নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাই বাবু

রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে, দেশের স্বার্থে সবার ঐক্যমত দরকার।

জামাই বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবার তথ্যমন্ত্রীর সাময়িক বন্ধের কবলে ইনকিলাব

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

[img|http://cms.somewhereinblog.net/ciu/image/167623/small/?token_id=8b7bdce1eeb8c58c1c97d37f22c637f1



এবার বন্ধ হয়ে গেলো দৈনিক ইনকিলাব। অভিযোগ, সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গ। রাতে অনলাইনগুলোর সংবাদঃ-



নতুনবার্তাঃ দৈনিক ইনকিলাবের ছাপাখানা সিলগালা করে দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। পত্রিকাটির বিশেষ সংবাদদাতা ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা জানান, রাজধানীর আর কে মিশন রোডে পত্রিকাটির কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ অভিযান শুরু করে। অভিযান চলে রাত ১০টা পর্য ন্ত। পুলিশ ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে গিয়ে অবস্থান নিয়ে কম্পিউটারে তল্লাশি চালায়। তিনি জানান, তল্লাশি শেষে দৈনিকটির কম্পিউটার রুম ও ছাপাখানা সিলগালা করে দেয়া হয়। তবে নিউজ রুম খোলা রয়েছে।

বাদশা আরো জানান, পুলিশ চার সাংবাদিককে ধরে নিয়ে গেছে। আটক সাংবাদিকরা হলেন, বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি, সিনিয়র রিপোর্টার রফিক মোহাম্মদ, আফজাল বারী ও স্টাফ রিপোর্টার আহমদ আতিক।

তিনি জানান, পুলিশ ছয়টি কম্পিউটার নিয়ে গেছে। শুক্রবার পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে না বলেও বাদশা জানান।





শুক্রবার এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান তথ্যমন্ত্রীর কাছে। কেন বন্ধ করা হলো ইনকিলাব। তার বক্তব্য সেই আগের মতো। একই কথা তো বলবেনই তিনি। কারণ তিনি ভদ্রলোক, আর ভদ্রলোকের এক কথা।





বাংলানিউজ২৪ডট কমঃ দৈনিক ইনকিলাব যে সংবাদ প্রচার করেছে তা গুজব ও মিথ্যাচার। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অপরাধ। এজন্য সাময়িকভাবে তাদের ছাপাখানা বন্ধ করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা হয়নি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)’র কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির জরুরি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। শুক্রবার সকালে কর্নেল তাহের মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ সভার শুরুতেই বক্তব্য রাখেন ইনু।

ইনু বলেন, দৈনিক ইনকিলাবের বিষয়টি আইনগতভাবে দেখা হচ্ছে। তারা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় বাহিনী দিয়ে অভিযান চালানোর খবর প্রকাশ করে যৌথবাহিনীকে কলঙ্কিত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে তারা।

প্রচারিত সংবাদের সত্যতা আছে বলে অনেকে দাবি করেছেন, আপনি কী মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মিথ্যাকথা। আদালতে প্রমাণ পাবেন।





জামাইদের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়াঃ

তথ্যমন্ত্রী হলেন আমাদের শশুর পক্ষের মানুষ। জামাইদের কেউ নিন্দা করলে একটু শাসন না করলে চলে কিভাবে। তবে তিনি এক কথার মানুষ। যখন দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টেলিভিশন বন্ধ করা হলো তখন তিনি বলেছিলেন, এ দুটি টেলিভিশন সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



এটা ২০১৩সালের ৫মে এ দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর থেকে তিনি এ কথা বলে আসছেন। যতবারই বলা হয়েছে ততবারই এ কথা বলেছেন তিনি। ভদ্রলোকের এক কথা বলে কথা।

এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা আর এ বিষয়ে তার প্রশ্নকরাই মনে হয় ছেড়ে দিয়েছিলেন। আর তিনিও একই কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই নতুন কিছু করতে তো হবে.

এবার ইনকিলাব সাময়িকভাবে বন্ধ। আসলে কতদিনের জন্য বন্ধ হলো, আর কতদিন বন্ধ থাকলে সাময়িক বন্ধ হয় তা কি জানতে পারবে জামাই গোত্রের মানুষরা।

আসলে শশুরবাড়িতে থেকে শশুর বাড়ির আত্মীয়দের নিন্দা করা উচিৎ না। জবাব চাওয়ার সুযোগও নেই। তবে আড্ডায় মুখ ফসকে অনেক কথা বের হয়ে যায়। কখন কি বের হয় বলা মুশকিল। বেশি বলা মহা পাপ।



ইনকিলাব সত্য না মিথ্যা রিপোর্ট করেছে তা আদালতে গড়াতে পারতো, কিন্তু তা না করে এভাবে বন্ধ করা কতটুকু যৌক্তিক হলো এ প্রশ্ন ওঠেই। তাই আবারো অনুরোধ খুলে দিন ইনকিলাব। খুলে দিন দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টিভি, আমার দেশ। আপনি না স্বাধীন গণমাধ্যমে বিশ্বাস করেন?



এতগুলো মানুষকে বেকার করবেন না। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ কর্মী এখনো বেকার হয়ে আছেন। দীর্ঘদিনের বেকার জীবনের অভিশাপ আর হতাশা থেকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন দিগন্তের ক্যামেরাম্যান নয়ন.। আরেক কর্মী টাকার অভাবে ভাল স্কুল থেকে তার ছেলেকে সরিয়ে এনেছেন. ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন সাধারণ স্কুলে। আর ফ্যাামিলির সদস্য গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন এ সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। যারা অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরী নিয়েছেন তাদের অনেককে আগের তুলনায় অর্ধেক বেতনে কাজ করতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে আর কি দেখতে হবে আল্লাহই জানে..।

তবে, আমরা আর কোন নয়নকে হারাতে চাই না। ছেলেমেয়ের সুশিক্ষা বন্ধ দেখতে চাই না। একটু উদার হোন তথ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপনাদের দলীয় প্রশাসক নিয়োগ করুন। কিন্তু এতগুলো মানুষকে বিপদে ফেলবেন না। প্লিজ.........................





মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

ইউরো-বাংলা বলেছেন: ভিন্নমতের মিডিয়াগুলো এই বৈধ/অবৈধ সরকার সাময়িক বন্ধের ধোঁয়া তুলে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে। যেমনটা শেখ মুজিবের সময় বাকশালী কায়দায় হয়েছিল।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

ফিলিংস বলেছেন: সাতক্ষীরার এ খবর টা যে একেবারে ভীত্তিহীন এটা সবা্ই জানে।তার পরেও দেশের এত স্বনামধন্য একটা পত্রীকা এ নিউজ গুলো করে কিভাবে।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
য়াগামি ৬ মাস কোন হরতাল দেয়া হবেনা বলেছে বিনপি। দেশ অনেকদিন পর হরতা নৈরাজ্য থেকে বের হয়ে এসেছে।
এই অবস্থায় যেকোন মিথ্যা উষ্কানি দাতাকে ধরে কঠিন শাস্তি দিতে হবে
ফেবুতে যারা এসব করছে তাদেরকেও খুজে ধোলাই দিতে হবে।
এটি পড়ুন -
Click This Link

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

মিতক্ষরা বলেছেন: Sorkar barabari na kore adalote gele pare

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: কয়টা পত্রিকা বন্ধ করলে বজ্ঞবন্ধুর স্বপ্নের বাকশাল কায়েম হবে, জানতে মুঞ্চায়

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

সনেট কবি বলেছেন: দুঃখ জনক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.