![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার একটি যোগ্যতা আছে, যা অনেকের নেই। সেই যোগ্যতাটি দিয়ে আপনি আমাকে সামান্য উপকার করতে পারেন, মোটামুটি উপকার করতে পারেন আবার অনেক বেশি উপকার করতে পারেন। আপনি আমাকে কতটুকু উপকার করতে পারেন, তা নির্ভর করে আপনার উপকার আমার কতটুকু প্রয়োজন। এখন উপকার করার যোগ্যতা যেহেতু আপনার, সেহেতু আপনি আমাকে উপকার করবেন কি করবেন না সেটাও আপনার ব্যাপার। আপনাকে দিয়ে জোর করে কাজ করানোর অধিকার কারো নেই। জীবন মরনের প্রশ্ন উঠলেও আপনি কাউকে উপকার করতে যাবেন কিনা, কারো জীবন বাঁচাতে যাবেন কিনা সেটা আপনার ব্যাপার, আপনার ব্যাক্তিত্বের ব্যাপার।
এখন আপনার উপকার যেহেতু আমার প্রয়োজন, সেহেতু আমার কাজ আপনাকে উপকার করতে রাজি করানো। আপনি টাকা বা অন্য কিছুর বিনীময়ে উপকার করতে রাজি হলেন, আবার মন চাইলে কোন কিছুর বিনীময় ছাড়াই উপকার করলেন। সেটা আপনার ব্যাপার, আপনাকে জোর করার অধিকার কারো নেই। আপনাকে যে জোর করবে, সে আইনের চোখে অপরাধী। আবার জীবন মরনের প্রশ্নে আপনি সামর্থ থাকা স্বত্তেও কাউকে উপকার করলেন না, সে ক্ষেত্রে মানবতার চোখে আপনি অপরাধী। আইন অপরাধীকে শাস্তি দিতে আসবে, কিন্তু মানবতা কখনও অপরাধীকে শাস্তি দিতে আসবে না। তাই আপনি স্বাধীন, আপনাকে জীর করার অধিকার কারো নেই। তবে আপনার মধ্যে এমন কেউ থাকতে পারে, যে রাত দেখেনা দিন দেখেনা- গলা ধাক্কা দিয়ে আপনাকে ঠেলে পাঠিয়ে দেয় কাউকে উপকার করার জন্য- তার নাম বিবেক।
আমাদের এই গরীব দেশে মানুষের মধ্যে ডাক্তারের ভিজিট নিয়ে প্রায়ই কথা বলতে শোনা যায়। কেউ কেউ ডাক্তারকে ডাকাতের সাথে তুলনা করে বলেন, ডাক্তাররা ভিজিট অনেক বেশি নিচ্ছে, মাত্র চার পাচ মিনিটে এত ভিজিট হয় নাকি। আবার আরেকদল বলে, ডাক্তাররা যে ভিজিট নিচ্ছে সেটাই ঠিক, তারা যে পরিশ্রম করে ডাক্তার হয়েছেন, সে তুলনায় এ ভিজিট খুবই সামান্য। গ্রাম থেকে সহর পর্যায়ে দেখা যায়, ডাক্তাররা রোগীর কাছ থেকে ২০০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে থাকে। আবার কোথাও কোথাও এর থেকে বেশি হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু না। এখন প্রশ্ন হল, আমাদের মত গরীব দেশে ডাক্তারদের এত ভিজিট নেয়া কতটা যুক্তি যুক্ত? আমি এ ক্ষেত্রে সরাসরি বলব, ডাক্তারদের এরকম বেশি মাত্রায় ভিজিট নেয়া শতভাগ যুক্তিযুক্ত। এমনকি এর থেকে বেশি হলে সেটাও যুক্তিযুক্ত। আগেই বলেছি, উপকার করার যোগ্যতা যার, সে কিশের বিনিময়ে উপকার করতে চাইবে বা না চাইবে সেটা সম্পূর্ন তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের তার প্রতি জোর খাটানোর কোন অধিকার নেই। না আছে তাকে গালি দেয়ার অধিকার, না আছে অপমান করার অধিকার। রোগীদের উদ্দেশ্য এসব কথা আমরা বলতেই পারি, সে ক্ষেত্রে ডাক্তারদেরই জিত।
তবে ডাক্তারদের উদ্দেশ্য ও কিছু কথা থাকে।
ডাক্তাররা অনেক পরিশ্রম করে, অনেক মেধা খরচ করে, অনেক টাকা পয়সা খরচ করে, এদিকে ওদিকে ক্ষর কুটা পুরিয়ে অবশেষে একজন ডাক্তার হতে পারেন। সেটা যে কতটা ত্যাগ শিকারের ব্যাপার সেটা ডাক্তারই ভাল জানেন। আর সেই ত্যাগের রেশ তারা বয়ে বেড়ান সারা জীবন। সে তুলনায় রোগীর কাছ থেকে ১০০০ টাকা ভিজিট নেয়া কিছুই না। এখন ডাক্তারদের কোন বিষয়ে জোর করা না গেলেও, কিছু কথা তাদের উদ্দেশ্য বলতেতো বাধা নেই। অবশ্য যারা ডাক্তার হন, তারা আমাদের থেকে ভাল বুঝবেন সেটাই স্বাভাবিক। কেননা, মেধাবী না হয়েতো কেউ ডাক্তার হতে পারেন নি। তবুও বলা। কথাগুলো পছন্দ না হলে তারা ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে পারেন, সেটা তাদের ব্যাপার।
পৃথিবীতে অনেক মহামানব জন্মেছেন, যারা এই পৃথিবীতে এসে শুধু পরিশ্রমই করেছেন, সংগ্রামই করেছেন এমনকি নিজের কাজের জন্য জীবনও দিয়েছেন, কিন্তু তার বিনীময়ে সে যেমন কিছু পান নি, তেমনি সে কখনও কিছু আশাও করেন নি। তবুও তিনি যেটা পেয়েছেন, সেটা হল মানুষের ভালবাসা, অমরত্ব, বেঁচে থাকার স্বাধ আর সম্মান। এগুলো সম্পত্তির মত হাত দিয়ে ধরা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়, যে অনুভূতি অনুভব করা যায় মৃত্যুর পরও। বেশি দূরে যেতে হবেনা, আমরা আমাদের বাংলাদেশের এই মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথা বলতে পারি। তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করে, এত পরিশ্রম করে কি পেয়েছেন? বরং এর বিনীময়ে তাকে জীবনটা দিতে হল। তবে একটা জিনিস তিনি পেয়েছেন, যা আগেই বললাল- হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় না- অনুভব করা যায়।
অনেক বড় বড় বৈজ্ঞানিক, এরিস্টটল, আইনস্টাইন, নিউটন, এডিশন, ডারউইন, গ্যালিলিও, যারা সারা জীবন কঠর পরিশ্রম, কঠর সাধনা করে গেছেন কোন কিছু আবিস্কারের জন্য। তারা যেমন কোন সম্পত্তি পাননি, তেমনি আশাও করেন নি। তবে একটা জিনিস পেয়েছেন, যা হাত দিয়ে ধরা যায় না অনুভব করা যায়। যাইহোক এ নিয়ে আর কথা বলব না। এগুলো হয়ত নিতী বাক্যের মত শোনাতে পারে, কিন্তু বাস্তব।
ডাক্তার হয়ে যদি আপনি আপনার পরিশ্রম কে টাকার সাথে তুলনা করতে চান, তবে নিঃসন্দেহে আপনার উচিৎ আপনার ডাক্তারি ভিজিট বেশি নেয়া উচিৎ। তারপরেও যদি মনে হয় কম হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আরো বাড়িয়ে দেয়া উচিৎ। প্রয়োজনে ১০০০ টাকা নয় দশ হাজার টাকাও ভিজিট ধরতে পারেন। তা না হলে আপনার লস হয়ে যেতে পারে। এখন আপনি কত টাকা ভিজিট নিলে সন্তুষ্ট থাকবেন, কতটাকা ভিজিট নিলে আপনার লস হবেনা, সেটা আপনার ব্যাপার, আপনার ভেবে দেখা উচিৎ। তবে কখনও লস করতে যাবেন না, কারন আপনিতো এত পরিশ্রম করে ডাক্তার হয়েছেন শুধু টাকা আয় করার জন্যই। আর এই টাকাই আপনার পরিশ্রমের কষ্ট ভূলিয়ে দেবে, টাকাই আপনাকে মানুষিক প্রশান্তি দেবে।
আবার আপনি যদি মনে করেন, আমি ডাক্তার হয়েছি ডাক্তারি পেশার জন্য, তাহলে
আপনার উচিৎ পৃথিবীর সব ভূলে ডাক্তারি পেশা নিয়ে পড়ে থাকা। নিজেকে আরো উন্নত করা। নিজের পরিবার পরিজনকে ভূলে গিয়ে রোগীদের সেবা করে যাওয়া। রাত নেই দিন নেই, কোথাও কারো অসুস্থের খবর পেলেই ছুটে যাওয়া। প্রয়োজন পড়লে নিজের গাটের টাকা খরচ করে রোগীর সেবা করবেন। কয় টাকা পেলেন আর কয় টাকা না পেলেন, সেটা কোন বিষয় নয়, আপনার কাজ শুধু রোগীর সেবা করা। কেননা, আপনি এত পরিশ্রম করে লেখা পড়া করেছেন শুধু পেশায় একজন ডাক্তার হবার জন্য, টাকা আয় করার জন্য নয়। তবে কেন অযথা টাকার দিকে মনযোগ দেবেন।
... আবার আপনি যদি মনে করেন, আপনি সারা জীবন পরিশ্রম করে ডাক্তারি পড়েছেন পেশায় একজন ডাক্তার হবার জন্য, পাশাপাশি নিজের জীবিকার জন্য।
তাহলে আপনার কি করা উচিৎ? যেহেতু আগেই আপনি পেশায় একজন ডাক্তার হতে চেয়েছেন, সেহেতু আপনি আগে আপনার পেশার দিকেই গুরুত্ব দিয়ে তাকাবেন, আবার পাশাপাশি নিজের জীবিকাও ঠিক রাখতে হবে। কেননা আপনি না বাঁচলে ডাক্তারী করবে কে?
আধুনিক যুগের ডাক্তারদের উচিৎ নয়, সেই আগের যুগের ডাক্তারের মত- রোগী বুঝে পয়সা নেয়া। আগেরকার যুগের অনেক ডাক্তার কোন কোন রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে চুপি চুপি লসও খেয়েছেন, রোগী বুঝে পরিশ্রমও কোন কোন রোগীর জন্য পরিশ্রমও বেশি করেছেন। তারা হয়ত আধুনিক চিকিৎসা জ্ঞান সম্পন্ন ডাক্তার ছিল না। কিন্তু তারাও এক ত্যাগ শিকার করতে পারতেন প্রচুর। কারন, কেউ কেউ ত্যাগের মাঝেই, কষ্টের মাঝেই জীবনের সার্থকতা খুজে পায়, জীবনের আনন্দ খুজে পায়। ত্যাগ আর পরিশ্রমের কারনে যেমন জীবন থেমে থাকেনা, আবার এগুলো না করে আরামের জীবন কাটালেও জীবন থেমে থাকেনা। তবে সবার ক্ষেত্রে দুইটার গুরুত্ব সমান নয়। কেউ কেউ চৈত্রের ভরা রোদে মাঠে ঘাম ঝড়িয়ে ফুটবল খেলে আনন্দ পায়, আবার কেউ বাসায় আরামে শুয়ে শুয়ে টিভিতে সেই ফুটবল খেলা দেখে আনন্দ পায়। কার আনন্দ ঠিক কোনটা হবে বলা যায় না। কারো কারো কাছে পরিশ্রম আনন্দের, আর কারো কারো কাছে পরিশ্রম কষ্টের। এটাই বাস্তবতা। যাইহোক মূল কথায় আসি। উপরে ডাক্তারদের তিনটি অবস্থা কল্পনা করেছি। এই তিনটি অবস্থার মধ্যে আপনি কোনটিতে আছেন, বলুন? আপনি এত কষ্ট করে ডাক্তারি পড়েছেন টাকা আয় করার জন্য, শুধু রোগীর সেবা করার জন্য নাকি রোগীর সেবার পাশাপাশি নিজের জীবিকার জন্য? আপনি যে অবস্থান টিতে আছেন, সেই অবস্থানটি থেকেই নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিন আপনার ডাক্তারি ভিজিট কত হওয়া উচিৎ?
(বিঃদ্রঃ এটা কোন উপদেশমূলক পোষ্ট নয়)
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৫
হাসান ইমরান বলেছেন: যেহেতু ডাক্তারির কথা বলছিলেন তাই উদাহরণ স্বরূপ মাদার তেরেসাকে দেখালে আরো ভালো হত।
তবে ভালো লাগলো পড়ে।
সবচেয়ে ভালো লাগলো এই অংশটা পড়ে....
"ডাক্তার হয়ে যদি আপনি আপনার পরিশ্রম কে টাকার সাথে তুলনা করতে চান, তবে নিঃসন্দেহে আপনার উচিৎ আপনার ডাক্তারি ভিজিট বেশি নেয়া উচিৎ। তারপরেও যদি মনে হয় কম হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আরো বাড়িয়ে দেয়া উচিৎ। প্রয়োজনে ১০০০ টাকা নয় দশ হাজার টাকাও ভিজিট ধরতে পারেন। তা না হলে আপনার লস হয়ে যেতে পারে। এখন আপনি কত টাকা ভিজিট নিলে সন্তুষ্ট থাকবেন, কতটাকা ভিজিট নিলে আপনার লস হবেনা, সেটা আপনার ব্যাপার, আপনার ভেবে দেখা উচিৎ। তবে কখনও লস করতে যাবেন না, কারন আপনিতো এত পরিশ্রম করে ডাক্তার হয়েছেন শুধু টাকা আয় করার জন্যই। আর এই টাকাই আপনার পরিশ্রমের কষ্ট ভূলিয়ে দেবে, টাকাই আপনাকে মানুষিক প্রশান্তি দেবে।"
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৬
একটি পেন্সিল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডাক্তারের ভিজিট ১ পয়শাও হওয়া উচিত না।
স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সভ্যদেশে ডাক্তারকে কেউ ভিজিট দেয় না।
Europe, North America, Australia সহ অন্যান্য সভ্য দেশে ডাক্তার ও হাসপাতাল খরচ সম্পুর্ন ফ্রী। নাগরিকদের ট্যাক্স-ভ্যাট থেকে ব্যায় বহন করা হয়। শিক্ষাও বিনামুল্যে। (সুধু USA তে স্বল্প Health premium বিনিময়ে সকল স্বাস্থসেবা দেয়া হয়।)
৬ বছর আগে পিসিতে বাংলা লেখা শিখছিলাম, তখনকার একটি লেখা পড়ুন।
view this link
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯
জে আর সিকদার বলেছেন: আমি ১ম অবস্থানে !
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: উপরের হামান কালবৈশাখীর সাখে একমত। ডাক্তারের ভিজিট এক টাকাও হওয়া উচিৎ না। তাদের বেতন ঘুষখোর আমলাদের মত হবে আর তারা সেবা দিবে।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
প্রামানিক বলেছেন: ডাক্তারের পেশাটা মূলত সেবা মূলক পেশা। এই পেশাকে টাকার সাথে তুলনা করলে তাকে আর ডাক্তার বলা যাবে না। কারণ টাকার পরিমাণ দিয়ে সেবার তুলনা হয় না।
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
একটি পেন্সিল বলেছেন: ঢাকাবাসী ও প্রামানিক ভাইয়ের সাথে আমি একমত। ধন্যবাদ দুজনকেই।
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
ফুদাল ফিদাল বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। বাংলাদেশে অধিকাংশ ডাক্তার পেশ+জীবিকা হিসেবে নেয়। তবে কিনা ভাই, ব্যাপারটা এমন না যে আমাকে ভিজিট হিসেবে অমুক টাকাই দিতে হবে। এটা যাস্ট একটা গাইড লাইন। আপনি যদি কোনও ডাক্তারকে বলেন, আমার টাকা নেই তাই ভিজিট দিতে পারব না। তাহলে আপনি যা দেবেন, তাই তার নিয়ে নেবার কথা। অন্তত অধিকাংশের ক্ষেত্রে।
প্রফেসরের সাথে চেম্বার করার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, ভেতরে স্যারকে ৫০০ টাকার জায়গায় সন্তানকে স্যারের কাস্টোমার আর টাকা নেই বলে দাবী করে ৩০০ টাকা দিয়ে এসে, বাইরে বসে গ্রিল চিকেন খেতে। টাকা নেই বলে ভিজিট কম দিয়ে, পরে নিজের ইচ্ছা দামী দামী 'ভিটামিন' ঔষধ-ও লিখিয়ে নিতে দেখেছি।
সমস্যাটা এখানেই।
১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোন রোগীকে ডাক্তার তাঁর কাছে আসতে বাধ্য করে না। রোগী তাঁর ভিজিট জেনেই তাঁর কাছে যান। গরীব রোগীদের জন্য সরকারী ডাক্তার তো আছেনই। সিস্টেম টাইট করলে ভালো ডাক্তারও গ্রামে কাজ করতে বাধ্য হবে। ভিজিটটা ডাক্তারের অধিকার, তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে টেস্ট করানো, এন্টিবায়োটিক দেয়া - এসব নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না...
১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
একটি পেন্সিল বলেছেন: আমি পোস্টের মাধ্যমেই সবকিছু ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। তবুও বলছি, আমরা ছোট বেলা থেকে আমাদের মা বাবা আত্মীয় স্বজনসহ সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্র থেকে এমন মন মানুষিকতা নিয়ে বড় হই যেন টাকা ই সব কিছুই। টাকা দিয়ে আপনার সম্মান, সমাজে প্রতিষ্ঠিতি হতে পারার যোগ্যতা নির্দেশ করা হয়। এর কারনও আছে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই দরিদ্র, দিন আনে দিন খায়। তাদের ধান্দা থাকে কিভাবে দুই টাকা আয় করে পেট চালানো যায়, অন্য কোন ধান্দা থাকে না। তাই অনেক ক্ষেত্রে দারিদ্রতা আক্রমন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হলেও পুরানো টাকার ধান্দা থেকেই যায়। সে টাকার মাধ্যমেই নিজেকে প্রমান করতে চায়, সে সমাজে অন্যদের তুলনায় কতটা ভাল আছে। এতেই তার মানুষিক প্রশান্তি। যত টাকা আয় করা যাবে মানুষিক প্রশান্তি তত বাড়বে। এমন মন মানুষিকতা সৃষ্টির জন্য দায়ী আমাদের সমাজ। কিন্তু কিভাবে, সেটা স্বল্প কথায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ @ বিচার মানি তালগাছ আমার
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, বেশ সুন্দর যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করেছেন । বর্ণিত তিনটি অবস্থার মধ্যে মানুষকে সেবা করাটাই হ ওয়া উচিত অাসল ব্রত সে সাথে জীবিকার প্রয়োজনে রুগীর অার্থিক দিক বিবেচনায় রুগীর সামর্থ অনুযায়ী তার সেবার পারিশ্রমিক গ্রহন করতে পারেন ।