নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Criticism is our fundamental right. The revolution will come only from our pen #save constitution

Titanic

এক সময় আমরা সবাই মানুষ ছিলাম।হঠাৎ করে তখন এক ভণ্ডু খোদার আবিষ্কার হল।শুরু হয়ে গেলে ধর্মের/খোদার দলের দালালী(মানুষের মধ্যে মারামারি হানাহানি)ভণ্ডু খোদার এক বিশেষ দালাল হল ইসলামধর্মের নবী মুহাম্মদ।ধর্মিয় বই নাকি আসমান থেকে এসেছ,আরে বোকার দল তাহলে তদের মালিককে বল আমাকে একটি আইটির বিশেষ বই দিতে।আমি আইটির ব্যবহার ও উন্নত মান দিয়ে তোদের খোদা হওয়ার দাবী করব।তোমরা বল কোরান,বাইবেল, গীতা আরও কত্তকিছু উপর হতে এসেছে।তোমরা কি দেখনা এখন মানুষ উপর(চন্দ্র,মংগল ইত্যাদিতে ভ্রমণ করছে)চোখ খুল মানুষ, চোখ খুল।

Titanic › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষের ভবিষ্যত-২

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩

(১)
সেটা দশ বছর আগের কথা। হঠাৎ মাথায় এল আরে পুরুষ জাতিটার আসলেই কোন ভবিষ্যত নেই। বড়জোর আর হাজার বছর। তারপরেই পুং লিঙ্গ বলতে কিছু থাকবে না ( আর্টিকলটা এখানে আছে Click This Link )।

কারনটা আসলেই সহজ। যা কিছুর জন্ম সবটাই বিবর্তনের কারনে। প্রকৃতির আদিতে সবই একলিঙ্গ-বা এক অর্থে নারীই বলব যারা নিজেদের প্রজননে সক্ষম। বিবর্তনের পথে পুরুষ লিঙ্গের আমদানির দরকার হল বিবর্তনে গতি আনতে। উভয় লিঙ্গের ক্রমোজমের ক্রসওভার থেকে অনেক বেশী মিউটেশন সম্ভব। অনেক বেশী বৈচিত্র। ফলে প্রাকৃতিক নির্বাচনের কাজটা সহজ হয়, কাকে পরিবেশের সাথে বেশী টিকিয়ে রাখবে। [১]

অর্থাৎ বায়োলজির গ্রান্ড স্কীমে পুরুষের ভূমিকা ওইটুকুই। জিনে বৈচিত্র আনতে সাহায্য করা। পশুকুলে বাবারা সন্তানের দেখাশুনা করে-সেই রেওয়াজ একদমই নেই। স্পার্ম ছড়ানো ছাড়া পুরুষের কাজ পশুকূলে সীমিত।

মানবকুল অনেক জটিল। প্যালিওলিথিক সমাজ পর্যন্ত পুরুষের ভূমিকা সমাজে কি ছিল-তা সবটাই স্পেকুলেটিভ। তবে সমাজ যে সেখানেও মাতৃতান্ত্রিক ছিল সেই নিয়ে সন্দেহ নেই। নারীর অবস্থানের অবনমন হতে শুরু করে কৃষিভিত্তিক সমাজের উত্থানের সাথে সাথে। এর মূল কারন ছিল দুটো। প্রথমত চাষের কাজের জন্য সমাজে ক্রমবর্ধমান সন্তানের চাহিদা। এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদ্ভব। এর মধ্যে প্রথমটাই মূল কারন নারীর অবনমনের। সেই কালে শিশুমৃত্যুর হার এত বেশী ছিল মাত্র দুটি সন্তানকে যুবক অবস্থায় টানতে ছটি শিশুর জন্ম দিতে হত। [২] ফলে অধিকাংশ নারীকে বাধ্য করা হত আটটি কি দশটি সন্তানের জন্ম দিতে। “বাধ্য” টা শব্দের ভূল প্রয়োগ। ধর্মের মাধ্যমে অশিক্ষার মাধ্যমে মেয়েদের মাথায় সন্তান ধারনের মাহাত্ম্য ঢোকানো সব ধর্মগ্রন্থেই পাওয়া যাবে। কিন্ত পাশাপাশি এটাও সত্য-এটা না হলে সেই যুগে মহামারী যুদ্ধের ফলে মানব জনসংখ্যা কমতে কমতে, মানুষের বেঁচে থাকাটাই সংকটপূর্ন হতে পারত। কিন্ত এটা ভাবার কারন নেই মধ্যযুগে নারীদের যৌন স্বাধীনতা ছিল না। সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে প্রায় মৃত্যু হত মায়েদের। ফলে মেয়েরাও জানতেন তাদের জীবন সংক্ষিপ্ত-তাই জীবনের মধু ছাড়া যাবে না। হেলিওনিক এবং রোমান সভ্যতায় এই উদাহরন অজস্র [৩]।

মেয়েদের বর্তমান স্বাধীনতার ধারনা মোটেও কোন দর্শনপ্রসূত ডিম্ব না। এটি উনবিংশ শতকে শিল্প বিপ্লবের ফল। [৪] শিশুমৃত্যুর হার কমতে মেয়েদের আর ছটি সন্তান ধারনের কোন প্রয়োজনিয়তা রইল না । অন্যদিকে গ্রাম থেকে শহরায়ন এবং শিল্পের কারনে নিউক্লিউয়ার ফ্যামিলির উদ্ভবে মেয়েদের ও কাজে যাওয়ার প্রয়োজন হল। আমেরিকাতে এটা শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ছেলেরা ছিল যুদ্ধে। আমেরিকান ওয়ার মেশিনের উৎপাদনের পুরোভাগে ছিল মেয়েরা। ভারতে মেয়েরা ব্যপকভাবে কাজে আসতে শুরু করে সাত এবং আটের দশকে।

তারমানে এই না যে সমতার অধিকার সব দেশে প্রতিষ্ঠিত। ভারত কি আমেরিকা সব দেশেই কর্মজীবি মায়েদের বেশ সমস্যা। যাদের দুটি সন্তান-তাদের অনেকেই পেশা ছেড়ে সন্তানপালনে নিজেদের ক্যারিয়ার ত্যাগ করেছেন। [৫] কিচেন থেকে ডিশওয়াশার-সর্বত্র অটোমেশনের ফলে সাংসারিক কাজের ভার অনেক কমেছে। কিন্ত সন্তানপালনের জন্য কোন রোবট এখনো দেখা নেই । ফলে সন্তানপালনের গুরু দায়িত্বটা এখনো মেয়েদেরই। জানি না প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ভবিষ্যতটা কি।

(২)

সমস্যা হচ্ছে সেই দিন আজ আগতপ্রায় যেখানে নতুন ভ্রুনের সম্পূর্ন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্ভব। ফলে বায়োলজির গ্রান্ডস্কীমে পুরুষের মূল কাজ-জেনেটিক ভ্যারিয়েশন-তার দরকার নেই। মেশিনই সেই কাজ করে দিতে পারবে।

সুতরাং মেয়েদের পুরুষকে দরকার হবে কেন?

সেক্সের কারনে? দৈহিক চাহিদা মেটাতে?

সেখানেও পুরুষের ভবিষ্যত উজ্জ্বল না। স্পিলবার্গের এ আই এ অর্গা মেকার চরিত্রগুলি মনে আছে? হ্যা আর দু দশকের মধ্যেই বাজারে আসতে চলেছে পুরুষ সেক্স রোবট । যারা শরীরে শারুখ খান, প্রেমে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ! এবছরই সনির আর এন ডি এই ধরনের হিউমানয়েডের আবিস্কারের কথা ঘোষনা করে যার মধ্যে আবেগ থাকবে [৬]। টোশিবার গবেষনাগারে তৈরী হিউমানয়েড কেঞ্জি সংবাদ শিরোনামে এসেছিল আগের বছর। যে মেয়েটা তাকে প্রেমের পাঠ শেখাচ্ছিল, কেঞ্জি তাকে কদিন বাদে এমন ভাবে জাপটে ধরে, গবেষনাটাই থামিয়ে দিতে হয় [৭]। এগুলো সবে শুরু।

বর্তমানে আমেরিকাতে ডিল্ডোর বাজার খুব ভাল। ৩০% রেটে বাড়ছে ১৫ বিলিয়ান ডলারের মার্কেট। দেখা যাচ্ছে কি বিবাহিত, কি অবিবাহিত সব মেয়েরাই একাধিক সেক্স টয় কিনছেন। এতটাই যে ২০০৮ সালের রিশেসনে শুধু একটা শিল্পই বেড়েছিল-এটা হচ্ছে এই এডাল্ট টয়। আমেরিকাতে মেয়েরা যৌন আনন্দ খুঁজছেন নতুন নতুন সেক্স টয় এর মাধ্যমে। হিউমানয়েড সেক্স রোবট অনেক দূর। এখনই জাস্ট একটু ইন্টেলিজেন্ট সেক্স টয়ের জন্যেই মেয়েরা আস্তে আস্তে সেক্সের জন্য পুরুষ ছেরে নিজের সেক্সটয়ের ওপর ভরসা করছেন বেশী। কারন অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক্স ডিল্ডোগুলির ডিজাইন এত অদ্ভুত এডভ্যান্সড, অধিকাংশ মেয়েরা মনে করছেন, ডিল্ডোগুলি পুরুষদের থেকে অনেক বেশী আনন্দ দিতে সক্ষম [৮][৯][১০]। বর্তমানে এত ভাল সিলিকন পলিমার বেড়িয়েছে এবং ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে ডিল্ডোগুলিতে উত্তাপ ও প্রানসঞ্চার করা সম্ভব হচ্ছে , অধিকাংশ মেয়ে মনে করছেন, এগুলির প্লেজার কোশেন্ট পুরুষ লিঙ্গের চেয়ে শতগুন ভাল।

তাহলে একজন মেয়ের জীবনে পুরুষের দরকার কেন? সন্তানের বায়োলজিক্যাল বাবার দরকার এমনিতেই হবে না।তাহলে বাবার দরকার সন্তান পালনের কাজটা ভাগ করে নিতে। সেই দরকারটা দুই দশকে চলে যাচ্ছে না-কিন্ত আগামী শতাব্দিতে অবশ্যই সন্তান পালনে বাবার দরকার হবে না। কারন সেই রোবট বা হিউমানয়েড।

একজন সন্তানের কি দরকার? সঠিক গাইডান্স। বাজে কাজ থেকে আটকানো। পড়াশোনাতে সাহায্য করা। খেলতে, খেলা শেখাতে সাহায্য করা। এর কোনটা একজন হিউমানয়েড বাবার থেকে খারাপ করবে?

কঠিন সত্য হচ্ছে একটা হিউমানয়েড বায়োলজিক্যাল বাবার থেকে এই কাজটা অনেক বেশী ভাল করবে।

সুতরাং খুব পরিস্কার চিন্তা করলে-একজন মেয়ের জীবনে পুরুষ নির্ভরতা কমতে শুরু করেছে বিংশ শতাব্দি থেকেই। একবিংশ শতাব্দির শেষে একজন মেয়ের জীবনে পুরুষ হবে “অপশনাল”। দরকার হবেই না।

(৩)
এই জন্যেই নারীবাদী আলোচনা আমার ভীষন হাস্যকর লাগে। হ্যা, মেয়েদের ওপর নানান কারনে নানান অত্যাচার হচ্ছে -এটা ঠিক। কিন্ত সেটা মানুষ হিসাবেই প্রতিবাদ করা যায়। যদি লিঙ্গের প্রশ্ন ওঠে-তাহলে আসলে কিন্ত পুং লিঙ্গের ভবিষ্যত বিলুপ্তপ্রায়। সুতরাং লিঙ্গ রাজনীতির ক্ষেত্রে সব থেকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ওঠা উচিত-পুরুশের ভবিষ্যত কি হবে?

নারীরা যে বৈষম্যের শিকার হয়েছে-তা ঐতিহাসিক, সামাজিক বিবর্তনের প্রয়োজনে। আর পুরুষ বিলুপ্তির সম্মুখীন সেই বিবর্তনের হাত ধরেই।

তাই নারীবাদি আলোচনা আমার কাছে অতীত, অপ্রাসঙ্গিক।

অনেক বেশী প্রাসঙ্গিক এই শতাব্দির শেষে পুরুষের ভবিষ্যত কি হবে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.