্ষার সুবিধা দিচ্ছে এই সরকার???
এতো গেলো বাণিজ্যিকরণের দিক।গায়ের রক্ত পানি করে কৃষক শ্রমিক কুলি মুজুরেরা সন্তান কে যে শিক্ষা দিচ্ছেন সে শিক্ষা আসলে কি??সরকার শিক্ষার্থীদের উতকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করেছে।সন্দেহ নেই পূর্বের যেকোনো পদ্ধতির চেয়ে এই পদ্ধতি বহুল অংশে ভালো।কিন্তু সৃজনশীল শুধুমাত্র প্রশ্ন পত্রেই হচ্ছে।ক্লাশ রুমের ক্লাশ গুলো কি সৃজনশীল হচ্ছে???শিক্ষার্থীরা কি শুধুমাত্র সিলেবাস নিয়ে আছে নাকি প্রকৃত সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটছে??
প্রকৃত পক্ষে একজন শিক্ষার্থীদের শারীরিক মানসিক সকল প্রকার বিকাশই তার সৃজনশীলতা ।শুধু মাত্র পাঠ্য বই নামক বিশেষ প্রকার বই পড়ে উত্তর পত্রে কিছু লেখা সৃজনশীলতা নয়।
আর একটি কথা আমার মতে সকল বইই পাঠ্য !!! (অর্থাৎ পাঠ করার যোগ্য)।সিলেবাস অন্তর্ভূক্ত বই গুলোকে বিশেষ ভাবে পাঠ্য বলা এ শিক্ষানীতির কি ধরণের সৃজনশীলতা??
শিক্ষার্থীদের যদি প্রকৃত সৃজনশীলতার ছোঁয়া দিতেই হয় তবে শ্রেনী কক্ষ কে আনন্দ মুখর সাবলীল সহজ করে তুলতে হবে।খেলাধূলা,গান,নাচ,কবিতা,স্কাউট,লাইব্রেরী ইত্যাদি যা এখন সহ শিক্ষা বলে গণ্য করা হয় সেগুলো কে মূল শিক্ষার অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।প্রকৃতির সব রূপ রস সৌন্দর্য অনুভুতি কে আস্বাদন করে বেড়ে ওঠে জীবন সম্পর্কে পাওয়া নৈতিকতার জ্ঞান অর্জনই প্রকৃত শিক্ষা।সন্দেহ নেই এই শিক্ষা পদ্ধতিই সত্যিকার সৃজনশীল পদ্ধতি।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
জাহিন হাসান বিএসইউ বলেছেন: ধন্যবাদ.........
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
বোকামন বলেছেন: ধন্যবাদ .......... শিক্ষার জন্য