![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ঈদ। বছরে দুটি ঈদ অনুষ্ঠিত হয়, একটি ঈদ উল ফিতর, অপরটি ঈদ উল আজহা। ঈদ উল ফিতর সাধারনত মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার ভোজনের মাধ্যমে পালিত হলেও, ঈদ উল আজহা পালিত হয় পশু কোরবানীর মাধ্যমে। অর্থাৎ পশু কোরবানী ও তার গোস্ত ভোজনের মাধ্যমেই ঈদ উল আজহা পালিত হয়।
-- আগেকার সময়ে পশু কোরবানী নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হত না। কিন্তু বর্তমান আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সময়ে পশু কোরবানি নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা শোনা যায়। বিশেষ করে অনেক হিন্দুরা এই উৎসবকে মানবতা বিরোধী উৎসব বলে মন্তব্য করে। অথচ, যখন তথ্য প্রযুক্তির তেমন ব্যবহার ছিল না, তখন কারো কাছ থেকে এমন মন্তব্য শোনা যেত না।
---- তাহলে দেখা যাচ্ছে, এরকম মন্তব্য সৃষ্টির পেছনে মিডিয়া বা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের কোন যোগ সূত্র থাকতে পারে।
লক্ষ করা যায়, কোরবানী আসার কিছু দিন পূর্ব থেকেই সোসাল মিডিয়ায় কোরবানি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। এখন যেহেতু অধিকাংশ মানুষই সোসাল মিডিয়া ব্যাবহার করেন, সেহেতু হইচইয়ের মাত্রাটাও থাকে অনেক বেশি। সোসাল মিডিয়া ব্যাবহার কারিদের দেখা যায়, তারা কোরবানির পশু নিয়ে প্রচুর পোস্ট দিতে থাকেন ফেসবুক টুইটার সহ বিভিন্ন ধরনের সোসাল মিডিয়ায়।
---- পোস্ট গুলোর মধ্যে অনেক পোস্ট থাকে ব্যঙ্গাত্বক। দেখা যায়, একটি কোরবানীর পশুর ছবি দিয়ে তাতে ব্যঙ্গ করে বিভিন্ন ক্যাপশন লেখা হয়। আবার অনেকে কোরবানীর পশুর আত্মরচনাও লিখে থাকে, যেখানে দেখানো হয়, কোরবানীর পশুটি নিজের মৃত্যু সম্পর্কে কথা বলছে। এসব পোষ্ট অনেকের মনে আনন্দ দিলেও, অনেকই মনে করেন, একটি নিরীহ পশুর মৃত্যু নিয়ে রসিকতা করা হচ্ছে। আর বিশেষ করে এটা অনেক হিন্দুদের কাছে মানবতা বিরোধী কাজ বলে মনে হয়। আর এটা নিয়ে তারা সোসাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে মন্তব্য করে, দিতে থাকে পোষ্ট। ফলে হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় তর্ক বিতর্ক। আর সেই তর্ক বিতর্ক অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ে পৌছায়। তবে, হিন্দুদের মধ্যে সমালোচনাটা বেশি দেখা যায়। কারন, কোরবানীর ঈদে মুসলমানরা সব থেকে বেশি পরিমান গরু কোরবানীর পশু হিসেবে কোরবানী দিয়ে থাকে। কেননা, ধর্মীয় দিক থেকে হিন্দুরা গরুকে খুব ভক্তি আর শ্রদ্ধার চোখে দেখে।
--- তাই কোরবানী নিয়ে সমালোচনা এড়াতে চাইলে, কোরবানীর পশু নিয়ে ব্যঙ্গ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া ইসলাম কখনও ব্যঙ্গাত্বক কোন কিছু সমর্থন করেনা। তাছাড়া কোরবানীর মূল উদ্দেশ্য হল পূর্ণ অর্জন, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ বা তামাশা করার জন্য কোরবানী নয়। আমরা যেন আমাদের মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত না হয়ে যাই।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬
জাকুজাকু বলেছেন: ইন্ডিয়া বাংলাদেশে গরু দেয়া বন্ধ করল ক্যা, সোসাল মিডিয়ায় সমালোচনার কারনে?
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৯
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: কিছু বলার নেই। যারা ধর্ম নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে এরা নির্বোধ।
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৬
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ধর্মান্ধ ও নাস্তিকরা নিজেদের জ্ঞানী মনে করলেও তারা নির্বোধ।
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৯
একটি পেন্সিল বলেছেন: আপনার কথায় আমি পুরোপুরি একমত। রায়হানুল এফ রাজ
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮
জিএমফাহিম বলেছেন: ইসলামসম্মত পন্থায় কোরবানি অধিকাংশ মানুষই করছে না। রাস্তায় প্রকাশ্যে আরও ১০টা কোরবানির পশুর চোখের সামনে করছে। যা কিনা নবীর হুকুমের বহির্ভূত। আর আমরা ধর্মীয় অনুভুতির কথা বারবার বলি, অথচ মুসলিমরা কিভাবে ব্যঙ্গ করছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের অনুভুতিকে। আর আমরাই আবার বলি এই দেশে নাকি সাম্প্রদায়িকতা নেই। সোশ্যাল মিডিয়া দেখে মনে হয় মানুষ আল্লাহকে না ফেসবুক ফ্রেন্ডদের সাথে সো-অফ করার জন্য কোরবানি করছে।