নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ঘুরতে ভাল লাগে। ভাল লাগে প্রকৃতি বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতে। ভাল লাগে নিজেকে নিজের মধ্যে হারিয়ে ফেলতে।

একটি পেন্সিল

একটি পেন্সিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে নিন পৃথিবীর এক অদ্ভুত শিকারি মাছ সম্পর্কে___

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪



আমাদের পৃথিবীর সবকিছু যে কত বৈচিত্র্যময় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈচিত্রের প্রানী জগৎ। কত বৈচিত্রের প্রানী যে আমাদের এই পৃথিবীতে আছে, তার কটা সম্পর্কেই বা জানি আমরা! প্রানী জগতের মধ্যে মাছ একধরনের প্রানী যাদের গায়ের রক্ত থাকে শীতল, বাস করে পানিতে শ্বাসপ্রশ্বাস চালায় ফুলকার সাহায্যে। মাছেদের মধ্যে অনেক বৈচিত্র্য দেখা যায়, কোন কোন মাছ অনেক ছোট, আবার কোনটা অনেক বড়। কিছু কিছু মাছের আকার আকৃতি আর জীবন ধারন পদ্ধতি অবাক করার মত। তো চলুন এমনই একটা মাছ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। মাছটির নাম, Archerfish (আর্চার ফিস বা আর্চার মাছ), কোন কোন অঞ্চলে মাছটি পরিচিত Spinner fish হিসেবে বেশি পরিচিত।
আর্চার ফিস প্রধানত লবণাক্ত পানিতে, ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। কেউ কেউ সমুদ্রের স্বচ্ছ পানিতে বাস করতে পছন্দ করে। এদের দেখা মেলে ভারত ফিলিপিন, ইন্দোনেশিয়া সহ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে। এরা লম্বায় ২৫ থেকে ৩১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে।
জীবন কালঃ আর্চার ফিস সাধারনত ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বেচে থাকতে পারে। তবে কোন কোন প্রজাতির মধ্যে কেউ কেউ এর থেকেও বেশি সময় বেঁচে থাকে।
খাদ্যঃ আর্চার ফিসের খাদ্য তালিকা বিশাল। তবে এরা পোকামাকড়, মাছি, ও কেঁচো জাতীয় প্রানী খেতে বেশি পছন্দ করে। কোন কোন প্রজাতির আর্চার ফিস মশা খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।
আচরনঃ আর্চার ফিস নিজেদের প্রজাতির মধ্যে দলবদ্ধ হয়ে অঞ্চলভিত্তিক বসবাস করে থাকে। তবে এরা অন্য প্রজাতির সাথেও মিলেমিশে জীবনযাপন করতে পারে।
আর্চার ফিসের মোট সাতটি প্রজাতি দেখা যায় সাধারনত। এরা সবাই Toxotes গনের অন্তর্ভুক্ত।
এবার আসা যাক আর্চার ফিসের মূল আকর্ষনেঃ আর্চার ফিস দেখতে আকর্ষনীয় ও অন্য অনেক সাধারন মাছের মত হলেও, এর আলাদা একটি বিশেষ গুন রয়েছে। আর সেটা হল এদের বিশেষ শিকার পদ্ধতি। এই বিশেষ শিকার পদ্ধতি ব্যবহার করে বলেই মাছটির নাম আর্চার ফিস বা স্পিনার ফিস হয়েছে। আর্চার ফিস পানির উপরে বা গাছের ডালপালার পোকামাকড় বিশেষ পদ্ধতি শিকার করতে পারে।
যেভাবে করেঃ আর্চার ফিস যখন পানির কাছে কোন ডাল পালা বা লতাপাতায় কোন শিকার দেখতে পায়, তখন চুপি চুপি সেখানে এগিয়ে যায়। তারপর মুখ দিয়ে পানির ফোয়ারা ছুড়ে মারে শিকারের গায়। আর পানির ফোয়ারা শিকারটির গায়ে গিয়ে পড়তেই পানিতে পড়ে যায় সে। আর তখনই সেটা আর্চার ফিসের খাদ্যে পরিনত। এরা সাধারনত ১ থেকে ২ মিটার উচুতে থাকা শিকারকে খুব নিখুঁতভাবেই শিকার করতে পারে। অর্থাৎ একটি পূর্ন বয়স্ক আর্চার ফিসের শিকার সহজে মিস হয় না। তবে এরা প্রায় পাঁচ মিটার উচুতেও পানির ফোয়ারা ছুড়তে পারে। অনেকটা জল কামানের মত, মুখ দিয়ে পানি ছুড়ে মেরে শিকার করা, কি অদ্ভুত, তাই না! তবে বাচ্চাদের এভাবে শিকার করার জন্য ছোট বেলা থেকেই প্রশিক্ষক নিতে হয়। বাচ্চারা যখন লম্বায় আড়াই সেন্টিমিটার হয়, তখন থেকেই এই পদ্ধতিতে শিকার করতে পারা শুরু করে তারা।
শ্রেণীবিন্যাসঃ
Kingdom : Animalia
Phylum : Chordata
Class : Actinopterigii
Order : Periformes
Suborder : Percoidei
Family : Toxotidae
Genus : Toxotes

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: জেনে ভাল লাগল।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৪

একটি পেন্সিল বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ তো! :D

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৬

একটি পেন্সিল বলেছেন: হ্যা, আসলেই দারুন!

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ পোষ্ট। ধন্যবাদ

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩০

আদর্শ সৈনিক বলেছেন: জোস লিখছেন জাকার ভাই

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দারুণ পোষ্ট। ধন্যবাদ

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪০

একটি পেন্সিল বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.