নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বন্ধু সীমা গোমেজ। সমর কাকার বড় মেয়ে। বুদ্ধিমতি, পড়াশোনায় ভাল হলেও প্রচন্ড জেদী এবং মুখরা হওয়ায় ওর সাথে প্রায়ই বনিবনা হতোনা আমার। কিন্তু ওর বিশাল হৃদয় এবং সরলতা এড়িয়ে যাওয়াও সম্ভব ছিলনা। একবার ঈদের সময়, পাড়ার প্লাম্বার মিস্ত্রি ওয়াজেদ চাচার ছোট দুই মেয়ের নতুন জামা না পেয়ে মন খারাপ করতে দেখে সীমা কেঁদে-কেটে অস্থির। হৃদয়বান সমর কাকা সন্ধ্যেবেলায় দু'টো সুন্দর নতুন জামা কিনে সীমাকে সাথে নিয়ে হাজির হলেন ওয়াজেদ চাচার বাসায়। ঐ ১০/১১ বছর বয়সেই তা দেখে আমার চোখ ভিজে উঠেছিল। ঈদের দিন সীমা এবং ওর ছোট বোন সাথীও নতুন জামা পরে আমাদের বাসায় বেড়াতে এলো। ডিসেম্বরে পরীক্ষা শেষে দীর্ঘ ছুটি। তারসাথে যোগ হতো আর একটি আনন্দের দিন। পঁচিশে ডিসেম্বর বড়দিনে আমরা কত মজা করেই না ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়েছি একসাথে। প্রতিবছর এমন করেই আমরা একসাথে নানান উৎসবে মেতেছি।
তুষার কান্তি বড়াল। আমার শৈশবের প্রিয় বন্ধু। ওকে আমরা টুটুল বলে ডাকতাম। ওদের বাসার বারান্দায় একটা সবুজ টিয়া পাখী সারাক্ষণ এর-ওর নাম ধরে ডাকাডাকি করে। ওর বড়বোন তপতী দিদি আমায় খুব ভালবাসতেন বলে তাদের টিয়াকে শিখেয়ে দিলেন আমার নামটাও। ব্যাস, টিয়া আমায় দেখার সাথে সাথে নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করে দিত। ওদের বাড়িতে আমার খেলতে যাবার এটা ছিল বড় আকর্ষণ। আর টুটুল! এক অসাধারণ ছেলে। সবার প্রিয় বন্ধু। একুশে ফেব্রুয়ারির জন্যে ফুল চুরি, ডাঙ্গুলির জন্যে ডান্ডা-ক্লুব বানানো, মরা পাখীর বাচ্চাকে মাটি খুঁড়ে কবর দেয়া, বালুর স্তুপে প্রাসাদ বানানো, দোকান-দোকান খেলা, যেকোন প্রয়োজনে তাকে সবাই পাশে পাবে। বন্ধুদের মধ্যে কোন কারণে ঝগড়া লেগে গেলে সে অবধারিতভাবে 'শান্তিদেব' এর ভূমিকায় থাকবে। খেলতে খলতে কারো কেটে-ছড়ে গেলে ও সবার আগে ছুটে গিয়ে গাঁদাফুলের পাতা হাতের তালুতে কচলে নিয়ে লাগিয়ে দেবে। একটা আইসক্রিম কিনে বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি করবে। বাড়ি থেকে মায়ের তৈরি চালতার আচার, কুল বা পেয়ারা চুরি করে এনে বন্ধুদের নিয়ে খাবে। ঈদের দিন টুটুল আর ওর ছোটবোন নতুন জামা পরে আমাদের সাথে খেয়ে-দেয়ে সারাদিন হৈহৈ করে বেড়াতো। আর দূর্গাপুজোর সময় ওরা ক'দিনের জন্যে বরিশালে চলে গেলে ওর জন্যে আর তপতী দিদির জন্যে আমার খুব মন খারাপ হতো। পূজোর সময় আমরা কত আনন্দ নিয়ে প্রতিমা দেখে বেড়িয়েছি। মেলায় গিয়ে শিংঅলা রঙিন বেলুন কিনে, ছোলা, চটপটি খেয়ে হুলুস্থুল আনন্দ করেছি।
একবার খেলতে খেলতে সময় ভুলে গিয়ে বাসায় ফিরতে একটুখানি দেরী হয়ে গেলো। জান ঢিপঢিপ করছে, মা আজ আর বাড়ি ঢুকতে দেবেনা। মাগরিবের আজানের আগে অবশ্যই বাসায় ফিরে আসতে হবে- এটা ছিল আমাদের পারিবারিক আইন। ব্যাস, যা ভেবেছি, তাই হলো। মা রেগে আগুন, কোন অনুনয়-বিনয়ই কাজে লাগলো না। শাস্তিস্বরূপ আমাদের দুই ভাই-বোনকে সিঁড়ির নীচে দাঁড় করিয়ে রেখে দরজা বন্ধ করে দিলেন কিছুক্ষণের জন্যে। ডিসেম্বরের হীম হাওয়ায় আমরা জমে যাওয়ার উপক্রম। স্কুল টিচার আভা বরুয়া, আমাদের সবার আহ্লাদের জায়গা। আভা মাসী তা দেখতে পেয়ে ছুটে এসে দাঁড়িয়ে রইলেন আমাদের সাথে। আমাদের আদর করে বললেন, ভুল করেছো শাস্তিতো পেতেই হবে। এরপর থেকে দেখো আর কোনদিন একই ভুল করতে ইচ্ছে হবেনা। সময় কাটানোর জন্যে আভা মাসী আমাদের একটা ভূতের গল্প শোনালেন। কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে মা আভা মাসীকে দেখে কোনভাবেই বিরক্ত হতে পারলেন না বরং ভেতরে এসে বসতে অনুরোধ করলেন। আর একটু পরে আমি শুনতে পেলাম, আভা মাসী মা'কে বলছেন 'বাচ্চাদের কিন্তু শাস্তি পুরণ হয়েছে আপা, ওদের আর বকবেন না যেন।' আভা মাসীর গোলাপি রঙের শিফন শাড়ীটা আমার খুব পছন্দ ছিল বলে, পরে খানিকটা কেটে আমার পুতুলের শাড়ী বানিয়ে দিয়েছিলেন। আমার মা আভা মাসীকে খুব ভালবাসতেন। এইসব মধুর স্মৃতিময় শৈশব কম-বেশী আমাদের সবার জীবনেরই অংশ। সুস্থ্য, নির্ভয় এবং উন্মুক্ত শৈশবই মানুষকে প্রগতিশীল করে তোলে। শেখার ভিতটাতো শৈশবেই।
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নিয়ে আমাদের কখনো, কোনদিন কোন টানা-পোড়েন দেখতে হয়নি। আমরা শিখিনি যে আমি কারোর থেকে আলাদা বা কেউ আমার চেয়ে অন্যরকম বলে তার প্রতি আমার বিদ্বেষ জন্মাবে। আজকের প্রজন্ম সম্পূর্ন অস্থিরতায় বেড়ে উঠছে। মসজিদ, মন্দির, প্রতিমা ভাংচুর, বিদ্বেষ, হানাহানি যেন অবলীলায় ঘটে চলেছে। চুড়ান্ত রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক অসহনশীলতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাঙালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য ও সহাবস্থান নিয়ে দূর্ভাবনার পথ প্রশস্ত হচ্ছে। মানুষের একটি বিশেষ আশ্রয় এবং বিশ্বাসের জায়গা, ধর্মকে স্বার্থান্বেষীরা নির্দ্বিধায় ব্যবহার করে চলেছে। এমন কি আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাতেও তার আঁচ লেগেছে। ক্রমবর্ধমান এই কর্কটের প্রতিকারের কোন উদ্দ্যোগ নেই কোথাও।
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র বিষয়টি বাদ দিয়েও মানুষতো স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির, ভিন্ন স্বভাবের, ভিন্ন মতের। নিজের ব্যক্তিত্ব, রুচি, ভাবনা, মতাদর্শ, যুক্তি কোনটাই অন্যের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া অন্যায় এবং অস্বাভাবিকতা। মানুষ মানুষে পরষ্পর সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং সহনশীলতার ধারনা বিবর্জিত মানুষ একদিন গুহায় বাস করতো, হত্যা-হানাহানি করেই হিংস্র, উলঙ্গ, দুর্বিসহ জীবন কাটাতো। আজকে আমাদের এই সভ্য, স্বাস্থ্যসম্মত, শিক্ষিত, প্রযুক্তিনির্ভর জীবন যাপনে আমরা সেই গুহার জীবন-যাপন ডেকে আনতে পারিনা। আমাদের সার্বিক আচরণ, পরিকল্পনা এবং তার প্রতিফলনের উপর নির্ভর করছে আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের বোধ এবং মুক্তি। নির্ভর করছে একটি সুস্থ্য, সভ্য এবং সত্যিকারের উন্নত জাতীয় জীবন। আমাদের দুরদর্শিতা প্রসারিত হোক, শুভবুদ্ধির জয় হোক।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৮
জানা বলেছেন: উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে আর কতদিন! নিজে ভাল হলে জগৎ ভাল। আমরা যতদিন নিজের ত্রুটিটা চোখে দেখবোনা, দায় অন্যের উপর চড়িয়ে দিয়ে গায়ে হাওয়া লাগাবো, ততদিন আমাদের পেছনে হাঁটা অব্যহত থাকবে নিশ্চিতভাবেই। যুক্তিযুক্ত এবং শোভন মন্তব্য আশা করি।
ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
শায়মা বলেছেন: এই লেখা পড়ে আমার শ্রুতিনাটকের কথাটা মনে পড়ে গেলো।
এমনি করেই ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে শৈশব কৈশোর কাটিয়ে বড় হওয়া বন্ধুদের কথাও। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি।
http://www.mediafire.com/file/ssanye8i7cl3fuc/Srutinatok-2.wma
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৯
জানা বলেছেন: তোমার লিঙ্কটা কাজ করছে না। ঠিক করে দিও। শুনতে চাই।
ভাল থেকো।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
মানিজার বলেছেন: হায় - ছোটবেলায় পূজায় মেলায় কত গেলাম আর আজ সেটা হিন্দু মুসলীমে ভাগ হয়ে যাচ্ছে ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১২
জানা বলেছেন: এটা আমাদের লজ্জা! আমাদের ঐতিহ্য, কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির যে গৌরব তা ক্রমেই লুটিয়ে যাচ্ছে!
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
আপনার অভিজ্ঞতাগুলো অনেকেরই সাথে জড়িয়ে আছে । একটা সময় ছিলো যখন সকল ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতো, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে একজন আরেকজনের সাথে সখ্যতা গড়তো, ভেদাভেদ ছিলো না । যেখানে সবাই মানুষ সেখানে ভেদাভেদ কী করে হয় ! ধর্ম, গোত্র, গুষ্টি এসবের দোহাই দিয়ে তো মানুষকে অস্বীকার করা যায় না।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৮
জানা বলেছেন: দুঃখজনক! আমরা সহনশীলতা হারিয়ে কেমন করে যেন হিংস্র হয়ে উঠেছি। ভালবাসা, পরষ্পর সম্মানবোধ, আত্নমর্যাদা সব ভুলে যাচ্ছি!
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার এই স্মৃতিগুলোর সাথে আমার কিছু স্মৃতির মিল আছে | খুব ছোট বেলায় একবার খালার বাসায় ফরিদপুরে বেড়াতে গেলাম | আমার খালু গোয়ালন্দ সুগার মিলটার মিলের ম্যানেজার | কিন্তু খালার বাসা ফরিদপুর শহরে | বাসার সামনেই একটা পুকুর তার উল্টো দিকেই একটা গির্জা| বেড়াতে যেয়ে সারা দিন গির্জায় খেলা সেই সাতদিন আমার জীবনেরই একটা সুন্দর স্মৃতি | খুব ছোট বেলার বন্ধু প্রণয়, বিনয়, সুকান্ত, অনিমেষ ওদের কথা কি আজও ভুলেছি | এলিমেন্টারি স্কুলে অনজু দিদি,অবিনাশ বাবু, পিনার বাবু, শিবু স্যার কত না যত্ন করে পড়িয়েছেন | সেন্টু স্যারের ভয়ে প্রায় অজ্ঞানই হয়ে যেতাম ক্লাসের সবাই তবুও কি আনন্দের স্মৃতি!
নানীর বাড়ির পাশেই সাহা বাড়ির বৌদির কথা এখনো মনে পরে ! আমরা খালাতো ভাইবোনরা যখনই ঈদে যেতাম নানীর বাড়ি তখনি উনি বাসায় বানানো লাড়ু, সন্দেশ,মোয়া আমাদের ছোটদের জন্য সবসময়ই পাঠাতেন ! ঠাকুরবাড়ির মাসিমা ! পুজোর ঘরের আঙিনায় আমাদের যেতে দিতেন না | কিন্তু নানীর বাড়ি বেড়াতে যেয়ে তবুও প্রথম দ্যাখা হতেই এই তুই মিনুর ছেলে না ? বলে কি আকুলতা যে দেখাতেন ! ধর্ম কখনোই সর্বনাশা হয়ে উঠেনি এদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে | আমি এখনো এটা খুবই দৃঢ় ভাবেই বিশ্বাস করি রাজনীতির অসততাই এর জন্য দায়ী | সাধারণ মুসলিমরা বা হিন্দুরা বা অন্য কোনো সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সাধারণ কোনো সদস্য এর জন্য দায়ী নয় | শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের অসততার কারণেই আমাদের এই ঝামেলাগুলো পোহাতে হচ্ছে এখন |
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২০
জানা বলেছেন: আপনার শৈশবের স্মৃতিচারণ ভাল লাগলো।
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮
সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। মানুষে মানুষে বিভেদ, মানুষই সৃষ্টি করেছে এবং করবে। শুনতে খারাপ লাগবে, ধর্ম নিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষিত মানুষদেরই চিন্তা-ধারণা পরিবর্তিত হয়নি। বাকিদের কথাই বাদই দিলাম।
ঈদ-পূজো-বড়দিন তিনটিই মজা করার চেষ্টা করি।
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুসময়ের সু:খময় স্মৃতি, আজ জাতি দু:সময়ের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে!
৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০
এখওয়ানআখী বলেছেন: অনবদ্য লেখা।ঝরঝরে তাই পড়তে সাবলিল। তবে গুহামানবেরাও দলবদ্ধ ছিল একদিন; তাই আজকের এসভ্যতা। তাদের সংগ্রাম ছিল হিংস্র জানোয়ারদের বিরুদ্ধে। আর আমাদের সংগ্রাম হোক মানুষরূপী জানোয়ারদের প্রতিরোধে।
৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১
সনেট কবি বলেছেন:
ছোট্ট অঙ্কিতার গল্প
আমি অঙ্কিতার মামা কিন্তু ওর দাদা
অর্ণবের মামা নই অন্তত সেটাই
দু’ভাই বোনের ডাকা থেকে মনে হয়,
কারণ অর্ণব কাকা সম্বোধন করে।
অঙ্কিতা দু’চার কথা শিখেছে এখন
তবে আমি ওর মামা এটা নিজে থেকে
ওর কথা যাতে কারো অবদান আছে
বলে সনাক্ত হয়নি, বিস্ময় এখানে।
ছোট পাখিটি নিতান্ত ছোট বলে তার
মামা ডাক মুখরিত করে সারা বাড়ি
যা আমাকে দেখা মাত্র শুরু হয়ে যায়।
অঙ্কিতা ও তার মামা আলাদা একথা
ওদের বুঝানো কোন ভাল কথা নয়
বলে আমরা এ থেকে দূরত্বে থাকছি।
১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
সনেট কবি বলেছেন:
মেঝ কন্যা ব্লগার সাহিদা সুলতানা শাহীর আপত্তির মুখে সনেট গল্পটি নিম্নরূপ পরিবর্তন করা হলো-
ছোট্ট অঙ্কিতার গল্প
আমি অঙ্কিতার মামা কিন্তু ওর দাদা
অর্ণবের মামা নই অন্তত সেটাই
দু’ভাই বোনের ডাকা থেকে মনে হয়,
কারণ অর্ণব কাকা সম্বোধন করে।
অঙ্কিতা দু’চার কথা শিখেছে এখন
তবে আমি ওর মামা এটা নিজে থেকে
ওর কথা যাতে কারো অবদান আছে
বলে সনাক্ত হয়নি, বিস্ময় এখানে।
ছোট পাখিটি নিতান্ত ছোট বলে তার
মামা ডাক মুখরিত করে সারা বাড়ি
যা আমাকে দেখা মাত্র শুরু হয়ে যায়।
অঙ্কিতা ও তার মামা আলাদা ধর্মের
এটা ওর বুঝা এক সামাজিক বোঝা,
যা ওকে বুঝানো কোন ভাল কথা নয়।
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের দুরদর্শিতা প্রসারিত হোক, শুভবুদ্ধির জয় হোক।বহুদিন পর জানা আপুর পোস্ট । ভাল লাগলো অনেক।
আমি এতটুকু বলতে পারি মানুষ মানুষের জন্য। এমনটা হওয়া বাঞ্ঝনীয়।
১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ঝরঝরে লেখা। বেশ ভালো লাগল।
১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৯
সেয়ানা পাগল বলেছেন: @শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এই পার্থক্য সৃষ্টি করণে রেন্ডিয়া এবং পশ্চিমা দালালদের ভূমিকা কোন অংশে কম নয়।
বাড়ীতে বুঝি এই ভাষাতেই কথা বলেন ! ওইসব পাড়ায় মনে হয় নিয়মিত যাতায়াত আছে, যেভাবে রেন্ডি শব্দটিকে মুখস্ত করে নিয়েছেন, সব কমেন্টেই ইউজ করেছেন শব্দটি।
১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ষাটের দশকে যখন এই ভূতটা আমাদের ঘাড়ে চাপতে শুরু করলো তারই প্রতিবাদে বাউল শাহ আবদুল করিম তাঁর বিখ্যাত গানটি বেঁধেছিলেন-গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু মুসলমান-আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
পুরানো দিনের অনেক কথা মনে পড়ে গেল।
১৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯
জুন বলেছেন: এই প্রথম আপনার কোন লেখা পড়লাম মনে হলো
লেখার বিষয়বস্তটির সাথে আমার ব্যক্তিজীবনের সাথে অনেকটাই মিল খুজে পেলাম । ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবার সাথেই মিশেছি এবং এখোনো মিশি। ধর্ম কখোনো ব্যবধান হয়ে দাড়ায়নি ।
মাঝে মাঝে লিখবেন তাহলেই বুঝবো আপনিও আমাদের সাথেই আছেন
ভালো থাকুন সেই প্লত্যাশায় ।
১৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮
সনেট কবি বলেছেন:
শান্তি সূত্র
‘শান্তিময়তার শর্ত মানবিকতায়’
পাশবিক মানুষেরা নাদেখলেও তা’
সরাসরি সত্য বলে বিবেচিত হবে
মানবিক সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্লেষণে।
মতভেদ থাকলেও মিলে মিশে থাকা
সকলে মানুষ মেনে, তাহলে মঙ্গল
মানব সমাজে সদা বিস্তারিত হয়ে
পৃথিবীর এগ্রহেতে ছড়াবে প্রশান্তি।
জোর করে নিজ মত অপরে চাপানো
এটাই অশান্তি সূত্র পাশবিকতার
শান্তির নিমিত্তে এর পরিত্যাগ চাই।
ধর্ম বর্ণ ভাষা জাতি ভেদ চিরন্তন
অভেদ্য মানুষদের মিলেমিশে থাকা
এসূত্রে মিলবে সুখ চিরন্ত প্রশান্তি।
১৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
জগতারন বলেছেন:
নীচের বাক্যের কথাগুলো সর্বজনীন, ভালোবাসাময় ও শান্তিময়।
১) আমার মা আভা মাসীকে খুব ভালবাসতেন।
২) এইসব মধুর স্মৃতিময় শৈশব কম-বেশী আমাদের সবার জীবনেরই অংশ।
৩) সুস্থ্য, নির্ভয় এবং উন্মুক্ত শৈশবই মানুষকে প্রগতিশীল করে তোলে। শেখার ভিতটাতো শৈশবেই।
আরও ভালো লাগলঃ
১) ধর্ম-বর্ণ-গোত্র বিষয়টি বাদ দিয়েও মানুষতো স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির, ভিন্ন স্বভাবের, ভিন্ন মতের। নিজের ব্যক্তিত্ব, রুচি, ভাবনা, মতাদর্শ, যুক্তি কোনটাই অন্যের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া অন্যায় এবং অস্বাভাবিকতা।
২) মানুষ মানুষে পরষ্পর সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং সহনশীলতার ধারনা বিবর্জিত মানুষ একদিন গুহায় বাস করতো, হত্যা-হানাহানি করেই হিংস্র, উলঙ্গ, দুর্বিসহ জীবন কাটাতো।
৩) আজকে আমাদের এই সভ্য, স্বাস্থ্যসম্মত, শিক্ষিত, প্রযুক্তিনির্ভর জীবন যাপনে আমরা সেই গুহার জীবন-যাপন ডেকে আনতে পারিনা।
৪) আমাদের সার্বিক আচরণ, পরিকল্পনা এবং তার প্রতিফলনের উপর নির্ভর করছে আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের বোধ এবং মুক্তি। নির্ভর করছে একটি সুস্থ্য, সভ্য এবং সত্যিকারের উন্নত জাতীয় জীবন।
৫) আমাদের দুরদর্শিতা প্রসারিত হোক, শুভবুদ্ধির জয় হোক।
লেখকের প্রতি অভিন্দন ও সুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
১৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সনেট কবি বলেছেন:
সভ্যতার শর্ত
আলোদি গ্রামের মেয়ে ঠাকুর বাড়ির
চক্রবর্তীদের কন্যা আপুর বান্ধবী
স্কুলে যাওয়ার সাথী আমার শ্রদ্ধেয়া
স্নেহসিক্ত হয়ে তাঁর এজীবন ধন্য।
সাধন তপন স্যার পড়াতেন ভাল
আমরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে
কখনো করিনি কোন কার্পণ্য কিছুই
এখনো দু’ পরিবার আছে প্রতিবেশী।
কে কোন ধর্মের লোক সে বিবেচ্য পরে
সবার আগের কথা মানবিকতার
বিবেচনা মতে হবে মানব জীবন।
হানাহানি মারামারি বাদ দিয়ে চলা
সভ্যতার শেষ শর্ত না মেনে উপায়
নেই কারো কোন দিন শান্তির নিমিত্তে।
২০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দুরদর্শিতা প্রসারিত হোক, শুভবুদ্ধির জয় হোক - চমৎকার লিখেছেন। একটা বদ্ধ, গুমোট ঘরে যেন শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়ে গেল। আমার বেশ কিছু ভাল হিন্দু এবং খৃষ্টান বন্ধু ছিল এবং আছে।
২১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুস্থ্য, নির্ভয় এবং উন্মুক্ত শৈশবই মানুষকে প্রগতিশীল করে তোলে। শেখার ভিতটাতো শৈশবেই।
হুম।
আমাদের পড়শি অনিল দা ছিলেন পরিবারের একজন। উনার মেয়ে প্রতিভা প্রণতি এসে সকােল আমরা কোরআন তেলাওয়াত করতাম, দিব্যি এসে কোলে বেস পড়ত। দুলে দুলে শুনত.. আবার মােঝ মােঝ চেয়ে দেখত..
দূর্গা পূজায় দশমীর রােত যত রাত হোক ওরা বসে থাকত- আমাদের সাথে নিয়ে প্রতিমা দর্শনে যাবে বলে...
বাবা একজন মাওলানা হওয়া সত্ত্বেও হাসিমূখে অনুমিত দিতেন- বেশি রাত না করার শর্তে...
ঈদের সময় সব্বাই একসাথে শেমাই মিষ্টি খেয়ে ঘুরতে যেতাম...
সহনশীলতার এই পাঠই যেন হারিয়ে যাচ্ছে- অজ্ঞানতায়? লোভে? স্বার্থে?
একে হারাতে দেয়া উচিত নয়।
আমাদের মিডিয়া এতে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু তারাতো চেনে শুধু কড়ি! স্পন্সর!
সামাজিক দায় আদৌ আছে কি?
নষ্টালজিক পোষ্টে ভাল লাগা
+++++++
২২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জকের প্রজন্ম সম্পূর্ন অস্থিরতায় বেড়ে উঠছে। মসজিদ, মন্দির, প্রতিমা ভাংচুর, বিদ্বেষ, হানাহানি যেন অবলীলায় ঘটে চলেছে। চুড়ান্ত রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক অসহনশীলতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাঙালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য ও সহাবস্থান নিয়ে দূর্ভাবনার পথ প্রশস্ত হচ্ছে। মানুষের একটি বিশেষ আশ্রয় এবং বিশ্বাসের জায়গা, ধর্মকে স্বার্থান্বেষীরা নির্দ্বিধায় ব্যবহার করে চলেছে। এমন কি আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাতেও তার আঁচ লেগেছে। ক্রমবর্ধমান এই কর্কটের প্রতিকারের কোন উদ্দ্যোগ নেই কোথাও।
.........এখানটায়ই আমার মনটা খুব পোড়ে, গতকালকেও একটা ব্লগে হিন্দু মুসলিম ধর্মীয় চরম বিভাজনের চিত্র আঁকা একটা পোষ্ট পড়ে মনটা খারাপ হলো। আমরা এখন শুধু বিভাজনের চিত্রটাই মাথায় ঢোকাই, ঐক্যেরটা না, তাইতো পৃথিবীটা ক্রমান্বয়ে নরকের দিকে এগোচ্ছে।
২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঠিক এই অনুভূতির গল্প গুলো আমার ও
কোন এক অদৃশ্য সুতায় আমাদের সম্পর্কগুলো বাঁধা থাকত।
২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮
প্রামানিক বলেছেন: লেখার বিষয়বস্তুর সাথে ব্যক্তিজীবনের মিল খুজে পেলাম । জীবনে অনেক ধর্মের লোকের সাথে মিশেছি, ধর্মের কারণে বন্ধুত্বে কখনো ভাটা পড়েনি।
ভালো লাগল আপনার লেখা। ধন্যবাদ
২৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জানা ,
হ্যা , দিনগুলি কারোই সোনার খাঁচায় রয়না । দিনের রঙগুলো প্রতিদিনই কেমন যেন বদলে বদলে ধুসর হয়ে যায় ।
এই প্রজন্ম জানেনা, একদিন "মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম , হিন্দু মুসলমান " বলে তাদের পূর্বপুরুষেরা দলবেধে কোরাস গাইতো । জীবনের নিরহংকার বাস্তবতা থেকে উৎসারিত এই বোধ এই প্রজন্মের কাছে , বলা ভালো ; প্রায় সকলের কাছেই আজ কোন অর্থ বহন করেনা । অজ্ঞানতা আর জ্ঞানোনদ্ধত্ব আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এমন একটা মোড়ে যেখানে অসহিষ্ণুতা , ঘৃনা ছাড়া আর কোনও সদগুন আমাদের মাঝে বেঁচে নেই । সুযোগও নেই ।
তবুও এক মর্মবেদনার সাথে , চেয়ে থেকে ফের নিজ অন্তরের পানে, বলে গেলেন যা কিছু লজ্জায়-ব্যথায়-অপমানে ; তা আমাদের অদুরদর্শিতাকে ঝাঁকিয়ে ব্যাপ্ত করুক বুদ্ধিদীপ্ত দুরদর্শিতায় ।
২৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ওকি চন্ডাল~
চমকাও কেন, নহে ও ঘৃন্য জীব..
ও হতে পারে হরিশচন্দ্র ঐ শ্মশানের শীব... কথা গুলো নজরুল বলে গিয়েছেন হিন্দু মুস্লিম বিভেদ দূর করতে। তিনি আরো বলেছিলেন-
নাই দেশ কাল পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি
সব দেশে সব কালে তিনি মানুষের জ্ঞাতি...
আপনার লেখার সাথে তাই চন্ডীদাসের মতই বলি-
সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই...
২৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
সনেট কবি বলেছেন:
জানার‘নানা রঙের দিনগুলি সোনার খাঁচায় রইলো না’ পোষ্টে মন্তব্য-
আপনার মনভাব মানব শান্তির
নিয়ামক হতে পারে সারাবিশ্ব জুড়ে
এখন প্রচারে চাই অধীক প্রচেষ্টা
গণমাধ্যমের এতে দৃষ্টি দিতে হবে।
মানবতাবাদী সব এগিয়ে আসুক
দানবতাবাদ হোক সম্পূর্ণ নিপাত
সকল মানুষ পাক শান্তির জীবন
নির্যাতন নিপিড়ন বন্ধ হোক সব।
কলমের ধারে কেটে হায়নার মন
সেখানে স্থাপন হোক মানব হৃদয়
মানুষ সবাই হোক সবার আপন।
ধর্মমত সব থাক যার যার মত।
শান্তির বেলায় হোক সবে একমত
মানুষ মানুষ হোক মানুষের মত।
কবিতার রূপান্তর-
মানবিক মনভাব
মানবিক মনভাব মানব শান্তির
নিয়ামক হতেপারে সারা বিশ্ব জুড়ে
মানুষেরা যদি এটা গ্রহণ করেন
মনপ্রাণ দিয়ে সবে একমত হয়ে।
এখন এ মনভাব প্রচারে অধীক
দায়িত্ব পালনে সব গনমাধ্যমের
এগিয়ে আসতে হবে সকলের আগে,
তাহলে হয়ত হবে প্রত্যাশা পূরণ।
কলম সৈনিক দল চালাও কলম
মানুষের মন হতে তুলতে বিভেদ
মানসিকতার সব কালছিঁটে দাগ।
নিজ নিজ ধর্মমতে থেকে মানুষেরা
মানবিকতার কাজ করুক সবাই
গড়ুক সবাই মিলে শান্তির পৃথিবী।
২৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
মানিজার বলেছেন: ছনেট কবির আরো সনেট পাইলে খুশি হইতুম ।
২৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮
সনেট কবি বলেছেন:
জানা
জানা চান মানুষের বিবেক জাগাতে
জানা কথায় তাদের প্রেরণা প্রদানে;
জানা অজানা মনুষে উদ্বুদ্ধ করতে
জানা ভাষা ব্যবহারে প্রখর অনেক।
জানা ব্লগ প্রতিষ্ঠার চিন্তা করলেন
জানা যেন হয় সব মানুষের নীতি;
জানা এখন দেখেন কি ফল পাচ্ছেন?
জানা হচ্ছে কি সবার সুনীতি সকল?
জানা জানেন অপেক্ষা বিধেয় সাফল্যে
জানা সেজন্য হতাশ হননা সহসা
জানা আশাহত নন নিজের উদ্দেশ্যে।
জানা কিছুটা হলেও সফল হচ্ছেন
জানা অজানা অনেকে বিবেকে প্রতিজ্ঞ
জানা কিছুটা সফল একথা বাস্তব।
৩০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সনেট কবি বলেছেন:
জানা ও জানা (নাম ও ক্রিয়া)
জানা জানতে জানেন, জানেন জানাতে
জানা জানাও জানেন, জানেন অজানা
জানা, জানা ও অজানা জগতে জানান
জানা, জানা জীবনের জীবন্ত জহুরী।
জানা জ্বরাগ্রস্থ্য জনে জাগাতে জয়ীতা
জানা জানে জানা জনে অজানা জনেও
জানা ‘জান’ জনে জনে জীবনের জন্য
জানা জোনাকিরা জ্বলে জগৎ জাগায়।
জানা জোছনার জ্যোতি জগতে জড়ায়ে
জানা জোছনার জ্যোতি জগত জুড়ায়
জানা জোছনায় জয়ী জীবন জগত।
জানা, জানি জনে জনে জীবনে জড়ায়ে
জানা, জানি জনে জনে জীবন জুড়ায়
জানা জওহরে জয়ী জাগ্রত জীবন।
৩১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
সোহানী বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো স্মৃতিকথা। হাঁ, এরকম অসংখ্য স্মৃতিকথা সারাক্ষনই মনের মাঝে উকিঁ দেয় আর যখন সেটা দেশের বাইরে হয় তখন এইসব স্মৃতিকথা পিছুই ছাড়ে না।
নিয়মিত লিখার অনুরোধ থাকলে, আমি মনে হয় খুব কমই আপনার লিখা দেখেছি। তাই অনুসরনে থাকলাম নতুন কিছু দেখার আশায়।
অনেক ভালো থাকুন।
৩২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২০
৩৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত মুল্যায়ন হচ্ছে ধর্ম, গোত্র নিয়ে সাধারনত কেউ সংঘাতের কথা ভাবেনা। কিন্তু যখন স্বার্থ বিষয়টা কাজ করে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকে তখন এই ধর্ম গোত্র বিষয়টাকে টেনে এনে বেনিফিট পেতে চায়।
৩৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬
জুন বলেছেন: প্রিয় জানা , সেদিন ব্যংককের এক শপিং মলের দোকানের সাইনবোর্ড দেখে চমকে উঠলাম
ভাবলাম আপু কি সামু টামু ছেড়ে এখানে এসে দোকান দিয়ে বসলো
বিশ্বাস না হয় দেখে নিন নিজ চোখে আমি মিছে বলছি কি না
২০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৫৬
জানা বলেছেন: হা হা হা.....আপু, আগে বলবেননা? তাহলেতো বিশাল এক ডিসকাউন্ট দিয়ে দিতাম আপনার জন্যে। ইয়ে....মানে প্রডাক্টটা কি ছিল আপু কানে কানে বলেনতো।
৩৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হাই
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভালো মেমরি। বাট বর্তমানের সাথে আগের অবস্হা কিছুটা তুলণামূল ক পার্থক্য আছে। এই পার্থক্য সৃষ্টি করণে রেন্ডিয়া এবং পশ্চিমা দালালদের ভূমিকা কোন অংশে কম নয়।