নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ঘুরতে ভাল লাগে। ভাল লাগে প্রকৃতি বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতে। ভাল লাগে নিজেকে নিজের মধ্যে হারিয়ে ফেলতে।

একটি পেন্সিল

একটি পেন্সিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনা এবং আইনস্টাইনের E=mc2 সূত্র _______!!!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৬



আপনি কি কখনও এই চিন্তাটি করতে পারবেন যে, মাত্র ৬ কিলোগ্রাম পদার্থ ব্যাবহার করে একটা শহর কয়েক মূহুর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দেয়া সম্ভব? মাত্র কয়েক মুহুর্ত সময়, দেখবেন সেখানে সব ছাইয়ে পরিনত হয়েছে, মানুষ, দালানকোঠা, ঘরবাড়ির চিহ্নও সেখানে নেই। সেখানে শুধু দেখতে পাবেন, নরক!
হ্যা এটাই সম্ভব হয়েছিল ১৯৪৫ সালে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। কত ভয়ংকর ছিল সে যুদ্ধ! পৃথিবীর মানব ইতিহাসে এর চেয়ে বড় কলঙ্ক আর নেই। যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ৬.২ কেজি প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করেছিল জাপানের নাগাসাকি নামক সুন্দর এই শহরটিকে নরকে পরিনত করার জন্য। নাগাসাকির আয়তন ৪০৬ বর্গকিলোমিটার। এখন পৃথিবীর আয়তনের মাধ্যমে হিসাব করুন, সমস্ত পৃথিবী ধ্বংস করার জন্য আমাদের কতটুকু প্লুটোনিয়াম প্রয়োজন। তাছাড়া প্লুটোনিয়াম এত ভারী মৌল যে, এক কেজি প্লুটেনিয়াম আমাদের হাতের মুঠের সমানও হয়ত হবেনা।
যাইহোক, ১৯৪৫ সালের ৯ আগষ্ট ৪৬৭০ কিলোগ্রাম ওজনের ফ্যাটম্যান নামক যে বোমাটি নাগাসাকি শহরের বুকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তাতে মাত্র ৬.২ কেজি প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছিল। এর আগে, ৬ আগস্টে জাপানের হিরোশিমা শহরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল লিটল বয় নামক বোমাটি, যাতে ৬৪ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম ব্যাবহার করা হয়েছিল, যার মোট ওজন ছিল ৪৪০০ কিলোগ্রাম। পৃথিবীর কলঙ্কময় ইতিহাসে হিরোশিমায় নিক্ষেপকৃত লিটল বয় নামক বোমাটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক বোমা।
হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে মোট ১৩০০০০-২৪৬০০০ জন মানুষ নিহত হয়েছিল। এখনও সেখানে পারমাণবিক রেডিয়েশন চলছে, যার প্রভাবে অনেক বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নিচ্ছে।
আমাদের এই পৃথিবীকে জ্ঞান বিজ্ঞানের মাধ্যমে যারা সভ্যতা দান করেছেন, ভাবতে শিখিয়েছেন এই মহাবিশ্ব নিয়ে , তাদের মধ্যে অন্যতম একটি নাম আলবার্ট আইনস্টাইন। আইনস্টাইন তার আপেক্ষিক তত্ত্বের মাধ্যমে ভর, শক্তি, আয়তন আর সময় সম্পর্কে যে ধারনা বিজ্ঞান মহলে প্রচলিত ছিল, তা হঠাৎ করেই বদলে দিয়েছিলেন। তার মতে, মহাবিশ্বের কোন বস্তুর ভর, বস্তুর আয়তন, শক্তি, গতি ইত্যাদি ধ্রুবক নয়। বরং পরিবর্তন যোগ্য। যেমন, একটি বস্তু শক্তিতে পরিণত হতে পারে আবার শক্তিও বস্তুতে পরিণত হয়ে যেতে পারে। আইনস্টাইন তার বিখ্যাত সূত্র E=mc2 এর মাধ্যমে ভর এবং শক্তির মাধ্যে সম্পর্ক দেখিয়েছেন। আর এই সূত্রের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বস্তুকে শক্তিতে পরিনত করার প্রথম ধারনাটি পেয়েছিলেন, আর আইনস্টাইনের E=mc2 সূত্রের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছিলেন, বস্তুকে যদি শক্তিতে পরিনত করাই যায়, তবে নিশ্চয় অনেক শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। পৃথিবীতে অনেক মৌলিক পদার্থ আছে, যাদের ভর সংখ্যা বেশি। এগুলো হল, ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম ইত্যাদি। যে পদার্থের ভর সংখ্যা যত বেশি, সেই পদার্থ দিয়ে তত সহজে তত বেশি শক্তি উৎপাদন সম্ভব। আর এসব ভারী মৌলগুলোকে যে পদ্ধতিতে শক্তিতে রূপান্তর করা হয়, তার নাম পারমাণবিক চেইন রিয়েকশন। আর পারমাণবিক চেইন রিয়েকশন ব্যাবহার করেই তৈরি করা হয় পারমানবিক বোমা বা atom bomb. যাইহোক, আইনস্টাইন কিন্তু বস্তকে শক্তিতে রূপান্তর করার কথাই ভেবেছিল শুধু মাত্র, কখন পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা ভাবেন নি। সে হিসেবে পারমাণবিক শক্তির অপব্যবহারের ক্ষেত্রে আইনস্টাইনকে কোনভাবে দায়ী করা যায় না। কেননা বিজ্ঞানকে কেউ খারাপ কাজেও লাগাতে পারে আবার ভাল কাজেও। একটি ছুরি আপনি কারো হাত কাটার জন্যও ব্যাবহার করতে পারেন, আবার আপেল কাটার জন্যও। ঠিক পারমাণবিক বোমার দুটো দিকই আছে। আমরা শুধু পারমাণবিক শক্তির ভাল দিকটাই ব্যাবহার করতে পারতাম। পৃথিবীর অনেক দেশ পারমানবিক শক্তি
ব্যাবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করছে।
জাপানে যখন হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল, তখন ক্ষতি শুধু নিজ শহরেই হয়নি, পার্শ্ববর্তী শহরেও হয়েছিল। হিরোশিমা নাগাসাকির বাইরেও প্রচুর পারমাণবিক রেডিয়েশন হয়েছিল, যার ক্ষতির পরিমান ছিল অনেক।
যাইহোক, আমাদের এশিয়ার ভারত পাকিস্থান মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে কিছুদিন ধরে। তারা নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে নিচ্ছে।
অনেকে মনে করেন, যুদ্ধ যদি শুরু হয়েই যায়, তবে পারমাণবিক বোমা ব্যাবহারের আশংকা আছে। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক বোমা ব্যাবহার করেছিল, নিশ্চিতভাবে বলা যায়, আধুনিক পারমাণবিক বোমাগুলো হবে তার চেয়েও শক্তিশালী। তাই পারমানবিক বোমা ব্যাবহারের ফলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান হবে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের থেকেও বেশি। আর আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ার কারনে, ক্ষতিটা আমাদের ঘাড়ে এসেও পড়বে অনেকটা। তাছাড়া, এই যুদ্ধের পরিধি যে ভারত পাকিস্তান ছাড়িয়ে সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে না তার গ্রান্টি কি। আমরা প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের ইতিহাস জানি, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ইতিহাস জানি; কিন্তু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যদি হয়েই যায়, তবে তার ভয়াবহতা এমন হবে যে, ইতিহাস জানার মত কেউ অবশিষ্ট থাকবেনা পৃথিবীতে।
তথ্য সংগ্রহঃWikipedia







মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



পৃথিবীর আয়তন: ৫১০,১০০০০০ বর্গ কিলোমিটার
নাগাসাকির আয়তন: ৪০৬ বর্গ কিলোমিটার

পৃথিবী ধ্ংসের জন্য দরকার: ৭৭৮৯৭০৪ কিলোগ্রাম প্লুটোনিয়াম দরকার; আপনি বলছেন যে, এগুলো ১ টি মাঝারি আকারের বাক্সে রাখা যাবে! আপনার হিসেবগুলো হাউকাউ; লেখাও নিশ্চয় হাউকাউ

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

একটি পেন্সিল বলেছেন: আমি বলেছি, যে সব পদার্থের ভর বেশি, তাদের আয়তন কম। তাই তাদের রাখতে যায়গাও কম লাগে। ইউরেনিয়াম প্লুটোনিয়াম এর ভর বেশি আয়তন কম। আপনি সম্ভবত বুঝতে পারেন নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.