![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জানিনা, বাংলাদেশে কত পারসেন্ট লোক Vegan আছে। কারন উইকিপিডিয়ায় বিভিন্ন দেশে Vegan দের হার উল্লেখ করা হলেও বাংলাদেশের কথা উল্লেখ নেই। তবে পৃথিবী জুড়ে খুব কম মানুষই ( ১% এর ও কম) আছে যারা ভিগান। ভিগানরা মাছ মাংশ জাতীয় খাবার খায় না, খায় বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিজ্জ খাবার। কারন, তারা যুক্তি দেখায়, জীব হত্যা মহা পাপ আর মানবতা বিরোধী। সেটা না হয় মেনেই নিলাম, মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিশ্বাস থাকতেই পারে, এতে আমাদেরতো কোন ক্ষতি হচ্ছেনা। কিন্তু সেই বিশ্বাসকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে যখন বিজ্ঞান বিহীন ভ্রান্ত ধারনা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চলে, তখন খুব খারাপ লাগে। কোরবানিরর সময়ে কিছু ভিগান তাই ই করে বেড়াচ্ছে। তারা কোরবানির সময়ে পশু হত্যাকে মানবতা বিরোধী মনে করছে। এখন প্রশ্ন হল, কোরবানি ছাড়া যে পশুগুলো আমরা হত্যা করি, তাদের দৃষ্টিতে সেটা কেন মানবতা বিরোধী নয়। নাকি তারা চোখে দেখে না কোরবানি ছাড়াও সারা পৃথিবীতে প্রচুর পরিমানে পশু হত্যা করা হয় ভোজনের উদ্দেশ্য।
ভিগান বাদীরা যুক্তি দেখায়, প্রানীর মাংস মানুষের দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর যা ক্যান্সার, হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগের ঝুকি বাড়ায়। কিন্তু উইকিপিডিয়া ঘেটে জানতে পেরেছি, ভিগান আর নন ভিগারিয়ানদের মধ্যে এসব মারাত্বক রোগের ঝুকি প্রায় একই। বরং দেখা যায় কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে ভিগার রাই বেশি ঝুকিতে রয়েছে।
উইকিপিডিয়া ঘাটলে সব জানা যাবে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Veganism
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩
একটি পেন্সিল বলেছেন: ক্যান্সারের ঝুকি সমান হলেও বন ফ্রাকচারের ঝুকি কিন্তু ভিগানদেরই বেশি।
^ Appleby et al., European Journal of Clinical Nutrition, 2007: "We observed similar fracture rates among meat eaters, fish eaters and vegetarians. A 30% higher fracture rate among vegans compared with meat eaters was halved in magnitude by adjustment for energy and calcium intake and disappeared altogether when the analysis was restricted to subjects who consumed at least 525 mg/day calcium, a quantity equal to the UK EAR. ... In conclusion, fracture risk was similar for meat eaters, fish eaters and vegetarians in this study. The higher fracture risk among vegans appeared to be a consequence of their considerably lower mean calcium intake. Vegans, who do not consume dairy products, a major source of calcium in most diets, should ensure that they obtain adequate calcium from suitable sources such as almonds, sesame seeds, tahini (sesame paste), calcium-set tofu, calcium-fortified drinks and low-oxalate leafy green vegetables such as kale ..."[169]
National Institutes of Health, 2013: "In the Oxford cohort of the European Prospective Investigation into Cancer and Nutrition, bone fracture risk was similar in meat eaters, fish eaters and vegetarians, but higher in vegans, likely due to their lower mean calcium intake."[170]
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৮
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: সাইন্টেফিক স্টাডি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আপনি যে দুইটার কথা বলেছেন এটা হচ্ছে পপুলেশন সেম্পল স্টাডি। মানে একটা সেম্পলের উপর কোন ফ্যাক্টর পরখ করে এরপর একটা সিদ্ধান্তে যাওয়া। এটা মোটেই নির্ভরযোগ্য নয়। কারন সেম্পল ভিন্ন হলে রেজাল্টও ভিন্ন হয়ে যায়। একটা মাদ্রাসার ৫০০ জন স্টুডেন্ট এর উপর বিবর্তনে কতজন সমর্থন করে এটার পপুলেশন স্টাডি করলে দেখা যাবে শতকরা হারটা খুবই কম, এখনই জিনিস কানাডার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজি বিভাগে করা হলে মানটা খুবই বেশি হবে। সেটার উপর ভিক্তি করে সামগ্রিক ফলাফলে যাওয়া যায় না। ইসলামবিরোধী এমন অনেক পপুলেশন স্টাডি নাস্তিকরা ব্যবহার করে, আস্তিকরাও অহরহ করে থাকে। আপেক্ষিক উত্তর মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। উপরের যে ৬টা পয়েন্ট ছিল সবছিল পুষ্টিগুন বিশ্লেষণ করে করা, তাই বার বার Vegan Diet এর কথা বলা হয়েছে। এগুলো সেম্পল না বরং সরাসরি বিশ্লেষণ নির্ভর। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
একটা ব্যাপারে আমি একমত, নতুন ভিগান অনেকের একটা ভুল কাজ করে, সেটা হল; শুধু প্রাণীজ খাবার বাদ দেয় নতুন করে কিছু যোগ করে না। এটা উচিত নয়। ভিগান খাদ্যাভ্যাসের জন্য পুরো Diet কে নতুন করে সাজাতে হয় যাতে সকল পুষ্টিগুন পাওয়া যায়। এই ভুলের কারনে অনেকে B12 , ক্যালসিয়াম এর অভাবে ভুগে। সমস্যাটা কিছু নতুন ভিগানদের তথ্য না জানার কারনে হয়ে থাকে। দোষ কিছু ভিগানদের, ভিগানিজমের নয়। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
একটি পেন্সিল বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম। এখন ধরুন, আমি ভিগান হওয়ার জন্য হঠাৎ করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ফেললাম, তাহলে আমার শরীরে কি এর কোন প্রভাব সৃষ্টি করবেনা? কারন, আমিতো জন্ম থেকেই এক খাদ্যাভাসে বড় হয়েছি, সে অনুযায়ী আমার শরীরও সেভাবে গড়ে উঠেছে বা খাদ্য গ্রহনে অভ্যাসত হয়েছে।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আমি ভিগান হওয়ার জন্য হঠাৎ করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ফেললাম, তাহলে আমার শরীরে কি এর কোন প্রভাব সৃষ্টি করবেনা? কারন, আমিতো জন্ম থেকেই এক খাদ্যাভাসে বড় হয়েছি, সে অনুযায়ী আমার শরীরও সেভাবে গড়ে উঠেছে বা খাদ্য গ্রহনে অভ্যাসত হয়েছে।
ব্যাক্তিগতভাবে আমার কোন সমস্যা হয়নি। তবে অনেক ভিগানরা প্রথম প্রথম কিছু সমস্যায় ভুগে। সেটা স্বাস্থ্যগত নেতিবাচক কোন প্রভাব না। কিছু ক্ষেত্রে মানসিক আর কিছুক্ষেত্রে শরীরের নতুন খাদ্যাভ্যাসকে আপন করে নেয়ার প্রক্রিয়া। যারা ভিগান হওয়ার আগে প্রচুর মাংস খেত তারা প্রথম প্রথম ভিগান খাবার অরুচিতে ভুগে, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। এমন রিভিউও শুনেছি, যারা এক সময় নির্দিষ্ট কিছু উদ্ভিজ খাবারকে দেখলেই ক্ষুধা চলে যেত পরে সেটাও তারা খুব মজা করে খায়। আরেকটা দিক হচ্ছে উদ্ভিজ খাবারে প্রচুর পানি থাকে, ফলে ভিগানরা নন-ভিগানদের থেকে বেশি প্রস্রাব করে। এটা অবশ্য ভাল, এটার হলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে। স্ট্রোক এর ঝুকি কমে যায় ।
আপনি যদি ভিগানিজমে আগ্রহী হন তাহলে "Forks over Knives" নামে একটা ডকুমেন্টারি আছে সেটা দেখতে পারেন। মাংস ছেড়ে ভিগান বিকল্প গ্রহণ করার প্রভাবগুলো খুবই সহজ ও গুছালোভাবে এনিমেশনসহ এখানে বুঝানো হয়েছে। ধন্যবাদ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৩
একটি পেন্সিল বলেছেন: সব কিছু জানার পরে সব দিক বিবেচনা করলে, ভিগানিজম আসলেই ভালো। কিন্তু আমি নিজের ক্ষেত্রে এটাকে কখনো সমর্থন করব না, কারন আমি এটার জন্য বিন্দু মাত্র ত্যাগ শিকার করতে অনিচ্ছুক। তবে, অন্যের ক্ষেত্রে আমি এটা সাপোর্ট করব শতভাগ। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: কারন, তারা যুক্তি দেখায়, জীব হত্যা মহা পাপ আর মানবতা বিরোধী।
পাপ একটি ধর্মীয় ব্যাপার। ভিগান যেকোন ধর্মের মানুষ হতে পারে। যেকোন রকম এনিমেল প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, বা প্রাণীজ খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর, অপ্রয়োজনীয়, অনৈতিক ও খুবই নিষ্ঠুরতার কাজ। বিস্তারিত পড়ুন এখানে
এখন প্রশ্ন হল, কোরবানি ছাড়া যে পশুগুলো আমরা হত্যা করি, তাদের দৃষ্টিতে সেটা কেন মানবতা বিরোধী নয়। নাকি তারা চোখে দেখে না কোরবানি ছাড়াও সারা পৃথিবীতে প্রচুর পরিমানে পশু হত্যা করা হয় ভোজনের উদ্দেশ্য।
ভিগানরা যেকোন সময়ই পশুহত্যা ও পশুর পণ্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে। ঈদ-উল-আযহার সময় মানুষ উৎসব করে এই হত্যাজজ্ঞ চালায়, কোটি কোটি প্রাণীকে হত্যা করা হচ্ছে; চাহিদার জন্য নয় বরং খুশি করার জন্য। তাই এই সময় বিশেষ করে কথাগুলো বলা। অন্য সময়ও নানা জায়গায় বলা হয়েছে। এখন আপনার চোখে পরেছে এর মানে এই নয় যে শুধু এখনো তারা বলছে।
কিন্তু উইকিপিডিয়া ঘেটে জানতে পেরেছি, ভিগান আর নন ভিগারিয়ানদের মধ্যে এসব মারাত্বক রোগের ঝুকি প্রায় একই। বরং দেখা যায় কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে ভিগার রাই বেশি ঝুকিতে রয়েছে।
উইকিপিডিয়া কোন রেফারেন্স নয়। আর আপনি উইকিপেডিয়া না বলে কোন বৈজ্ঞানিক রিসার্চে প্রমানিত হয়েছে এমন বললে সবচেয়ে ভাল হত। আর আপনি শেয়ার দেয়ার আগে উইকি আর্টিকেলটা পড়েছেন ? পড়তে হয়তো আলসেমি লাগতে পারে আপনার তাই এখানে কপিপেস্ট করলাম।
ক। Veganism appears to provide health benefits, including a reduced risk of type 2 diabetes, high blood pressure, obesity, and heart disease. There is evidence that a vegan diet aids weight loss more effectively than a vegetarian or non-vegetarian diet
খ। A 2016 systematic review found that a vegan diet was associated with a significant reduction in cancer risk.
গ। Factors associated with a vegan diet being considered cancer-protective include an increased intake of fruits and vegetables; absence of meat; sources of vegan protein, including soy protein; and typically lower body mass index (BMI).
ঘ। The American Academy of Nutrition and Dietetics and Dietitians of Canada state that properly planned vegan diets are appropriate for all life stages, including pregnancy and lactation.
ঙ । The British National Health Service's Eatwell Plate allows for an entirely plant-based diet, as does the United States Department of Agriculture's (USDA) MyPlate.
চ। The USDA allows tofu to replace meat in the National School Lunch Program.
## শুধুমাত্র German Society for Nutrition এর বিরুদ্ধে কথা বলেছে। আমি তাদের রিসার্চ স্টাডি পড়েছি অনেক আগেই। সেখানে শুধুমাত্র ভিটামিন বি১২ এর কথা বলা আছে। বি১২ এর কথা আমার ব্লগে বলা আছে, আশা করি পড়ে দেখবেন। ঐ রিসার্চ স্টাডি ক্রসচেকও করা হয়নি। পরে জানতে পেরেছি German Society for Nutrition এ এনিমেল ইন্ডাস্ট্রি এর ভাল লবিং আছে। বড় বড় Conglemerate গুলো কাস্টমারকে বোকা বানানোর জন্য অনেক সময় এ ধরনের রিসার্চ স্টাডি করে থাকে, কোকাকোলারও Health Benefit রিসার্চ স্টাডি আছে।। এটা বুঝার জন্য স্টাডিগুলো গভীরভাবে দেখা লাগে। জানি আপনাদের কাছে তেমন সময় নেই তাই এই ভিডিওটি দিলাম এটা বুঝতে সাহায্য করবো ভবিষ্যতে পরখ করতে কাজে লাগবে https://www.youtube.com/watch?v=0Rnq1NpHdmw
স্বাস্থ্যগত ইস্যুগুলো এই নিরপেক্ষ ডকুমেন্টারিতে সুন্দর করে বলা আছে। চাইলে দেখে নিতে পারেন।
https://www.youtube.com/watch?v=-roZi4kAp90
আপনার পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ।