![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিঃসন্দেহে পৃথিবীর বিজ্ঞান জগৎ কে যারা এতদুর এগিয়ে এনেছেন, তাদের মধ্যে বিজ্ঞানী চার্ল ডারউইনের অবদান অনেক বেশি। জীববিজ্ঞানের প্রানীর বিবর্তনের গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী হিসেবে এত সুক্ষ চিন্তাভাবনা যা এখন পর্যন্ত খুব কম বিজ্ঞানীর দ্বারাই করা সম্ভব হয়েছে। তার গবেষনাগুলো আইনস্টাইনের আপেক্ষিক সূত্রের মতই জটিল, কিন্তু আধুনিক। আর এই জটিলতার কারনেই, চার্ল ডারউইন তার তত্ত্বকে প্রমান করতে গিয়ে যেভাবে বোঝাতে চেয়েছেন, অনেকেই সেভাবে না বুঝে ভিন্নভাবে বুঝছেন। এটা শুধু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে নয়, বর্তমানের অনেক নাম করা বিজ্ঞানীরাও ডারউইনের তত্ত্বকে ভুলভাবে বুঝে তার বিতর্কিত ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। যেমন, চার্ল ডারউইন তার natural selection বইয়ে কখনই প্রমান করার চেষ্টা করেন নি যে, মানুষের পূর্ব পুরুষ বানর ছিল। তবে তিনি এটা বলেছেন যে, মানুষের পুর্ব পুরষরা হয়ত দেখতে অনেকটা বানরের মত ছিল। তবে সেটা যে বানরের মত হতেই হবে এমন কোন কথা নেই। তিনি পাঠক কে বোঝানোর জন্যই বানর শব্দটি ব্যাবহার করেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য, অনেকেই সেটা ভুল ভাবে বুঝে বসে আছেন। আর এই ভুলগুলোর কারনেই চার্ল ডারউইন এর তত্ত্ব নিয়ে এত বিতর্ক, এত বিভ্রান্তি!
সেই যাই হোক, অনেকেই চার্ল ডারউনের তত্ত্বের উপর বিচার করে বলে থাকেন, চার্লস ডারউইন নাস্তিক ছিলেন। তার তত্ত্বগুলো এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের পরিব্যাপ্তি সেটাই প্রমান দেয়। ব্যক্তিগত ভাবে একজন মানুষের বিশ্বাস যা খুশি তাই হতে পারে, কারো অধিকার নেই তাতে হস্তক্ষেপ করার। এখন প্রশ্ন হল, সে কি কখনও নাস্তিকতা প্রচার করেছেন, বা প্রচার করার চেষ্টা করেছেন? নাকি সে কাউকে নাস্তিক বানাতে চেষ্টা করেছেন নাকি ধর্মকে ভুল প্রমান করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন? এগুলোর কোনটাই তিনি করেন নি আর করার উদ্দেশ্যও তার ছিল না। তিনি কখনও বলেন নি, আমি নাস্তিক, তোমরাও নাস্তিক হয়ে যাও। তিনি যেটা বলতে চেয়েছেন, এই প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে আমি আমার জ্ঞান দিয়ে প্রকৃতি সম্পর্কে কিছু তত্ত্ব উদঘাটন করতে পেরেছি যা আমি প্রমান করতে পারি। আর সেই প্রমানের উদ্দেশ্যেই এত কিছু, নাস্তিকতার উদ্দেশ্যে নয়। তবে কেউ যদি তার বই পড়ে নাস্তিক হয়ে যায়, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার। কিন্তু চার্লস ডারউইন কাউকে নাস্তিক বানানোর জন্য বই লিখে যান নি, তিনি বই লিখে গিয়েছেন, তিনি পর্যবেক্ষণ করে যেটা পেয়েছেন সেটা প্রমান করার জন্য। কিন্তু আজকাল দেখা যায়, চার্লস ডারউইনের বইগুলো যতটানা বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহার করা হয়, তার চেয়ে বেশি নাস্তিকতার কাজে ব্যবহার করা হয়। নাস্তিকদের সম্পদ বলতে কিছুই ছিলনা, এখন চার্লস ডারউইনের বইগুলো তাদের সম্পদে পরিনত হয়েছে। এখন তারা তাদের নাস্তিকতা প্রমান করার জন্য চার্লস ডারউইনের বইগুলো নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিৎ, চার্লস ডারউইনের বইগুলো মহামূল্যবান বিজ্ঞানের বই, এগুলো বিজ্ঞানের গবেষনার কাজে ব্যবহার করা উচিৎ, নাস্তিকদের সুবিধা দানের জন্য নয়। কেননা ডারউইন বইগুলো লিখেছেন বিজ্ঞানের উদ্দেশ্যে, নাস্তিকতার উদ্দেশ্যে নয়।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৮
একটি পেন্সিল বলেছেন: সম্পূর্ন না।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৭
একটি পেন্সিল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
ফরিদ আহমাদ বলেছেন: ভালোই তো লিখেন
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
একটি পেন্সিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ফরিদ আহমাদ
৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪১
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বইটা পড়া হয়নি।না পড়েই ডারউইনের তত্ত্বের সাথে নাস্তিকতা অন্ধভাবে মিলিয়ে একটা গোঁড়ামির পরিচয় দেওয়া হয়
৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬
একটি পেন্সিল বলেছেন: কেউ সার সংক্ষেপের মাধ্যমে বোঝে আবার কেউ দশটা বই পড়ে আইনস্টাইনের তত্ত্ব বোঝেনা। তা না হলে ডারউইন তত্ত্বের বিরোধী তা কেন করবে। আমি বইটা সম্পর্ন না পড়লেও তার মূল থিওরী এবং তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন তা ঠিকই বুঝতে পারছি। অবশ্য বেশ কিছু বই আমাকে সাহায্য করেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪১
হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি এই বইটা কখনো পড়েছেন?