নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ঘুরতে ভাল লাগে। ভাল লাগে প্রকৃতি বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতে। ভাল লাগে নিজেকে নিজের মধ্যে হারিয়ে ফেলতে।

একটি পেন্সিল

একটি পেন্সিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকরা যদি আস্তিকদের তুলনায় সংখ্যায় একটু বেশি হত, তাহলে তারা কি কখনও আস্তিকদের আক্রমন করে বসত না (?) সোসাল মিডিয়ায় আস্তিকদের বিরুদ্ধে উগ্রমানুষিকতার পোস্ট দেখেতো সেটাই মনে হচ্ছে, নাকি (?)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

ভাবছিলাম ব্লগে ধর্ম নিয়ে কোন ধরনের পোষ্ট করব না-কেননা পৃথিবীতে সম্ভবত এই বিষয়টা নিয়েই সবচেয়ে বেশি তর্ক বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্ক আমার একেবারে পছন্দ না। জ্ঞানীরা তর্ক করতে গিয়ে যুক্তি ব্যবহার করেন, কিন্তু মূর্খরা শুরু করেন যুক্তি দিয়ে কিন্তু শেষ করেন রক্ত দিয়ে। আমার এই পোষ্টের কারনে সবার মনে কি প্রভাব পড়ে আগাম বলতে পারিনা।
ইদানিং, কোরবানিরর মৌসুমে কোরবানি নিয়ে ব্লগ, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায় প্রচুর পোষ্ট দেয়া হচ্ছে। পোষ্টগুলোর বেশিরভাগই উৎসব মূলক। আবার কিছু কিছু কোরবানি বিরোধী পোষ্টও দেখা যায়-যার মাধ্যমে সৃষ্টি হয় ইসলাম বিরোধী আলোচনা। আর এই সুযোগটা নাস্তিকেরা খায় ভাল, এই সুযোগে নাস্তিকদের মানবতা খুব ভালভাবেই উদয় হয়। এত মানবতা যে নাস্তিকেরা কোথায় পায়, সত্য কথা বলতে গেলে শুধু নাস্তিক না- অনেকেরই গায়ে পড়বে। তাই থাক, বেশি মানুষের সাথে ঝগড়া করে লাভ নেই।
নাস্তিকদের কাজ, তারা ধর্মকে ভুল প্রমান করার চেষ্টা করে নিজেদের সঠিক বলে প্রমান করতে চাইবে যে তারাই ঠিক পথে আছে, আর বাকি সব পথ ভূল। আর তাই তারা ধর্মের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে।
আমার মনে হয়, একধরনের ভন্ড নাস্তিকও আছে যারা নাস্তিক সেজে ব্লগে পোস্ট দিয়ে মজা লোটে। অনেক নাস্তিকের পোষ্ট আর মন্তব্যের ধরন দেখেতো তাই মনে হয়।
আবার কিছু কিছু নাস্তিক আছে যারা শুধু ইসলামের বিপক্ষেই কথা বলে।
মানুষের আলাদা আলাদা বিশ্বাস বা চিন্তা ধারা থাকতেই পারে, তবে সেটা নিয়ে এত প্রচার প্রচারণার কি প্রয়োজন। ইসলাম বা অন্য অনেক ধর্মে ধর্মের প্রচারণায় পূন্যের কথা বলা থাকে, কিন্তু নাস্তিকতায়তো সেরকম কিছু নেই যে উঠে পড়ে লাগতেই হবে তাদের চিন্তাগুলোকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে।
কিছু নাস্তিকদের দেখা যায় অত্যন্ত উগ্র মানুষিকতার। অনেক ক্ষেত্রে ধার্মিকদের সাথে যুক্তিতে পেরে না উঠে উগ্রতা প্রকাশ করে। নাস্তিকতা প্রচার করছ ভাল কথা, যুক্তি প্রমান দিয়ে কর। উগ্র মানুষিকতা আর ক্ষোভ নিয়ে নাস্তিকতা প্রচার করা কি প্রয়োজন!
নাস্তিকরা কতটাই উগ্র হতে পারে তা তাদের পোষ্ট দেখলেই অনুমান করা যায়। অনেক পোষ্টে নিজের মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে ধার্মীকদের প্রতি নিজেদের প্রচন্ড ঘৃনা ও প্রচন্ড রাগ প্রকাশ করে ফেলে। মনে হয়, কোন সাধু বা কোন ঈমামকে সামনে পেলে গলা টিপে হত্যা করবে।
এরকম রাগ কি শুধু তাদের লেখার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়? এই রাগ কি তাদের মনের মধ্যে থাকেনা? আর রাগের চুড়ান্ত পর্যায় কি মারামারি বা রক্তারক্তিতে চলে যেতে পারেনা?
আমার মনে হয়, নাস্তিকরা যদি সংখ্যায় বেশি থাকত, তবে ধর্মান্ধ মানুষেরা যে হারে মানুষ হত্যা করছে, নাস্তিকরা তাদের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ ধার্মিক হত্যা করত। যেহেতু তারা সংখ্যায় কম, আর শক্তির দিক দিয়ে দুর্বল, তাই তারা তাদের পৈচাশিক রূপ প্রকাশ করতে পারছে না। তাই তারা শুধু ভার্চুয়াল জগতেই রাগটা ঝেরে শেষ করছে।
আসল কথা হল, পৃথিবীতে কোনকিছুতেই শান্তি আসবে না যদি না আমরা আমাদের মনকে সব ধরনের উগ্রবাদ থেকে মুক্তি না দিতে পারি।
পৃথিবীতে অনেক বড় বড় যুক্তিবাদী নিজেদের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে গেছেন। কিন্তু সব সময়ই যুক্তির উপরে যুক্তি ছিল, থাকবে, আছে। সুতারাং আপনি যে মন মানুষিকতারই হন না কেন, যুক্তি দেখাতে গিয়ে শুধু বিশৃঙ্খলাই হবে কোন লাভ হবে না।
তাই বলি, মুসলমানরা কোরবানি দিচ্ছে দিক, তাতে আমারতো কোন ক্ষতি হচ্ছে না। কেন একটা ছোট বিষয়কে বড় আর জটিল করে সমাজে বিশৃঙ্খলা করব। আমরা যদি বেশি তর্ক বিতর্ক না করি, একটা বড় বিষয়ও তুচ্ছ বলে গন্য হতে পারে। আবার বেশি আলোচনা সমালোচনা করলে, একটা ছোট বিষয়ও অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অর্থাৎ একে বলে তিল কে তাল বানানো। এখন আপনিই ভেবে দেখেন, তিল কে তাল বানিয়ে সমাজে গণ্ডগোল সৃষ্টি করবেন, নাকি তিলকে ফু দিয়ে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দেবেন।
আবার হিন্দুদের ক্ষেত্রে। হিন্দুরা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করছে, করুক, পুজায় বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছে বাজাক, কেউ কেউ কুসংস্কার বিশ্বাস করে করুক। তাতে আমারতো কোন ক্ষতি হচ্ছেনা। তাহলে আমি কেন সে সব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে সমাজে সমস্যার সৃষ্টি করব। আমার যে বিশ্বাস আমার ভেতরেই থাকবে, অন্যের ভেতরে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজন কি? আপনি বিজ্ঞান উপাস্থাপন করতে পারেন বিজ্ঞানের মত, সেখানে ধর্মীয় সংগতি অসংগতি খোঁজার কি কোন প্রয়োজন আছে? তাহলে?
সুতারাং ধর্ম আর নাস্তিকতা নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়, এগুলোর কোনটি আমাদের ভাল করতে পারবেনা। (আমি একজন নাস্তিকের ব্লগে মন্তব্য করেছিলামঃ আমি চার্লস ডারউইনের তত্ত্বে যুক্ত খুঁজে পাই। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব বিশ্বাস করি। আরো বিভিন্ন বিজ্ঞানে বিশ্বাস করব যদি তার পেছনে যুক্তি থাকে। তবুও আমি বিজ্ঞান পরে তোর মত ঘোর নাস্তিক হতে পারি নি। মহাজগতে একটি বিন্দু কনা যে কতরহস্যময়-তার ব্যাখ্যা নিখুত ভাবে আজ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী দিতে পারেনি। আমার চার্লস ডারউইন আর আইনস্টাইন এর তত্ত্ব যে যুক্তি খুজে পাই, সে তুলনায় স্টিফেন হকিংয়ের তত্ত্ব কোন যুক্তির মাধ্যেই পড়েনা আমার কাছে। বুঝলাম, সব কিছু একটি বস্তু কনার মহাবিষ্ফোরনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে যা ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়ে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে। তারপরেও কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, ওই বিন্দু কনাটির সৃষ্টি কিভাবে হয়েছিল, কেন হয়েছিল? আর মহাবিশ্বের প্রসারন রহস্য কি? এর উওর দিতে গিয়ে আরো যুক্তি হয়ত আবিষ্কার হয়েছে, কিন্তু সেগুলো আরো রহস্যের জন্ম দেয়। এভাবে রহস্যের কোন শেষ নেই। আপনি জীবন নিয়ে যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কথা বলেছেন, সেটাও যুক্তি যুক্ত, অনেকটা বিজ্ঞান সম্মত। যদিও তার মাধ্যমে এখনও প্রান রহস্যের সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়না। তবে ভবিষ্যতে হয়ত এই তত্ত্বের মাধ্যমেই প্রান রহস্যের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে। এত সবের পরও আমার মনে হয় না, আমি নাস্তিক হয়ে যায়। এমনওতো হতে পারে ঈশ্বর আমাদের এমন একটি ঘোরের মধ্যে রেখেছেন, যেখানে নাস্তিকতাকেই যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়। হতে পারে, এই ঘোর কাটিয়ে ওঠা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। হতে পারে, ঈশ্বর আমাদের ব্রেইন এমন ভাবে তৈরি করে দিয়েছেন, যেখানে সবসময়ই নাস্তিকতা যুক্তিযুক্তি বলে মনে হবে। আমরা তার বাইরে চিন্তা করতে পারব না। মহাবিশ্বে এমনও অনেক বিষয় আছে, আমরা যা দেখি বাস্তবে তা ঘটেনা, আবার বাস্তবে যা ঘটে আমরা তা দেখিনা। স্বপ্ন দেখার সময় কিন্তু স্বপ্নকেই আমাদের বাস্তব বলে মনে হয়। তখন একবারও মনে হয়না, আমরা যা দেখছি, তা মিথ্যা। অথচ স্বপ্নের দৃশ্যগুলো বাস্তবের দৃশ্য থেকে কত অস্পষ্ট। হতে পারে আমাদের বাস্তবব জীবনটাও এরকম যেখানে যা ঘটতে দেখছি তার সব মিথ্যা। হতে পারে ঈস্বরই এভাবে সাজিয়ে রেখেছেন। কোন উত্তর পাইনি) সুতারাং যার চিন্তা নিয়ে তাকে থাকতে দিন, অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করবেন না। সব সময় অন্যের বিশ্বাসের ব্যাপারে একটা কথাই মেনে চলবেন- Its simple, don't make it matter... দেখবেন সব ঠিক ঠাক চলছে। কোন কিছুকেই সিরিয়াসলি নিবেন না, আর কোন কিছুকে সিরিয়াস বানাবেন না। দেখবেন সব কিছু স্বাভাবিক। ভুল বললে ক্ষমা করবেন। সবাইকে Eid Mubarak

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

পথহারা মানব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ...এত সুন্দর একটা পোস্ট দেওয়ার জন্য!!!!
কি বলব কিছু ছাগুদের জন্য যারা অন্যদের রিলিজিয়নকে আঘাত করে তাদের কারনে মাঝেমাঝে ব্লগেই আসতে মন চায় না। আরে ভাই কেন মানুষের বিশ্বাসে আঘাত কর!! এদের জন্যই আজ সারাবিশ্ব্বে এত অশান্তি। মহান স্রষ্টা এদেরকে সঠিক পথ দেখাক এটাই প্রার্থনা। ঈদ মুবারক

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

একটি পেন্সিল বলেছেন: আমারও মাঝে মাঝে ব্লগে আসতে ইচ্ছা করে না যখন বিতর্কিত পোষ্ট ব্লগে দেখি। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ পথহারা মানব

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনাকে প্রশ্ন করি কয়েকটা। জবাব দেবেন আশা করি।
১।নাস্তিকের ব্লগের মন্তব্যে তোর করে বলেছেন!!! কেন?
২। যদি প্রচার করা যায়, ধর্মহীনতা নয় কেন?
৩। আপনি বলেছেন, এত মানবতা যে নাস্তিকেরা কোথায় পায়, সত্য কথা বলতে গেলে শুধু নাস্তিক না- অনেকেরই গায়ে পড়বে।
৪। মানবতাই নাস্তিকদের আদর্শ।,যেখানেই অন্যায় দেখুক, তারা কথা বলবেই। অবশ্যই বলবে। ধর্ম নিয়ে হোক, রাষ্ট্র নিয়ে হোক বা তা সুন্দরবন নিয়ে। আপনি একটা রিসেণ্ট ইস্যু দেখান দেখাবেন যেখানে তারা মানবতার বিরুদ্ধে বলেছেন। একটা শুধু। ওকে?
৫। আপনি বলেছেন, নাস্তিকদের কাজ, তারা ধর্মকে ভুল প্রমান করার চেষ্টা করে নিজেদের সঠিক বলে প্রমান করতে চাইবে যে তারাই ঠিক পথে আছে, আর বাকি সব পথ ভূল। আর তাই তারা ধর্মের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে।
মহানবী কী করেছিল? তিনি তার আমলে তার দ্বারা প্রচারিত ধর্ম ছাড়া অন্যসবকে ভুল বলেছেন না? এমনকি অতিরিক্ত প্রশ্ন পর্যন্ত করতে বারণ করেননি?
এখানে নাস্তিকেরা প্রচার করে না কিছু। তারা প্রমাণ দেয়। তারা ১০/১২ টা বিয়েও করে না, নাস্তিক্যবাদ প্রচারের জন্য যুদ্ধও করে না।
ভাইয়া দয়া করে বলুন তো, কে বেটার? যে যুদ্ধ করেছে সে না যে যুদ্ধের বিরোধিতা করে সে? যে ১০/১২/১৪ বিয়ে করেছে সে, নাকি যে ১ জনকে নিয়েই সন্তুষ্ট সে?
৬। কিন্তু নাস্তিকতায়তো সেরকম কিছু নেই যে উঠে পড়ে লাগতেই হবে তাদের চিন্তাগুলোকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে।
।।।।।।
কে বলেছে কিছু নেই? তারা মানুষকে প্রশ্ন করতে শেখায়, আশপাশের সব কিছু নিয়েই। প্রমাণ চাইতে শেখায়। আচ্ছা সে যাই হোক, একটা কোচিং সেণ্টারের বিজ্ঞাপন শহরের দেয়ালে দেয়ালে দেয়া যেতে পারে, মাইক বাজিয়ে ধর্ম প্রচার করা যেতে পারে। আর অনলাইনে দুই লাইন লিখলেই প্রব্লেম? কেন?
৭। আপনি বলেছেন, আবার কিছু কিছু নাস্তিক আছে যারা শুধু ইসলামের বিপক্ষেই কথা বলে।
এর উত্তর অভিজিত রায় খুব ভালো দিয়েছিলেন। তিনি একবার বলেছিলেন, ধরুন কোন দেশে কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আপনি তখন যদি বই লিখেন তাহলে কী নিয়ে লিখবেন? কলেরা না এইডস?
নিশ্চয়ই এইডস নিয়ে নয়।
এদেশে ইসলাম ধর্মের মানুষ বেশি, তাই এদেশে ইসলাম নিয়েই প্রশ্ন করা হয় বেশি। ইসলাম নিয়েই আলোচনা, সমালোচনা হয় বেশি। আর এটা দয়া করে মাথায় রাখবেন, আইএস, জঙ্গি এরা কিন্তু হিন্দু না।
প্রবীর ঘোষ ভারতের। তিনি খুব কমই ইসলামের বিপক্ষে বলেছেন। হিন্দু ধর্মকে আঘাত করেছেন সরাসরি। তিনি মুসলিমদের বিপক্ষে এজন্য কম বলেছেন যে, সেখানে মুসলিম এতো বেশি না। (শতকরা হিসেবে)
যাই হোক, আশা করি, উত্তরগুলো পাবো

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

একটি পেন্সিল বলেছেন: প্রশ্ন উত্তর...
১। আমি আগে খারাপ ব্যবহার করেনি, খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়ে তবেই খারাপ ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছি। আমার সাথে যে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে, সে তুলয়ায় তোর শব্দটি বেশি কিছু নয়।

২। পৃথিবীতে ধর্ম আগে এসেছে, নাস্তিকতা নয়। নাস্তিকতা আধুনিক, ধর্ম পুরানো। আধুনিক চিন্তা ভাবনার ফলে নাস্তিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে- এটা মানতেই হবে। তাছাড়া নাস্তিকরা যতটা না কুসংস্কার বিশ্বাস করে, সে তুলনায় ধার্মিকদের মধ্যেই কুসংস্কার বিশ্বাসী বেশি। একটি জাতীর চিন্তাভাবনা বা বিশ্বাসকে হঠাৎ করেই পরিবর্তন করা যায় না। তাদের বিশ্বাসকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন করা যায়, তবে কৌশল। আপনারা আস্তিকদের তুলনায় আধুনিক, তাহলে আপনারা কেন এটা চিন্তা করেন না যে কম আধুনিক মানুষের বিশ্বাসে আক্রমন করলে আপনারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন তার দ্বারা। যেহুতু আপনারা যতই নাস্তিক হন না কেন, আপনাদের পূর্বপুরুষরা ধর্মীকই ছিলেন, ঠিক কিনা। এখন আপনি আপনাকে চেঞ্জ করে আপনার পূর্ব পুরুষদের বিশ্বাসে হঠাৎ করেই আক্রমন চালাতে পারেন না। বরং আপনার পূর্ব পুরুষদের অধিকার আছে আপনার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলার। তাতে আপনি আপনার বিশ্বাস পরিবর্তন করেন বা না করেন। আপনাদের নাস্তিকতাকে আমি অবশ্যই সম্মান করি, যদি তার দ্বারা মারাত্বক কোন বিশৃঙ্খলা না হয়। আপনারা আপনাদের আধুনিক চিন্তা নাস্তিকতা প্রচার করুন, তবে সয়ে সয়ে- কারো বিশ্বাসে হঠাৎ আক্রমন করে নয়। তাহলে ক্ষতিটা আপনাদের যেমন হতে পারে, তেমনি আস্তিকদেরও। তবে একথা সত্য, আপনারা যদি নাস্তিকতা প্রচার নাও করেন, তবুও নাস্তিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

৩। আমি এখানে ভন্ড নাস্তিকদের কথা বলেছি যারা আসলে নাস্তিক নয়- কোন না কোন ধর্ম আছে তাদের। শুধু মুসলমানদের আক্রমন করার জন্যই তারা নাস্তিক হওয়ার ভান করে।
৪। নাস্তিকরা মানবতা বিরোধী কথা না বললেও, তাদের কৃত কর্মের কারনে অনেক ক্ষেত্রে মানবতা বিরোধী কাজ সংগঠিত হয়ে থাকে। সংগঠিত মানবতাবিরোধী কাজটি সংগঠিত হতে পারে নাস্তিকদের দায়ারা তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আস্তিকরা করে থাকে। তবে মূল উৎস নাস্তিকতা বাধ হীন প্রচার।
৫। তবে আমি এখানে আধুনিক যুগে এটা সমর্থন করার পক্ষে কথা বলিনি। নবী যাই করুন না কেন, তিনি আমাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিশেধ করেছেন। তবে কেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করব। যার বিশ্বাস তাকে নিয়ে থাকতে দেন। কোন গণ্ডগোল হবেনা। আগের মানুষ যাই করুক সেটা কোন বিষয় না, আমরা কি করছি, সেটাই বিষয়। আগের মানুষ সতিদাহ প্রথায় ছিল, এখন নেই। আগের মানুষ বহুবিবাহ করত এখন তেমন নেই। বিয়ে সাধীর দিক দিয়ে মানুষ এখন আধুনিক। এখন কেউ ১০ টা বিয়ে করেনা। তবে ব্যাতিক্রম যে থাকবে সেটা স্বাভাবিক। এখন অনেক মানুষই আছে যারা বেকারত্ব র কারনে বিয়ে করতে পারেন না, ১০ ১২ টা বিয়ে কিভাবে করবে। সুতারাং যে খারাপ জিনিসটা চলে গেছে বা যাচ্ছে তাকে যেতে দিন। সেটা নিয়ে তর্ক করে আমাদের লাভ নেই।

৬। অবশ্যই লিখবেন, তবে এটাও বুঝতে হবে মানুষ সেটা কিভাবে নেবে। আপনি কি চান, আপনাকে কেউ আক্রমন করুক। আপনি প্রচার করতে পারেন, তবে কৌশলে বিশ্বাসে হঠাৎ আক্রমন করে নয়। আপনি যদি কৌশলে একটু একটু করে এগোন, তবে দেখবেন কখন আপনার চেষ্টা সফল হয়েছে নিজেও জানবেন না। তাছাড়া এতে আমাদের এমন কোন লাভ নেই যে প্রচার করতে যেতেই হবে, আক্রমনের শিকার হব হই!

৭। নাম্বারে সাথে আমি অনেকটাই একমত। তবে উপরে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছি, সাত নাম্বারের বেলায় সেটাও ভাবতে হবে।


অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য। আপনি নাস্তিক আর আমি আস্তিক, আমরা কি বন্ধু হতে পারিনা? নাস্তিকতা আর আস্তিকতা বাদে আমরা কি অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আমাদের বন্ধুত্বকে প্রবাহমান রাখতে পারিনা। দরকার হয়, আমাদের বন্ধুত্ব রক্ষার সার্থে দুজনেই নিশ্চুপ থাকব। আবারও ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.