নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওরে ও তরুণ ঈশান! বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ। ধ্বংস-নিশান উঠুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি’॥
মিডিয়া প্রপাগ্যান্ডা যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আমরা ফিলিস্তিনের ঘটনার দিকে তাকালেই টের পাবো। নিজেদের ভূমি থেকে অভিশপ্ত ইহুদীদের দ্বারা শুধু হত্যা, লুন্ঠন ও উৎখাতেরই স্বীকার হয় নাই উপরন্তু বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসী বলেও প্রচার পেয়েছে। নিজের জান-মাল-সম্পদ রক্ষা করার জন্য তীর-ধনুক-নুড়ি পাথর হাতে নিলে সন্ত্রাসী; কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় মুসলমানদের উপর অভিশপ্ত ইহুদীদরা যে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা চালাচ্ছে তাতেও তারা সন্ত্রাসী নয়! কি নিষ্ঠুর বিশ্ব বিবেক।
এরকমই আরো অনেক গণহত্যাই চাপা পরে গেসে কালের গহ্বরে। তেমনি এক গণহত্যার অব্যক্ত গল্প এই ‘রিফিউজি’। এ গল্পট হল একটি পরিবারের বেঁচে থাকার গল্প। যার পরিবার শুধু পরিবারই না পুরো কমিউনিটি ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস গণহত্যার স্বীকার হয়েছে। যে গণহত্যার কথা মানুষ ভুলে গিয়েছে; মানুষকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে যে গণহত্যার কথা চাপা পরে গেসে ইন্ডিয়ান ৭১ এর বয়ানের আড়ালে। চাপা পরে গেসে ৭১ নিয়ে তিল কে তাল করার বয়ানে।
আজকে যে বাঙলাদেশ নিয়ে আমাদের গর্ব সে বাঙলাদেশ একদিনে আসে নাই। আর বাঙলাদেশ মানেই শুধু ৭১ না। ৭১ এর আগে এদেশে ৪৭ এসেছিল। যেই ৪৭ বাধ্য করেছিলো ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ডায়াস্পোরার। ভারতের বিহারের অনেক মুসলমান নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য পুর্ববঙ্গের মুসলিম ভাইদের কাছে আশ্রয়ের জন্য এসেছিল। কিন্তু কে জানতো সে মুসলিম ভাই ই একদিন তাঁদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মেতে উঠবে? কিন্তু এই ভাগ্যহত বিহারি মুসলিমরা বুঝতে পারে নাই যে এই অংশের পোগতিশীল সমাজ ভারতের কলোনি হওয়ার জন্য রেডি হয়ে বসে আছে।
উপরের কথাগুলো হজম করতে কষ্ট হচ্ছে? আমারো হয়েছিলো। আসলে আমাদেরকে ছোট বেলা থেকেই ভারতীয় বয়ান শেখানো হয়। সেই বয়ান মাথায় থাকলে এসব কথা হজম করাটা একটু কষ্টকর হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকে না আজ হোক বা কাল সেটা বের হবেই।
৭১ মানেই আমরা শিখেছি কীভাবে তৎকালীন পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের মানুষ এই পুর্বের অংশের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। এবং ভারতের বিহার থেকে আগত এই বিহারীরা পশ্চিমের সমর্থক। এরা বাঙলাদেশ মানতে চায় না। অথচ ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। সেই ভিন্ন ইতিহাসের গল্প আছে ‘রিফিউজিতে’। পালিয়ে যা ভারতের দালাল সরকারের সময় এই বই প্রকাশ করা ছিলো নিজের মৃত্যুদন্ডে নিজে সাইন করা। আল্লাহ আমাদের কে আবার একটা সুযগ দিসে নতুন করে ইতিহাস পাঠ করার।
মিডিয়ার প্রোপ্যাগান্ডা যেমন নিজ দেশে গণহত্যার স্বীকার ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী বানিয়ে দিয়েছে। ঠিক তেমনি প্রোপ্যাগান্ডা গণহত্যার স্বীকার হওয়া বিহারীদেরকে গণহত্যাকারীর তকমা, পাকিস্তানের দালাল বানিয়ে দিয়েছে। রিফিউজি বইটি ইতিহাসের এ কলঙ্ক মোছার কাজ কিছুটা হলেও করবে বলে আশা করি।
সাহস নিয়ে বইটি বের করার লেখক, অনুবাদক ও প্রকাশকে ধন্যবাদ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: আমি মোহাম্মাদপুরের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষ করেছে এমন অনেক মানুষের সাক্ষাৎকার নিসি। আর আপনি ইতিহাসের ছাত্র হলে নিজেই অনেক কিছু বের করতে পারবেন।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
কামাল১৮ বলেছেন: ইহুদিরা অভিশপ্ত কেনো?কে দিলো তাদের অভিশাপ।কেনো দিলে?
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৪
কামাল১৮ বলেছেন: অল্প কয়েকজন বিহারী এসে তারা আমাদের বিহারী বানাতে চেয়েছিলো।এর জন্য দায়ীছিলো পাকিস্তানের শাসকগুষ্ঠি।অথচ তারা বৃহত জনগুষ্ঠির সাথে মিশে যেতে পারতো।তাহলে এই সমস্যা হতো না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: আসেন পাহাড়ে অল্প কয়েকজন উপাজাতিকে বলি আমাদের সাথে মিশে যেতে!
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২২
এম ডি মুসা বলেছেন: ভারত পাকিস্তান উভয় বয়কট। এইবার নতুন কিছু বলেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: বাঙ্গালাদেশি বয়ান তৈরি করুন।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৯
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: ইতিহাস চাপা পরে গেসে!
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালী রিফিউজির সংখ্যা কত?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: পশ্চিম পাকিস্তানে ?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭
Ruhin বলেছেন: বই পড়ে সব বিশ্বাস করলে শেখ মুজিবের আত্নজীবনীও বিশ্বাস করা উচিত অক্ষরে অক্ষরে