নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Criticism is our fundamental right. The revolution will come only from our pen #save constitution

Titanic

এক সময় আমরা সবাই মানুষ ছিলাম।হঠাৎ করে তখন এক ভণ্ডু খোদার আবিষ্কার হল।শুরু হয়ে গেলে ধর্মের/খোদার দলের দালালী(মানুষের মধ্যে মারামারি হানাহানি)ভণ্ডু খোদার এক বিশেষ দালাল হল ইসলামধর্মের নবী মুহাম্মদ।ধর্মিয় বই নাকি আসমান থেকে এসেছ,আরে বোকার দল তাহলে তদের মালিককে বল আমাকে একটি আইটির বিশেষ বই দিতে।আমি আইটির ব্যবহার ও উন্নত মান দিয়ে তোদের খোদা হওয়ার দাবী করব।তোমরা বল কোরান,বাইবেল, গীতা আরও কত্তকিছু উপর হতে এসেছে।তোমরা কি দেখনা এখন মানুষ উপর(চন্দ্র,মংগল ইত্যাদিতে ভ্রমণ করছে)চোখ খুল মানুষ, চোখ খুল।

Titanic › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকতা কী একটি বিশ্বাস?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫২

Saturday, September 7, 2019
Latest:
জঙ্গীবাদ এবং বর্তমান মুসলিম জাতি।
মানুষের একজন প্রাচীন পূর্বপুরুষের করোটি আমাদেরকে দিচ্ছে আমাদের বিবর্তনীয় ইতিহাস সম্পর্কে নতুন ধারণা
হিন্দু ধর্ম ও গোমাংস-রহস্যঃ আলবিরুনি, বিবিধ মত
ধর্মগুলো কি আসলেই বিজ্ঞানসম্মত?
হিন্দু ধর্ম ও গোমাংস-রহস্যঃ পাণিনি, চরক, সুশ্রুত, অর্থশাস্ত্র, ত্রিপিটক
Nastikya.com
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ
আপনার বিশ্বাস এবং অনুভূতি অত্যাধিক স্পর্শকাতর হলে এই ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলুন
জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, যুক্তি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব



Faith
প্রশ্নোত্তর যুক্তিবাদ সম্পাদকীয়
নাস্তিকতা কী একটি বিশ্বাস?
January 16, 2017 আসিফ মহিউদ্দীন 0 Comments নাস্তিক্যবাদ
সম্প্রতি একজন তার একটি পোস্টের মন্তব্যে বলেছেন, “ঈশ্বর আছে বলা যেমন বিশ্বাস, নেই বলাও তেমনি একটি বিশ্বাস।” তিনি আরও লিখেছেন, “নাস্তিকদের ‘বিশ্বাসের’ ভিত্তিতে …” অর্থাৎ নাস্তিকতাকে তিনি একটি বিশ্বাস হিসেবে গণ্য করেছেন বা করেন। এই ভুলটি অনেকেই করেন যে, নাস্তিকতাকে একটি বিশ্বাস বা আরেকটি ধর্ম হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা। নাস্তিকতা সম্পর্কে একেবারেই সাধারণ জ্ঞান না থাকার কারণে অনেক শিক্ষিত মানুষও এই ভুলটি বারবার লেখেন, বলেন, এবং বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। এমনকি, কিছু নাস্তিকও নাস্তিকতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত পড়ালেখার অভাবের কারণে এই ভুলটি বলতে বা লিখতে পারেন। সেই বিষয়েই লিখছি। এই কথাটির উত্তর আগে অসংখ্যবার লিখেছি, এখন আবারো লিখছি।

ইংরেজিতে Believe, Trust, Faith এই তিনটি শব্দের অর্থ আগে জেনে নেয়া যাক।

Believe (অনুমান, বিশ্বাস, বিশেষভাবে প্রমাণ ছাড়াই মেনে নেয়া)
1. accept that (something) is true, especially without proof.
2. hold (something) as an opinion; think.
যেমন, ভুতে বিশ্বাস করা। এলিয়েনে বিশ্বাস করা। অথবা, বিশ্বাস করা যে, অতীতে আমাদের পুর্বপুরুষ স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিল। যার সপক্ষে এই বিশ্বাসী মানুষটি কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলেও তা তিনি বিশ্বাস করেন।

Trust (আস্থা)
1. firm belief in the reliability, truth, or ability of someone or something.
কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা বা ধারণার আলোকে কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা করা। যেমন আমি আমার অমুক বন্ধু সম্পর্কে আস্থাশীল যে, সে টাকা ধার নিলে আমাকে ফেরত দেবে। বা ধরুন, অমুক পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ছাপে বলে আপনি মনে করেন। কারণ, অমুক পত্রিকাটি কয়েকবছর ধরে পড়ার কারণে পত্রিকাটির প্রতি আপনার আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এখানে, আপনার এই আস্থার পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে আপনার পুর্ব অভিজ্ঞতা।

Faith (বিশ্বাস, ধর্মবিশ্বাস, বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই পরিপূর্ণ বিশ্বাস)
1. complete trust or confidence in someone or something.
2. strong belief in the doctrines of a religion, based on spiritual conviction rather than proof.
যেমন, ইসলাম বিশ্বাস করা। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা। আল্লাহ ভগবান ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখা।

বিশ্বাস হচ্ছে, সোজা কথায় যুক্তিহীন কোন ধারণা, অনুমান, প্রমাণ ছাড়াই কোন প্রস্তাব মেনে নেয়া। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথ্য-প্রমাণ, পর্যবেক্ষন এবং অভিজ্ঞতালব্ধ বিষয় মানুষের বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত নয়। যখনই কোন কিছু যুক্তিতর্ক, পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা লব্ধজ্ঞান হয়ে উঠবে, তা আর বিশ্বাস থাকবে না। যেমন ধরুন, পানি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের মিশ্রণে তৈরি। এটা মানুষের বিশ্বাস নয়, এটা পরীক্ষালব্ধ ফলাফল। আপনাকে এই কথাটিতে বিশ্বাসী হতে হবে না। কারণ কে এতে বিশ্বাস করলো কে করলো না, তাতে এই তথ্যের সত্যতার কিছুই যায় আসে না। এটা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সত্য। আমরা কেউ বলি না “পানি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের মিশ্রন, এই কথা আমি বিশ্বাস করি”; এটা বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্নই নয়। বা ধরুন, পৃথিবী গোল, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি মেনে নিই উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের আলোকে। এটা এখন আর অনুমান বা বিশ্বাস নেই, এটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠিত সত্য। বা ধরুন বিবর্তনবাদ। এটা কোন অনুমান নয়। বর্তমানে এটি পরীক্ষানিরীক্ষা দ্বারা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সত্য।

বিশ্বাস সেটাই করতে হয়, যাতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বা যার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। ধরুন কেউ ভুতে বিশ্বাস করে, কেউ বিশ্বাস করে এলিয়েন পৃথিবীতেই আছে, কেউ জ্বীন পরী, কেউ আল্লা ভগবান, কেউ জিউস কালী ইত্যাদি। এগুলো বিশ্বাসের ব্যাপার, কিন্তু আমরা আলোতে বিশ্বাসী নই়, আমরা সুর্যে বিশ্বাসী নই, আমরা চেয়ার টেবিলে বিশ্বাসী নই। কারণ এগুলো বিশ্বাস অবিশ্বাসের উর্ধ্বে। আমরা বলি না অমুক লোক সুর্যে বিশ্বাসী, তমুক লোক চেয়ার টেবিলে বিশ্বাস করে। আমরা বলি মুসলিমরা আল্লায় বিশ্বাসী, হিন্দুরা শিব বা দুর্গায়, কেউ শাকচুন্নীতে বিশ্বাস করে, কেউ বিশ্বাস করে আমাদের চারপাশে জ্বীন পরী ঘুরে বেড়ায়।

ধরুন, আগামীকাল একটি পত্রিকায় ছাপা হলো যে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল একজন এলিয়েন। এই তথ্যটি জানার পরে আমি নিচের কাজগুলো করতে পারি।
১) আমি তথ্যটি জানলাম বা শুনলাম, এবং বিশ্বাস করলাম।
২) আমি আরও কয়েকটি নিরপেক্ষ পত্রিকা পড়লাম, এবং ইন্টারনেট বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে এর সত্যতা যাচাই করতে চেষ্টা করলাম। দেখা গেল, আরও কিছু পত্রিকা কথাটি লিখেছে। আমি সেই অবস্থায় কথাটি বিশ্বাস করলাম।
৩) আমার এইসব পত্রিকার কথা বিশ্বাস হলো না। আমি সরাসরি আঙ্গেলা মেরকেলের সাথে দেখা করতে গেলাম, এবং সরাসরি দেখলাম যে, উনি একজন এলিয়েন। দেখার পরে আমি মেনে নিলাম। যেহেতু সরাসরিই দেখা, তাই আর বিশ্বাসের অবকাশ নেই। তবে কিছুটা সংশয় থাকতে পারে।
৪) আমি শুধু দেখেই বিশ্বাস করতে ইচ্ছুক নই। পরীক্ষানিরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হতে চাই। তাই আমি পরীক্ষানিরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম। তখনও আমার আর কথাটি বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের অবকাশ নেই। আমি শতভাগ নিশ্চিত। আমি তথ্যটি মেনে নিলাম।

অন্যদিকে নাস্তিকতা হচ্ছে প্রমাণের অভাবে ঈশ্বরে অবিশ্বাস। অর্থাৎ ঈশ্বর প্রসঙ্গে শূন্য বিশ্বাস। ন্যুল বিশ্বাস। বিশ্বাসের অনুপস্থিতি। ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ক প্রস্তাবকে বাতিল করা।

Atheism, in general, the critique and denial of metaphysical beliefs in God or spiritual beings. As such, it is usually distinguished from theism, which affirms the reality of the divine and often seeks to demonstrate its existence.

অর্থাৎ এটা “ঈশ্বর নেই”- তাতে বিশ্বাস করা নয়। বরঞ্চ “ঈশ্বর আছে”, সেই প্রস্তাবকে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে বাতিল করা এবং সেই বিশ্বাসের বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা। ঈশ্বর নেই, সেটা বিশ্বাস করা আর ঈশ্বর আছে, এই প্রস্তাবনাকে প্রমাণের অভাবে বাতিল করা দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। নাস্তিকতা কোন বিশ্বাস বা ধর্ম নয়, বরঞ্চ নাস্তিকতা হচ্ছে অবিশ্বাস। সেই বিশ্বাসে আস্থাহীনতা।

যেমন ধরুন, স্ট্যাম্প সংগ্রহ করা একজনের শখ। অন্য আরেকজনের নয়। যার নয়, তার ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি না যে, স্ট্যাম্প কালেকশন না করা হচ্ছে তার শখ। বা ধরুন কেউ টিভিতে কেউ কোন চ্যানেল দেখে। যখন কোন চ্যানেল আসছে না, কোন সিগান্যাল আসছে না, সেটাকে আমরা আরেকটি চ্যানেল বলতে পারি না। সেটা হচ্ছে সিগন্যালের অনুপস্থিতি। শূন্য সিগন্যাল। যেমন আলো হচ্ছে সাতটি রঙের মিশ্রণ। আলোর অনুপস্থিতিকে আমরা অন্ধকার বলি। সেটাকে আরেক রকমের আলো বলি না। বা আরেকটি রঙ বলি না।

বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্বাসীগণ কিছু অসৎ যুক্তি তুলে ধরেন। যেমন, প্রমাণ করুন, ঈশ্বর নেই! বা নাস্তিকরা কী প্রমাণ করতে পারবে যে, ঈশ্বর বলে কিছু নেই?

এই যুক্তিটি অসৎ এবং একটি লজিক্যাল ফ্যালাসি বলে সারা পৃথিবীর কাছে পরিচিত। কারণ, যে দাবী উত্থাপন করবে, প্রমাণের দায়ও তার ওপরেই বর্তায়। অন্য কেউ বিষয়টি অপ্রমাণ করবে না।

এটা নাস্তিকদের দায় নয়। যে ঈশ্বরের প্রস্তাব উত্থাপন করবে, তা প্রমাণের দায় তার ওপরই বর্তায়। সে সম্পর্কে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ হাজির না করতে পারলে সেটা বাতিল করে দেয়াই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। সেটাই দর্শনের মৌলিক অবস্থান। সেই প্রস্তাব যত জোর গলাতেই উত্থাপন করা হোক না কেন। সেটা অপ্রমাণ করার দায় নাস্তিকদের নয়। যেমন কেউ যদি দাবী করে, বৃহস্পতি গ্রহে মানুষ রয়েছে, বা সে নিজেই ঈশ্বর। এই মহাবিশ্ব সে নিজেই সৃষ্টি করেছে।বা তার বাসার পুকুরের ব্যাঙটিই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছে! এরকম প্রস্তাবের প্রমাণ তাকেই করতে হবে। অন্যরা বৃহস্পতি গ্রহে গিয়ে তার প্রস্তাব অপ্রমাণ করবে না। বা সে যে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে নি, তা অপ্রমাণ করবে না। যতক্ষণ সে তার প্রস্তাবের সপক্ষে উপযুক্ত তথ্য এবং যুক্তি উপস্থাপন করতে না পারছে, শুধু “মৃত্যুর পরে” সব প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে দাবী করছে, তার বা তাদের দাবীকে আমলে নেয়ার প্রয়োজন নেই। আর তা প্রমাণ করতে পারলে, বা ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারলে, আগামীকাল পৃথিবীর সমস্ত যুক্তিবাদী নাস্তিকের দল বেঁধে আস্তিক হতে কোন বাধা নেই।


আমরা বলি, ধর্মবিশ্বাস এবং কুসংস্কার আসলে সমার্থক।
প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ নানা ধরণের প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে। মানুষের স্বাভাবিক অনুসন্ধিৎসু মন, কৌতূহলী মনে নানা জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হয়েছে। যেমন ধরুন, বৃষ্টি কেন হয়, ফসল কীভাবে জন্মায়, মানুষ জন্মে, পৃথিবী কোথা থেকে এলো, কিভাবে এলো, ইত্যাদি। কিছু বিষয় মানুষ পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে জানতে পেরেছে, কিছু কিছু বিষয় জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে, উপযুক্ত তথ্যের অভাবে বুঝতে পারে নি। ধীরে ধীরে মানুষ আরও জ্ঞান অর্জন করেছে, আরও বেশি জেনেছে।

আর যেগুলো সম্পর্কে মানুষ জানতে পারেনি, সে সময়ের জ্ঞান যে পর্যন্ত পৌছেনি, সেগুলো সম্পর্কে মানুষ ধারণা করেছে, কল্পনা করেছে। যেমন, যখন মানুষ জানতো না বিদ্যুৎ কীভাবে চমকায়, তাদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই এই সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য ছিল না, তাই যখন কেউ প্রস্তাব করে এটা ভয়ঙ্কর কোন দেবতার কাজ, সেই প্রস্তাবই অন্য কোন যৌক্তিক প্রস্তাবের অনুপস্থিতির কারণে, বা সেই সময়ের মানুষের জ্ঞানের অভাবের কারণে মানুষগুলোর মধ্যে টিকে গেছে। এর পেছনে কাজ করেছে অজানার প্রতি ভয়, এবং লোভ। সেই সময়ে হয়তো কেউ দাবী করেছে, সে নিজে হচ্ছে ভয়ঙ্কর দেবতাটির পুত্রও, বা প্রিয় বন্ধু, বা আত্মীয়স্বজন, এবং এইসব দাবীর মাধ্যমে সে সমাজে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গেছে। ধীরে ধীরে সেটাই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে রূপ নিয়েছে। মানুষের মাঝে অজ্ঞানতা, জানতে না পারার হতাশা, অজ্ঞতা একধরনে হীনমন্যতায় রুপ নেয় এবং ধীরে ধীরে অজ্ঞানতার অন্ধকার একপর্যায়ে দেবতা, ঈশ্বর, ভুত নামক কল্পনা দিয়ে তারা ভরাট করে ফেলে। যেমন তারা ধরে নিয়েছে, বিদ্যুৎ চমকানো হচ্ছে দেবতা জিউসের ক্রোধ। পরবর্তীতে আধুনিক বিজ্ঞান উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সহকারে বের করেছে, বিদ্যুৎ কীভাবে চমকায়। তার পেছনে কোন দেবদেবী ঈশ্বর আল্লাহর হাত আছে কিনা। সেই সব অপ্রমাণিত বিশ্বাসের সমষ্টিই বা বিশ্বাসগুলোর বিবর্তিত রূপই হচ্ছে আজকের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মগুলো। আধুনিক ঈশ্বরগুলো। পুরনো ঈশ্বরদের বিবর্তন ঘটে গেছে। পুরনো অনেক প্রবল প্রতাপশালী দেবতা ঈশ্বর এবং ধর্মবিশ্বাসই সময়ের সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, আধুনিক ধর্মগুলোও একসময় বিলুপ্ত হবে।

নাস্তিকতা এই প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তারা তা অস্বীকার করে। প্রশ্নবিদ্ধ করে। বাতিল করে। এটি কোন ভাবেই আরেকটি বিশ্বাস বা ধর্ম নয়। বরঞ্চ ধর্ম বা বিশ্বাসের অনুপস্থিতি। একটি যৌক্তিক অবস্থান। যতক্ষণ পর্যন্ত না ঈশ্বর বা স্রষ্টার উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত। পাওয়া গেলে, তা মেনে নিতে এক মূহুর্ত দেরী হবে না। তখন আর তা বিশ্বাস করতেও হবে না। মেনে নেয়া হবে।

বস্তুত, ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছে এবং আমার বাসার ডোবার ব্যাঙটিই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছে, এই দুটো দাবীর সপক্ষেই ঠিক একই মানের প্রমাণ দেয়া সম্ভব। তাই তা বাতিল যোগ্য।

Facebook Comments
Like this:
Like Loading...
← কোরান কি অবিকৃত ?গাইড বুকের কেন প্রয়োজন →
Leave a Reply

বিজ্ঞাপন


আজকের ধর্মবাণী
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে; তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং সেটা হল নিকৃষ্ট ঠিকানা।Source: কোরান ৯:৭৩
নিধার্মিকের ধর্মকথা
স্বর্গ-নরক, মানুষের পরজন্ম বা ব্যাক্তিগত ঈশ্বর প্রাসঙ্গিক ধর্মীয় তত্বগুলোর বিন্দুমাত্র বৈজ্ঞানীক প্রমাণ আমি পাইনি। ~Thomas Alva Edison
সপ্তাহের সর্বাধিক পঠিত
মুখোশের আড়ালে শ্রীল প্রভুপাদ
মুহাম্মদের গুপ্তহত্যা । অবমাননার শাস্তি
মুহাম্মদের বিবিগণ এবং প্রস্তাব সমূহ - আল্লামা ইবনে কাসীর
বহুল প্রচলিত কিছু কুযুক্তি বা কুতর্ক বা হেত্বাভাস
ফ্রি সেক্সের দেশে!
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ঃ অমুসলিমদের অধিকার ?
হযরতের দাসীদের বিবরণ - আল্লামা ইবনে কাসীর
আল্লাহর অঙ্গপ্রতঙ্গ এবং স্বভাব চরিত্র
তথ্য সমূহ - ইসলাম ধর্ম
গ্রন্থাগার
প্রবন্ধ আর্কাইভ
হিন্দু ধর্ম ও গোমাংস-রহস্যঃ আলবিরুনি, বিবিধ মত
ধর্মগুলো কি আসলেই বিজ্ঞানসম্মত?
হিন্দু ধর্ম ও গোমাংস-রহস্যঃ পাণিনি, চরক, সুশ্রুত, অর্থশাস্ত্র, ত্রিপিটক
জঙ্গীবাদ এবং বর্তমান মুসলিম জাতি।
মানুষের একজন প্রাচীন পূর্বপুরুষের করোটি আমাদেরকে দিচ্ছে আমাদের বিবর্তনীয় ইতিহাস সম্পর্কে নতুন ধারণা
ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই তার প্রমাণ কি?
হিন্দু ধর্ম ও গোমাংস-রহস্যঃ সংস্কৃত সাহিত্য
একজন মিনার ভাই ও তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিভ্রান্তি
মুসা, যিশু, কৃষ্ণের পৌরানিক ‘ইন্দো-ইরানীয়’ উৎস্য
হিন্দু ধর্ম ও গোমাংস-রহস্যঃ রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ
ইসলামে স্বাধীন ইচ্ছা এবং নিয়তি
হাদিস না মেনে শুধুমাত্র কোরআন মেনে মুসলিম?
হিন্দু ধর্ম ও গোমাংস- রহস্যঃ ধর্মশাস্ত্র
হিন্দু ধর্ম ও গোমাংস-রহস্যঃ বেদাঙ্গ
হিন্দু ধর্ম ও গোমাংসরহস্যঃ বেদ
মাননীয় হেডমাস্টার! কোথায় আপনি?
ইসলামের অন্যতম ভিত্তি তাকদীর প্রসঙ্গে
বেদে অজাচার
কোরবানির মাংসের ভাগ-বাটোয়ারাঃ দান করা কি বাধ্যতামূলক?
অত্রি সংহিতা ও জাতিভেদ
অমুসলিমরা সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব – কুরআন
গীতার সময়কাল
মারিয়া কিবতিয়া | বাঁদী পত্নী সমাচার!
আমি কেন ধর্ম মানি না – ১
মৃত্যুই শেষ কথা নয়
ভগবদগীতা সমালোচনা
একটি তরবারির আয়াতের (The sword verse) পর্যালোচনা, প্রেক্ষাপট ও অন্যান্য
দশরথ জাতকঃ যেখানে রাম-সীতা ভাইবোন
হিন্দুধর্মের বর্ণবিভাগে নারী
কুরআন এবং মেঘের ওজন
স্ত্রী কি স্বামীর দাসী সেক্স বিষয়ে আপত্তি করতে পারে?
কুরআন এবং বৃষ্টি
কুরআনে সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব?
ব্যক্তি আক্রমণ ও রেটোরিকাল ডিভাইস নিয়ে কিছু কথা – পর্ব ২
ব্যক্তি আক্রমণ ও রেটোরিকাল ডিভাইস নিয়ে কিছু কথা – পর্ব ১
পর্দা|সমাধান নাকি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত?
মানবিক আদালতে একটি আকুল আবেদন
মহাভারতে গোমাংস!
দেবতার জন্ম
নাস্তিকতাই স্ট্যালিন কর্তৃক গনহত্যার জন্য দায়ী?
গরু না খেলে ভালো হিন্দু হওয়া যেত না- স্বামী বিবেকানন্দ
আল্লাহর অঙ্গপ্রতঙ্গ এবং স্বভাব চরিত্র
ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিমদের প্রকাশ্যে ধর্ম প্রচার এবং উপাসনালয় নির্মাণ নিষিদ্ধ কেন? – ডাঃ জাকির নায়েকের চমৎকার উত্তর
কুরআন এবং মৌমাছির “মিরাকল”
আজানের সময় কুকুর ডাকে কেন?
‘কুরআন ১৪০০ বছর আগেই জানিয়েছে, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই’
রাম নিরপরাধ শূদ্র শম্বুককে হত্যা করেছেন, এতে আপনি অবাক কেন হচ্ছেন?
ইরাম শহর
দুই সমুদ্রের পানি একত্রিত না হওয়া কুরআনের মিরাকল?
পৃথিবী আগে সৃষ্টি নাকি মহাকাশ?
একজন সমকামীর কিছু কথা
আপস্তম্ভ সংহিতা ও জাতিভেদ
অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব? – কুরআন হাদিসের দলিল
হিন্দু কে?
মহাভারতে জাতিভেদ: ব্রাহ্মণ
বিজ্ঞান কি মৃত্যু ঠেকাতে পেরেছে?
বাংলায় আর্য-ব্রাহ্মণ্যের আগমন ও প্রভাবের ইতিহাস – পর্ব ২: বাংলার আর্যপূর্ব যুগের ধর্ম ও বর্তমান হিন্দুধর্মে সেগুলোর অবস্থা
বাংলায় আর্য-ব্রাহ্মণ্যের আগমন ও প্রভাবের ইতিহাস – পর্ব ১: বাংলায় আর্যীকরণের সূচনা ও বাংলা নিয়ে আর্যসংস্কৃতির দৃষ্টিভঙ্গি
হাদিস সমূহের ভুল ঢাকতে ইসলামিস্টদের দেওয়া ব্যাখ্যার সীমাবদ্ধতা
Fact Check: রোজার ওপর গবেষণা করে জাপানি বিজ্ঞানী ইওশিনোরি ওশুমি নোবেল পেয়েছেন?
আসলেই কি রোজার উপকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত ও প্রমাণিত?
ইসলামিক রোজা নিয়ে ইসলামিস্টদের প্রচার করা বিভিন্ন প্রোপাগাণ্ডার জবাব
নারী – কুরআন হাদিসের দলিল
স্ত্রীকে প্রহার প্রসঙ্গে | তাফসীরে ইবনে কাসীর
গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ
বিশ্বাস ও আস্থা
ইসলাম ধর্ম কি নারীদের জন্য?
মানুষ ও পশু
বিশ্বাস আর প্রমাণ
আল্লাহর নিকট বিশেষ পত্র
ইসলামে শাস্তি – কুরআন হাদিসের দলিল
সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই?
সমাজ গঠনের জন্য নৈতিক ঈশ্বরের প্রয়োজন হয়নি, সমাজের জটিলতাই নির্ধারণ করেছে ধর্ম ও ঈশ্বরের ধারণাকে
মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরও মৃত শূকরের মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে আংশিকভাবে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হলেন বিজ্ঞানীগণ! মৃত্যুর ধারণা নিয়ে শুরু হল নতুন বিতর্ক…
ইসলামে বৈবাহিক ধর্ষণের বৈধতা
বিশ্বাসের ভাইরাস
বাইবেলের অবৈজ্ঞানিক ভার্সসমূহ
বাইবেলে বৈপরীত্য
হিন্দুধর্মে হস্তমৈথুন ও যৌনতায় নিয়ন্ত্রণ: একটি আয়ুর্বেদ-সংক্রান্ত বিশ্লেষণ
বিবর্তনবাদের বিভিন্ন দর্শন, একই পাল্লায় বার্গসোঁ ও রবীন্দ্রনাথ
ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ?
যেভাবে জীবনের শুরুঃ সব পথ এসে মিলে গেল শেষে (শেষ পর্ব)
মর্মন সমাচার
অপদস্থতার নিদর্শন জিযিয়া | তাফসীরে মাযহারী
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের প্যারাডক্সঃ ইসলামিস্টদের বিভাজন
কুরআন এবং ভ্রূণের বিকাশ: আলাকাহ পর্যায়
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ঃ অমুসলিমদের অধিকার ?
আল্লাহ পাক ও তার বান্দাদের সশ্রদ্ধ চ্যালেঞ্জ: রবীন্দ্র সংগীতের মত করে একটি গান রচনা করেন দেখি
ভগবদ গীতার সমালোচনায়
এক অবিশ্বাসীর রোমন্থন ও একজন অভিজিৎ রায়
প্যারাডক্সিকাল সাজিদ ২: গল্পে জল্পে আরিফ আজাদের মূর্খতা
জান্নাত: মুক্তির সন্ধানে নারী | শামস অর্ক
প্রাণ ও বিবর্তন । আদনান শাহরিয়ার
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ । আরিফ আজাদ
নৈতিকতার উৎস কি?
শামিমার আইসিসে যোগ দেবার পেছনেও হয়তো কাজ করেছে সামাজিক বিচ্ছিন্নতাবোধ ও স্বাধীনতার অভাব
মুহাম্মদের গুপ্তহত্যা । অবমাননার শাস্তি
কুরআন এবং ভ্রূণের বিকাশ: নুতফা পর্যায়
কিভাবে ফ্লার্ট করবেন?
স্ত্রীর ওপর স্বামীর হক.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.