নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Criticism is our fundamental right. The revolution will come only from our pen #save constitution

Titanic

এক সময় আমরা সবাই মানুষ ছিলাম।হঠাৎ করে তখন এক ভণ্ডু খোদার আবিষ্কার হল।শুরু হয়ে গেলে ধর্মের/খোদার দলের দালালী(মানুষের মধ্যে মারামারি হানাহানি)ভণ্ডু খোদার এক বিশেষ দালাল হল ইসলামধর্মের নবী মুহাম্মদ।ধর্মিয় বই নাকি আসমান থেকে এসেছ,আরে বোকার দল তাহলে তদের মালিককে বল আমাকে একটি আইটির বিশেষ বই দিতে।আমি আইটির ব্যবহার ও উন্নত মান দিয়ে তোদের খোদা হওয়ার দাবী করব।তোমরা বল কোরান,বাইবেল, গীতা আরও কত্তকিছু উপর হতে এসেছে।তোমরা কি দেখনা এখন মানুষ উপর(চন্দ্র,মংগল ইত্যাদিতে ভ্রমণ করছে)চোখ খুল মানুষ, চোখ খুল।

Titanic › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্যের ভিতরে ফোটন কণার দুঃখ!

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩০


জমসর আলি: সূর্য! আমাদের এই সৌর জগতের মধ্যমনি।
হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দ্বারা ঘটিত এক বিশাল আগুনের গোলক! দশ লাখ কিলোমিটার ব্যসের এই অগ্নি গোলটি আমাদের পৃথিবীর ব্যসের থেকে ১০৯গুন বড়। আমরা হাজার বছর থেকে এই সূর্যকে দেখে আসছি সাথে আকাশের ঐ দূরের তারা গুলোও। কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি আমাদের এই সূর্যও একটি তারা আর দূরের ঐ তারা গুলোও এক একটি সূর্য। আসুন আজ এই সূর্যের ভিতরে প্রবেশ করে দেখি এর ভিতরে কি কি হচ্ছে।
সূর্য একটি গরম গ্যাসের গোলক। এর ভর খুব একটা বেশি নয় প্রতি ঘনসেন্টিমিটারে ১.৪১ গ্রাম মাত্র। পানির ঘনত্বের মত। তবে এর কেন্দ্রের ঘনত্ব ১১৩গ্রাম, বলা যায় সীসার ঘনত্বের ১০গুন। সূর্যের একেবারে ভেতরে যদি যেতে পারেন তাহলে আপনাকে ১০মিলিয়ন ডিগ্রি তাপ পোহাতে হবে আর বাহিরে দিকে যা ৬০০০কেলভিনের মত। ভিতরে এত তাপমাত্রার কারনে গ্যাস সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয় যার ফলে দেখবেন এর অনু থেকে ইলেকট্রন আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও দেখবেন এর অনুগুলো ও আয়নরাশি পরস্পরকে আকর্ষণ করছে, যার ফলে সূর্য গোলাকার আকার ধারন করেছে। সূর্যের ভিতর আরেক এলাহী কান্ড প্রত্যক্ষ করবেন, বুঝতে পারবেন এর কেন্দ্রের দিকে সব কিছুকে টানছে প্রবল আকর্ষণে। আর বাহিরের গ্যাস গুলো সৃষ্টি করে যাচ্ছে প্রচন্ড বহির্মুখী চাপ। এই ব্যাপারটির আবার একটি দাঁতভাঙ্গা বৈজ্ঞানিক নামও আছে: হাইড্রোস্ট্যাটিক ইকুলিব্রিয়াম! এই টান আর চাপের কারণেই সূর্য তার ভারসাম্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
যাইহোক অন্যান্য তারা গুলোর মতো সূর্যে হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম ছাড়াও পাবেন সামান্য পরিমাণ লিথিয়াম, বোরন, কার্বন, নাইট্রোজেন, বেরিলিয়াম, ফ্লোরিন, অক্সিজেন, নিয়ন। সূর্যের কেন্দ্রের মধ্য যে শক্তি উৎপন্ন প্রক্রিয়াটি দেখছেন সেটা তার ১লাখ কিলোমিটার ব্যসের মধ্যেই উৎপন্ন হয়। এই এলাকায় পারমানবিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয় তাপ জন্ম নেয় আলোর কণা ফোটন! আর এই ফোটন কণারা ছড়িয়ে পড়ে এই মহাশূন্য! আলোকিত করে আমাদের এই সৌরমন্ডলকে আমাদের পৃথিবীকে। তবে যে ফোটন কণা আপনি কেন্দ্রে উৎপন্ন হতে দেখলেন সেটা কিন্তু সাথে সাথেই সূর্যের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসতে পারেনা। প্রচন্ড আকর্ষণ থেকে মুক্ত হতে এক একটি ফোটন কণার লেগে যায় দশ লাখ বছর!
অথচ এই আকর্ষণ না থাকলে মাত্র দুই সেকেন্ডে বের হয় আসতো প্রতিটি ফোটন কণা। মাত্র দুই সেকেন্ডের পথ পাড়ি দিতে হয় দশ লাখ বছর ধরে! বিলিয়ন বিলিয়ন ফোটন কণার মুক্ত হওয়ার যুদ্ধ আপনাকে ব্যাথিত করবে।
ফোটনের এই বন্ধিদশার কারনে সূর্যের কেন্দ্রে যদি শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় সেটা বুঝতে আমাদের সময় লাগবে দশ লাখ বছর! কি অবিশ্বাস্য! এই যে এতক্ষন সূর্যের ভিতর শক্তি উৎপাদনের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখলেন এটা কি প্রক্রিয়া হয় তা জানা গেছে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সূত্র থেকে। তিনিই বলেছেন বস্তু এবং শক্তি আলাদা কিছু নয়, একটিকে রূপান্তর করা যায় আরেকটিতে। সে বিখ্যাত সূত্রটি হচ্ছে ই=এমসি^
এখানে ই হচ্ছে মোট উৎপন্ন শক্তি, এম হচ্ছে যে বস্তুটিকে শক্তিতে রূপান্তর করা হবে তার ভর, আর সি হচ্ছে আলোর গতি। এতক্ষন আমাদের এই সূর্যের ভিতর যে পারমানবিক বিক্রিয়া শক্তি উৎপন্ন হতে দেখলেন সেটা এই সূত্র মেনেই উৎপন্ন হচ্ছে গত ৪০০কোটি বছর ধরে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩

অক্পটে বলেছেন: মুগ্ধ হলাম! আপনি বিষয়টিকে সুন্দর সহজ করে বর্নণা করেছেন।

০৩ রা মে, ২০২১ ভোর ৬:৩৭

Titanic বলেছেন: THANK YOU SOO MUCH

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার নাম কি জমসের আলী?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.