কুরানের বিজ্ঞান চুরি

২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪৪

হঠাৎ মসজিদের মাইক দিয়ে কলাকোহল শুরু হলো।ইমাম সাহেব গলা ফাটিয়ে বলতে লাগলেনঃ
– যার যার ঘরে কুরান আছে লুকিয়ে ফেলুন।সব জায়গা থেকে কুরান লুকিয়ে ফেলুন।কোনো জাহান্নামী নাস্তিকের কাছে যেন কুরান না থাকে।
এত রাতে হুজুরের চিল্লাপাল্লা শুনে মেজাজ’টা বিগড়িয়ে গেলো।চলিলাম মসজিদের পথে।অতঃপর হুজুর’কে জিজ্ঞাসা করিলামঃ
– আপনি সবাই’কে কুরান লুকাতে বলছেন কেন?
আমার কথা শুনিয়া ইমাম সাহেব অট্ট হাসিয়া হাতে চাপাতি নিয়ে বলিলেনঃ
– কী ভেবেছিস শালা নাস্তিক!আমরা শুধু বাচ্চা-ই উৎপাদন করতে পারি,আর কিছু পারিনা!কুরান হচ্ছে মহাবিজ্ঞান।তোরা যেন কুরান পরে আবিষ্কার তো দূরের কথা কুরান ফলো করিয়া হাটতে না পাএইস তাই সবাইকে কুরান লুকিয়ে রাখতে বলেছি।

ইমাম সাহেবের কথা শুনিয়া দাত না কেলিয়ে পারলাম না।পাজামার বাটনে হেচকা টান দিয়ে বলিলাম, কুরানে আরেক’টি বিজ্ঞান আছে। আমার কথা শুনিয়া তিনি চাপাতি হাতে লাফিয়ে বললেনঃ
– কী তারাতারি বল!নয়তো কল্লা নিবো।
– রাত হলে চাঁদ হয়ে যায় খেজুরের ডালার মত।

অতঃপর এক সপ্তাহ পরে কলাবিজ্ঞানীদের মাহফিলে ইমাম সাহেব বিজ্ঞানী বয়ান দিতে চলিলেন।তিনি বয়ানে বলিলেনঃ
– নাস্তিক’দের থেকে আমরা এখন এগিয়ে।তাদের বিগবেন থিওরি’কে আমার “মহানবীরমুখ” থিওরি পাত্তাই দিবেনা।
উপস্থিত কলা বিজ্ঞানী আরিফ আচাদ বাম হাত ঢুকিয়ে বলিলঃ
– আপনি নিশ্চয় “মহানবীরমুখ” বলতে চাঁদ বুঝিয়েছেন।
ইমাম সাহেব আরিফ আচাদের কথা পাত্তা না দিয়ে বলিল,আমার থিওরি হলোঃ
– “চাঁদ যায় সূর্যের পিছে পিছে”।অর্থাৎ আল্লা তালা দিন’কে রাত দ্বারা আচ্ছন্ন করেছেন চাঁদ দিয়ে।এটা কিন্তু বিজ্ঞান।

উপস্থিত এক নাস্তিক এই বিজ্ঞান শুনিয়া উচ্চ স্বরে হেসে দিলো।অতঃপর উপস্থিত মুমিন’দের জিহাদ ঘোষনা করার সময় হয়ে গেলো।

০ টি +০/-০