নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি চলেছি-- দুর্গম কণ্টকময় মরুময় পথে, বন্য শ্বাপদ অভয়ারণ্য এক নিশিতে।

রিয়াদ মাহমুদ জাকারিয়া

আমি সত্যের পথে নির্ভীক

রিয়াদ মাহমুদ জাকারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ফাইনালঃ ২০২২

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৪

আমি কোন ফুটবল বোদ্ধা কিংবা সাইকো টাইপের কোন দলের সমর্থক নই। স্বল্প ফুটবল জ্ঞানে এই বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আমার যা মনে হয়…………
 করিম বেঞ্জামাকে ফাইনাল ম্যাচে খেলানো মানে হল জিরুড, এম্বাপে, গ্রিজম্যানদের খেলার ধরণে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনতে হবে, যা ফাইনাল ম্যাচে দেশমের (কোচ) জন্য হবে বড় বোকামি। এর জন্য ফ্রান্সকে বড় মাশুল গুনতে হতে পারে।
 ফ্রান্স সব সময় পাওয়ার এবং আগ্রেসিভ ফুটবল খেলে অপর দিকে আর্জেন্টিনা ছোট ছোট পাসে নান্দনিক ফুটবল খেলতে পছন্দ করে, আগ্রেসিভ ফুটবল সব সময় পাওয়ার ফুটবল খেলা দলের সাথে বেশি কার্যকর হয়, যেমনটা আমরা দেখেছি অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক এবং তিউনেশিয়া সবাই পাওয়ার ফুটবল খেলেছে যেখানে পর্যাপ্ত আগ্রেসিভ ফুটবল খেলা তিউনেশির সাথে দেখাতে না পাওয়ার কারনে পরাজয় বরণ করতে হয়। এছাড়া ইংল্যান্ড এবং মরক্কোর সাথেও একই ধরণের আগ্রেসিভ ফুটবল খেলেছে যার ফলাফলও তারা পেয়েছে। এ পর্যন্ত ফ্রান্স কোন ক্লাসিক এবং ধীর গতির কোন দলের সাথে খেলা করেনি তাই আর্জেন্টিনার সাথেই হবে তাদের প্রথম। সুতরাং দেশমের (কোচ) ট্যাক্টিস হটাত মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা- সৌদি আরাবিয়া, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং হল্যান্ড এর মত ক্লাসিক্যাল এবং পাওয়ার উভয় ফুটবলের সাথে খেলে অভ্যস্ত হয়ে পরিণত দলে রূপান্তরিত হয়েছে। যার কারণে আর্জেন্টিনাকে আমি একটু এগিয়ে রাখবো। আর্জেন্টিনার চ্যান্স ৬০-৪০%।
 এইবার আর্জেন্টিনার ডিফেন্স বিশ্বমানের যেখানে পরীক্ষা দিতে হবে জিরুড, এম্বাপে, গ্রিজম্যানদের যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয় তাহলে ফ্রান্স ফ্লপ, অপর দিকে ফ্রান্সের ডিফেন্স লাইনের অতটা পরিক্ষিত নয়, যদি প্রতিপক্ষ একটু আক্রমণ করার মন মানসিকতা নিয়ে খেলে অল্পতেই ভেঙ্গে পড়তে পারে। যেমনটা তিউনেশিয়া দেখিয়ে দিয়েছে। সুতরাং এখানে ডিফেন্স ঠিক রেখে আগ্রেসিভ ফুটবল খেলতে গেলে ফ্রান্সের খেলার ছন্দ পতন হবে যার সুযোগ আর্জেন্টিনা কাজে লাগাতে পারে। এক্ষেত্রেও আমি আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে রাখবো।
 অনেকেই হয়ত এম্বাপেকে নিয়ে অনেক ভয়ে আছে; আমার অব্জারভেশন হলো এম্বাপে প্রচুর শর্ট নেয় কিন্তু একুরেসি খুবই কম সুতরাং আর্জেন্টিনা যদি এম্বাপের বল যোগানের জায়গা অফ করে দিতে পারে তাহলে তার শর্ট নেওয়ার প্রবণতা কমে যাবে অন্যদিকে তাকে নিচে নেমে খেলতে হবে যেটা এ পর্যন্ত ফ্রান্সের ট্যাক্টিসে ঘাটতি হিসাবে থাকবে। এই জায়গায়ও আর্জেন্টিনা ভালো করতে পারে কারন মিডে আছে ডি পল, পারাদেস, গমেজ যারাও বিশ্বমানের সুতরাং ফ্রান্সকে বড় একটা পরীক্ষা দিতেই হবে।
 খেলার পুরো ৯০ মিনিটই জিরুড, এম্বাপে, গ্রিজম্যান দাপটের সাথে খেলবে কিন্তু আর্জেন্টিনা পুরো দল যদি মেসিকে ২০ মিনিট খেলাতে পারে আর মেসি যদি ২০ মিনিট খেলতে পারে তাহলে বিশ্ব একটি শ্রেষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলা দেখবে।
 সর্বশেষ ভাগ্য একটি ব্যাপার বলে আমি মনে করি। বিগত দিনগুলোতে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ মঞ্চে ভাগ্য খুব একটা সহায়ক হয়েছে আমার জানা নেই কিন্তু ২০২২ বিশ্বকাপ অনেকটা আর্জেন্টিনার ভাগ্যের বিশ্বকাপ যেটা হয়ত মেসির জন্যও হতে পারে। কিভাবে?
প্রথমতঃ সৌদি আরাবিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে কঠিন সমীকরণে পড়ে অনেকটা বিশ্বমঞ্চ থেকে ছিটকে গিয়েছিল কিন্তু ভাগ্যের জোরে সকল সমীকরণ ভেদ করে ১ম পর্ব উত্তীর্ণ।
দ্বিতীয়তঃ ১ম পর্বে জার্মানি এবং বেলজিয়ামের মত দল বাদ পড়ে যাওয়ার কারণে সহজ সমীকরণে অপেক্ষাকৃত দুর্বল অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডের মত দলের সাথে খেলে ফাইনালে। এখানে ভাগ্য অবশ্যই আর্জেন্টিনার অনুকূলে।
তৃতীয়তঃ এইটা হয়ত মেসির জন্য ভাগ্যদুত সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের মঞ্চটা এইভাবেই তৈরি করে রেখেছেন যেখানে লেখা থাকবে “জীবনের শেষ ম্যাচ বিশ্বকাপ জয়, ফুটবল কৃতজ্ঞতা বোধে তার ঋণ পরিশোধ করল”। চিরজীবী হোক ফুটবল এবং মেসি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

বিটপি বলেছেন: আমি আর্জেন্টিনার জন্য কোন সম্ভাবনা দেখিনা। ফ্রান্স এবং জার্মানী - এই দুই দলের সামনে পড়লে তারা ভড়কে যায়। তাছাড়া এশিয়ার মাটি আর্জেন্টিনার ফেভারে নেই। ২০০২ সালে তারা গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছিল। মেসির মধ্যে বেশি আত্মবিশ্বাস এসে গেছে - যেটা তার জন্য উল্টো ফল বয়ে আনবে।

সেমিতে আর্জেন্টিনা জিতে ড্রেসিং রূমে ব্রাজিলের প্রতি যে কটাক্ষমূলক গান গাইল, সেটা ভালো লাগেনি। এই বিশ্বকাপে যারাই অভদ্র আচরণ করেছে - তারাই ধরা খেয়েছে। ব্রাজিলের একজন বিখ্যাত ভবিষ্যৎ বক্তা টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জোর গলায় ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন বলে ঘোষনা দিয়ে রেখেছিল আর এও বলেছিল যে তারা একটি ল্যাটিন দলের বিপক্ষে খেলে জিতবে। এ ধরণের বানী করা সহজ ছিলনা যেহেতু আগের প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নেরা শূন্য হাতেই বাড়ি ফিরেছিল।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:২৬

রিয়াদ মাহমুদ জাকারিয়া বলেছেন: আশা করি বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের সাথে মিলিয়ে নিয়েছেন।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আর্জেন্টিনা ভাগ্যের জোরে টিকে নেই, তাঁরা খেলে জিতে এসেছে। ভাগ্য বলতে কিছু নেই। অর্জন করে নিতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.