নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম এস টি জালাল

এম এস টি জালাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চকলেট বোমা: মোহাম্মাদ শাহজালাল তরফদার

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

আজ থেকে অনেক বছর পূর্বে সালটি মনে হয় ১৯৯৪, রাতটি ছিল শবে বরাতের আর অনেক শীতের, ছোট বেলা থেকেই দেখে এসেছি এই রাতে নামাজ পড়ার পাশাপাশি অনেকেই আতসবাজিঁ করে আনন্দ করিতে (যদিও ঠিকনা), আমিও নারায়নগঞ্জের উত্তর চাষাড়ার ছোট মসজিদে নামাজ পড়ে ঐ এলাকার কিছু ছেলের সাথে রাত প্রায় ২টায় আতসবাজিঁতে মেতে উঠি, এমন সময় আমাদের সাথের এক ছেলে একটি বোমা, যেটার নাম চকলেট বোমা (ইন্ডিয়ার বানানো আর উঠতি মাস্তানেরা ব্যবহার করে ভীতি সঞ্চারের জন্য) এর রশিতে আগুন দেয়, কিন্তু বোমার মাথায় এসে তা নিভে যায়। আমি সাহস করে বোমাটি হাতে নেই আর ঐ ছেলেকে বলি আমি বোমাটি ধরি তুমি রশির মাথায় আগুন দাও, আগুন দেবার সাথে সাথে তুমি সরে যাবে আর আমিও বোমাটি ফেলে দিব, যেই কথা সেই কাজ, আমি ধরলাম বোমাটি, ছেলেটি মেছের কাঠি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিল বোমার মাথায়, তারপর আমার আর হুশ নেই শুধুই কেদেঁছি আর বেহুশ হয়েই রয়েছি প্রায় ঘন্টা খানেক, কারন ছেলেটি বোমার মাথায় আগুন দিয়ে সরে যেতে পারলেও আমি বোমাটি হাত থেকে ফেলিতে পারি নাই, যার কারনে আমার হাতেই সেই চকলেট বোমাটি ফেটে গিয়েছিল আমার আর আমি মনে করেছিলাম আমার হাত উড়ে গেছে, যাক ভাগ্যিস আমার হাত বেঁচে গেছে আর আমি আজো সুস্থ পরমকরুনাময়ের কৃপায় এবং পরিবারের সকলের ভাগ্যে কিন্তু সেই যন্ত্রনাময় সৃতি আজো তাড়া করে, যদিও জীবনের শেষ আনন্দ হিসেবেই আমি ঐ দিন প্রতিজ্ঞা করি আর আনন্দের নামে এই ধরনের আতস বাজিতে লিপ্ত হব না আর হইনি আজও, সেদিনের সাধারন একটি চকলেট বোমার আঘাতের কারনে আমি আজো বোমা নামের এই বস্তুটাকে ঘৃনা করি কিন্তু আজকের তরুন প্রজন্ম ককটেল ও পেট্রল বোমা নিয়ে যে ভাবে খেলছে সেটা নিজেদের ভবিষ্যত ধংস করার শামিল, তরুন প্রজন্মের ভাবা উচিত আমাদের পরিবার আমাদের জন্মের পর অনেক সপ্নের জাল বুনে রেখেছেন, আমাদের দ্বারা পরিবারের উন্নয়ন হবে, আমরা পরিবারের জন্য বয়ে আনবো শান্তি কিন্তু আমরা কি করছি রাজনীতি বা দেশ রক্ষার নামে? কেহু নিজেরাই এই ধরনের বোমা মেরে বিরোধীদের নাম দেওয়ার জন্য মানুষ মারিতেছে, কেহু গাড়ী জ্বালাচ্ছে, কেহু জনগনের সম্পদের ক্ষতি করছে কিন্তু লাভটা হচ্ছে কার? ডঃ ইউনুস পেলেন ও পাচ্ছেন অনেক গোল্ড মেডেল তার কৃত কাজের জন্য কিন্তু আমরা এই ধরনের বোমাবাজিঁর জন্য পাচ্ছি নিজেদের লাশ, পরিবারের কান্না ও সপ্ন চূরমার। আন্দোলন কর কিন্তু শান্তি প্রিয় ভাবে, বিরোধী দলগুলোকে মোকাবেলা কর রাজনৈতিক কর্মসূচীর মাধ্যমে, ত্যাগ কর বোমাবাজি। তোমার লাশের পাশে হায়েনারা আসবেনা, যদিও সহকর্মীরা তোমার লাশের প্রতিশোধ নিবার সংকল্পে আরো লাশ ফেলিবে। আইন রক্ষার নামে বা আন্দোলন দমনের নামে নিরিহ মিছিলকারীদের উপর বোমা নিক্ষেপ বা গুলি চালানো আইন প্রয়োগকারীদেরও উচিত, যে কর্তা জনগনের উপর আঘাত করার হুকুম দেয়, সেই কর্তাকে প্রমান সহ গ্রেফতার করে মিডিয়া ও জনগনের সামনে তুলে ধরা, আইন প্রয়োগকারীদের ভুলে গেলে চলিবেনা যে, তারা জনগনের সেবক আর জনগনের ট্যাক্সেই তারা পালিত, তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে দেশ থেকে অন্যায় দূর করার জন্য, অন্যায় করার জন্য নয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ ভয়ঙ্কর সুন্দর ঘটনার জন্য ....
আমরা সবার সুস্থ্যতা কামনা করি ...

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৭

এম এস টি জালাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.